পরিবেশগত বিপর্যয়
লেখক: রণেন ঘোষ
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য (চিত্রচোর)
১) Aral সাগরকে কেন পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয়ের আদর্শ উদাহরণ বলা হয় কেন?
মধ্য এশিয়ার মধ্যে Aral সাগর, কিন্তু আসলে সাগর নয় এশিয়ার মধ্যে এইটিই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম লেক। আয়তনে ৬৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
আসলে এতই বিশাল এর আয়তন যে লোকের কাছে সাগরের রূপ নেয়। তাই সকলে এর নাম দিয়েছে Aral সাগর। মিষ্টি জলের লেক। এই জলাধারকে নিয়ত পুষ্ট করে চলেছে মধ্য এশিয়ার দুটি সর্বোত্তম বেগবতী নদী। কিন্তু ১৯৬০ সালে সোভিয়েত ইঞ্জিনিয়াররা গড়ে তুলল ক্যানেলের নেটওয়ার্ক আর ড্যাম। নিকটবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জলে সেচের কাজ হবে। অচিরেই নাকি গমের শীষ আর তুলোর চাষে ভরে উঠবে উষর জমি।
কিন্তু পরিকল্পনার মধ্যেই অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। ক্যানেল আর বাঁধের জন্য বেগবতী নদী ঝিরঝিরে ঝোরায় পরিণত হল। কালক্রমে নিয়মিত পুষ্টির অভাবে শুকিয়ে উঠল Aral সাগর। পরিণত হল গুটিকতক মুষ্টিমেয় লেকে।
ক্ষুদ্রকায় লেকের জল নোনতা হয়ে উঠল ক্রমাগত বাষ্পীভবনের ফলে… মিষ্টি জল লবণাক্ত হয়ে গেল। মারা পড়ল লক্ষ লক্ষ মাছ আর জলজ প্রাণীকুল।
জলের অভাবে অনুর্বর জমি মরু-তুল্য হয়ে গেল। অনতিবিলম্বে অতিকায় জনবসতি মুষ্টিমেয় লোকের ঝুপড়িতে পরিণত হল। থেকে থেকে ধুলোর ঝড়ে ঢাকা পড়ে যায় পূর্ব-কীর্তি সব।
পুষ্টির অভাবে তীব্র সংকোচনে Aral সাগর পরিবেশ দূষণের শিকার বলে চিহ্নিত হয়। পরিবেশের এমন ভয়ংকর বিপর্যয় চোখে আঙুল দিয়ে নির্মল পরিবেশের প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দিল।
২) সাগরের সংকোচন কাজাখিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যয়ের প্রধান কারণ কেন বলা হয়?
সত্য সত্যই Aral সাগর শুকিয়ে ছোট হয়ে আসায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজাখিস্তানের অর্থনীতি।
সাগরের বুকে মাছ আর মাছ ধরাই ছিল ওই দেশের জনগণের একমাত্র রোজগার। তার উপরেই দেশের অধিকাংশ অর্থনীতি নির্ভরশীল ছিল। বাঁধ দেওয়ায় ভাঁটা পড়ল। শুকোতে শুরু করল Aral সাগরের জল-সম্ভার। ক্রমেই লবণের ভাগ বেড়ে গেল। মড়ক শুরু হল সাগরের প্রধান সম্পদের।
মাছের আকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের রোজগারে টান পড়ল। শুকিয়ে উঠল সরকারের অর্থভাণ্ডার। দেশ বিদেশে বন্ধ হয়ে গেল মাছের রপ্তানি। বন্ধ হয়ে গেল মৎস্য শিল্প।
দেখা দিল রুটি-রোজগারহীন বেকারের দল। অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে উঠল। সার্বিক বিপর্যয় দেখা দিল কাজাখিস্তানে।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘুরে দাঁড়াল সরকার ২০০৫ সালে। নতুন ড্যাম প্রজেক্টের কাজ শেষ হল। নবজলাধার সাগরের জল আবার বিস্তার লাভ করতে শুরু করল। নুনের ভাগ হ্রাস পেতে শুরু করল। পুনরায় মাছ চাষ শুরু হল। কালক্রমে ফিশিং ইন্ডাস্ট্রি নব-কলেবরে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে।
ধীরে ধীরে কাজাখিস্তানের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। রপ্তানি বাড়লে রোজগার বাড়বে। রোজগার বাড়লে রাজ্য অর্থনীতি সতেজ হয়ে উঠতে আর দেরী হবেনা। মঙ্গোলিয়ায় Aral কথাটির অর্থ হল Island। দ্বীপ। তাহলে Aral sea এর অর্থ হল Sea of Island । একসময়ে এরাল সাগরের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ছোট ছোট ১১০০ টি দ্বীপ।
৩) Dirty Thirtees কাকে বলে?
তখন ছিল অবর্ণনীয় পরিবেশ। ঊন-বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বুকে বয়ে গিয়েছিল বিপর্যয়ের ঝড়। প্রচণ্ড বেগে ভয়াবহ ধুলোর ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল জনজীবন।
কারণ বিনা কার্য্য হয় না। সে একই নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল পরপর বছর ধরে দুর্নিবার খরার অভিশাপ নেমে এসেছিল। দেখা দিয়েছিল বিস্তীর্ণ রুক্ষ চাষের জমি। জলের অভাবে চাষবাস হয়নি বললেই চলে। শস্য চাষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু উত্তপ্ত ধুলোর ঝড় হাহাকার করে ছুটতে থাকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু শুধু খরার উপর দোষ চাপালে হবে না। অবৈজ্ঞানিক কৃষিকাজও অনুরূপভাবে দায়ী। মৃত্তিকা উপরের সম্পদ নিবিড় ঘাস আর গুল্ম সব লোপাট হওয়ার ফলে মৃত্তিকার উপরের বায়োমাস ধুলো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর ছিল তৃণভোজী গবাদি পশুর নিরন্তর অত্যাচার।
এর কুফল দেখা দিল ১৯ শতকের তৃতীয় দশকের খরার মরসুমে। মাটি শুকিয়ে ফুটিফাটা…শুরু হল ধুলোর ঝড়। প্রকৃত উপমা … Darkness at noon এ পরিণত হল। আর্থার কোয়েস্টালের বিখ্যাত পুস্তকের নামের সার্থক বাস্তব রূপায়ণ ঘটেছিল সেদিন।
মরু-সম বাউণ্ডুলে জমির আশা জলাঞ্জলি দিয়ে হাজার হাজার মৃত্তিকাজীবি মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে চলে গেল দেশান্তরে।
এক সাংবাদিকের বর্ণনায় ধুলো ঝড়ে আচ্ছন্ন পরিবেশের নামাঙ্কন হল dust bowl । সার্থক নাম বটে।
৪) দেশবিদেশের কৃষিবিদ্যা বিশারদদের improper farming technique কে Dust Bowl এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করেছিল কেন?
একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন Dust Bowl এর জন্য দায়ী কিন্তু অবৈজ্ঞানিক কৃষিকাজ। বছরের পর বছর নিঃসন্দেহে এটি সম্পূর্ণ মানুষের সৃষ্টি ইকলজিকাল বিপর্যয়।
বছরের পর বছর তীব্র খরার সঙ্গে পতনের ডঙ্কা বাজিয়ে যোগ্য সঙ্গত করেছিল কৃষিকাজ পদ্ধতি। Crop rotation… শস্য চক্রের যে একান্ত প্রয়োজন ছিল সেই কথাই বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ওরা। তাছাড়া মৃত্তিকার স্বাভাবিক আচ্ছাদন ঘাসের সংরক্ষণের কথা মনে হয়নি। জলীয় moisture ধরে রাখার মত অমূল্য কাজ করে ওই সব ক্ষুদ্র ঘাসের দল। এরা মাটিকে সরস করে রেখে উর্বরতা বজায় রাখে।
As bad back would have it তৃতীয় দশক জুড়ে অভিশাপ রূপে নেবে এসেছিল পর পর খরা। উন্মুক্ত জমির সরস উপরিভাগ শুকিয়ে ফুটিফাটা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ধুলোয় পরিণত হল। প্রবল ঝড়ের বুকে আশ্রয় নিলো রাশি রাশি ধূলিকণা। দেখা দিল ডাস্ট স্টর্ম।
লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা সব কিছু ফেলে প্রাণ নিয়ে স্থানান্তরে চলে গেল। সরকার সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই নগণ্য। ধুলো দানবের তাণ্ডব চলল বছরের পর বছর। অবশেষে ১৯৩৯ বৃষ্টির আবির্ভাব ঘটল দেবতার আশীর্বাদ রূপে। তৃষ্ণায় হা হা করা মাঠে সজল হল।
জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। কালক্রমে Dust Bowl শব্দ-বন্ধটি দৃষ্টান্ত স্বরূপ উল্লেখ করা হয়।
৫) গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন হল কেন?
১৯৫০ সালে চীন প্রজাতন্ত্রের চেয়ারম্যান Mao Ze-dong স্থির করলেন দেশ থেকে যাবতীয় pest … ইঁদুর, মাছি, মশা আর চড়ুইপাখি নির্মূল করবেন। উদ্দেশ্য শস্য রক্ষা এবং সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। চড়াইদের ঝাঁক শস্য খেয়ে নষ্ট করে।
তাই জনসাধারণকে জাতীয় উদ্যোগে সামিল হওয়ার সামিল হওয়ার আহ্বান করা হল। শুরু হল চড়াই নিধন যজ্ঞ। এই অবিশ্বাস্য উদ্যোগই great sparrow campaign হিসাবে ইতিহাসে স্থান পেল।
হাজার হাজার নিরীহ পোকা-খেকো চড়াই হত্যার মহোৎসব শুরু হল। একদিন চড়াই মুছে গেল। এদিকে পোকামাকড়দের স্বর্ণযুগ দেখা দিল। পোকামাকড়, পেস্টের বিস্ফোরণ দেখা দিল। বিশেষ করে পঙ্গপাল ঝাঁকে দেখা দিল মাঠ প্রান্তর শস্যের ক্ষেতে। চীন জুড়ে পঙ্গপালের ঝড় আকাশ কালো করে এক প্রান্তর শেষ করে অন্য প্রান্তরে উড়ে চলল। ওদের সামনে যা পড়ল তাই নিঃশেষ হয়ে গেল। খাদ্যশস্য সব শেষ হয়ে গেল। দেখা দিল great chinese famine.
ঐ দুর্ভিক্ষে কমসে কম ২০ লক্ষ মানুষ অনাহারে প্রাণত্যাগ করল। অনাহারে জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত হয় শিশু, কিশোর, যুবক, বুড়ো বুড়ি।
চড়াই হত্যার উৎসবের ফল মিলল হাতে হাতে। অচিরেই স্বকীয় ভুলের জন্য আফশোষের শেষ রইল না।
৬) গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইনের সাফল্য কালক্রমে দুর্ভাগ্য হয়ে দেখা দিল কেমন করে?
চড়াই পাখি নির্মূল করার ফল দুর্ভাগ্য-রূপে দেখা দিল চীনের ভাগ্যাকাশে। বিপর্যয়ের মরণডংকা বেজে উঠলো রাজ্য জুড়ে।
ছোট চড়াই পাখিকে জাতীয় খাদ্য-নীতির শত্রু-রূপে গণ্য করেছিল চীনের নেতৃবৃন্দ। পেস্টের সমপর্যায়ে গণ্য করেছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল চড়াই নিধনের জাতীয় কর্তব্য হিসাবে। জনগণও বিনা প্রতিবাদে মেনে নিলো। চড়াই দেখলেই টিনের ক্যানেস্তারা বাজিয়ে বিকট আওয়াজ করে চড়াই তাড়াতে শুরু করল। দেশজুড়ে অবিরাম উড়ে চলল চড়াই। বিশ্রামের কোনও অবকাশ পেল না। তারপর ক্লান্ত হয়ে টুপটুপ করে ঝরে পড়ল চড়াইয়ের ঝাঁক।
চড়াই-এর বাসা উৎখাত করা হল। ছোট ডিম ভেঙে চুরমার করা হল। নির্মম অকাল মৃত্যু ঘটল অসহায় ছানাদের। অনতিবিলম্বে প্রায় নির্মূল হয়ে গেল সুন্দর চড়াই সব।
পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক নিয়ন্তার ভার ছিল চড়াইয়ের উপর। পঙ্গপাল ছিল অদের প্রিয় খাদ্য। চড়াইশূণ্য রাজত্বে পঙ্গপাল ছেয়ে গেল। শস্য সব বিনষ্ট করে দুর্ভিক্ষ ডেকে নিয়ে এলো। মারা পড়ল লক্ষ লক্ষ মানুষ। বাস্তুতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটল।
৭) ইস্টার আইল্যান্ডের অরণ্য নিধনের কারণে কেমন করে বিপর্যয় নেমে এলো Rapa Nui সভ্যতার উপর?
বহু শতাব্দী অতীতের কথা। পলিনেশিয়ার কিছু অধিবাসী সাগর পাড়ি দিয়ে এসে উঠেছিল ছোট এক জনশূন্য দ্বীপে। প্রশান্ত মহাসাগরের পূবে দক্ষিণে অবস্থিত।
ছোট হলে কী হয়, চোখ জুড়ানো পরিবেশ। সবুজ কার্পেটে মোড়া একসার পাহাড়। পামগাছের নিবিড় বনানী প্রান্তর জুড়ে শুধু বাতাসের সঙ্গে খেলা করে। আনন্দ উত্তেজনায় অধীর হয় আগন্তুকের দল। আবেগে কেউ কেউ মাটির বুকে শুয়ে পড়ল। মৃত্তিকা চুম্বনের মাটির ছাপ লাগল মুখমণ্ডলে। অবশেষে ওরা নাম রাখল Rapa nui। এক সময়ে এই স্বর্গ-সম দেশ উপহার দেওয়ার জন্য পূর্বপুরুষদের স্মরণ করল…কৃতজ্ঞতায় আনত হল ওদের মন। কিন্তু কৃতজ্ঞতার স্মারক তৈরি করার মানসিকতা নিশ্চয় দেখা দিয়েছিল। এক সময়ে দ্বীপ জুড়ে আগ্নেয় শিলা খোদাই করে পূর্বপুরুষ মূর্তি পাথর কেটে তৈরি করে ফেলল…একটি নয় দুটি নয় সার সার বিশাল সব কঠিন পাথরের প্রতিভূ।
কিন্তু পাম গাছের অরণ্যে বুঝি সব ঢাকা পড়ে যায়। শুরু হল পাম গাছ নিধন। সেই সঙ্গে প্রকাণ্ড সব বৃক্ষরাজি। অরণ্য কেটে চাষের জমি তৈরি হল। আরও বড় কথা ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের জন্য আগুন জ্বালানোর জন্য ইন্ধন দরকার। বিশাল অরণ্য থেকে শুরু হল কাঠের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষছেদন। শুধু তাই নয় প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পাথরের মূর্তি তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট সব স্থানে স্থাপনের জন্য তৈরি হল প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড গুঁড়ির রোলার।
সব চাহিদা পূরণে নিঃস্ব হয়ে গেল প্রকৃতির অরণ্য ভাণ্ডার। অনতিবিলম্বে রুক্ষ ন্যাড়া দ্বীপে পরিণত হয় নিষ্পাপ ইস্টার আইল্যান্ড। প্রকৃতির অভিশাপ নেবে আসতে দেরি হল না। রুক্ষ জমি অচিরে চাষের অযোগ্য হয়ে উঠল। জ্বালানির অভাবে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এবার অভাবী মানুষের কল্যাণচিন্তা মেঘাচ্ছন্ন হল। শুরু হল উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংগ্রাম। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে পরিবেশের অধঃপতন ঘটেই চলল। জীবন নির্বাহ দুর্বিসহ হয়ে উঠল। অগত্যা যা অবশ্যম্ভাবী তাই হল।
একে একে দ্বীপ ছেড়ে পালানো শুরু হল। অচিরেই রাপা নুই সভ্যতার সার্বিক পতন ঘটল।
শুধুই অতীতের স্মৃতি নিয়ে জেগে রইল নিস্পন্দ ইস্টার আইল্যান্ড। অনুশোচনার হাহাকার তুলে সাগরের বাতাস বয়ে চলল নিরন্তর।
এই তো গেল জনশ্রুতি আর ইতিহাসের কথা। বর্তমান পাথরের মূর্তির উপর অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। বড় বড় তত্ত্বের উদ্ভব হয়েছে। এক একজনের এক একরকম ব্যাখ্যা। ভিনগ্রহীদের উপস্থিতির সম্ভাবনা এক এক সময়ে জোরদার হয়ে ওঠে। বর্তমানে এদের Morai নামে পরিচিত Unesco থেকে ইস্টার আইল্যান্ডকে World Heritage Site হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জয় হোক মানুষের বুদ্ধি অবুদ্ধির কীর্তি আর কীর্তিনাশা কর্মকাণ্ডের।
Tags: তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, পরিবেশগত বিপর্যয়, প্রবন্ধ, রণেন ঘোষ