Tuesday, October 15, 2024

প্রচ্ছদ

প্রচ্ছদ

অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ। 

কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি অনুবাদ, মৌলিক গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের সমাহার

পর্বততীর্থ জম্ভাজ
রাকার সামনে আজ অনেকখানি খোলা আকাশ। কঙ্কণ বনে বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটি দিশাহারা হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য মেঘ এবং রোদের এই খেলা দেখে। অস্ফুটে বলল, “আমাদের জম্ভা যে এত অপরূপ আমি জানতাম না।”
     পাশ থেকে ক্লিষ্ট
ওঁ অগ্নিমীলে
ঠিক যেমন শীতকালের শুকনো ত্বকে নখ টানলে খড়ি ফোটে। বর্তমান সময় বুঝি অমনই শীতার্ত এবং রুক্ষ। ছুঁলে শুধুই খড়ি ফোটে, কর্কশতার উদ্‌যাপ__
    
     বাক্য শেষে হলদে কাগজের উপর কালি ফুরিয়ে যাওয়া নিবের সাদাটে খড়ি
গুঞ্জন
তিন মাস আগে, সুরুলগাছা পুলিস স্টেশন
    
  “আমার কমপ্লেইনটা নিন, স্যার।”
     “সে নিচ্ছি। কিন্তু আপনার টোটো তো স্টেশনের কাছেই পাওয়া গেছে। এদিকে লোকটার নাম-ধাম কিছুই আপনি বলতে পারছেন না। যা বর্ণনা দিচ্ছেন, তার
সবুজ ট্রানজিস্টার
এক নম্বর রহস্য: ভূতুড়ে প্রাসাদে লাল চোখ
দার্জিলিংয়ের নর্থপয়েন্টে এখন যেখানে রোপওয়ে হয়েছে, তার কিছু দূরে পাহাড়ের চূড়ায় একটা পুরোনো বাড়ি আছে। ভাঙাচোরা। দরজা-জানালা কোন্ কালে উধাও হয়েছে। পাথরের
জাল বানাল যুধিষ্ঠির
লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী!
ব্যোমকেশ বক্সী বৈজ্ঞানিক ছিলেন না
লন্ডন শহরের বিখ্যাত কনসাল্টিং ডিটেকটিভ শার্লক হোমস সাহেবের সঙ্গে কলকাতার ব্যোমকেশ বক্সীর আলগা সাদৃশ্য যতই থাকুক হোমস সাহেবের মতো বৈজ্ঞানিক ছিলেন না বক্সীবাবু। ল্যাবরেটরিতে রীতিমতো গবেষণায়
The Decadence of Humanity: Double Dose of Dystopias
Science Fiction has been successful in instigating imaginary futures for humanity. The two most distinctive features include utopia and dystopia. Utopia refers to a
বাবলা বীজের সাহিত্যিক
     এবং প্রাণীভাষাবিদ সমিতির পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত আরও কিছু অংশ
    
     পিঁপড়ের ঢিপিতে পাওয়া পাণ্ডুলিপি
     কলোনির গভীরের একটা স্তর থেকে বেরিয়ে আসা এক সরু, আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বীজাণুমুক্ত
সূর্যহরণের পরে
এখন (রাত এগারোটা পাঁচ)
    
     নিকষ কালো রাতে পাহাড়ের গা বেয়ে কোনোক্রমে উঠতে উঠতে রাকা ভাবছিল, উপলহ্রদটা আর কত দূর। সে খুব ভালো করেই জানে, দেরি হয়ে গেলে তার বুড়ি দিদিমার শরীরের একটুও উদ্ধার করার মতো
অন্তিম কোড
জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে।
নেক্সা

    
     নবমীর দিন সকালে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটা শান্ত গলির একেবারে শেষে অম্বিকা প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল গৌতম হেগরে। এই বাড়ির তিনতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এক সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর অভিজ্ঞান
ট্রিগার
     এক
    
     “ডাইনোসর বার্ড। এখন প্রায় বিলুপ্ত। আসল নাম শুবিল। পাখিটার কথা শুনেছো কখনও?”
     তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকের তিন নম্বর মার্লবোরো থেকে অস্থির ধোঁয়া এলোমেলো পথে ঘরের বাইরে যেতে চাইছে। পুবদিকের

শরতের আকাশ মেঘমুক্ত। বাতাস শুষ্ক, হিমেল। রোদের তেজ নরম। এর মধ্যেই পুজোর আয়োজন। মা দুর্গা এসেছেন আমাদের মাঝে, কোলে কাঁখে লক্ষী সরস্বতী, কার্তিক আর গণেশকে নিয়ে। তাঁকে বরণ করতে দিকে দিকে শঙ্খধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যি বেজে চলেছে। আমরাও পিছিয়ে থাকি কেন? কল্পবিজ্ঞান আর ফ্যান্টাসির ঝুলি নিয়ে আমরাও তাই প্রস্তুত বাংলার পাঠকদের সামনে, সাহিত্যের অমৃতভাণ্ডারে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সম্পাদকীয়

সবুজ ট্রানজিস্টার

এক নম্বর রহস্য: ভূতুড়ে প্রাসাদে লাল চোখ

দার্জিলিংয়ের নর্থপয়েন্টে এখন যেখানে রোপওয়ে হয়েছে, তার কিছু দূরে পাহাড়ের চূড়ায় একটা পুরোনো বাড়ি আছে। ভাঙাচোরা। দরজা-জানালা কোন্ কালে উধাও হয়েছে। পাথরের দেয়ালগুলোই কেবল খাড়া আছে বছরের পর বছর।

     এ বাড়ি কে করেছিল, কেউ জানে না। ঝোপঝাড় আর পাইনের জঙ্গলে প্রায় ঢেকে এসেছে। দিনের বেলাতেও কেউ [আরো পড়ুন]

Tags: অদ্রীশ বর্ধন, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান

মড়া

কী আছে মৃত্যুর পর? অস্তিত্ব, না, অনস্তিত্ব? ঈশ্বর না শয়তান? সর্বশক্তিমান শক্তিতরঙ্গ, না নিছকই অনন্ত তমিস্রা? অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান-তাপসরা উদ্যোগী হলেন সেই হেঁয়ালির সমাধানে… তারপর…

    

?

    

দুঃস্বপ্ন ভয়ংকর জীবন্ত বিভীষিকা… না, না… ভাষায়, কোনো জাগতিক ভাষায় বর্ণনা করা যায় না… বিশ্বাস করুন সত্যি যায় না… বিশ্বাস করলেও হিম হয়ে আসে সর্বাঙ্গ… [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, রণেন ঘোষ

গুঞ্জন

তিন মাস আগে, সুরুলগাছা পুলিস স্টেশন

    

  “আমার কমপ্লেইনটা নিন, স্যার।”

     “সে নিচ্ছি। কিন্তু আপনার টোটো তো স্টেশনের কাছেই পাওয়া গেছে। এদিকে লোকটার নাম-ধাম কিছুই আপনি বলতে পারছেন না। যা বর্ণনা দিচ্ছেন, তার ভিত্তিতে লুক-আউট নোটিসও তো জারি করতে পারব না। কোনও বিশেষত্বই নেই যার চেহারায়, তাকে কীভাবে…। আচ্ছা, ভদ্রলোক হঠাৎ আপনার ওপর খেপলেন কেন?”

     [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, ঋজু গাঙ্গুলী, কল্পবিজ্ঞান

ঢেলা

     [কৈফিয়ত: সঠিক প্যাশটিস কি না ঠিক বলতে পারব না। তবে এটা ঘনাদার গল্প—কারণ ঘনাদা আছেন, বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের মেসের বাসিন্দারা আছে, বনোয়ারী, রামভুজও আছে। ঘনাদা তার নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন মেসের বাসিন্দাদের কাছে আর তাঁর তস্য তস্য পূর্বপুরুষদের কীর্তিকলাপ বর্ণনা করেছেন সান্ধ্যভ্রমণকালে দক্ষিণ কলকাতার কৃত্রিম হ্রদের [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী

দ্বিতীয় বৈচিত্র্য

     শুরুর দিকের নখরচক্রগুলো খুব একটা কিছু কাজের ছিল না—শুধু গড়িয়ে গড়িয়ে চলা ঘিনঘিনে আর কদাকার ছোটো ছোটো যান্ত্রিক মৃত্যুদূত। পরের দিকে যখন সৃষ্টি নিজেই শুরু করল স্রষ্টার অনুকরণ করতে, তখনই শুধু একবার মানব জাতির সামনে এসে গিয়েছিল শান্তি স্থাপনের সেই পরম সুযোগ—হায়! শুধু যদি সে তখন সেটাকে কাজে লাগাতে পারত!

    

     টিলাটার ও-পাশের অসমান পাথুরে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, ফিলিপ কে. ডিক, রুদ্র দেব বর্মন

সূর্যহরণের পরে

এখন (রাত এগারোটা পাঁচ)

    

     নিকষ কালো রাতে পাহাড়ের গা বেয়ে কোনোক্রমে উঠতে উঠতে রাকা ভাবছিল, উপলহ্রদটা আর কত দূর। সে খুব ভালো করেই জানে, দেরি হয়ে গেলে তার বুড়ি দিদিমার শরীরের একটুও উদ্ধার করার মতো থাকবে না। সবাই জানে, পাহাড়ের উপরে এই হ্রদটা ভালো জায়গা নয় – পূর্ণগ্রাসের ছায়ামূর্তিগুলো এখানে ঘুরে বেড়ায়; মানুষ পেলেই তার আত্মার সব শক্তি চুষে নিয়ে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, ফ্যান্টাসি, সৌম্যসুন্দর মুখোপাধ্যায়

ড্রিম গার্ল

“ভগবান তোমার মঙ্গল করুক মা,” সোনালির হাত থেকে পাঁচশো টাকার নোটটা নিয়ে কপালে ঠেকাল প্রাণহরি। তারপর সেটাকে লুঙ্গির গেঁজেতে পুরে পায়ের কাছে পড়ে থাকা বাজারের ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা দিল বড়ো রাস্তার দিকে। সাড়ে তিনশোতে রফা হয়েছিল, দেড়শো টাকা বাড়তি দিয়েছে অরুণ বিশ্বাসের কচি বউ। তবে বিশ্বাসদের যা ঠাটবাট, তাতে এমন অনেক পাঁচশোর নোট বিশ্বাস-বউয়ের [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, মোহর

ওঁ অগ্নিমীলে

ঠিক যেমন শীতকালের শুকনো ত্বকে নখ টানলে খড়ি ফোটেবর্তমান সময় বুঝি অমনই শীতার্ত এবং রুক্ষছুঁলে শুধুই খড়ি ফোটে, কর্কশতার উদ্‌যাপ__

    

     বাক্য শেষে হলদে কাগজের উপর কালি ফুরিয়ে যাওয়া নিবের সাদাটে খড়ি ফোটানো আঁকচিরা। আঁকচিরাটা দেখে হারিয়ে যাওয়া বাক্যগুলো ভেসে উঠল অণিমা দেবীর স্মৃতিপটে। তিনি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন—ককর্শতার উদ্‌যাপন।

     তারপর [আরো পড়ুন]

Tags: অঙ্কিতা, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান

পর্বততীর্থ জম্ভাজ

রাকার সামনে আজ অনেকখানি খোলা আকাশ। কঙ্কণ বনে বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটি দিশাহারা হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য মেঘ এবং রোদের এই খেলা দেখে। অস্ফুটে বলল, “আমাদের জম্ভা যে এত অপরূপ আমি জানতাম না।”

     পাশ থেকে ক্লিষ্ট হাসি হাসল আম্রপালি। দেবী অর্কপ্রভার মন্দিরে বড়ো হয়ে উঠেছে বলেই সে এই আকাশ দেখে অভ্যস্ত। রাতের তারাদের চেনাতে তাদের শিক্ষয়িত্রীরা নিয়ে যেতেন সন্ধ্যার [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, ফ্যান্টাসি, সোহম গুহ

সবুজ বিপ্লবে

     ১

    

     সফলতা জিনিসটা চট করে হাতের মুঠোয় আসতে চায় না, শশাঙ্কের। তিনি এক নাম না হওয়া এক ব্যর্থ বিজ্ঞানী। স্বপ্ন ভাঙতে ভাঙতে আজ অবশিষ্ট বলে আর কিছুই নেই। আজ ত্রিশ বছর ধরে লেগে আছে এই গবেষণাতে—কতজন ছাত্র এল গেল আর কতজনই বা থাকল। যৌবনের রাশিকৃত কালো চুল আজ সাদা, ভরাট দু’খানি গাল গেছে তুবড়ে, দু’একটা দাঁতও আজ স্মৃতির সরণিতে। তুমি তোমার এই ঢং নিয়েই [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, বামাচরণ ভট্টাচার্য

এক প্রপঞ্চর সমাপ্তি

[বি. দ্র.: এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার ‘সপ্তম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা’ (শারদীয়া ২০২)-য় প্রকাশিত আমার গল্প ‘এক প্রহেলিকার জন্ম’-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।]

    

এক

    

     ২১ ডিসেম্বর ২০১২, কলকাতা:

     চারিদিকে উৎসবের আমেজ। পার্কস্ট্রিট অঞ্চলে সাজো সাজো রব। [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, সুমন সেন

ম্যাজেরিন

“And all my days are trances / And all my nightly dreams / Are where thy grey eye glances / And where thy footstep gleams—/ In what ethereal dances / By what eternal streams.”

    

    

     ইদানীং ঘুম থেকে উঠে বুকের বাঁদিকে একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে এরিক। ব্যথাটা আস্তে আস্তে বুকের মধ্যেখানে ছড়িয়ে যায়,একটু পর আর কোনো অনুভূতি থাকে না। দু-একবার ভেবেছে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখিয়ে আসে কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেই উপায় হয়ে ওঠেনি। ইদানীং শরীরটাও ঠিক [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, শান্তনব রায়

ব্যোমকেশ বক্সী বৈজ্ঞানিক ছিলেন না

লন্ডন শহরের বিখ্যাত কনসাল্টিং ডিটেকটিভ শার্লক হোমস সাহেবের সঙ্গে কলকাতার ব্যোমকেশ বক্সীর আলগা সাদৃশ্য যতই থাকুক হোমস সাহেবের মতো বৈজ্ঞানিক ছিলেন না বক্সীবাবু। ল্যাবরেটরিতে রীতিমতো গবেষণায় মেতে থাকতেন হোমস। রক্ত নিয়ে, চুরুটের ছাই নিয়ে এবং আরও অনেক বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর লেখা পণ্ডিতমহলে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। বস্তুত, হোমসের [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত

The Decadence of Humanity: Double Dose of Dystopias

Science Fiction has been successful in instigating imaginary futures for humanity. The two most distinctive features include utopia and dystopia. Utopia refers to a perfect society, whereas dystopia refers to a social order without the value of human life in a general sense. It is an invented world in which ominous tendencies of our present social, political, and technological order are projected into a catastrophic society in the future.

     Aldous Huxley’s Brave New World (1932), George Orwell’s Nineteen Eighty-Four (1949), Ray Bradbury’s Fahrenheit 451 (1952), Margaret Atwood’s The Handmaid’s Tale (1986), and Cormac McCarthy’s The Road (2006) are regarded as some of the finest examples of dystopian science fiction.

     It is time to delve into the first two dystopian classics, Huxley’s Brave New World and Orwell’s Nineteen Eighty-Four.

     William [আরো পড়ুন]

Tags: Debraj Moulick, English Section, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

The Rise of AI Art: Shaping the Future of Creativity

Artificial Intelligence (AI) has made remarkable advancements in recent years, revolutionising various industries and changing the way we live and work. One field where AI’s influence has been particularly pronounced is the realm of art. The convergence of technology and artistic expression has given rise to a new wave of creativity, leading to the emergence of AI art as a significant cultural and artistic movement. In this article, we will explore the evolution of AI art, its history, and the potential it holds in shaping the future of creativity.

The year 2022 marked a pivotal moment for AI art, as it gained mainstream recognition and acceptance as a legitimate art form. Prior to this period, AI-generated art was seen as a niche pursuit confined to the domains of academia and tech laboratories. However, the explosive growth of AI-generated artworks and their widespread acclaim in prestigious art exhibitions [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Soubarna Das, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

The Churchyard Girl

To the Sunday school children, she is a shadow in the window, a welcome distraction from the humdrum classes. Her eyes have a hollowed-out look, too, and her red scarf is askew, but she can easily pass as one of their truant classmates. Over psalm recitals and the sound of chalk scraping the blackboard, you can hear the caw-cawing of the crows and, if you listen very closely, her gentle tap-tapping on the misted glass. These taps are soft and hesitant, as though she hasn’t made up her mind about attending class or not. 

     When the bells finally toll for home, the children rush out. They look for her, searching for a sign in the gravel, in the rustling leaves, in the birds artfully hidden in the swaying branches. Underneath a grey sky, they mournfully share their packed lunches, leaving a few scraps for the stray cats and mongrel dogs that have made the churchyard their home. They talk about the girl they sometimes see at the window and invent stories about her.

[আরো পড়ুন]

Tags: Archita Mittra, English Section, Short Story, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

জাল বানাল যুধিষ্ঠির

লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী! একটা ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা আর অন্যটা বাংলায়, এটা বোঝা যাচ্ছে। তারপরে আর হস্তাক্ষর বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। আমার দুই কাকার চিঠি এসেছে। এই [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, সিদ্ধার্থ ঘোষ

মাংসাশী ভেড়ার রহস্য

বাংলার বাইরের একখানা ইংরাজি খবরের কাগজে এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে।—“এই অঞ্চলের সেনোরিয়া জঙ্গলের এক গবেষণাগারের বিজ্ঞানী তাপস সেনকে তার পোষা ভেড়ার দল মেরে খেয়ে ফেলেছে। তাপস সেনের মাইনে করা চারজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট থানায় এসে ওই সংবাদ দিয়েছে। তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে না।”

     কাগজখানা আমি রাখি। খবর দেখে চমকে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, বৃন্দাবনচন্দ্র বাগচি

ড. ওয়াগনারের পরাজয়

[ভূমিকা: এ কাহিনি লেখার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কী হবে লিখে? অধ্যাপক ফেডিনস্কিই যখন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন তখন তাঁর ডায়েরি প্রকাশ করা মানে দুঃখ বাড়ানো ছাড়া আর কি? কিন্তু লিখতে আমাকে হলই শেষ পর্যন্ত। আপনারা হয়তো বলবেন, কেন? আমার আনন্দের ভাগ যদি আপনাদেরও না দিতে পারি তবে মানুষ হয়ে বাঁচার কোন মানেই হয় না—আমার অন্তত তাই মত।]

    

     [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, বিশু দাস

বঙ্কুবাবুর গল্প

পুরুষ্ট বেগুনিদের একাদশতমটিকে মুখে চালান করে বঙ্কুবাবু বললেন, ‘বেগুনি খাই বটে, তবে বেগুন আমি পছন্দ করি না। বেগুন দেখলেই আমাদের থার্ড মাস্টারমশাইয়ের গিন্নির কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, তাই শিউরে উঠি। আহা, বেগুন খেতে বড্ড ভালোবাসতেন!’

     বৃষ্টির সন্ধ্যায় আড্ডা জমেছিল। বুড়ির জ্যেঠিমা ভেতর থেকে গরম বেগুনি আর মুড়ি সাপ্লাই করেছেন। চোখ [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, বিমলেন্দু মিত্র

নিষিদ্ধ ফল

পূর্বকথা

     অনন্ত আঁধার বেয়ে বহে আসে তুচ্ছ সৃষ্টিবীজ

    

     এই কাহিনির সূচনা কারিউজ নামে একটি মৃত গ্রহে। মরবার কথা তার ছিল না। ধনে, সম্পদে, শক্তিতে তার কাছাকাছি কেউ ছিল না গ্যালাক্সির গোটা বাহুটিতেই। তবু তাকে মরতে হল! নিজের সন্তানেরই হাতে। কারণ তার এক দেশপ্রেমিক সন্তান নিজের দেশের জন্য গড়ে দিয়েছল এক অমোঘ অস্ত্র। সে যন্ত্র গ্রহটির পেট থেকে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

সত্য

দশদিকে যেন যুদ্ধ শেষের নিঃশব্দ প্রহর। যেদিকে তাকাই সেদিকে কেবল রাত্রির প্রকাণ্ড নিকষ সরোবর।

     কোথায় আমি? কে নিয়ে এল ভ্রষ্ট এই অন্ধ মৃত্যুজপ।

     কিছু কথা যেন আবছা মনে পড়ে।

***

     ইউনিভার্সিটির বিশাল অডিটরিয়ামে আমার কথাগুলো গমগম করে ছড়িয়ে যায়। নিঃশব্দে শোনে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা।

     “আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো কি আমাদের বাস্তবের বস্তুনিষ্ঠ সত্যটা [আরো পড়ুন]

Tags: science fiction, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, সুমিত বর্ধন

আবার ফোন বাজছে

—দেখেছ! আবার মেয়েটা ফোনে কথা বলছে! এতো রাতে কার সঙ্গে কথা বলে রোজ রোজ?

          —কোন মেয়েটা?

     —আরে বাবা, পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটে যে মেয়েটা এসেছে, সেই মেয়েটা। শুনতে পাচ্ছো না! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তোমার কানটাও খারাপ হয়ে গেছে!

     —তা কার সঙ্গে কথা বলে, তা দিয়ে তোমার আমার কী? এখনকার মেয়ে। এরা সব ইন্ডিপেন্ডেন্ট টাইপের হয়। অতো সব নিয়মকানুন মানে না এরা।

     [আরো পড়ুন]

Tags: অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান

এত সুন্দর, এত অন্ধকার

     “রুহানা!”

     মণীন্দ্র ডাকছে ওকে। কিছু দরকার নিশ্চয়! লোকটা এমনিতে চুপচাপ, অকারণ বাজে বকে না। রুহানার ক্লান্ত লাগছিল, কিন্তু ডাকটা অগ্রাহ্য করা উচিত হবে মনে হল না।

     তা ছাড়া, অগ্রাহ্য করতে চাইলেও করতে পারত না বোধ হয়। ‘সৌজন্য’ বাধা দিত।

     সোজা সরলরেখায় রাস্তা, দুপাশে বাড়িগুলো পর পর একই রকম দেখতে। হঠাৎ দেখলে মনে হয় লেগো দিয়ে বানানো খেলনা শহর। [আরো পড়ুন]

Tags: অনুষ্টুপ শেঠ, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান

অধরা পৃথিবী

তাতিমের সামনে মাটি থেকে সিলিং পর্যন্ত আধাস্বচ্ছ দেওয়াল।

     সম্পূর্ণ খোলা একটা বিস্তৃত ঘরে তার সামনে দুটো রকিং চেয়ার। ঘরটা সাদা। শুধু এককোণে একটা প্ল্যান্টারে যত্নে রাখা একটা গাছ-রবার প্ল্যান্টের মতো দেখতে। ওই গাছটাই তাদের বাড়ির সবচেয়ে মূল্যবান সদস্য।

     মাঝারি উচ্চতার, মোটামুটি সজীব। খুব সন্তর্পনে ওপরের দিকে আধফোটা পাতাতে আলতো করে আঙুল বোলালো তাতিম—কি মসৃণ।

[আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়

বাবলা বীজের সাহিত্যিক

     এবং প্রাণীভাষাবিদ সমিতির পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত আরও কিছু অংশ

    

     পিঁপড়ের ঢিপিতে পাওয়া পাণ্ডুলিপি

     কলোনির গভীরের একটা স্তর থেকে বেরিয়ে আসা এক সরু, আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বীজাণুমুক্ত বাবলা বীজের সারির উপর স্পর্শগ্রন্থি নিঃসৃত রস দিয়ে কথাগুলো লেখা ছিল। বীজগুলোর সুচারু সজ্জা লক্ষ করেই তদন্তকারী প্রথম আকৃষ্ট হন।

     বার্তাগুলো [আরো পড়ুন]

Tags: অনুবাদ, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, উরসুলা কে. লে গুইন, কল্পবিজ্ঞান, সর্বান বন্দ্যোপাধ্যায়

ফিনিক্স

লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড

২০১৬

    

মাইক্রোস্কোপ থেকে চোখ সরায় রেচেল। হাতের পাতা দিয়ে আলতো করে চোখ ঘষতে থাকে। যা দেখছে সেটা সত্যি কিনা নিশ্চিত হতে পারছে না যেন। বিড়বিড় করতে করতে চোখ রাখে মাইক্রোস্কোপের আইপিসে। মগ্ন হয়ে যায় আবার।

     আচমকা পিঠে কার আলতো ছোঁয়া পেয়ে প্রায় চমকে ওঠে রেচেল।

     —রাত কত খেয়াল আছে?—প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রোফেসর [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, বুমা ব্যানার্জী দাস

পরিযায়ী

বড়োবাজারের মাকড়সার জালের মতো লেয়ারের পর লেয়ার, জড়ানো প্যাঁচানো ফ্লাইওভারের প্রত্যেকটা লেয়ারে জ্যাম। ইউসুফ তাই প্রতিবারের মতো এবারেও শিয়ালদা থেকে ট্রামে উঠেছে। তার পেছনে আরও কয়েকটা কারণ আছে বটে। একে তো স্টেট স্পন্সরড বলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য এক্কেবারে বিনামূল্যে যাত্রা, তার সঙ্গে নীচ থেকে ওপরের দিকের দু-নম্বর টিউবটায় অন্যান্য [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, শৌভিক সিনহা

অন্তিম কোড

জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। নিজের নিশ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পালসের গতি ধীরে ধীরে নাবিয়ে আনলেন মি. দেশাই। প্রায় পঁচাশি! এর চেয়ে কমানো সম্ভব নয় এই পরিস্থিতিতে। [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, সন্দীপ চৌধুরী

প্রজেক্ট ইসিখাথি

প্রকাণ্ড ঘরটার ভিতর আবছা নীল আলো, এই নীল-কালো আবছায়াটা অভ্রর ভীষণ সুপরিচিত। এই ঘরে হাওয়ার চলাচলও হিসেব মেনে হয়, কিন্তু অভ্রর অবাধ যাতায়াত। আজ একটা নিরেট থমথমে ভাব চারদিকে। ঘরটার উত্তরের দিকে দেওয়াল জোড়া জানালা; কাচের ওপাশে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা রাতের আকাশ। সেই জানালার সামনে একটা বিশাল টেবিল যার ওপর মুখ গুঁজে বসে আছেন এক মধ্যবয়স্ক পুরুষ। পরনে সামরিক [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, তন্ময় মুখার্জি (বংপেন)

নেক্সা

    

     নবমীর দিন সকালে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটা শান্ত গলির একেবারে শেষে অম্বিকা প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল গৌতম হেগরে। এই বাড়ির তিনতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এক সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর অভিজ্ঞান সেন। কলিং বেল টিপে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল। দরজা খুললেন এক ভদ্রমহিলা। গৌতম নমস্কার করে ইংরিজিতে বলল, আমি গৌতম, পুলিশের গোয়েন্দা [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সৌরভ দত্ত

হয়তো আবার

রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিল নীহারিকা। না, ঠিক আনমনে নয়, মাঝে মাঝে হাতের উলটো পিঠটা ঘষছিল গালে। না ঘষে অবশ্য উপায় ছিল না। এই ভর দুপুরবেলা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটা অল্পবয়সি মেয়েকে মরা মাছের মতো খোলা চোখে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে দেখতে পেলেই সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাবে। চশমাতেও বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। নেহাত মানুষের অত সময় বা গরজ নেই তাই!

     কিন্তু [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, মোহনা দেবরায়

ট্রিগার

     এক

    

     “ডাইনোসর বার্ড। এখন প্রায় বিলুপ্ত। আসল নাম শুবিল। পাখিটার কথা শুনেছো কখনও?”

     তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকের তিন নম্বর মার্লবোরো থেকে অস্থির ধোঁয়া এলোমেলো পথে ঘরের বাইরে যেতে চাইছে। পুবদিকের জানালা খোলা। উত্তরদিকের খড়খড়িগুলো অর্ধেক নামানো অবশ্য। এখন সুপর্ণার কাল। জানুয়ারি সবে পড়েছে।

     প্রাচীন অর্ধচন্দ্র টেবিলটার সামনের দুটো [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান, শরণ্যা মুখোপাধ্যায়

প্রত্যক্ষদর্শী

বিস্মরণের রাত

    

     গতকাল ছেলেটা আমাকে জানালার পাশ থেকে সরাতে ভুলে গিয়েছিল। গতকাল মানে অবশ্য চলিত অর্থে গতকাল নয়। কিন্তু এখন যেহেতু রাত দেড়টা বাজে, তাই বারোটার পূর্ববর্তী সময়কে আমি গতকাল বলেই চিহ্নিত করছি।

     যত যাই হোক—ছেলেটা একজন মানুষ এবং চরিত্রগতভাবে কিছুটা ভুলোমনও। নয়তো ও যদি রোবট হত আর ওর মধ্যে ভরে দেওয়া থাকত আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, শ্রীজিৎ সরকার

নীল কমলের খোঁজে

     এক

    

     টিকলিদের গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির স্পর্শ মাখা একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও সুন্দর,নীল পোখরি। চারপাশে ঘন পাইনের বন। তার মাঝে মেঘের দল আনমনে খেলা করে বেড়ায়। আর ঢাল বেয়ে একটু নীচে নামলেই শুরু হয় চোখ জুড়ানো সান্যাল টি এস্টেট। সারা পাহাড়ের গায়ে শালের মতো জড়ানো মনোরম সবুজ চা বাগান।

     টিকলির পরিবার বলতে সে ও [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, ফ্যান্টাসি, সুমন মিশ্র

পোয়াবারো

নামে কিবা আসে যায়, এটা যে একেবারেই কথার কথা তা বিমলের চেয়ে আর বেশি কে জানে। নাম যদি বিদঘুটে হয় তবে বন্ধুদের বিদ্রুপ থেকে শুরু করে প্রেমহীনতা, নানা সমস্যায় জীবন জর্জরিত হতে পারে। ক্লাস টুয়েলভে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, ‘তোকে বিয়ে করলে অমন একটা বিচ্ছিরি পদবি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। ওটা পদবি, না মোটর সাইকেল স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ? সরি রে, পারলাম না।’

[আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সায়ক দত্ত চৌধুরী

রোমানবের গল্প

     ০০১ সাহিত্য সভা

    

     সবুজ! চারিদিকে মসৃণ সবুজ! গাছপালা সবুজ, নরম ঘাস সবুজ, ভিজে মাটির ওপরে জমে থাকা শ্যাওলাও কত সবুজ! কেবল আকাশটা ঘন নীল, আর সামনের সরোবরের জলটাও অতি নিবিড়, শান্ত, নীল। আমার দুই শ্রান্ত মুশাফির চোখ, বিস্ময়ে লীন হয়ে গেল, অস্ফুট এক আনন্দে।

     এ দৃশ্য আমি চোখে দেখিনি কোনোদিন। আমাদের রোবটের রাজ্য! চারিদিক কেবল ধাতব রূপালি রঙে মোড়া। [আরো পড়ুন]

Tags: অমিতাভ রক্ষিত, অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

ফাঁদ

এমন এক বিপদ থেকে তাদেরকে কে উদ্ধার করতে পারবে? বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান দ্রিষিন মনে মনে ভাবলেন। ছেলেবেলায় প্রচুর গল্প পড়েছেন। গল্পগুলোতে সবসময় একজন নায়ক থাকত। সেই নায়কদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অস্বাভাবিক সব শারীরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। দেখা যেত তারা তাদের এই ক্ষমতা দিয়ে, শরীরের অসামান্য শক্তি দিয়ে অনিষ্টকারী দস্যু কিংবা দানবদেরকে মেরেকেটে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, রুশদী সামস

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights