Wednesday, October 4, 2023

‘Laughter is the shortest distance between two people.’

এই বিখ্যাত উক্তি ড্যানিশ-মার্কিন কমেডিয়ান ভিক্টর বর্জে-র। গবগবিয়ে হেসে ওঠার মধ্যে যে মুক্তি আছে মানুষের অন্যান্য অভিব্যক্তির মধ্যে তেমনটা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কল্পবিজ্ঞান জীবনেরই গল্প বলে, মানুষেরই গল্প বলে। তাই হাসিকে বাদ দিয়ে তারও মুক্তি নেই। সহজপাচ্য হাসির কাহিনিই অনেক সময় অনেক জটিল প্রশ্ন পাঠকদের [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, টিম কল্পবিশ্ব, সম্পাদকীয়

কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি অনুবাদ, মৌলিক গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের সমাহার

ওহ্‌ ডালিলা

“মেয়েদের একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যত নষ্টের গোড়া এই মেয়েরাই।”
এই রকম চূড়ান্ত মিসোজিনিস্টিক মন্তব্যটা শুনেও না শোনার ভান করে থাকলাম। এই ২১২৩-এ এই ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করলে নিশ্চিত জেল হবে কয়েক
অলীক বাস্তব
“ইওর অ্যাটেনশান প্লিজ। বি এম এয়ারলাইনের বুন আইল্যান্ড—ডেনসবার্গ ফ্লাইটে আপনদের স্বাগত জানাচ্ছি, আমি ক্যাপ্টেন কেভিন হর্স্ট। ১২ ঘণ্টার এই যাত্রায় আপনাদের…”
কানে ইয়ারফোনদুটো গুঁজে দেয়াতে ম্যাট আর বাকি কথাগুলো
ববক
কোনো একজনের ডায়রির পাতা থেকে
সেমিয়ন আরদালিওনোভিচ হঠাৎ গতকাল আমাকে বলল, “কেউ কখনও কেন সংযমী হবে ইভান ইভানোভিচ? দয়া করে বলো আমাকে।”
অদ্ভুত একটা দাবী। যদিও আমি এতে রেগে গেলাম না, এমনিতে আমি ভীতু মানুষ; কিন্তু এখানে
Carry On
“Hello, hello.”
“Hello.”
“I – can I talk to Prakash ji?”
“Speaking. May I know who’s calling?”
“I, sir – I am one of your readers. A fan. I love your science fiction stories.”
“Thank you! Can you tell me
গামানুষ জাতির কথা
 
যে সময়ের কথা বলছি তার প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে পৃথিবী থেকে মানবজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে। তর্ক উঠতে পারে, আমরা সকলেই যখন পঞ্চত্ব পেয়েছি তখন এই গল্প লিখছে কে, পড়ছেই বা কে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
রহস্য
সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব,
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই
সিনেমার পর্দায় মজার সায়েন্স ফিকশন
আমরা বোধ করি সবাই সায়েন্স ফিকশনের প্রথম স্বাদ পাই সিনেমার মাধ্যমেই। ছাপার অক্ষরের আগে সিলভার বা অ্যামোলেড স্ক্রিন আমাদের সেই স্বাদ চাখিয়ে দেয়। মনে আছে ‘সাই-ফাই’ এবং ‘সাইবর্গ’—এই দুটি
পালের কাশু পথ
সে দিনটা ছিল বুধবার। মানে বুধবার যে ছিলই সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও হতে পারে, শনি-মঙ্গলবার হওয়াও অসম্ভব নয়। মানে কোন একটা দিন ছিল আর কি। তা সেই বুধবার, কিম্বা বৃহস্পতিবার,

প্রচ্ছদ

প্রচ্ছদ

অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ। 

সায়েন্স ফিকশন সিনে ক্লাবে প্রদর্শিত সিনেমা – সন অব ফ্লাবার (১৯৬২)

সিনেমাটি দেখানো হয়েছিল ম্যাজেস্টিক টকিজ (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) হলে ৬ নভেম্বর ১৯৬৬, রবিবার। সিনেমাটি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল আশ্চর্য! পত্রিকায়। মজার সেই সিনেমার গল্প এখানে পুনঃপ্রকাশিত হল। 

ওয়াল্ট ডিজনির বিশ্ববিখ্যাত হত্যাকাণ্ড ছায়াছবি ‘দি এ্যাবসেন্টমাইন্ডেড প্রফেসর’-এর সেই আবিষ্কার-পাগল প্রোফেসরটির আরও নতুন নতুন কৌতুক বোঝাই কীর্তিকলাপ নিয়ে তোলা হয়েছে

[আরো পড়ুন]

Tags: অদ্রীশ বর্ধন, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, আশ্চর্য পত্রিকা, বিশেষ আকর্ষণ

সিনেমার পর্দায় মজার সায়েন্স ফিকশন

আমরা বোধ করি সবাই সায়েন্স ফিকশনের প্রথম স্বাদ পাই সিনেমার মাধ্যমেই। ছাপার অক্ষরের আগে সিলভার বা অ্যামোলেড স্ক্রিন আমাদের সেই স্বাদ চাখিয়ে দেয়। মনে আছে ‘সাই-ফাই’ এবং ‘সাইবর্গ’—এই দুটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম যখন ‘টার্মিনেটর টু’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হতে তখনও ঢের দেরি। আমেরিকা ও ইউরোপের সিনেমাওয়ালারা খুব তাড়াতাড়ি [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, প্রবন্ধ, মজার কল্পবিজ্ঞান, রাকেশকুমার দাস, সিনেমা

এসো, মোরা মিলি একসাথ

শতাব্দীব্যাপী থমথমে শান্তি ছেয়ে থাকায় মানুষ ভুলেই গিয়েছিল যে কখনো পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। ফলে যখন জানা গেল যুদ্ধ দোরগোড়ায় এসে পড়েছে, কি করা উচিত তা কেউ ভেবেই পাচ্ছিল না।

একই অবস্থা হল ব্যুরো অব রোবোটিক্সের প্রধান এলিয়াস লিন-এরও। দীর্ঘদিন বিকেন্দ্রীকরণের নীতি মেনে চলার ফলে এই ব্যুরোর প্রধান দপ্তর ছিল শায়ানে। তারই একটা [আরো পড়ুন]

Tags: অনুবাদ গল্প, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, আইজ্যাক আসিমভ, সায়ক দত্ত চৌধুরী

ববক

কোনো একজনের ডায়রির পাতা থেকে

সেমিয়ন আরদালিওনোভিচ হঠাৎ গতকাল আমাকে বলল, “কেউ কখনও কেন সংযমী হবে ইভান ইভানোভিচ? দয়া করে বলো আমাকে।”

অদ্ভুত একটা দাবী। যদিও আমি এতে রেগে গেলাম না, এমনিতে আমি ভীতু মানুষ; কিন্তু এখানে এরা আমাকে আস্ত উন্মাদ ভেবে নিয়েছে। বস্তুত এই কথা বলে আমার ছবি এঁকেছে একজন শিল্পী: “যতই হোক, আপনি একজন সাহিত্যিক মানুষ [আরো পড়ুন]

Tags: অনুবাদ গল্প, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, ফিওদর দস্তয়েভস্কি, সিমরনজিৎ চক্রবর্তী

পালের কাশু পথ

সে দিনটা ছিল বুধবার। মানে বুধবার যে ছিলই সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও হতে পারে, শনি-মঙ্গলবার হওয়াও অসম্ভব নয়। মানে কোন একটা দিন ছিল আর কি। তা সেই বুধবার, কিম্বা বৃহস্পতিবার, সক্কাল সক্কাল বাস থেকে নেমে হাঁটা দিয়েছি শ্যামবাজারের একটা রাস্তা ধরে। মানে রাস্তাটা যে শ্যামবাজারেরই সে কথা অবশ্য ঠিক নিশ্চিত [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, বড় গল, মজার কল্পবিজ্ঞান, সুমিত বর্ধন

The Hitchhiker’s Guide to the Galaxy

Writer – Douglas Adams

Year – 1979

Country- United Kingdom

Genre – Science Fiction, Speculative Fiction, Comedy

Our life is nothing but a strange series of phenomena. Sometimes it makes sense, and the rest of the time, it doesn’t. Sometimes it is funny, sometimes it is serious, but mostly it is meaningless because in the end, nothing really happens, we are stuck in an infinite loop of birth-life-dual life-death-afterlife-hell-heaven-reincarnation-moksha or nothing at all, and we question about the meaning of life or life itself.

Are you confused? Are you feeling “ What the hell is going on over here ?”

This is the beauty of absurd literature and obviously the world of Douglas Adams’ “ The Hitchhiker’s Guide To Galaxy”, where the protagonist Arthur wakes up in the morning only to discover two things, firstly his house is going to be demolished by a bulldozer [আরো পড়ুন]

Tags: Debraj Moulick, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সমালোচনা

পাঠ প্রতিক্রিয়া: অর্থতৃষ্ণা

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে গিয়ে আলোচনায় কোনো স্পয়লার থেকে থাকতে পারে। তাই স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম। যদি স্পয়লার ছাড়া বই পাঠের সুখ নিতে চান, তাহলে এই প্রতিক্রিয়া পড়বেন না।

.

📕 বই: অর্থতৃষ্ণা

✍🏻 লেখক: শ্রী সুমিত বর্ধন

🖌️ প্রচ্ছদ: সুদীপ দেব; অলংকরণ: অদ্রীজা বর্ধন

🖨️ প্রকাশক: কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস

📄 পৃষ্ঠা: ১২২

💰 মুদ্রিত মূল্য: ₹১৬০/- (পেপারব্যাক)

.

🍂 বিষয়বস্তু:

[আরো পড়ুন]

Tags: অনির্বাণ ঘোষ (দীপ), অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সমালোচনা

Carry On

“Hello, hello.”

“Hello.”

“I – can I talk to Prakash ji?”

“Speaking. May I know who’s calling?”

“I, sir – I am one of your readers. A fan. I love your science fiction stories.”

“Thank you! Can you tell me which ones you liked?”

“Yes, sure. I read your latest story just two days ago. That’s why I called you. Prakash ji, that story of yours – Carry On, I totally loved it!”

” Carry On? Thank you very much. May I know your name, please?”

“Sujay Mane. Prakash ji, I need some information from you.”

“About what?”

“Sir, regarding this story. I mean, I like the way you showed time travel in it, sir.”

“Thank you.”

“So, Prakash ji, you have shown a device in the story. Like a watch, the hero places it on the hand and sets the time. Then he goes to that time.”

“Yes.”

“So, sir, how to make this time travel device is not given in that story. Can you tell me that?”

“Look, Sujay, it’s a story. Fiction. Everything is imaginary in it.”

[আরো পড়ুন]

Tags: Meghashri Dalvi, Short Story, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

ছাতাবাবু

সকাল থেকে আকাশের মুখ অভিমানী ছেলের মতো ভার ভার। তারপর কলকাতা ভেসে গেল মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের আড্ডাটা সেদিন ভালোই জমেছিল ব্রজেনদের বাড়িতে। অনেকদিন বাদে একসঙ্গে জুটে গিয়েছিলাম চার বন্ধু। ব্ৰজেন ছাড়েনি। দুপুরের খাওয়াটা সেদিন ওদের বাড়িতে হবে। তখনও বৃষ্টি একবারে থামেনি। ব্রজেনদের তেতলা ঘরের জানালার [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান গল্প, মজার কল্পবিজ্ঞান, শ্রীধর সেনাপতি

ঝন্টুমামার ছিপি

অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।

তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।

ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মজার কল্পবিজ্ঞান, সিদ্ধার্থ ঘোষ

ফুটোস্কোপ

সকালবেলা কাগজ ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ একটা খবরের দিকে চোখ পড়ায় চমকে উঠলাম। খবরটা এই রকম—

নতুন ভূমিকায় ডাক্তার চট্টখণ্ডী

(নিজস্ব সংবাদদাতার রিপোর্ট)

এককালের বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক ডক্টর সুভ্ৰাট চট্টখণ্ডী, যিনি নাকি কিছুদিন আগে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাকে সম্প্রতি এক নতুন [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য, মজার কল্পবিজ্ঞান

বৈজ্ঞানিক বর-যাত্রী সম্বৰ্দ্ধনা

হিমাচল বাবু বনেদী বংশের লোক। অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পেশা কিন্তু জমিদারী নয়,—তাঁর পেশা বিজ্ঞান-চর্চ্চা। বাড়ীতে একটা মস্ত বড় ল্যাবরেটরী থাড়া করে’ তুলেছেন। তবে তিনি যে সারাদিনই তাঁর ল্যাবরেটরীর বদ্ধ বাতাসে আপনাকে আবদ্ধ করে’ রাখেন,—তা’ নয় ৷ কেন-না,—তাঁর নামেরই উপযোগী তাঁর যে দেহখানি,—সেটাকে সমস্ত দিন কোনো সঙ্কীর্ণ [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মজার কল্পবিজ্ঞান, শ্রীসুশীলচন্দ্র মিত্র

গামানুষ জাতির কথা

 

যে সময়ের কথা বলছি তার প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে পৃথিবী থেকে মানবজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে। তর্ক উঠতে পারে, আমরা সকলেই যখন পঞ্চত্ব পেয়েছি তখন এই গল্প লিখছে কে, পড়ছেই বা কে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। লেখক আর পাঠকরা দেশ—কালের অতীত, তাঁরা ত্রিলোকদর্শী ত্রিকালজ্ঞ। এখন যা হয়েছিল শুনুন।

বড়ো বড়ো রাষ্ট্রের যাঁরা প্রভু তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান গল্প, পরশুরাম, রাজশেখর বসু

রহস্য

সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মজার কল্পবিজ্ঞান, শ্রীহেমলাল দত্ত

রামমোহন রায় ও ফুটবল

রামমোহন রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল কলকাতার ময়দানে উনিশশো বিরানব্বই সালে। আরও স্পষ্ট করে বললে মোহনবাগান মাঠের আট আনার গ্যালারিতে। বছরটা মনে আছে কারণ কৃশানু দে ওই বছরেই ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগান ক্লাবে ফিরে আসে বছর সাতেক ইস্টবেঙ্গলে খেলার পরে। আমার বাবা এবং ছোটোকাকা দক্ষিণ রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে আমি ছিলাম সূর্য মেমোরিয়ালের [আরো পড়ুন]

Tags: অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মজার কল্পবিজ্ঞান

বৈসখা

নীচে পরিবেশিত কথোপকথনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মানবজাতির ইতিহাসে ‘বৈসখা’ ব্যবহারের শেষ নিদর্শন এটিই। পাঠকেরা এই দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবেন—এই আশা রাখি।

আন্তঃনক্ষত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়া প্রতিটি মহাকাশযানেই একসময় বৈদ্যুতিক সখা—সংক্ষেপে বললে ‘বৈসখা’—নামের একটি যন্ত্র থাকত। এটির কাজ ছিল মহাকাশযান কোনো কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, ঋজু গাঙ্গুলী, মজার কল্পবিজ্ঞান

ইচ্ছেপূরণ

চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?

‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।

[আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান গল্প, মজার কল্পবিজ্ঞান, সন্দীপ চৌধুরী

হরিপদবাবু ও ম্যাক্রোকসম গ্রহের অধিবাসী

রোজকার অফিস শেষে লোকাল বাসে ঝুলে যানজট পেরিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হরিপদবাবু যখন বাড়ি পৌঁছালেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। এমনিতেই চাকরি করতে ভালো লাগে না হরিপদবাবুর, তার উপরে আজকে আবার অফিসের বড়োবাবুর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। সেটা অবশ্য প্রতিদিনই থাকে, তবে আজকে শেষ বিকেলে কাজকর্ম শেষ করে হরিপদবাবু যখন খবরের কাগজে [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, এস. সি. মন্ডল, মজার কল্পবিজ্ঞান

ওহ্‌ ডালিলা

“মেয়েদের একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যত নষ্টের গোড়া এই মেয়েরাই।”

এই রকম চূড়ান্ত মিসোজিনিস্টিক মন্তব্যটা শুনেও না শোনার ভান করে থাকলাম। এই ২১২৩-এ এই ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করলে নিশ্চিত জেল হবে কয়েক বছরের জন্য। তবুও আমার বাড়িতে এইরকম কথাবার্তা আজকাল একটু বেশিই শুনতে হচ্ছে। উদ্দেশ্য যে আমাকে শোনানো তা কি আর আমি বুঝি না? [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মজার কল্পবিজ্ঞান, সম্রাট লস্কর

ভার্গব বসুর হারানো মাথা

আমার বন্ধু চাণক্য চাকলাদারের কিছু খ্যাতি আছে আজগুবি গল্প বলার জন্যে।

সেদিন সন্ধেবেলা হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢুকে নতুন সায়েন্স-ফিকশন পেপারব্যাকটা তুলে নিয়ে বললে, ‘পানুদা, শুনেছ?’

তার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘কী?’

‘মাকড়সার ঘাড়ে মানুষের মগজ।’

‘আবার গাঁজা খেয়েছিস?’

‘তোমাদের সঙ্গে ইংরেজদের তফাত তো এইখানেই। ইংল্যান্ডে জন্মালে [আরো পড়ুন]

Tags: অদ্রীশ বর্ধন, অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

অলীক বাস্তব

“ইওর অ্যাটেনশান প্লিজ। বি এম এয়ারলাইনের বুন আইল্যান্ড—ডেনসবার্গ ফ্লাইটে আপনদের স্বাগত জানাচ্ছি, আমি ক্যাপ্টেন কেভিন হর্স্ট। ১২ ঘণ্টার এই যাত্রায় আপনাদের…”

কানে ইয়ারফোনদুটো গুঁজে দেয়াতে ম্যাট আর বাকি কথাগুলো শুনতে পেল না। শোনবার প্রয়োজনও বিশেষ নেই। মাসে গড়ে দু-তিনবার করে শুনতে শুনতে পাখিপড়া মুখস্ত হয়ে গেছে কথা ক-টা, [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান গল্প, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

নক্ষত্র যাত্রা

সম্ভবত ঘুম ভাঙল আমার।

সম্ভবত বললাম, কারণ জানি না ঘুমিয়ে ছিলাম নাকি এইমাত্র জন্ম নিলাম। যদি জন্ম নিয়ে থাকি চোখ মেলার পর কীভাবে বুঝতে পারলাম এটা একটা স্পেসশিপ?

তার মানে ঘুমিয়ে ছিলাম। অথবা এইমাত্র জন্ম নিলাম। কিন্তু মেমরিতে আগে থেকেই কিছু তথ্য দিয়ে রেখেছিল। কে? কারা? কেন?

উজ্জ্বল সাদা আলো। লোহার বিছানায় শুয়ে আছি। কামরাটা সাদা [আরো পড়ুন]

Tags: অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, কল্পবিজ্ঞান গল্প, মিলন গাঙ্গুলি

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights