Thursday, October 30, 2025

দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – শারদীয়া ১৪৩২ঃ প্রচ্ছদ

দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – শারদীয়া ১৪৩২ঃ প্রচ্ছদ

অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ। 

কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি অনুবাদ, মৌলিক গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের সমাহার

The Fiction Machine: A Generative AI Framework for Bengali Science Fiction Storytelling and Research Assistance
Abstract
This article presents a novel Generative AI (GenAI) project aimed at preserving and promoting
An Interview with Sami Ahmad Khan
Kalpabiswa is thrilled to engage in a direct conversation with one of the leading voices of contemporary Science Fiction. I, Debraj Moulick, a humble devotee of Science Fiction, am honoured
10 GOTO 10
The Basement Computer Room
Only a week ago, I was a programmer writing code in a tight, claustrophobic basement of a company that had always been on the verge of going bankrupt but never did. And today, I
১৫০০৪
দেউরিয়া সদর রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর প্রদেশ
স্থানীয় সময়: 2100 Hrs
“যাত্রীগণ কৃপয়া ধেয়ান দেঁ, গোরখপুরসে চল কর, অলাহাবাদকে রাস্তে কানপুর জংশন তক জানেওয়ালি এক-পাঁচ-শূন্য-শূন্য–চার চৌরি চৌরা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্ম
ঘনাদা কি মিস্টার ফালুও না কং ইজি? — প্রেমেন্দ্র মিত্রের “ঘনাদা” সিরিজ পরিচিতি
চেংদু সায়েন্স ফিকশন কনভেনশনে উপহার পাওয়া শেষ বিদেশি বই ছিল প্রেমেন্দ্র মিত্রের বইটি। পাশাপাশি কনফারেন্সে ভারতীয় সায়েন্স ফিকশন নিয়ে দীপ
শ্যাওলা
I am terrified by this dark thing
That sleeps in me;
All day I feel its soft, feathery turnings, its malignity.
“Elm”, Sylvia Plath
স্বর্গদ্বার থেকে বেরিয়ে, গর্জন-করতে-থাকা সমুদ্রকে বামদিকে রেখে, এগিয়ে চলল
ওয়্যারউল্‌ফ: মিথ থেকে সাহিত্যে
আজকের দিনে প্রায় সবাই ‘ওয়্যারউল্‌ফ’ চরিত্রটির সঙ্গে পরিচিত, যার জন্য মূলত ধন্যবাদ জানাতে হয় পপুলার কালচার এবং মিডিয়াকে—বিশেষ করে হরর চলচ্চিত্র যেমন Ginger Snaps (২০০০), Underworld (২০০৩),
আল-বিরুনির চিরুনি
জেসন ধীর পদক্ষেপে গহ্বরটার পরিধি বরাবর হেঁটে চলেছিল। ওর দৃষ্টি গহ্বরের ভিতরের অন্ধকার অংশটার ওপর নিবদ্ধ। প্রায় মিনিট পনেরো হল, আইশা গহ্বরটার ভিতরে নেমেছে। জেসন ওকে নিষেধ করেছিল, কিন্তু ও শোনেনি। আইশার
ধ্বান্তারি
জ্বরে বেহুঁশ ছেলের পাশে বসে তার দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে অপেক্ষা করছি আমি। কোলের উপর রাখা আছে লম্বা গলার কাচের বোতলটা। এই বোতলটায় কুকি রাখতাম আগে, কিন্তু আজকের পর থেকে…
পাহাড়ের উপর থেকে সকালের
মিদোরির দম
হাজার হাজার দমের খেলা—
কোন কাহিনি আজ শোনাব তোমায়?
একদা এক তেঁতুল গাছ
দাঁড়িয়ে ছিল একা
অনেক না, শুধু একটা।
নাম-না-জানা পাখি
খুব জ্বালাবে
এমন এক বাঁদর
ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না
এমনি এক হাওয়া।
“হায়
অনুশোচনা শূন্য শতাংশ
[ইরানের লেখক জোহা কাজেমির ১৯৮২ সালে তেহরানে জন্ম, ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। ইরানে নারীবাদী স্পেকুলেটিভ ফিকশন, কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি ইত্যাদির রচয়িতা হিসেবে জোহা কাজেমি ইতিমধ্যেই অতি সম্মানিত ও বহুলপঠিত।
ভারসাম্য
খস খস খস…
শব্দটা অচেনা।
কাজ থামিয়ে সবাইই ঘুরে তাকিয়েছিল দরজার দিকে। কিন্তু বন্ধ-হয়ে-থাকা চৌকো ধাতব দরজায় নিজেদের ছায়া ছাড়া চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না।
বাইরে কেউ এসে দাঁড়ালে দরজার সারফেসে তার ছবি ফুটে
বিধাতার বীজতলা
ওওঁওঁমমহ্মহ্মঅঁঅঁঅ…
বিকট ধ্বনিটা বদ্ধ করিডোরে তরঙ্গ তুলে পাক খাচ্ছিল। করিডোরের ধাতব মেঝেতে পড়ে থাকা অজস্র মৃতদেহের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা একটা দেহ একবার কেঁপে উঠল। দু-হাতে সে চেপে রেখেছে কান, যাতে শুনতে
অভাগার স্বর্গ
“ড্যাড, তুমি যখন নীচে থাকতে, হাউ ওয়াজ় ইট?” সৌগত প্রশ্ন করল। 
বরুণ তার ছেলের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিল। দিনের শেষে এই আধ ঘণ্টা সময়ই তারা রাখতে পেরেছে নিজেদের জন্য। আবার তো খেয়ে শুয়ে পড়ো, তারপর
স্যার সত্যপ্রকাশের সন্ধানে
[ স্যার সত্যপ্রকাশ রচনার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ]
ঝিমলি চ্যাটার্জি বলল, প্রফেসার, আপনি স্যার সত্যপ্রকাশের নাম শুনেছেন?
—তা আর শুনিনি! বললেন প্রফেসার ম্যাকাও, একসময়ে কত কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বুড়ো
কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে প্রাচ্যে: এক বাঙালির ওয়ার্লডকনের ডায়েরি - শেষ পর্ব
[ প্রথম পর্বের লিঙ্ক: কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে প্রাচ্যে:: এক বাঙালির ওয়ার্ল্ডকনের ডায়েরি ]

শেষ পর্ব
কৈফিয়ত: গত বছরে পুজো সংখ্যায় ওয়ার্লডকন

কল্পবিশ্বের নতুন বইগুলি কিনুন

কল্পবিশ্বের নতুন বইগুলি কিনুন

ইবুক কিনতে ক্লিক করুন এখানে

ইবুক কিনতে ক্লিক করুন এখানে

এ বছরের শারদীয় সংখ্যার সম্পাদকীয় লিখতে বসেছি যখন, তখন কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির আঘাত বুকে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষতে ব্যস্ত। এতগুলো মানুষের বছরভরের পরিশ্রম তলিয়ে গেছে জলের তলায়, ছাপার কালি চোখের জলে ঝাপসা হয়ে গেছে বেমালুম। প্রকাশক, মুদ্রক, বইবিক্রেতা—ক্ষতি হয়েছে সকলেরই। সামনেই বইমেলা। আশা করি, পাঠকদের ভালোবাসায় [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিশ্ব সম্পাদকমণ্ডলী, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

Kalpabiswa Newsletter Year 10, No 1

Tong Ghar, the final frontier across all impossible dimensions, is buzzing with the latest update. Well! Happy New Year, 2025, and greetings from one of the biggest festivals in this part of the galaxy, Durga Puja, to our readers across the space-time continuum.

Tags: Debraj Moulick, English Section, Kalpabiswa, Newsletter, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

An Interview with Sami Ahmad Khan

Kalpabiswa is thrilled to engage in a direct conversation with one of the leading voices of contemporary Science Fiction. I, Debraj Moulick, a humble devotee of Science Fiction, am honoured to share the interview of Dr. Sami Ahmad Khan. Let me take this moment to introduce…..

Sami Ahmad Khan is a writer, academic, and documentary producer. He is the recipient of a Marie Sklodowska-Curie Actions Fellowship (University of Oslo, Norway), a Fulbright FLTA grant (University of Iowa, USA), and a UGC-MANF Senior Research Fellowship (Jawaharlal Nehru University, India). His future-war thriller Red Jihad (Rupa, 2012) won two awards, and his second novel, Aliens in Delhi (Niyogi, 2017), was shortlisted for the Sahitya Akademi Yuva Puraskar. His fiction has been the subject of formal academic research and a part of university syllabi in India and the US. He also holds a PhD in Indian SF, and is the author of Star Warriors [আরো পড়ুন]

Tags: Debraj Moulick, English Section, Kalpabiswa, Sami Ahmad Khan, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

স্যার সত্যপ্রকাশের সন্ধানে

[ স্যার সত্যপ্রকাশ রচনার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ]

ঝিমলি চ্যাটার্জি বলল, প্রফেসার, আপনি স্যার সত্যপ্রকাশের নাম শুনেছেন?

—তা আর শুনিনি! বললেন প্রফেসার ম্যাকাও, একসময়ে কত কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বুড়ো হাড়েও নানা বৈজ্ঞানিক অভিযান আর অ্যাডভেঞ্চারের ভেলকি দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু শুনেছি, বছর পঁচিশ আগে উনি নাকি টাইম ট্রাভেলে কোনো অতীত দুনিয়ায় হারিয়ে গেছেন। 

[আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়

ওসানার খোঁজে

সাদর অভ্যর্থনা

—হ্যালো… হ্যালো… ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স অনুসন্ধান যান জ্যানোস৩২৫৪ থেকে বলছি… শুনতে পাচ্ছেন… হ্যালো… মাইনিং পোস্ট ৭৪ শুনতে পাচ্ছেন… ধ্যত্তেরিকা… শুনতে পাচ্ছেন মাইনিং পোস্ট ৭৪…

—মাইনিং পোস্ট ৭৪ এ আপনাকে স্বাগতম… বাংলায় কথা বলতে ১ টিপুন… ফর ইংলিশ প্রেস ২… ম্যান্ডারিন আং ৩…

—ধুর ছাই… আরে আমরা ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স… আপনাদের কনট্রোল [আরো পড়ুন]

Tags: অঋণ সেন, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

উপনিবেশ

আবছা নীল একটা আলো। ঘুমে জড়িয়ে আসা চোখদুটো একবার মেলেই আবার বন্ধ করে ফেলে অনিকেত। একটানা খুব মৃদু একটা অস্পষ্ট যান্ত্রিক স্বর ভেসে আসছে। ঘুমের মধ্যেই কেমন যেন গা মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে এই শব্দে। কিছুক্ষণ চোখ বুজে থেকে আবারও চোখ খোলে অনিকেত, ধীরে ধীরে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ফিরে আসছে ওর। এখনও নিজের নাম মনে পড়েনি, কিন্তু এখন সে চোখ মেলে দেখতে শুরু করেছে নিজের চারিপাশ।

[আরো পড়ুন]

Tags: ইমন চৌধুরী, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

আলোকজাল

অধ্যায় ১: অব্যাখ্যাত সংকেত

অক্টোবরের সন্ধ্যার হালকা শীতল হাওয়া কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ইটের দেয়াল ছুঁয়ে বইছিল। দোতলার জানালা দিয়ে কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকানের ফ্লুরোসেন্ট আলো ভেসে আসছিল, যেন শত বছরের জ্ঞানের আলো। কিন্তু আজ সেই আলোও ড. অভিজিৎ রায়চৌধুরীর মানসিক অশান্তি দূর করতে পারছিল না।

অভিজিতের হাত কাঁপছিল—এমন নয় যে ঠান্ডায়, [আরো পড়ুন]

Tags: অরিত চক্রবর্তী, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

দাও ফিরে সে অরণ্য

“মাটিতে যাদের পড়ে না চরণ…” 

কত রকমের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে আজকাল। এক কোপে একসঙ্গে দশ-বারোটা মোটা মোটা গাছকে একেবারে মূলসুদ্ধ উপড়ে ফেলে দিচ্ছে। মোটা শক্ত চেন ধরনের একটা যন্ত্র—মেশিন চালালেই গুল্ম জাতীয় গাছের ঝাড়কে মিনিটের মধ্যে মাটির থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। চোখের নিমেষে দূর্ভেদ্য, [আরো পড়ুন]

Tags: ঋষভ চট্টোপাধ্যায়, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

বিধাতার বীজতলা

ওওঁওঁমমহ্মহ্মঅঁঅঁঅ…

বিকট ধ্বনিটা বদ্ধ করিডোরে তরঙ্গ তুলে পাক খাচ্ছিল। করিডোরের ধাতব মেঝেতে পড়ে থাকা অজস্র মৃতদেহের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা একটা দেহ একবার কেঁপে উঠল। দু-হাতে সে চেপে রেখেছে কান, যাতে শুনতে না হয়। তার বন্ধ চোখের পাতা কাঁপছিল তির তির করে, যাতে কিছু দেখতে না হয়। অসহ্য একটা শ্বাসরোধকারী [আরো পড়ুন]

Tags: অঙ্কিতা, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

স্বপ্নের দরজা

নির্জন সৈকতে

“সমুদ্রের কিনারা বরাবর কাউকে হেঁটে যেতে দেখেননি আপনি?” জিজ্ঞাসা করলেন অফিসার। ভাবলেশহীন দেখাচ্ছিল তাঁর মুখটা; তবে কণ্ঠস্বরে ফুটে-ওঠা কর্তৃত্বের আভাস গোপন থাকছিল না। সম্ভবত বহু পরিশ্রমে অর্জিত পদমর্যাদা আর তদন্তের গুরুত্ব—এই দুই বৈশিষ্ট্য মিলেমিশে এমন ব্যক্তিত্ব দিয়েছিল তাঁকে।

আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে দু-পাশে মাথা নাড়ল ঋত্বিক, [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, শ্রীজিৎ সরকার

সেতু

পূর্বকথা

A mind not to be changed by place or time
The mind is its own place, and in itself
Can make a heav’n of hell, a hell of heav’n.
— (‘Paradise Lost’—John Milton)

স্থান বা কালভেদে নেই চেতনার অবক্ষয়—
তার স্থিরতা আপনাতেই।
সেই চেতনার আত্মসমন্বয়ে, স্বর্গও হতে পারে নরক
আর নরক স্বর্গ। (অনু: অমিতাভ রক্ষিত)

সেদিন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের ওপরে উঠেছিল একটি বাঁকা চাঁদ। ইদের চাঁদের মতো শীর্ণ। বাইরে থেকে দেখলে, অর্থাৎ, যে-কোনো একটি ভ্রাম্যমাণ স্পেস [আরো পড়ুন]

Tags: অমিতাভ রক্ষিত, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

আল-বিরুনির চিরুনি

জেসন ধীর পদক্ষেপে গহ্বরটার পরিধি বরাবর হেঁটে চলেছিল। ওর দৃষ্টি গহ্বরের ভিতরের অন্ধকার অংশটার ওপর নিবদ্ধ। প্রায় মিনিট পনেরো হল, আইশা গহ্বরটার ভিতরে নেমেছে। জেসন ওকে নিষেধ করেছিল, কিন্তু ও শোনেনি। আইশার ধমনিতে প্রবাহিত হচ্ছে আরব বেদুইন আর মেক্সিকান যুদ্ধবাজ জনজাতির মিশ্র রক্ত। সেই কারণেই বোধহয় মেয়েটা মারাত্মক রকমের জেদি। আইশা যদি আর [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, স্বর্ণদীপ রায়

শ্যাওলা

I am terrified by this dark thing

That sleeps in me;

All day I feel its soft, feathery turnings, its malignity.

“Elm”, Sylvia Plath

স্বর্গদ্বার থেকে বেরিয়ে, গর্জন-করতে-থাকা সমুদ্রকে বামদিকে রেখে, এগিয়ে চলল সুস্মিতা।

এখানে সমুদ্রতট তেমন ফাঁকা নয়, অসংখ্য স্টল মাশরুমের মতো গজিয়ে রয়েছে। জামাকাপড়, গয়নাগাটি, খাবার। লোকজন গিজগিজ করছে পুরো। রাস্তার ফুটপাথ দিয়ে যে শান্তিতে হাঁটবে, সেটার উপায় নেই। ফুটপাথের দুইদিকে [আরো পড়ুন]

Tags: তৃণময় দাস, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

রামঅ ঘুরে এল অ্যালেন দম্পতি

সে এক আজব দেশ। সেখানে ঘড়ি চলে উলটোদিকে, দোকানে জিনিস কিনলে হাতে টাকা গুঁজে দেয় দোকানি। চাকরি করে টাকা গুনে দিয়ে আসতে হয়! ব্যাকওয়ার্ড ইকনমিক্স নিয়ে লেখা এরকম অভিনব কাহিনি পড়ে ছেলে-বুড়ো-মেয়েরা প্রত্যেকেই চমৎকৃত হয়ে ভাবতে বসবে আহারে,… এমনটি কেন হয় না!

দরজার ওপর নাকটা চেপে ধরে ক্রুদ্ধ হুঙ্কার ছাড়ল জেফ অ্যালেন।

কাচের খানিটা [আরো পড়ুন]

Tags: অদ্রীশ বর্ধন, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

জ়াম্বোলার নরখাদক

রাতের মাদল

“আরাম বক্সের সরাইয়ে মৃত্যু ওঁত পেতে আছে।”

লোকটা ভয়ার্ত কণ্ঠে কুঁইকুঁই করে উঠল। তার কাঁপা-কাঁপা হাতের কালো নখওয়ালা সরু সরু আঙুল কোনানের বাহুর শক্তিশালী পেশিকে খামচে ধরেছিল। কোনানের এই ছিপছিপে, শক্তপোক্ত, তামাটে বর্ণের সঙ্গীটির মুখে লম্বা কালো দাড়ি, পরনে মলিন বসন। দৃশ্যতই সে একজন মরুর যাযাবর। তাকে শালপ্রাংশু, কবাটবক্ষ, বৃষস্কন্ধ, [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রবার্ট ই হাওয়ার্ড, সায়ক দত্ত চৌধুরী

অবশেষ

ক্রিং, ক্রিং… ক্রিং, ক্রিং…

একমনে ল্যাপটপে টাইপ করার দরুন ফোনের হঠাৎ বেজে ওঠাটা আমাকে চমকে দিল। সাধারণের চেয়ে সামান্য দ্রুত হৃৎস্পন্দনকে পাত্তা না দিয়ে ফোনের স্ক্রিনে দেখলাম আমার বন্ধু রণিতের নাম। বেশি সময় না নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে কানে লাগালাম। আর তারপরেই ওপাশ থেকে এক অদ্ভুত প্রশ্ন।

—ভাই, তুই এমন কাউকে চিনিস, যে অ্যান্টিক জিনিস কিনবে?

[আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সৌম্যদীপ দে

এই নশ্বর জীবনের মানে

ঘরে ঢুকেই মেজাজটা তিতকুটে হয়ে গেল পদ্মর। লোকটা আবার চুল্লু টেনে ঢুকেছে আজ। নিজে তো কোনো কাজ করবে না, শুধু বউয়ের পয়সায় মাল খাবে। ওকে দেখামাত্রই নোংরা গালাগাল করে উঠল লোকটা। তারপর নীচু গলায় ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করল, কিছু খাবার আছে কি না ঘরে।

আমল না দিয়ে হাতের প্লাস্টিকের প্যাকেটগুলো নামিয়ে রাখতে রাখতে খাটের এককোণে চোখ পড়ল। এক টুকরো [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মোহনা দেবরায়

ইশরাকের মন্দির

সাদা রঙের এসইউভি-টা এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যেন একটা দমকা বাতাস রাস্তার ওপর জমে-থাকা ধুলোবালি উড়িয়ে নিয়ে গেল। বিকেলের এই শেষ সময়টা শহরের উপকণ্ঠে নীরবতা বিরাজ করে। সূর্যাস্তের শেষ চিহ্নগুলি শুষ্ক, পরিত্যক্ত জমির উপর ফেলেছে দীর্ঘ ছায়া। একটু দূরে বাড়িটা দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে নিস্তব্ধতা ভাঙতে কারা এল, সেটাই যেন মাথা তুলে দেখছে সেটা। [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, পবিত্র ঘোষ

ওয়্যারউল্‌ফ: মিথ থেকে সাহিত্যে

আজকের দিনে প্রায় সবাই ‘ওয়্যারউল্‌ফ’ চরিত্রটির সঙ্গে পরিচিত, যার জন্য মূলত ধন্যবাদ জানাতে হয় পপুলার কালচার এবং মিডিয়াকে—বিশেষ করে হরর চলচ্চিত্র যেমন Ginger Snaps (২০০০), Underworld (২০০৩), ১৯৪১ সালের ক্লাসিক The Wolf Man-এর ২০০৯ সালের রিমেক, মিউজ়িক ভিডিয়ো (যেমন মাইকেল জ্যাকসনের বিখ্যাত Thriller [১৯৮৩]-এর ওয়্যারউল্‌ফ/ওয়্যারক্যাট চরিত্র), Teen Wolf (২০১১-১৭), Wolfblood: The First Pack (২০১২-১৭)-এর [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, প্রিয়াংকা মিত্র

স্বপ্ন

“জগতে সকলই মিথ্যা সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়।
স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান,
গৌড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান।”

১ স্বপ্নদর্শন

স্বপ্ন কে না দ্যাখে? আমি দিবাস্বপ্ন বা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার কথা বলছি না। ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্ন দেখা হয়, তার কথা বলছি। আবালবৃদ্ধবনিতার মধ্যে এমন কোনো মানুষ নেই, যে কখনও স্বপ্ন দেখেনি বা দ্যাখে [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী

আইয়ে এ আই…

সাহিত্যক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রভাব (কিংবা উৎপাত /মহাসংগ্রাম /অস্তিত্বের লড়াই ইত্যাদি ইত্যাদি…) এই নিয়ে দুনিয়া জুড়ে ইদানিং বহু আলোচনা চলছে। এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সাবধানতা, আচরণবিধি, যন্ত্র-কুম্ভীলকবৃত্তি প্রতিরোধ, কপিরাইট সংক্রান্ত রক্ষাকবচ ইত্যাদি বিবিধ পদক্ষেপ নেয়াও শুরু হয়ে গেছে। তবে বাংলা সাহিত্যের অভিভাবককূল [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

10 GOTO 10

The Basement Computer Room

Only a week ago, I was a programmer writing code in a tight, claustrophobic basement of a company that had always been on the verge of going bankrupt but never did. And today, I was strapping up my bags for the deep magma explorer submarine, which would take us down the volcanic corridor and up near the Arctic ice caps. It was almost unreal.

When the company finally went down, I could not stop myself from breathing a little sigh of relief. The competition was too tough, and I knew we wouldn’t make it another year. It was inevitable, and yet I forced myself not to imagine the possibility of the events that came after. Lisa, the company’s chairperson and chief executive for the last twenty years, called us all in the hall of the topmost executive floor to break the news. As usual, I got some weird stares from all the female employees and a tiny number of males in the audience. Lisa found [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Sourav Datta, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

Ashen Bloom

The silence was unnatural. For weeks, the comms had buzzed with static and fragmented signals, but now they were dead. On the bridge of the Bayonet, Commander Daniela Reyes stared at the blank screen with her jaw clenched. She tapped at the controls desperately as if sheer will could coax a response from Earth. The absence of the chatter they’d expected—traffic updates, mission control, a simple welcome home—was more than unsettling. They were close now, just breaching the solar system’s edge, and the silence gnawed at her.

“Sparky, talk to me,” she said, as dread coiled in her gut.

“It’s not the array, Commander! I’ve checked it multiple times—rerouted power, recalibrated the antennas!”

Charles Kowalski, Chief Engineer and systems specialist—better known as Sparky for his knack with sparking systems under pressure—grunted from his station. The console was alive with diagnostics as [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Sayan Das, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

The Silent Accord

Chapter I: A Sliver of Stillness

In the late 1930s of the century, there came an age when people no longer heard the wind.

Not because it ceased to blow, but because the noise of everything else had grown too vast. Cities drummed endlessly—advertisements whispered from vapour screens, traffic sang its daily hymn, children recited lessons aloud to omnidirectional recorders, and even plants were encoded to emit ultrasonic greetings, detectable by smart shoes to suggest footpath mindfulness.

There was no room left for silence.

That was when silence—pure, unstructured, uncorrupted emptiness of sound—was commodified.

It began in Dzerzhinsk, a city that had once been famous for its toxic past and now leaned towards innovation to cleanse itself. A man named Pavel Yurev, former acoustician and part-time mystic, stumbled upon the accidental technique to extract silence from heavily resonant chambers using a fusion of sound-cancellation fields and deep-earth resonance siphons.

[আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Krishanu Banerjee, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

The Empathy Room

“if you feel pain, you‘re alive. If you feel other people’s pain, you’re a human being”

– Leo Tolstoy

Planet Earth, 2100 AD

EdenLand was waiting; the impact was just sixty seconds away. The asteroid, now broken into several enormous chunks, was initially almost half the size of Earth. The ever-alert Asteroid Tracking System had taken care of most of the broken parts. Some have turned into space debris, and some are now accidental satellites of the EdenLand Space Station.

Only one of them would strike the planet in sixty seconds. The impact effect is predicted to be minimal, the lush tropical forest area just outside the main city of EdenLand being the calculated impact zone. It’s hilarious that way. The planet’s terra firma has undergone a huge change in the last fifty years. Much of Europe and parts of the Middle East are now submerged landmasses. Severe climatic changes have made most of [আরো পড়ুন]

Tags: Buma Banerjee Das, English Section, Kalpabiswa, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

And So, I Brought Her Dandelions

The coffee pot was steaming. The buns are being toasted in the oven, and the silverware is shining, ready to be filled with hot food for breakfast. Nitara was dressing Kyra for school, doing her ponies and tying them with pretty blue ribbons. Warm sunlight streamed in through the high glass windows, the fresh morning breeze inviting a workman like me to a crisp, exciting day ahead. The world was unmindfully spinning out just another day. Everything was overly perfect, immaculate, sublime. To the point of perfection where a man begins to slip into the eerie realm of unease…

Is it really happening? Is it not? Am I in a surreal state of bliss? What if I wake up point-blank to a mundane, gloomy morning, in stark contrast to this happy day? I’ll get into depression, I’m sure. What if cats were actually dogs and dogs were wolves, what if roses were dandelions and dandelions really were snakes? Well, I’d [আরো পড়ুন]

Tags: Abanti Pal, English Section, Kalpabiswa, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

Level Killing Fields

There was consternation in Heaven. The Divine Counsels had requested a meeting with the Devil’s Advocates over a technicality. “Technicality, my foot,” twittered the imps and the cherubs. “It is all about gender equality.”

Sulochana, the matron in charge of the Kosmic Kanya Klub (KKK), was having a tough time keeping her kanyas under control. In her time, Sulochana had been an apsara married to a gandharva called Chitragreev. She had spent a goodly number of years on Earth, carrying out Divine instructions.

Angira, one of the kanyas, came rushing in. “They are not even honouring the astrological configurations,” she blurted out in disbelief.

“I know, isn’t it blasphemous?” Mithra had joined the conversation.

Angira was swift to agree. “It is!! When I was born, they took me away from my mother the same day, saying that I had been born to become a widow. Any man who married me would die. Thus, to protect its citizens, the State could, and would, take me away.”

[আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Sukanya Datta, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

Madam Madex

Library, Japan

19th March, 1939

Very simple was my explanation, and plausible enough—as most wrong theories are!1

Suzuki follows his routine of visiting all the alleys of the library. He starts his tour on the second floor, checking the refurbished book section, followed by the textbooks, and ending with the reference section. He comes down to the ground floor, where he spots an individual with a ponytail in the reading section; he pats the research scholar.

“It’s 10:00; I need to shut down the library. Visit the hostel library if you want to continue studying.”

He passes across the research paper section, switching off all the lights, and spots a girl in a ponytail busy with a few stacks of paper.

Suzuki knows her; she is Hana Saito, the youngest researcher in the Faculty of Science, University of Tokyo. Saito looks up and smiles towards the librarian.

“Is it late again, Mr Suzuki?”

Suzuki displays his left hand. “Go to your quarters; it’s already late.”

[আরো পড়ুন]

Tags: Debraj Moulick, English Section, Kalpabiswa, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

ProtoTyke

Child sex crimes had decreased by 89% since the commercialisation of ProtoTyke. The new technology faced significant public backlash due to concerns about its ethical implications– ‘could we really say we were deterring sexual predators if they were taking part in their perversions, albeit synthetically?’ became the moral discourse of the time.

Shelby Lifton scrolled through the hate mail and death threats she received in her inbox daily. She did not foresee that her degree in Information Technology would lead her here, but she liked fixing bugs, resolving glitches and coding software. It had nothing to do with what she believed, or any mission to serve humanity– she was simply good at her job, and enjoyed it. In fact, if you were to ask her about her position at ProtoTyke, she would tell you that she had no moral stance on the issue one way or the other; she had an ethically neutral viewpoint [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Olivia Loccisano, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

Sensory Cracks

Young geneticist Anja, accompanied by her Shih-Tzu, set out on Klavebod Brygge for her usual afternoon walk. Almost widowed by cars, the street of the Danish capital was abundantly populated with cyclists and guarded by modern, glassy buildings such as Krystallen. She admires her cheerful, floral, sleeveless dress, specially chosen to change her mood, in the asymmetric building with a rhombic skeleton. Shows off my legs, she thought, but immediately her eyes were drawn to the reflection of the slate paving Otto Monsted Plads, the minimalist square nearby, so she took a few steps in that direction. She looked at Krystallen from that side for the first time and found it haughty, propped up on one elbow, boasting of the hundreds of windows that mirrored the area without fail. In one of them, located close to the ground, he saw a column of German soldiers marching. They had the Hitler symbol on their sleeves. She even thought she [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, George Dimitriu, Kalpabiswa, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

An Introspection of ChatGPT in the light of Intellectual Property Rights

PRELUDE

Artificial Intelligence(AI) is a major area that calls for the development of policies in India. The flourishing AI industry and the various AI-centric initiatives of the Government make the matter of policy-making regarding AI a matter of extreme importance. While the present policy processes strive to foster the rapid development of AI for the purpose of securing social well-being and promoting economic growth, India tends to lean towards digital inclusion. However, the risks and deficiencies of data-driven decision-making are a massive obstacle to the development and establishment of AI applications.

Although Artificial Intelligence performs such tasks that demand complex cognitive abilities very easily, it can never be said that it will function flawlessly while performing the task. For Example, AI-driven tools like LSI-R (Level of Service Inventory- Revised) or COMPAS (Correctional Offender [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Ritojit Dasgupta, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

Conan Doyle Subverted and M. R. James Trans-created: Two Novels of Hemendra Kumar Roy

Introduction

This article explores how two works of Bengali adolescent and young adult literature by the same author, Hemendra Kumar Roy (1888–1963), each references, in a different way, two different works of British popular fiction, subverting one and creatively reworking the other.

The Hound of the Baskervilles (1901-2) and Amabasyar Raat (‘New-Moon Nights’, serialized 1933, book 1939)

  ‘New-Moon Nights’ begins with a newspaper report of strange occurrences in the large village/small town of Manaspur near the tiger-infested mangrove region called the Sunderbans in pre-independence, and therefore pre-partition, Bengal. On each of the previous new-moon nights, a woman, invariably one wearing expensive jewellery, has disappeared. Till these disappearances began, Manaspur, despite being near the Sunderbans, had not been plagued by tigers. However, precisely at the stroke of midnight on each night of disappearance, [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Prodosh Bhattacharya, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

The Fiction Machine: A Generative AI Framework for Bengali Science Fiction Storytelling and Research Assistance

Abstract

This article presents a novel Generative AI (GenAI) project aimed at preserving and promoting Bengali science fiction literature through automatic story generation and an intelligent research assistant. It addresses the dual goals of (1) generating Bengali science fiction narratives in the style of renowned Bengali authors, and (2) creating a virtual assistant to aid researchers, readers, and writers in exploring Bengali sci-fi literature. The system is designed to function locally on consumer-grade GPUs, incorporating a curated corpus of original Bengali science fiction stories, dynamic style modeling, and semantic search. I describe the architecture, methodology, tools, and challenges faced in building this multilingual and culturally aware GenAI system.

  1. Introduction

    Bengali science fiction (known as Kalpavigyan—a term coined by editor Adrish Bardhan in the 1970s) boasts a 190-year legacy that remains largely [আরো পড়ুন]

Tags: English Section, Kalpabiswa, Soubarna Das, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে প্রাচ্যে: এক বাঙালির ওয়ার্লডকনের ডায়েরি – শেষ পর্ব

কৈফিয়ত: গত বছরে পুজো সংখ্যায় ওয়ার্লডকন আর চিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। মনে হয়েছিল বিশ্বের দরবারে প্রথম ভারত থেকে আমন্ত্রিত কল্পবিজ্ঞানের প্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্লডকনের অভিজ্ঞতা লিখে রাখা দরকার পরবর্তী প্রজন্মের লেখক, অনুবাদ আর সম্পাদকদের জন্যে। বাংলা কল্পবিজ্ঞানের সব থেকে অ্যাকিলিস হিল হল ভারতের বাইরে কী ধরনের কাজ চলছে সেই থেকে একবারে মুখ ফিরিয়ে থাকা। কলেজ স্ট্রিটের বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে লেখক সম্পাদক প্রকাশক যদি উদাসীন থাকেন, বা কলকাতার বইপাড়াতেই দুটো বই বিক্রি করে নাম কেনা যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে বাংলা কল্পবিজ্ঞানকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়া কোনোদিনই সম্ভব হবে না। কল্পবিশ্বের কমরেডদের মধ্যে সেই খিদেটা আছে বলে আজকে এই অভিজ্ঞতার কথা লেখা সম্ভব হচ্ছে। যাই হোক, গত বছরের পুজোসংখ্যা প্রকাশের পরে নানা ব্যস্ততার মধ্যে অন্য কোনো সংখ্যা বের করা সম্ভব হয়নি। তাই ওয়ার্লডকনের ডায়েরিটাও শেষ করা হয়ে ওঠেনি। সেই জন্যে পাঠকদের কাছে আগেই ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচ্ছি।

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দীপ ঘোষ
Read more →

ঘনাদা কি মিস্টার ফালুও না কং ইজি? — প্রেমেন্দ্র মিত্রের “ঘনাদা” সিরিজ পরিচিতি

চেংদু সায়েন্স ফিকশন কনভেনশনে উপহার পাওয়া শেষ বিদেশি বই ছিল প্রেমেন্দ্র মিত্রের বইটি। পাশাপাশি কনফারেন্সে ভারতীয় সায়েন্স ফিকশন নিয়ে দীপ ঘোষের উপস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। সেই সময় আমার ধারণা ছিল যে এই “ঘনাদা” চরিত্রটি হল ব্যারন মুনচাউসেনের মতো একজন ব্যক্তি (যাকে “ফালুও জিয়াংশেং” বা “দ্য বিগ টকার”নামেও [আরো পড়ুন]

Tags: Arthur liu, আর্থার লিউ, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রাকেশকুমার দাস
Read more →

অদ্বিতীয়া

পূর্বের প্রতিধ্বনি

যন্ত্রের কোনো স্বপ্ন হয় না ওরা বলে। ওরা বলে, মাতৃগর্ভ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নয়।

আমার জন্ম মৃদু মন্ত্রোচ্চারণ ও ধুপের ধোঁয়ায় আবিষ্ট এক গুহার মধ্যে। মায়ের দুই হাত আমার প্রথম আধার। একসারি আবছায়া মুখের সারি আমায় ঘিরে মৃদুকণ্ঠে গান গেয়েছিল। অরণ্যের কুয়াশাঘেরা সেই সন্ধ্যায় আমার কণ্ঠের হাড়ে এক বৃদ্ধা তার অশীতিপর আঙুল ছুঁইয়ে যে নাম [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, শান্তনব রায়

স্বচ্ছ

অমৃতধারা

বাজে খরচ করাটা তন্ময়ের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। রিঙ্কি হাজারবার বারণ করলেও তন্ময় কথা শোনে না। লাইসেন্স নিতেই প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। তার উপরে যন্ত্রের দাম ধরলে, সব মিলিয়ে এক ধাক্কায় সত্তর হাজার টাকা খরচ। অথচ যন্ত্রটা বেশির ভাগ সময় অকেজো হয়ে পড়েই থাকবে।

বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য এই ছোটো যন্ত্রগুলো [আরো পড়ুন]

Tags: কৌস্তভ ভট্টাচার্য, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

ফেক

ক্যাব থেকে নেমে গুগ্‌ল ম্যাপ চেক করল ম্যারিয়ম। এই জায়গাটাই। কিন্তু এখানে কোনো ফ্ল্যাটের চিহ্ন নেই। ডান হাত তুলে সূর্যের আলো থেকে নিজের চোখ আড়াল করে চারপাশে তাকিয়ে দেখল ম্যারিয়ম। শুধু এখানেই কেন, এখান থেকে শ-দুয়েক মিটার, অর্থাৎ যতটা ম্যারিয়ম দেখতে পাচ্ছে, তার মধ্যেও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তো দূরের কথা, দুটো মানুষ থাকার মতো ছোটোখাটো [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সন্দীপ চৌধুরী

চার আলোর চমৎকার

প্রাক্‌কথন

বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টির কয়েকজন সদস্য আগুনখোর, আর বাদবাকি মেনিমুখো। আজ অবধি মাত্র একজনকে এক ধরন থেকে অন্য ধরনে বদলে যেতে দেখা গেছে। তাকে নিয়েই এই গল্প।

বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টি তখন ভারতের উদীয়মান রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেকের আলোচনায় উঠে আসছে। বাংলায় তার মুখ বলতে স্নেহাদ্রি শানমুগম। বিরোধীরা বহিরাগত বলে নিন্দে করলেও তার সভায় [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সর্বান বন্দ্যোপাধ্যায়

মৃগয়া

তিনজন ভীত, সন্ত্রস্ত, সতর্ক পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। মলিন, ধূলিধূসর তাদের বেশভূষা, মাথার চুল উশকোখুশকো। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু সেই ক্লান্তিকে ছাপিয়ে প্রকট হয়ে উঠেছে এক অজানা ভয়। সারারাত তারা গভীর উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছে। যদিও এটা রোজকারই ঘটনা। গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাতটা কোনোমতে কাটিয়েই তারা ভোরবেলা বেরিয়ে পড়েছে অনির্দিষ্টের পথে।

[আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সুমন মিশ্র

আলমন্ড

আলমন্ডের লগ ফাইল

২০২৩-০৭-০৬ ১১:৩৬:৪৭—

সামনে একটা পর্দা। না ঠিক পর্দা নয়, দেওয়াল। না ঠিক দেওয়ালও নয়, একটা বড়ো স্ক্রিন। ইংরেজিতে একটা লেখা: ‘টেস্ট# ৪৮: সাবজেক্টিভ রেসপন্স অব অ্যানালিটিক্যাল মাইন্ড অব নননিলিওন ডিসিশন ইঞ্জিন’। ‘সাবজেক্টিভ রেসপন্স’ মানে বিষয়গত উত্তর। আবার উত্তর মানে উত্তরদিকও হতে পারে। কিন্তু এই উত্তর তো প্রশ্নের উত্তর, প্রশ্নটা [আরো পড়ুন]

Tags: অর্ণক ঘোষ, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

স্মৃতির শহর

আমাকে টান মারে রাত্রি-জাগা নদী

আমাকে টান মারে অন্ধকার

আমার ঘুম ভেঙে হঠাৎ খুলে যায়

মধ্যরাত্রির বন্ধ দ্বার।

অনমিত্র হেঁটে যাচ্ছে এই শহরের অন্ধকার গলির মধ্য দিয়ে। গলিটা পেরোলে একটা বাজার। চোরবাজার। সেখানে আছে করিমের দোকান। সেখানে পাওয়া যায় জিনিসটা। যে জিনিসটার চাহিদা আজকাল লোকসমাজে তুঙ্গে। তবে বাজারচলতি [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সপ্তর্ষি চ্যাটার্জি

একটা ইমেল

হাই পিনাকী,

এখন গভীর রাত। কয়েক ঘণ্টা আগে শোরুমের একমাত্র সিকিউরিটি গার্ড দোকানের সব তালা শেষবারের মতো নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করে তার কেবিনে ফিরে গেল, যেখানে সে বাকি রাতটা ঘুমিয়ে কাটাবে। আমি এই শোরুমের একদম শেষ প্রান্তে একটা স্টোররুমে বসে আছি। এটা পুরোপুরি অন্ধকার এবং আবর্জনায় ভরা। কিন্তু আমার নাইটভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে আমি স্তূপ-করা [আরো পড়ুন]

Tags: কল্লোল রায়, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

নস্টালজিয়া

৩০ মে ১৯৯৫

ভবিতব্য নিজের চেনা পথ ছেড়ে পৃথক পথে হাঁটে না। সামান্য জ্ঞান তো তা-ই বলে। কিন্তু হায় রে অবুঝ মন! যাবতীয় যুক্তিতক্ককে পাত্তা না দিয়ে স্বপ্নের মরীচিকায় আশার স্রোত খুঁজে বেড়ায়। রৈখিকতার কঠিন নিয়মে, একচিলতে অসম্ভব মুহূর্তের অনুসন্ধানে গুমরে মরে। এই নিয়ে হয়তো পঞ্চাশবার ‘শোলে’ দেখছি। সেই মুহূর্তটা এসে গেল। গুলিতে মরে [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দিব্যেন্দু পাল

প্যারাডক্সের খোঁজে

উরগার চার মাথার মোড় থেকে অভ্যাসমতো গাড়িটা বাঁদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিল সুনন্দ। এটাই কোরবা থেকে রায়গড় ফেরার জন্যে ওর পছন্দের রাস্তা। সোজা গিয়ে চাঁপার থেকে হাইওয়ে ধরলে অবশ্য দূরত্বটা কিছুটা কম হয়, কিন্তু চাঁপার মোড়ে ভয়ানক জ্যামের মধ্যে পড়তে হয়। ভইস্মা থেকে তুমান লাবাড হয়ে রাস্তাটা যদিও সিঙ্গল রোড [আরো পড়ুন]

Tags: অলোক চট্টোপাধ্যায়, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

রা রি রুম

ক্রায়োজেনিক চেম্বারের ঢাকনাটা আস্তে আস্তে খুলে যেতে রা চোখে ঝাপসা দেখল। স্পেস প্রোগ্রামের একদম শুরুর দিকে এগুলো পড়ানো হয়, তাই রা ঘাবড়াল না। এই মুহূর্তে ওকে চুপটি করে শুয়ে থাকতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ পর একটু ধাতস্থ হলে সে আস্তে আস্তে উঠে বসবে।

তার হিসেবমতো পৃথিবীর হিসেবের এক বছর সে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। তার সঙ্গে আরও একজনের থাকার কথা। [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, নয়ন বসু

শর্তহীন

কী উলটো-পালটা হাওয়ার একটা দিন। মুখের, ঠোঁটের চারপাশে বিঁধছে, ঠোঁট দুটো একবার চেটে নিলেন তিনি। শীতাতপনিয়ন্ত্রক জামাকাপড় পরে বেরোলে ঠান্ডা-গরম কিছুই তেমন গায়ে লাগে না—কিন্তু মুখটাকে বাঁচানো যায় না। বড়ো কঠিন নির্দয়ী আবহাওয়া। কাঁচাপাকা চুলগুলো বিশ্রস্ত। সেই পুরোনো দিনের অধ্যাপকদের মতোই লাগে প্রফেসার আবিদকে। হেঁটে চলেছেন সুদীর্ঘ [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়

খগেনবাবুর স্পেস-টাইম

শিয়ালদা স্টেশন থেকে শেষ ট্রেনটা ধরে বাড়ি ফিরছিল দীপ্তার্ক। ডালহৌসি পাড়ার একটা মাঝারি অফিসের কেরানি। মফস্‌সলের বাসিন্দা অতএব ‘ডেইলি পাষণ্ড’। আজ হঠাৎ অফিস থেকে বেরিয়ে বাস স্ট্যান্ডে দেখা হয়ে গেল স্কুলজীবনের এক বন্ধুর সঙ্গে। প্রায় এক যুগ পরে দেখা! অতএব একটু তো গপ্প-আড্ডা হবেই! বাস স্ট্যান্ডের পাশেই একটা চায়ের দোকান, কয়েক গ্লাস চা সহযোগে [আরো পড়ুন]

Tags: অনিন্দ্য বসু, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

তৃতীয় প্রকল্প

শেষ রাতের গবেষণা

বাইরে কেবল বরফ। সাদা, ধূসর, নিঃসঙ্গতা-মাখানো একরঙা জমিন। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত—অ্যান্টার্কটিকা। রাত্রি এখানে ৭২ ঘণ্টা ধরে চলে। আর এই রাতেই, বরফের ১.৩ কিলোমিটার নীচে, কেউ একজন ঢুকেছিল একঘরে, যা গত ৪৭ বছর বন্ধ ছিল। সেই ঘরের নাম ছিল—ডিপ ক্রায়ো সেল-১৭।

