স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব ২)
লেখক: শুভময় ব্যানার্জী
শিল্পী:
ক্যামেরার লেন্সটা অ্যাডজাস্ট করতে করতে সোমেশ বলল, ‘স্যার, আপনি রেডি তো? আমরা কিন্তু আর তিন মিনিটের মধ্যে শুরু করব।’
অধ্যাপক সূর্যশেখর তাঁর চশমাটা ঠিক করে নিলেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি রেডি, তোমরা শুরু করো।
সোমেশ গার্গীর দিকে চেয়ে বলল, ‘তুই বরং ইন্টারভিউ এর স্ক্রিপ্টে একবার ফাইনাল চোখ বুলিয়ে নে, আমি টেকনিক্যাল ব্যাপারটা দেখছি।’ গার্গী ‘ওকে’ বলে হাতে ধরা স্ক্রিপ্টের কাগজে মনোযোগ দিল।
আজকের দিনটার একটা বিশেষ ইতিবৃত্ত আছে। সপ্তাহ খানেক হল সূর্যশেখর নিউইয়র্ক থেকে ফিরেছেন। সেখানকার বিখ্যাত কলম্বিয়া ইউনিভারসিটি থেকে তাঁর নামে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র এসেছিল। ইউনিভারসিটি সংস্থা “মলিকিউলার ইভোল্যুশন কনফারেন্স” এর আয়োজন করেছিল। পর পর তিন দিন সেখানে তাঁর লেকচার সেশন চলেছে। আমেরিকায় থাকাকালীন তিনি সোমেশের ফোনটা পান। সোমেশ তাঁর প্রিয় ছাত্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে সে রেকর্ড মার্কস পেয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। প্রোফেসর সেনগুপ্ত সেই সময়ে তাদের বায়োকেমিস্ট্রি পড়াতেন। বর্তমানে সোমেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রির ফ্যাকাল্টি। সোমেশই তাঁকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিল যে, নিউইয়র্কের লেকচারের একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তিনি যদি তাদের ইন্টারভিউ দিতে রাজি হন। তাঁর ইন্টারভিউ ছাত্রদের দেখানো হবে। সোমেশের অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি। ইতিমধ্যেই বহু ছাত্র তাঁকে ফোন করেছে। সবাই তাঁর বিজ্ঞানের গল্প শুনতে চায়। আর তা তিনি শোনাতেও ভালোবাসেন।
সোমেশের বান্ধবী গার্গীর সঙ্গে তাঁর আজকেই আলাপ। গার্গী কলকাতার একটি নিউজ চ্যানেলের সেকশন এডিটর। বেশ স্মার্ট মেয়ে। ইন্টারভিউ-এর জন্যে অনেক পড়াশোনা করে নিজেই স্ক্রিপ্ট রেডি করেছে। সূর্যশেখরের স্টাডি-রুমটা ভালোভাবে সাজান হয়েছে। ক্যামেরা ফিট করা হয়েছে, মনিটর আছে, সাউন্ড সিস্টেম চেক করা হয়েছে। সোমেশ আর গার্গী তাদের ইউনিটের লোকজন মিলে সব ব্যবস্থা করেছে।
এখন অধ্যাপক সূর্যশেখর আর গার্গী মুখোমুখি চেয়ারে। মনিটর স্ক্রিনে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে, সোমেশ বলে উঠল, ‘ক্যামেরা রেডি, টাইমার অন। অ্যাকশন।’ গার্গী স্মিত হেসে নিজের পরিচয় দিয়ে, অধ্যাপক সূর্যশেখরের একটা সুন্দর ইনট্রোডাকশন দিল। প্রশ্ন শুরু হল।
‘প্রোফেসর সেনগুপ্ত, সারা পৃথিবীতে প্রাণের উৎস ও তার বিকাশ নিয়ে চলেছে সাড়া জাগানো বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আমাদের দেহকোশের আদি উৎস এবং তার ক্রমবিকাশ নিয়ে আমরা আপনার কাছে জানতে আগ্রহী। আপনি বিশেষ করে মলিকিউলার ইভোল্যুশন বা আণবিক অভিব্যক্তি নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন। এই প্রসঙ্গে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী কথা বলে?’
সূর্যশেখর একটু হেসে বললেন, ‘দেখো, অল্প কথায় এই তত্ত্ব বোঝানো যায় না। তবে, তোমার কথার সূত্র থেকে বলি, পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি মহাসাগরের অতলে। আমরা জানি, প্রাক-জৈবিক (Pre-Biotic) পরিবেশে সৃষ্টি হওয়া আণবিক জৈব-যৌগ এবং আরএনএ অণু তৈরি হবার ফলে দুটি অতি প্রয়োজনীয় জৈবনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথমটি হল বিপাক (Metabolism) এবং দ্বিতীয়টি হল প্রতিলিপি-করণ (Replication)। তথাকথিত “কোশের” উৎপত্তি হবার সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে নিরন্তর ঘটে চলল জৈব-রাসায়নিক বিপাক ক্রিয়া। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন? কী প্রয়োজনে একটি কোশ এই কাজগুলি করবে?’ সূর্যশেখর থামলেন। একটু ভেবে বললেন, ‘আসলে কী জানো? আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, অভিব্যক্তি হল প্রকৃতির চমকপ্রদ এবং রহস্যময় খেলা। একটি কোশের প্রতিটি অণু-পরমাণুর যেন নিজস্ব চিন্তাশক্তি আছে। তারা জৈব যৌগ তৈরি করে, প্রাকৃতিক নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে জৈব-রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়, আর সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, বিক্রিয়ার ঘটানোর প্রয়োজনীয় শক্তি তারা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারে। এটিপি উৎপাদনের সাহায্যে।’
‘কিন্তু, প্রোফেসর সেনগুপ্ত, কোশের শক্তি উৎপাদন কি কোনও আকস্মিক ঘটনামাত্র? নাকি এর কোনও আলাদা বৈজ্ঞানিক ইতিহাস আছে?’ গার্গীর প্রশ্ন।
‘ভালো প্রশ্ন করেছ। প্রাক-জৈবিক পরিবেশে, সমুদ্রের জলে অজৈব খনিজ লবণের পরিমাণ যথেষ্ট ছিল। ফলে, কোশের উপাদান গঠন আর শারীরবৃত্তীয় কাজ পরিচালনার শক্তি, আমাদের “আদিম কোশ” চারপাশের পরিবেশ থেকেই সংগ্রহ করত। কিন্তু, ভেবে দেখো, ওই পারিপার্শ্বিক উপাদানগুলি সবসময়ে এক অবস্থায়, এক পরিমাণে থাকে না। তাদের ঘনত্ব, স্থায়িত্ব সবকিছুই সদা পরিবর্তনশীল। তাই জৈবিক কোশের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে খুব প্রয়োজন ছিল একটি স্থিতিশীল আভ্যন্তরীণ পরিবেশের। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় “হোমিওস্ট্যাসিস” বলে। আর কোশের ভিতর সর্বক্ষণের জন্যে এই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই দরকার হয়ে পরেছিল স্বকীয় শক্তি উৎপাদনের।’
‘ভেরি ইন্টারেস্টিং, প্রোফেসর সেনগুপ্ত। এখন আমরা একটু জানতে চাইব, আমেরিকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া “মলিকিউলার ইভোল্যুশন কনফারেন্স”-এ আপনি কী বিষয়ে বক্তৃতা রেখেছিলেন। আমাদের ছাত্ররা এই বিষয়ে জানতে খুবই আগ্রহী।’ গার্গীর অনুরোধ।
‘অবশ্যই বলব। সে এক মজার ব্যাপার। তুমি ড. লিনমারগুলিস-এর নাম শুনেছ? কোশ অভিব্যক্তির একজন নামকরা বৈজ্ঞানিক। প্রথমে আমাকে তাঁর গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে বলা হয়েছিল। তাঁর কাজ নিয়ে পড়াশোনা করার সময় এক অদ্ভুত বিষয়ের সন্ধান পেলাম। ব্যাপারটা একটু খুলে বলি, ড. মারগুলিস সারাজীবন গবেষণা করে দেখেছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাকটেরিয়া হল আর্কিব্যাকটেরিয়া। একটি প্রোক্যারিওটিক কোশ। তার থেকে ইউক্যারিওটিক বা আধুনিক কোশের জন্ম হয়। আবার আমরা বর্তমানকালে যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া দেখি তা হল প্রক্যারিওটিক ইউব্যাকটেরিয়া। সেটি আর্কিব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে অভিব্যক্তির ভিন্ন শাখায় বিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু, এসবের বহু আগে, প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে প্রোক্যারিওটিক কোশের জন্মদাতা ছিল— লুকা (LUCA)। আর সেটা নিয়েই শেষ পর্যন্ত আমি লেকচার দিলাম।’
‘লুকা কী প্রোফেসর?’
‘সে ব্যাপারে বলতে গেলে, আর একটি জিনিস আমাদের জেনে নিতে হবে। তা হল, কোটি কোটি বছর আগের প্রাচীন সব কোশের কথা আমরা জানতে পারছি কীভাবে? আসলে, এর সৌজন্যে আছে এক যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। যার নাম “সেকেন্ডারি আয়ন মাস স্পেকট্রোমেট্রি” বা SIMS। এই পদ্ধতির সাহায্যে কোটি বছর আগের কোনও কোশের কার্বন অণুর আইসোটোপ নিয়ে পরীক্ষা করে অনায়াসে সেই কোশের বয়স বলে দেওয়া যায়।’
‘বলেন কী, এত বছরের পুরোনো আইসোটোপের এত ক্ষমতা?’
‘সব আইসোটোপের নয়। কার্বন আইসোটোপ দীর্ঘস্থায়ী। আর আমরা জানি কোশের গঠনগত মূল উপাদান হল কার্বন।’
‘আচ্ছা, বুঝলাম। এবার আমরা লুকার গল্পটা শুনব।’ গার্গী মনে করিয়ে দিল।
‘ও, হ্যাঁ। লুকা। লুকার পুরো নাম হল, লাস্ট ইউনিভার্সাল কমন অ্যানসেস্টর (LUCA), এখনও পর্যন্ত আমাদের জানা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সজীব কোশের পূর্বপুরুষ।’
‘তাহলে লুকার মধ্যেই ঘটেছিল প্রথম প্রাণের স্পন্দন?’ গার্গী জিজ্ঞাসা করল।
‘সেটা ভেবে নেওয়া বোধহয় ঠিক হবে না। এই প্রসঙ্গে ইভল্যুশনের প্রবাদ-পুরুষ চার্লস ডারউইন সাহেবের একটি কথা আমার মনে পড়ছে। ১৮৫৯ সালে, তিনি তাঁর “অরিজিন অফ স্পিসিস” বইতে লিখেছিলেন:
“Therefore, I should infer from analogy that probably all the organic beings which have ever lived on the earth have descended from someone primordial form into which life was first breathed.”
সুতরাং, সবকিছু বিচার করলে দেখা যায়, ওই লুকার সৃষ্টির অনেক আগেই পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন ঘটেছিল। কিন্তু, বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে লুকা-ই হোল একমাত্র আমাদের এখনও পর্যন্ত জানা আদিম কোশ যার থেকে কোশের বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়।’
‘প্রোফেসর, আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগছে। আমরা জানি, ১৯২৯ সালে বৈজ্ঞানিক ওপারিন আর হ্যালডেন-এর সাড়া-জাগানো মডেল ছিল, “কোয়াসারভেট”। যার থেকে মনে করা হত সজীব কোশের বিবর্তন হয়েছে। তার সঙ্গে “লুকা”-র ফারাক কোথায়? এই দুটি মডেলই তো মনে হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে এক।’ গার্গীর প্রশ্ন।
‘না, কখনওই এক নয়। “কোয়াসারভেট” হল, জৈব অণু সমন্বিত এক ধরনের কলয়েডমাত্র। যা তার চারপাশের জলীয় পরিবেশের থেকে স্বতন্ত্র। মজা হচ্ছে, ল্যাবরেটরিতে জিলেটিন পলিপেপটাইডের সঙ্গে কোনও পলি ইলেকট্রোলাইট যেমন, গাম-অ্যারাবিক এর মিশ্রণে যে কলয়েড সৃষ্টি হবে, তাকে অনায়াসেই “কোয়াসারভেট” বলা যায়। এর কিছু বিশেষ ক্ষমতা থাকে। যেমন “কোয়াসারভেট” তার চারপাশ থেকে কিছু সরল জৈব অণুকে সহজেই শোষণ করতে পারে। নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে— অনেকটা অ্যামিবার মতো। এ ছাড়া, ভ্যাকুওল তৈরি করতে পারে, এমনকী বিভাজিতও হতে পারে। অর্থাৎ, একটি সজীব কোশের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে থাকে। কিন্তু, সুশৃঙ্খল জৈব-রাসায়নিক বিপাকক্রিয়া (Organized Bio-Chemical Metabolism) ঘটানো এবং প্রজনন ক্ষমতা তার মধ্যে নেই। আধুনিক কালের ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বারনাল বলেছিলেন, “কোয়াসারভেট” হচ্ছে, সজীব কোশের সবচেয়ে কাছাকাছি একটি “অবস্থা”। কিন্তু, তার মধ্যে জীবনের বৈশিষ্ট্যসমূহ অনুপস্থিত। আর লুকা হল, সজীব কোশ। যার বিপাক ও প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। আসলে, অজৈব পরিবেশ আর সজীব পরিবেশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেছে, এই লুকা।’ সূর্যশেখর থামলেন।
‘তাহলে প্রোফেসর সেনগুপ্ত, আমরা ধরে নেব যে লুকা-ই হোল সরলতম প্রাচীন কোশ, যার থেকে পরবর্তীকালে নানা জটিল ও উন্নত কোশ সৃষ্টি হয়েছে?’
সূর্যশেখর হেসে বললেন, ‘বিবর্তনের প্রতিপদে বিভিন্ন প্রশ্ন। দেখো, সাধারণভাবে আমরা মনে করি প্রাচীন কোনও কোশ মানেই কাজ আর গঠনের দিক থেকে সরল। আসলে তা মোটেই নয়। আমাদের পরিচিত বহু আধুনিক কোশের চেয়ে, লুকা ছিল অনেক বেশি জটিল।’
‘আচ্ছা, লুকার থেকে পরবর্তীকালে বিবর্তনের পথে, কোন কোন জীবের উৎপত্তি হয়েছে?’ গার্গীর আগ্রহী প্রশ্ন।
‘এই ব্যাপারে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। তবে সবচেয়ে আধুনিক মত অনুযায়ী, লুকা-র হাত ধরে এসেছে ভাইরাস এবং পরে ব্যাকটেরিয়া।’
‘বলেন কী? এ তো সম্পূর্ণ নতুন তথ্য! লুকা থেকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি না-হয় ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস? সে তো সজীব আর জড় বস্তুর মাঝামাঝি, সজীব কোশ থেকে তার উৎপত্তির রহস্য কী?’ গার্গীর গলায় উত্তেজনার ছোঁয়া।
‘সেই রহস্য বুঝতে গেলে তোমাদের আর একটা ইন্টারভিউ এপিসোড করতে হবে। অনেক কিছু বলার আছে। তবে একটা ব্যাপার সংক্ষেপে বলে রাখি, আমাদের এই লুকার জন্মেরও বহু সময় আগে এসেছিল লুকা-সদৃশ আর একটি কোশ। তাকে আধুনিক বিজ্ঞানীরা পূর্ববর্তী লুকা (Earlier LUCA) বলে অভিহিত করেন। আর সেই কোশ থেকেই তৈরি হয় প্রাচীন প্যান্ডোরা ভাইরাসের। আরও কিছুকাল পরে জন্ম নেয় বিশাল আকৃতির মেগা-ভাইরাস। এই সমস্ত ভাইরাসের উৎপত্তি আর পৃথিবীতে তাদের বিস্তৃতি— সে আর এক দারুণ গল্প।’
ক্যামেরার ওপাশ থেকে সোমেশ বলে উঠল, ‘কাট। একটা কফি ব্রেক নেব স্যার। তারপর ইন্টারভিউয়ের বাকিটা শুরু করব।’
সূর্যশেখর ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। তা-ই তো, সকাল থেকে কারোরই কিছু খাওয়ার সময় হয়নি। সোমেশ-গার্গীকে নিয়ে একটা ভালো ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে কফি খাবার প্ল্যান তাঁর মাথায় এল।
(ক্রমশ)
তথ্যসূত্র:
- McInerney JO, O’Connell MJ. Microbiology: Mind the gaps in cellular evolution. Nature. 2017;541(7637):297‐299. doi:10.1038/nature21113
- Woese CR. On the evolution of cells. Proc Natl Acad Sci U S A. 2002;99(13):8742‐8747. doi:10.1073/pnas.132266999
- Lynch M, Field MC, Goodson HV, et al. Evolutionary cell biology: two origins, one objective. Proc Natl Acad Sci U S A. 2014;111(48):16990‐16994. doi:10.1073/pnas.1415861111
- Suárez-Díaz E. Molecular Evolution in Historical Perspective. J Mol Evol. 2016;83(5-6):204‐213. doi:10.1007/s00239-016-9772-6
- Weiss MC, Preiner M, Xavier JC, Zimorski V, Martin WF. The last universal common ancestor between ancient Earth chemistry and the onset of genetics. PLoS Genet. 2018;14(8):e1007518. Published 2018 Aug 16. doi:10.1371/journal.pgen.1007518
- Cornish-Bowden A, Cárdenas ML. Life before LUCA. J Theor Biol. 2017;434:68‐74. doi:10.1016/j.jtbi.2017.05.023