নাল হাইপোথিসিস

  • লেখক: রুশদী শামস
  • শিল্পী: অহনা ব্যানার্জী

‘বুদ্ধিটা কেমন?’ মুচমুচে করে ভাজা ভুট্টার প্লেটটা টেবিলের ওপরে রাখতে রাখতে বলে চার্লি ডিক্সন। শব্দ করে সোডার ক্যানটা খুলে তাতে আয়েশ করে একটা চুমুক দেয় সে, বিশ্রী শব্দে একটা ঢেঁকুর তুলে উত্তরের আশায় তাকিয়ে থাকে পাশে বসে থাকা রিচি গার্নারের দিকে।

     পাগলাটে স্বভাবের চার্লি হঠাৎ করেই ছোটখাটো একটি সামাজিক পরীক্ষা করে দেখবে বলে ঠিক করেছে। পরীক্ষাটা অনেকটা এরকম— বিজ্ঞান কাউন্সিলের বের করা ফর্মুলা আট-দুই-এক অনুযায়ী দশটি সিঙ্গুলারিটি ইঞ্জিন(১) বানিয়ে ফেলা হবে। তারপর সেই ইঞ্জিনগুলোকে পৃথিবী নামের একটা গ্রহের অত্যন্ত গোপন কিছু জায়গায় রেখে দিয়ে আসা হবে। বেছে বেছে দশজন মানুষের প্রত্যেককে একটা করে বেয়ারিং চিঠি দেওয়া হবে। যে কোনও একটা ইঞ্জিনকে খুঁজে বের করে সেটাকে কীভাবে চালু করে দেওয়া যায়, চিঠিগুলোতে সেই নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। সেইসঙ্গে মানুষগুলোকে সাবধান করে বলা থাকবে ইঞ্জিনগুলোর যে কোনও একটা চালু হয়ে যাওয়া মানেই হল চোখের পলকে পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া। সামাজিক পরীক্ষাটা আসলে এই মানুষগুলোকে নিয়েই।

     রিচি তার সোডার বোতলের মুখটা খুলতে খুলতে বলল, ‘এমন গা কিটকিট করা একটা সামাজিক পরীক্ষার বুদ্ধি কেবলমাত্র তোমার পক্ষেই বের করা সম্ভব।’

     চার্লি মিটিমিটি হাসে। সে কনুই দিয়ে রিচিকে একটা গুঁতো দিয়ে বলে, ‘না না, প্লিজ, বলো না, আমার বুদ্ধিটা কেমন?’

     রিচি চার্লির প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয় না। সে জিজ্ঞেস করে, ‘তা তোমার এই পরীক্ষার নাল হাইপোথিসিসটা কী?’

     চার্লি তার মুখটাকে গম্ভীর করে ফেলে বলে, ‘পরীক্ষার নাল হাইপোথিসিসটা হলো সিঙ্গুলারিটি ইঞ্জিন চালু করে দেয়ার ফলাফল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা জানার পরেও দশজন মানুষের একজন তার জন্য রাখা ইঞ্জিনটি চালু করে দেবে। পৃথিবী ধ্বংস হয় যাবে।’

     রিচি তার বোতলে একটা চুমুক দিয়ে গলাটা ভিজিয়ে বলে, ‘সত্যিই কি তুমি এমন একটা পরীক্ষা করে দেখতে চাও?’

     চার্লি তার শরীর দুলিয়ে হেসে ওঠে, ‘না চাওয়ার আবার কী হল?’

     রিচি ভুরু কুঁচকে বলে, ‘নাল হাইপোথিসিসটা সত্যি প্রমাণিত হয়ে যাওয়া মানে গোটা পৃথিবীটা মুহূর্তের মধ্যে একটি ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়ে যাওয়া! ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন যেন অনৈতিক বলে মনে হচ্ছে।’

     চার্লি তার গালটাতে ভর্তি করে ভুট্টার দানা নিয়ে বলে, ‘ভালো ভালো অনেক সামাজিক পরীক্ষার সঙ্গে এক-আধটু এমন অনৈতিকতা জড়িত থাকতেই পারে। সবসময়ই থাকে।’

     রিচি অবশ্য এই ব্যাপারটাতে একমত হয়ে মাথা ঝাঁকায়। তারপর সে জিজ্ঞেস করে, ‘কিন্তু এমন একটা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞান কাউন্সিলকে কি আদৌ তুমি রাজি করাতে পারবে বলে মনে হয়?’

     চার্লি তুড়ি বাজিয়ে পাহাড়প্রমাণ একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলল, ‘আমি ঠিকই কাউন্সিলের প্রধান বুড়ো এন্ডারসনকে রাজি করিয়ে ফেলব। এত বিশাল পরিমাণ বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষ আসলে করতে পেরেছেটা কী? এমন ফালতু একটা জাতি আর তাদের অনুন্নত গ্রহ ধ্বংস হয়ে গেলেই বা বিজ্ঞান কাউন্সিলের কী এসে যায়?’

     চার্লির কথায় যুক্তি আছে। মানুষ বিজ্ঞান কাউন্সিলের জন্য অনেক ব্যয়বহুল একটা প্রজেক্ট হলেও সেই তুলনায় ফলাফল যা পাওয়া গেছে তা খুবই হতাশাজনক— মানুষেরা পৃথিবীকে এতদিনেও কারদাশেভ স্কেলে(২) এক মাত্রার একটা গ্রহ বানাতে পারেনি।

     রিচি হাসতে হাসতে বলল, ‘বেশ, খুব বুঝলাম। কিন্তু আমার বিশ্বাস অল্টারনেট হাইপোথিসিসটাই শেষমেশ প্রমাণিত হবে।’ রিচি খুব ভাল করে জানে যে মানুষ প্রায়ই রাগের মাথায় পৃথিবীকে শেষ করে দিতে চায়। তবে সত্যি সত্যি সেই সুযোগটি পেলেও আসলে সে এমন কিছু করবে না। মানুষ নিজের অজান্তে যে জিনিসগুলোকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, পৃথিবী তাদের মধ্যে একটি।

     চার্লি বেঞ্চের ওপরে আসন গেড়ে আরাম করে বসতে বসতে বলে, ‘যাও, ধরলাম তোমার সঙ্গে বাজি। এই দশজন মানুষের কেউ না কেউ সিঙ্গুলারিটি মেশিন চালু করে দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে। নাল হাইপোথিসিসটাই শেষমেষ প্রমাণিত হবে।’

     ছেলেটি কী কারণে যে মানুষকে নিয়ে এতটা হতাশায় ভুগছে সেটা রিচির মাথা ঢোকে না। সে হাতের লাঞ্চব্যাগ থেকে  স্যান্ডউইচটা বের করে চোখ বুজে তাতে বড়সড়ো একটা কামড় বসায়।

***

সের্গেই বুবাকভ রাগে কাঁপতে কাঁপতে তার বাসা থেকে বের হয়ে আসে।

     ঘরের জিনিসপত্র অগোছালো থাকলে তার যে মানসিক একটি সমস্যা হতে থাকে সেটা তার স্ত্রী একেবারেই বুঝতে পারে না। আর সে বুঝতে পারে না যে তার মতো গোছালো স্বভাবের মানুষের স্ত্রী কীভাবে এতটা অসহনীয় পর্যায়ের অগোছালো হতে পারে। এতদিন ধরে তাকে দেখার পরেও তার স্ত্রী জায়গার জিনিসটাকে জায়গায় রেখে দেবার ব্যাপারটা শিখতে পারল না। সের্গেই একবার দু’বার নয়, বহুবার তার স্ত্রীকে ব্যাপারটা খোলাসা করে বলেছে বটে কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বরং তার মনে হচ্ছে যে তার স্ত্রী যেন দিনে দিনে আরও বেশিই অগোছালো হয়ে যাচ্ছে।

     আজকে সন্ধ্যায় ঝগড়াঝাটির একটা পর্যায়ে সের্গেই একবার ভাবল যে আজই সে একটা দফারফা করবে— ধারালো কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে নিজের স্ত্রীকে সে শেষ করে ফেলবে। সত্যি সত্যিই তেমন কিছু করা গেলে দারুণ একটা তৃপ্তি পাওয়া যেত। কিন্তু, সের্গেই আসলে একজন ভীতু টাইপের মানুষ। স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অধৈর্য হয়ে রান্নাঘরে ধারালো কিছু একটা খুঁজতে খুঁজতে সে বুঝতে পারে যে তার পক্ষে নিজহাতে আসলে একটা মানুষকে শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। উলটে সেটা করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে সে কিছু একটা গণ্ডগোল করে ফেলবে। তারপর থানা পুলিশ হবে। সবশেষে নিজ স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার দায়ে তার যাবজ্জীবন হয়ে যাবে। জেলখানায় নিশ্চয় সবকিছু তার মনমতো গোছানো থাকবে না!

     অনেক কষ্টে রাগ চেপে তাই সে নিজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এবং বের হবার সময় সঙ্গে করে এনেছে গতকাল ডাকে পাওয়া বেয়ারিং চিঠিটা।

     এমন অদ্ভুত একটা চিঠি তাকে ঠিক কে পাঠাতে পারে?

     তার কোনও পুরোনো বন্ধু? ভাই বেরাদার?— তেমন কাউকে তো তার মনে পড়ছে না।

     কোনও আত্মীয় স্বজন নয় তো?— সেই সম্ভাবনাও খুবই কম।

     যে পৃথিবী তার জন্য একটি দুর্বিসহ জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, চিঠিটাতে সেই পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেওয়ার খুব সহজ একটা পথ বাতলে দেওয়া আছে। পুরো পৃথিবীটাকে এত সহজে শেষ করে ফেলা মানে তার প্রচণ্ড অগোছালো স্ত্রীকেও শেষ করে ফেলা। কাজটা করতে তাকে নাকি একটা ইঞ্জিন খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেটাকে শুধু চালু করে দিলেই কাজ শেষ!

     পুরো ব্যাপারটা ফাজলামি নয়তো?— মনে মনে ভাবে সের্গেই।

     চিঠিটিতে বলে দেওয়া পথ ধরে ধরে সের্গেই একটু আগে একটি পোড়োবাড়ির ভেতরে চলে এসেছে। সেটার নিচতলার সেলার ঘরের ভেতরে ঢুকে সে বেশ চমকে যায়। গোটা ঘরে অসংখ্য তারের ছড়াছড়ি। একসঙ্গে সেগুলো সব গিয়ে ঢুকেছে জটিল চেহারার একটা ইঞ্জিনের ভেতরে। সের্গেই ঘরটাতে ঢোকার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে ফেলে যে ব্যাপারটা নিয়ে তার সঙ্গে কেউ ঠাট্টা করেনি। শুধুমাত্র ঠাট্টা করার জন্য এতটা খাটাখাটনি করে এমন একটা ইঞ্জিন বানিয়ে তার জন্য এখানে কে রেখে যাবে?

     সের্গেই ইঞ্জিনটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সেটার লাল রঙের বোতামটির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। 

***

 

চার্লির মুখটা রক্তশূন্য হয়ে কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোনও একটা কারণে ভীষণ ভয় পেয়েছে সে। রিচি তার কাঁধ দুটো ঝাঁকি দিয়ে ডেকে বলে, ‘চার্লি—’

     চার্লির মুখ দিয়ে কোনও আওয়াজ বের হয় না, সে শুধু উদ্ভ্রান্তের মতো রিচির দিকে তাকিয়ে থেকে বলে, ‘উঁ?’

     ‘কী হয়েছে তোমার?’ রিচির কণ্ঠস্বরে স্পষ্ট উদ্বিগ্নতা।

     কিন্তু চার্লি কোনও কথা না বলে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। রিচি তাকে আরও জোরে একটা ঝাঁকি দিয়ে বলে, ‘কী হয়েছে, তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?’

     চার্লি কোনওমতে রিচিকে বলে, ‘সামাজিক পরীক্ষাটি নিয়ে আমাদের আলাপটার কথা মনে আছে তোমার?’

     রিচি মাথা ঝাঁকিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ, মনে আছে তো। কী হয়েছে সেটা নিয়ে?’

     চার্লি শূন্য দৃষ্টিতে রিচির দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমি এখন মনে প্রাণে চাই যে নাল হাইপোথিসিসটা ভুল প্রমাণ হোক।’

     চার্লি কী বলতে চাইছে সেটা রিচির কাছে পরিষ্কার হয় না, তার কাছে চার্লির কথাগুলো দূর্বোধ্য লাগতে থাকে। চার্লি বলতে থাকে, ‘বুড়ো এন্ডারসন কিছুতেই রাজি না হওয়াতে আমি নিজেই গোপনে পরীক্ষাটি করা শুরু করে দিই।’

     রিচি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চার্লির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল, ‘তারপর?’

     ‘আমি একটু আগে ধরতে পেরেছি যে কেন বুড়ো এন্ডারসন আমার প্রস্তাবে রাজি হয়নি,’ চার্লি বলল। এরপরে সে একটা ছোট্ট বিরতি দিয়ে বলল, ‘ফর্মুলা আট-দুই-এক এ আসলে মারাত্মক কিছু একটা ভুল ছিল।’

     রিচি অবিশ্বাসের একটা দৃষ্টি নিয়ে চার্লির দিকে তাকিয়ে থাকে। ‘ফর্মুলাতে ভুল ছিল? কী বলছ!’ জিজ্ঞেস করল সে।

     চার্লি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ‘এই ফর্মুলা দিয়ে বানানো ইঞ্জিনগুলোতে যে সিঙ্গুলারিটি তৈরি হয়, তার অভিকর্ষমাত্রা আসলে অনেক বেশি।’

     চার্লির কণ্ঠে ভয়ঙ্কর এক ধরণের শীতলতা ছিল। রিচি এবার ভয় পেয়ে যায়। সে একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী বলছ! কত বেশি?’

     ‘অনেক, অনেক বেশি রিচি, তুমি কল্পনাও করতে পারবে না।’

     রিচি তার হেঁয়ালিতে অধৈর্য হয়ে উঠছে দেখে চার্লি রিচির হাত দুটোকে নিজের হাতে নেয়। সে বলল, ‘একেকটা যন্ত্র দশ মাত্রার অভিকর্ষের সিঙ্গুলারিটি তৈরি করে ফেলে,’ কথাটা বলে সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না, বাচ্চা একটা ছেলের মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।

     রিচি গার্নার বিস্ফোরিত চোখে চার্লি ডিক্সনের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে চার্লির বরফ শীতল হাতটি সজোরে চেপে ধরে।

 

পুরো মহাবিশ্ব ততক্ষণে একটা অসীম শূন্য অন্ধকারে ধীরে ধীরে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে। 

 

টীকা: 

(১) কৃত্রিম সিঙ্গুলারিটি সৃষ্টি করতে সক্ষম যন্ত্র (কাল্পনিক)। সিঙ্গুলারিটিকে যেকোনো ব্ল্যাকহোলের প্রাণ বলা হয়। এটি ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রে অবস্থিত শূন্য আয়তনের অসীম ঘনত্বের একটি বিন্দু।

(২) জ্যোতির্বিদ নিকোলাই কারদাশেভ উদ্ভাবিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি গ্রহের সভ্যতার মাত্রা নির্ণয় করা হয় (তাত্ত্বিক)।

Tags: অহনা ব্যানার্জী, কল্পবিজ্ঞান গল্প, গল্প, পঞ্চম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রুশদী শামস

13 thoughts on “নাল হাইপোথিসিস

  • May 1, 2020 at 12:43 pm
    Permalink

    ভাল লাগলো লেখাটি। ভবিষ্যতে আরো চমৎকার লেখা পাব আশা করি। শুভ কামনা

    Reply
    • May 1, 2020 at 12:53 pm
      Permalink

      চমৎকার লেখা। বেশ সাবলীল।

      Reply
    • May 1, 2020 at 2:19 pm
      Permalink

      ধন্যবাদ৷ তোর ফীডব্যাকগুলোও বেশ কাজে দিয়েছিলো লেখার শুরুর দিকে৷

      Reply
  • May 1, 2020 at 1:12 pm
    Permalink

    লেখাটি খুব ভাল লাগল। সহজ এবং বোধগম্য।

    Reply
  • May 1, 2020 at 1:48 pm
    Permalink

    শেষের চমকটা দারুন লাগল। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি আর বিজ্ঞানের মিশেল প্রাণবন্ত করে তুলেছে লেখাটিকে। লেখকের জন্য রইল অনেক শুভকামনা। আর পাঠক হিসেবে ভবিষ্যতে আরও দারুন সব চমকের প্রতিক্ষায় রইলাম।

    Reply
  • May 1, 2020 at 6:00 pm
    Permalink

    শীতের সকালে রোদ পোহাতে পোহাতে এমন অসাধারণ একটা ফিকশন দিনের শুরুটাকে আরও সুন্দর কিরে দিল। শেষটা এমন হবে ভাবি নাই। আরও অনেক নতুন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

    Reply
  • May 2, 2020 at 8:39 am
    Permalink

    “পুরো মহাবিশ্ব ততক্ষণে একটা অসীম শূন্য অন্ধকারে ধীরে ধীরে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে”
    শেষের লাইনটা ঠিক যেমনটা আশা করেছিলাম তার চাইতে অনেক বেশি চমকপ্রদ।
    স্যার, আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।

    Reply
  • May 3, 2020 at 1:27 am
    Permalink

    চমৎকার লেখা। সহজবোধ্য এবং সাবলীল। ভবিষ্যতে আরো চমকপ্রদ লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।

    Reply
  • May 3, 2020 at 10:00 am
    Permalink

    খুবই ভালো লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল

    Reply
  • May 3, 2020 at 10:28 pm
    Permalink

    চমৎকার! সাবলীল বর্ণনা আর পুরো গল্প জুড়ে কৌতূহলী রাখাটা খুবই ভালো লাগলো। শেষটা চমকপ্রদ ছিল। আরো লেখা আশা করছি শীঘ্রই।

    Reply
  • May 4, 2020 at 2:03 am
    Permalink

    খুবই চমৎকার কনসেপ্ট। আর লেখার স্টাইল তো অতুলনীয়। এতটা সাবলীলভাবে ঘটনা, ডায়ালগ তুলে ধরেছ, মনেই হচ্ছে না নতুন লেখক। বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত সায়েন্স ফিকশন লেখকের চেয়েও বেশি ভালো হয়েছে। নিঃসন্দেহে একটি স্বার্থক সাইফাই ছোট গল্প। বাংলাদেশের সাইফাই জগতে নতুন লেখকের আবির্ভাব হলো। শুভেচ্ছা রইল অনেক।

    Reply
  • May 4, 2020 at 7:38 am
    Permalink

    চমৎকার লেগেছে। একটা প্রশ্ন– ‘বেয়ারিং চিঠি’ কেন? যদি প্রাপক গ্রহন না করতো?

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!