ড. সায়ন্তন রায় নিজের কুয়াশা-মাখানো গগল্‌স খুললেন। তাঁর নিশ্বাস সেল্‌ফ-কন্টেইনড সুটের [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সম্রাট সরকার

নীল আলোর টর্চ

ঘুম থেকে উঠেই এ আবার কী অহেতুক ঝামেলা? মাথার পাশে একখানা পার্সেল দেখে বিরক্তই হল মল্লার। জন্মদিন এখনও মাস চারেক, বিয়ে তো তার হয়নি, যে বিবাহবার্ষিকী হবে? অ্যামাজ়নেও কিছু অর্ডার করেছে বলে মনে পড়ে না, তাহলে পার্সেলটা কীসের? বাক্‌সোটা অবশ্য একান্তই চাকচিক্যহীন। গিফট হলে নিশ্চয়ই রঙিন কাগজের প্যাকিং হত। এরপর ঘোরতর প্রশ্নটা মাথায় এল। মা-বাবা [আরো পড়ুন]

Tags: অর্ণব গোস্বামী, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

অ্যান্টিভাইরাস

মিনিট পাঁচেক পর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস অনুভব করলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসছে। উনি এখনও চোখ খুলতে পারছেন না কিংবা হাত-পা-ও নাড়াতে পারছেন না, কিন্তু কোনো এক বিশেষ ইন্দ্রিয়বলে বুঝতে পারছেন, এক উত্তপ্ত ধাতব ঘরের মধ্যে তিনি শুয়ে আছেন। নাকে এসে লাগছে গরম ধাতুর ঘ্রাণ। হালকা শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু হয়েছে তাঁর। এতটাই হালকা যে বুকের ওঠানামা নিজেই অনুভব করতে পারছেন না।

[আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সৌম্য সাহা

প্রফেসার হচপচ

জেনিদি আখ খেতে খেতে বলল, “প্রফেসার হচপচ যে অত বড়ো বিপদে পড়বেন, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।”

আমি হাঁ হয়ে তাকিয়ে পড়লাম জেনিদির মুখের দিকে।

মে মাসের সকালবেলা। আমাদের প্রকাণ্ড উঠোনে প্রকাণ্ড সবেদা গাছটার ছায়ায় বসে কথা হচ্ছে। জেনিদি একটা চেয়ারে পা তুলে বসে আখ চিবুচ্ছে, আমি তার মুখোমুখি আরেকটা চেয়ারে বসে আছি। চারদিকে কড়কড়ে রোদ। ফুরফুর [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, বাবলু ভঞ্জ চৌধুরী

মনের খোঁজ

বর্ণিল ট্রাম থেকে নেমে সামনে তাকিয়েই বেশ খুশি হল। সেই পুরোনো কাফেটা একই জায়গাতেই আছে। একদিকে বিশাল অফিসবাড়ি আর অন্যদিকে ঝাঁ-চকচকে রেস্তোরাঁর মাঝখানে কোনোরকমে পিঠ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। নামটাও এক আছে—‘জলখাবার’। এমনকি সামনের কাচের দেওয়ালে যে রংচটা পোস্টারগুলো ছিল, সেগুলোও একই আছে। কী আশ্চর্য! এ তো বহু পুরোনো পোস্টার। ওই তো একটা অর্ধেক [আরো পড়ুন]

Tags: ডা. রুদ্রজিৎ পাল, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

দি কোরিয়ার

“সারা আমাকে বাঁচাও সারা…ঘুম থেকে ওঠো” অসহায় কণ্ঠে চিৎকার করছিল ছেলেটা আর ক্রমে একটা ডিজিটাল চোরাবালির মধ্যে ডুবে যাচ্ছিল। ছেলেটার মুখটা দেখে কয়েকবার মনে হচ্ছে ভীষণ চেনা, কিন্তু স্মৃতির অতল হাতড়েও কোনো নাম উঠে আসছে না। এদিকে ছেলেটা ক্রমে তলিয়ে যাচ্ছে। এবার দেখা গেল আর একটি মুখ ,মাথায় টুপি, মূখে চাপ দাড়ি, ছেলেটা ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, পথিক মিত্র

দক্ষিণদেশ

“পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর সময়ে বেঁচে আছি। এই এক আশ্চর্য সময়। যখন আশ্চর্য বলে কোনো কিছু নেই।”

এক

ইথানের আজ ফিরতে দেরি হল। তার খেতে আবার পোকার উৎপাত শুরু হয়েছে। নিয়মমতো এক মাস আগেই স্প্রে করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে-কোনো কারণেই হোক, ভালো কাজ হয়নি। অগত্যা গাড়ি চালিয়ে পাশের শহর থেকে কেমিক্যাল কিনে এনে মুখোশ পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে সে কাজটা করল। এই [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, বিশ্বদীপ সেনশর্মা

কাউন্টডাউন

হতবুদ্ধি হয়ে আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম কনট্রোল প্যানেলের দিকে। কমিউনিকেশন মডিউলের আলোগুলো সব নিবে গেছে। শুধু একটা লাল-আলো কুটিল নিষ্ঠুর দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে আমার দিকে! না, না, না। এ হতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য বোবা হয়ে গেলাম যেন একেবারে। তারপর দু-হাতে মাইক্রোফোনটাকে আঁকড়ে ধরে আরেকবার চিৎকার করে বললাম, “হ্যালো! মিকিরা! শুনতে পাচ্ছ? হ্যা…হ্যালো?”

[আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সায়ংতরী ঘোষ

NAICA সংবাদ

ধীরেসুস্থে সিগারেটটায় শেষ টান মেরে চায়ের কাপের তলানিতে ফেলে দিল বিনয়।

সন্ধে সাতটা বাজে। নিমাইয়ের চায়ের দোকানে ভালোই ভিড় জমে উঠেছে। লুঙ্গি-ফতুয়া-পরা বুড়োর দল লাল চায়ের গ্লাস হাতে জোর তর্ক লাগিয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে। ওদিকে অফিস-ফেরত কয়েকজন ক্লান্তভাবে মোবাইল স্ক্রল করতে করতে মাটির ভাঁড়ে চুমুক দিতে ব্যস্ত। [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দেবলীনা চট্টোপাধ্যায়

ভারসাম্য

খস খস খস…

শব্দটা অচেনা।

কাজ থামিয়ে সবাইই ঘুরে তাকিয়েছিল দরজার দিকে। কিন্তু বন্ধ-হয়ে-থাকা চৌকো ধাতব দরজায় নিজেদের ছায়া ছাড়া চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না।

বাইরে কেউ এসে দাঁড়ালে দরজার সারফেসে তার ছবি ফুটে ওঠে। সে এমনকি একটা রোবো স্নিফার কুকুর হলেও।

কিচ্ছু ছিল না। অথচ খসখস শব্দটা তখনও সবাই শুনতে পাচ্ছিল।

মনিটরিং ডিভাইসে সুপারভাইজ়ার [আরো পড়ুন]

Tags: অনুষ্টুপ শেঠ, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

অভাগার স্বর্গ

“ড্যাড, তুমি যখন নীচে থাকতে, হাউ ওয়াজ় ইট?” সৌগত প্রশ্ন করল। 

বরুণ তার ছেলের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিল। দিনের শেষে এই আধ ঘণ্টা সময়ই তারা রাখতে পেরেছে নিজেদের জন্য। আবার তো খেয়ে শুয়ে পড়ো, তারপর পরদিন সকালে উঠে ফুড স্ল্যাবের একটা প্যাকেট ছিঁড়ে মুখে পুরে ছোটো অফিস এবং স্কুলের শাট্‌ল ধরতে। এই [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সোহম গুহ

ধ্বান্তারি

জ্বরে বেহুঁশ ছেলের পাশে বসে তার দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে অপেক্ষা করছি আমি। কোলের উপর রাখা আছে লম্বা গলার কাচের বোতলটা। এই বোতলটায় কুকি রাখতাম আগে, কিন্তু আজকের পর থেকে…

পাহাড়ের উপর থেকে সকালের রোদ এসে পড়ছে পুবদিকের জানালা দিয়ে, কিন্তু ঘরের তীব্র ঠান্ডা তাতে বিশেষ কমছে না। ভারী বোতলটার মসৃণ গায়ে আমার নিশ্বাস যেন [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সৌম্যসুন্দর মুখোপাধ্যায়

সরাই

“কই হে! কেউ আছ?”

অন্ধকার জঙ্গলের ওপর নেমে আসছিল নৈঃশব্দ্য। তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে, ভয়-দেখানো প্রতিধ্বনি তুলে হুংকারটা ছড়িয়ে গেল চতুর্দিকে।

“মনে হচ্ছে জায়গাটা খুব একটা সুবিধের নয়।”

জঙ্গলের মধ্যে সরাইখানাটার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল দুজন পুরুষ। ভারী কাঠ দিয়ে বানানো বাড়িটা খুব একটা উঁচু না হলেও বেশ লম্বা আর ছড়ানো চেহারার ছিল। [আরো পড়ুন]

Tags: ঋজু গাঙ্গুলী, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রবার্ট ই হাওয়ার্ড
Read more →

দ্য ক্লক দ্যাট ওয়েন্ট ব্যাকওয়ার্ড

এডওয়ার্ড পেজ মিচেল (জন্ম: ১৮৫২–মৃত্যু: ১৯২৭)

মিচেল ছিলেন সংবাদপত্রজগতের মানুষ। পেশাগত জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন সংবাদপত্রের জগতে। এমনকি ১৮৯৭ থেকে ১৯২৭ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনিই ছিলেন নিউ ইয়র্কের ‘দ্য সান’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। মানুষ তাঁকে সংবাদপত্রের লোক হিসেবেই জানত। সাহিত্যের আঙিনায় তাঁর পদচারণা অথবা জঁর ফিকশন—আর বিশেষ করে তার মধ্যে কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের ময়দানে [আরো পড়ুন]

Tags: এডওয়ার্ড পেজ মিচেল, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রুদ্র দেব বর্মন
Read more →

অনুশোচনা শূন্য শতাংশ

[ইরানের লেখক জোহা কাজেমির ১৯৮২ সালে তেহরানে জন্ম, ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। ইরানে নারীবাদী স্পেকুলেটিভ ফিকশন, কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি ইত্যাদির রচয়িতা হিসেবে জোহা কাজেমি ইতিমধ্যেই অতি সম্মানিত ও বহুলপঠিত। ১৫টির অধিক প্রকাশিত বই আছে জোহার। Death industry, Rain born ইত্যাদি উপন্যাস ইতিমধ্যেই ইরানের স্পেকু ফিক পুরস্কার ‘নুফে’ জিতেছে। বর্তমান গল্পটা নেওয়া [আরো পড়ুন]

Tags: জোহা কাজেমি, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, যশোধরা রায়চৌধুরী
Read more →

মিদোরির দম

হাজার হাজার দমের খেলা—
কোন কাহিনি আজ শোনাব তোমায়?
একদা এক তেঁতুল গাছ
দাঁড়িয়ে ছিল একা
অনেক না, শুধু একটা।
নাম-না-জানা পাখি
খুব জ্বালাবে
এমন এক বাঁদর
ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না
এমনি এক হাওয়া।
“হায় রে মানুষ, রঙিন মানুষ [তুমি]
দম ফুরাইলে ঠুস!”

কিছুদিন আগে অবধি আমি নিজেকে গাছ-মানুষ বলেই ভাবতাম, যাকে উদ্ভিদ-মানুষ বলে, ঠিক সেরকম না; আর গৃহপালিত উদ্ভিদ [আরো পড়ুন]

Tags: অলীক অনামিকা, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সুমিতা বীথি
Read more →

১৫০০৪

দেউরিয়া সদর রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর প্রদেশ

স্থানীয় সময়: 2100 Hrs

“যাত্রীগণ কৃপয়া ধেয়ান দেঁ, গোরখপুরসে চল কর, অলাহাবাদকে রাস্তে কানপুর জংশন তক জানেওয়ালি এক-পাঁচ-শূন্য-শূন্য–চার চৌরি চৌরা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্ম চার পর আ রহি হ্যায়।”

অতি পরিচিত, হালকা বিহারী-টানের ঘোষণাটি শুনেই একটা আতঙ্ক যেন আমাকে গ্রাস করে নিতে লাগল। চারদিকে এলোমেলো [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, রাকেশকুমার দাস, সামি আহ্‌মাদ খান
Read more →

মানুষ একদিন এলিয়েন

৩০৫০ সালে পৃথিবী থেমে গিয়েছে,

নদী শুকিয়ে গেছে, গাছেরা ভুলে গেছে পাতার ভাষা।

মানুষ তখন বসতি গড়েছে টাইটান গ্রহে,

তারা বলে, “এখানেই নতুন পৃথিবী, একে বাঁচাতেই হবে।”

বাতাস নাই, গাছ নাই, শুধু কৃত্রিম আলো,

শিশুরা দ্যাখে না পাখি—দ্যাখে ড্রোনের ছায়া।

ভালোবাসা এখন ইমোশন চিপে আপলোড হয়,

কাঁদতে হলে সফটওয়্যার ছাড়াই কাঁদা যায় না।

তখন এক শিশু জিজ্ঞাসা করল:

“আমরা কি [আরো পড়ুন]

Tags: দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, পার্থ বর্মন

‘আদিম মানুষ’ ও ‘ভয়ানক সার্ভে’

আদিম মানুষ

এক যে ছিল আদিম মানুষ, সালটা গেছি ভুলে,

ইয়াব্বড়ো গোঁফ, দাড়ি আর জট-পড়া তার চুলে,

গুহার থেকে বেরিয়ে সেদিন পাথর হাতে হেঁটে

খুঁজছিল সে শিকার কোথায়, খিদের জ্বালা পেটে।

হঠাৎ পায়ে ঠেকল কী তার? মুখটা করে নীচু,

দেখল পড়ে রংচঙে খুব, গোল্লামতো কিছু।

খাবার ভেবে যে মুখে দেয়, বাপ রে, সে কী শক্ত!

রাগল ভীষণ আদিম মানুষ, গরম হল রক্ত।

মারল হাতের পাথর সোজা, মারল তাতে কিলও

জানল [আরো পড়ুন]

Tags: অর্ণব ভট্টাচার্য, দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা

দুটি SFF বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়া – ‘অপারেশন ফিনিক্স’ ও ‘সময় কারাগার’

[বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখতে গিয়ে আলোচনায় কোনো স্পয়লার থেকে থাকতে পারে। তাই স্পয়লার অ্যালার্ট দিয়ে রাখলাম। যদি স্পয়লার ছাড়া বইপাঠের সুখ নিতে চান, তাহলে এই প্রতিক্রিয়া পড়বেন না।]

📕 বই: অপারেশন ফিনিক্স

✍🏻 লেখক: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য

🖌️ প্রচ্ছদ: উজ্জ্বল ঘোষ

🖨️ প্রকাশক: অরণ্যমন প্রকাশনী

📄 পৃষ্ঠা: ১৭৬

💰 মুদ্রিত মূল্য: ₹২৭৫/- (সংকলন হার্ড কভার)

🍂 বিষয়বস্তু:

[আরো পড়ুন]

Tags: অনির্বাণ ঘোষ (দীপ), দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
Read more →

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights