তৃতীয় বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা প্রচ্ছদ
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read more
তৃতীয় বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
প্রথম দিন
বিগত ২০১৮ সালের ২২শে নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ এবং কল্পবিশ্ব ওয়েবজিনের যৌথ প্রচেষ্টায় ইউ. জি. আর্টসের অনিতা ব্যানার্জি মেমোরিয়াল হলে উদ্বোধন হয়েছিল Workshops of Horrible Creation: 200 Years of Imagined Humans – International Conference and Workshop on Science Fiction নামক তিনদিন ব্যাপী এক বিশাল কর্মযজ্ঞের। অংশগ্রহণকারী সমস্ত কল্পবিজ্ঞানপ্রেমী মানুষকে চমকে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা
The future is already here – it’s just not very evenly distributed
— William Gibson
‘পাঙ্ক’— এই শব্দটার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭১-এ নির্মিত ক্লিণ্ট ইস্টউডের বিখ্যাত ক্রাইম সিনেমা ডার্টি হ্যারির মাধ্যমে। ফিল্মের ক্লাইম্যাক্সে উদ্যত বন্দুক হাতে হ্যারি কালাহানের মুখে ছিল সেই বিখ্যাত সংলাপ— “Did he fire six shots or only five?” Well to tell you the truth in all this excitement I kinda
কল্পবিশ্বের বন্ধুরা, সবে মাঘের শুরু অথচ শীত প্রায় পালাই পালাই করছে কলকাতা থেকে। সেদিন এক বন্ধু মজা করে বলছিলেন এ সবই কল্পবিশ্বের ক্লাই-ফাই এফেক্ট। তবে ব্যাপারটা কিন্তু সত্যিই আর মজার পর্যায়ে থাকছে না, পৃথিবীর সব দেশ চিন্তিত আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা নিয়ে। বাঙালীর এক অন্যতম উৎসব বইমেলা এসে গেল প্রায়, কিন্তু কল্পবিশ্বের দপ্তরে কারো মন ভালো
চরিত্র
(ষ্টেজে আবির্ভাবের ক্রমানুযায়ী)
নেপথ্য পুরুষ অথবা নারী কন্ঠ
বিবেক মিত্র মধ্যবয়সী পুরুষ। পেশায় উকিল
বিকাশ মধ্যবয়সী পুরুষ। বিবেকের সহকারী ও ভৃত্য কানে কম শোনেন
মায়াবতী যুবতী নারী। ভাল গান গাইতে পারেন
বিবেকের বিবেক মধ্যবয়সী পুরুষ। বিবেক মিত্রর ছায়ার মতন
পরেশ ঘটক
১
নতুন বাড়িটা বেশ ভালো লেগে গেল অভয়ের। অভয় একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, ও এই শহরে এসেছে ওর পি.এইচ.ডি কমপ্লিট করতে। ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা না পাওয়ায় ও শেষ পর্যন্ত এই বাড়িটা ভাড়া নিতে বাধ্য হল। বাড়িওয়ালা ভদ্রলোক সুধীনবাবু বেশ অমায়িক। নিজে রিটায়ার্ড মানুষ, বাড়িতে বউ আর ছেলে;ছেলে চাকরি করে। ভদ্রলোক বেশ রসিক লোক, গল্প গুজব করতে খুব ভালোবাসেন।
[১]
প্রায় আট নয় বছর পরে নির্ঝরকে দেখে সেদিন আমার চিনতে এতটুকু অসুবিধা হয়নি। নির্ঝরকে আমি লাস্ট দেখেছি সেই জেলাস্কুল থেকে ও যখন পাশ করে বেরোল, তারপর ও কলকাতা চলে গেল এগারো বারো ক্লাস পড়তে আর সেই থেকে সব যোগাযোগ সব বিছিন্ন। তখন মোবাইল বা আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার এই আধিপত্যও ছিল না, সুতরাং বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গুলোকে নদীতে বিসর্জন দেওয়া ছাড়া
–১–
আজ এখন
ধীরে জ্ঞান ফিরে আসছিল লুসিফারের। মাথার পিছন দিকে প্রচণ্ড ব্যথা। তার চোখ বাঁধা, হাত-পাগুলো নাড়ানোর প্রশ্নই নেই, কারণ শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে হাত-পাও বাঁধা। সে বুঝতে পারল গাড়ির ট্রাঙ্কে ভরে কোথাও নিয়ে চলেছে লোকটা বা লোকগুলো। লোকটা একা ছিল না, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে চলে এসেছিল ওর শাকরেদরা! লুসিফার সাবধান হওয়ারও সময় পায় নি!
লোকগুলো খুব একটা পাকাপোক্ত
পর্ব – ৫
আন্তঃনক্ষত্র পরিযান
সবে সূর্যাস্ত হয়েছে। পশ্চিম আকাশে প্রহর শেষের আলোয় রাঙা মেঘ। বারান্দায় বসে চা খাচ্ছি। কলিং বেলের শব্দ শুনে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের সহকারী ধরণী – আমি অবশ্য ধরণীদা বলি। উনি বললেন –“স্যার আপনাকে সম্ভব হলে আজ রাত আটটা নাগাদ যেতে বলেছেন। উনি বেড়িয়েছেন – সাতটার মধ্যে ফিরে আসবেন। ক’দিন খুব
১
রোদের তীব্রতায় চোখ মেলে তাকানো যায় না। হাত দিয়ে চোখ আড়াল করে রাখতে হয়। আকাশ ভয়াবহ নীল। বউ বাচ্চা বাসায় রেখে পিঠে ছোট্ট কালো ব্যাগটাকে সঙ্গী করে এতো দূরে যেতে মন চাইছে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে যেতেই হচ্ছে।
তাছাড়া আমাদের জীবনে নতুন অতিথি এসেছে। জীবন এখন আর আগের মত খামখেয়ালি করে চালানো যাবে না। এলিসাও এখনো সুস্থ হয়ে ওঠে নি। ওর জন্যেও ভালো মন্দ খাবার
“পার্থপ্রতিম রায়চৌধুরী” – এই নামটাই রাখছেন শেষমেষ?”
“আজ্ঞে হ্যাঁ, আর ওই পেশাটা করুন ডাক্তারবাবু।”
“কেন মশাই? সাধ করে বাঁশ দিতে চাইছেন ছেলেটাকে? তার চে ভালো বুদ্ধি দিই, পলিটিশিয়ান করে দিন মশাই, হাপুস হুপুস করে রোজগারোবে!”
“বলছেন?”
“বলছি নয়, দেখছি! যাক গে, সে আপনার ব্যাপার মশাই। আজ বিকেলের ভেতর জানান, সিকোয়েন্সিংটা কমপ্লিট হয়ে গেলে আমরা নিউ মডিফিকেশনে
চারিদিক অন্ধকার। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি দেখতে পেলেন এক নারীর অবয়ব। শুয়ে আছে চুপ করে।
দেখে মনে হয় সে মারা গেছে অনেকক্ষণ আগেই।
কিন্তু তাঁকে দেখে ছটফট করে উঠল সেই নারী। সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল চারপাশের দৃশ্যপট। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন তাঁর প্রিয় রিভলভিং চেয়ারের উপরে।
বিচ্ছিরি স্বপ্নটা মাঝেমাঝেই তাড়া করে তাঁকে। বিশেষ করে
(১)
প্রায় বছর পনেরো আগের কথা, জলের দরে মফঃস্বলে এই বিরাট বাড়িটা কিনে নিয়েছিলেন আমার বাবা, জন্মে অবধি ভাড়া বাড়িতে জীবনের আঠারোটা শীত বসন্ত পার করে দেওয়ার পর অবশেষে মা বাবার সাথে এই প্রাসাদোপম বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিলাম।
মাসখানেক আগে এ বাড়ির মালিক গত হয়েছেন, পরবর্তী প্রজন্ম প্রবাসী, বৃদ্ধের দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার পর ঘাড়ের উপর থেকে জন্মভিটের বোঝা সুযোগ্য
“হে সর্বশক্তিমান থরের বংশধর, হে মহাধিপতি হেরন, তবে কি আমরা বসে বসে মার খাব? যুগযুগ ধরে বরফ গলার সময় ওরা আসছে। কিন্তু কোনওদিন আমরা অত্যাচারিত হইনি। উল্টে আমাদের চিরচারিত রীতি মেনে আমরা ওঁদের সমস্তরকম সহযোগিতা করে চলেছি। কতদিন, আর কতদিন এই আক্রমণ মেনে নেব?”
“শান্ত হও ওলাফ, ধৈর্য ধরতে শেখ। ভুলে যেও না আমরা ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ বীর ওডিন পুত্র থরের বংশধর। এই ধরিত্রীকে
স্টীম ইঞ্জিন? ইয়েস! স্টীম রোলার? ইয়েস! স্টীম সন্দেশ? সেও ইয়েস, ইয়েস, একবারে চাকুম চুকুম ইয়েস!
কিন্তু স্টীমপাঙ্ক? নো স্যার, কভি নেই শুনা। সেটা কি বস্তু জাঁহাপনা? খায় না মাথায় মাখে?
জানেন না? আচ্ছা গুছিয়ে বলি তাহলে। স্টীমপাঙ্ক হল সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের একটা বিশেষ ঘরাণা। ইংরিজীতে যাকে বলে সাব-জনার।
তা এই বিশেষ ঘরাণার বিশেষত্ব কি?
এই ধারার বিশেষত্ব এই
কিউব, হাভেন, এখন
“আগে আমাদের পরিচয়গুলো দিই?” নরম, একটু স্নেহময় গলাটা বলে উঠল, “আমি ডক্টর আলতাফ হোসেন, চিফ অ্যানালিস্ট। আমার ডান পাশে রয়েছেন…”
“দরকার নেই।”
“মানে?”
“কারও পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই ডক্টর। এই চেম্বারে ঢোকার আগে, ইনফ্যাক্ট কিউব-এ ঢোকার পর থেকে আপনার, আমার, সবার সবকিছু রেকর্ডেড হয়েছে। নতুন করে এ-সব বলার কোনো দরকার নেই।”
কিছুক্ষণ চুপচাপ হয়ে রইল ঘরটা।
এক
ক্লাসে অনেক যত্ন নিয়ে পড়ান প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন, পারতপক্ষে ভাল ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয় পড়তে চায় না, নিতান্ত বাধ্য হয়ে মেধা তালিকার শেষের দিক থেকে এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয় তারা। আজকাল সবার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি অথবা হাল আমলে উড়ে এসে জুড়ে বসা বিবিএ, এমবিএর পড়ার দিকে বেশি ঝোঁক। উদ্ভিদবিদ্যার মত প্রাচীন ও মৌলিক বিষয়গুলোতে তাদের আগ্রহ
চুপচাপ বসে আকাশ দেখছিল সে। নীল আকাশটাকে খুবই অদ্ভুত লাগে তার। এইজন্য সময় পেলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে ও। অবসর সময়ের কাজ আর কি!
তবে আজকের কথা ভিন্ন। অসুস্থতা, ক্ষুধা আর বিষন্নতাতে জর্জরিত হয়ে প্রায় আধমরা অবস্থাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বাস্তবকে ভুলতে চাইছে সে। সন্ধ্যা হতে চলেছে প্রায়। ক্রমাগত রক্তিম লাল রঙ ধারণ করতে থাকা আকাশের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন
গত বছরের আলাপচারিতায় এক বিনিসুতোর বাঁধন তৈরি হয়েছিল কল্পবিশ্বের শুভানুধ্যায়ী শ্রদ্ধেয় শ্রী সন্দীপ রায়ের সঙ্গে কল্পবিশ্ব টিমের, যার পরিচয় কল্পবিশ্বের পাঠকেরা পেয়েছিলেন ২০১৭-র পুজো সংখ্যায়। সেই আলাপকেই আবার ঝালিয়ে নিতে গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে আমরা আবার হাজির হয়েছিলাম বিশপ লেফ্রয় রোডের রায়বাড়িতে, যা আমাদের আকৈশোরের হিং টিং ছট স্বপ্নের