বাতাসে স্বপ্ন ভাসে
মাথায় তীব্র একটা যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙল মোহরের। কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। জমাট নিরেট অন্ধকার। ওঠার চেষ্টা করেও পারল না। হাত পা নড়ছে না। নরম কাদা কাদা কোন জায়গায় ও শুয়ে আছে। আমি কোথায়, কি করে এলাম? ভাবার চেষ্টা করল। নিরেট অন্ধকারের মতো নিরেট নিস্তব্ধতা। অগত্যা মোহর আবার চোখ বুজে ফেলল। যেখানে চেষ্টা করে লাভ নেই সেখানে বিনা চেষ্টায় পড়ে থাকাই ভাল। অযথা শক্তি ক্ষয় করে কী হবে?
Read More
ফর্মুলা ১৬
ভানুদার ধনকাকার বিস্ময়কর গবেষণার কথা যদিও যাকে বলে প্রকাশিতব্য নয়, তবু এমন মূল্যবান তথ্য থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা কত বড় অন্যায় কাজ হবে, শুধু সেই কথা ভেবেই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে না হলেও, মোটামুটি সব কথা ফাঁস করে দিচ্ছি। তবে বলা বাহুল্য, নামধাম ইত্যাদি সমস্তই আমার কল্পনাপ্রসূত। কারণ পাত্রপাত্রীদের কেউ কেউ বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে অমরত্ব দাবি করতে [আরো পড়ুন]
Read More
কলাবতী
পর্ব এক
অনেকক্ষণ ধরে বাড়ির সামনে পায়চারি করছে একটা লোক। তিনবার কলিং বেল বাজিয়েছে। ভেতরে আওয়াজ গেছে কি না বোঝার উপায় নেই। বাইরে এত হাওয়া চলছে যে কান-মাথা সব মোটা টুপিতে বন্ধ। কিন্তু ওপাশের বাড়ির জানলা দিয়ে ইতিমধ্যেই উঁকি দিয়েছে একটা মুখ। এদিকের বাড়ির ঝোলানো বারান্দায় এসে ভৌ ভৌ ডাকে বিরক্তি প্রকাশ করেছে আর্নল্ডের টেরিয়ারটা। কি যেন নাম ছিল, টিয়া বলেছিল। [আরো পড়ুন]
Read More
নীল গিনিপিগ
(১)
গ্রীষ্মের দাবদাহে শহরবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিছু বছর আগেও কলকাতায় এত গরম শোনা যেত না। টেম্পারেচারের পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে। ঘরে এসি লাগানো এখন আর বিলাসিতা নয়। কৃষ্ণেন্দুদের দমদমের কলোনি এলাকাতেও এখন ফিনান্সে লোকে এসি কিনছে। কৃষ্ণেন্দু সামনের মাসে মাইনে পেলে এসি কিনবে। রাতে কোনওরকমে হাঁসফাঁস করতে করতে ঘুমানো। ভোর পাঁচটায় মোবাইলে অ্যালার্ম [আরো পড়ুন]
Read More
বনলতা
আবার সেই পিঁ-পিঁ বিপ-বিপ শব্দ। আবার হচ্ছে সেই – মাথার মধ্যে কানের মধ্যে। অসহ্য যন্ত্রণায় যেন ফেটে যাচ্ছে সারা শরীর। রোজ কি একই সময়ে এটা হচ্ছে? এই নিয়ে কদিন যেন হল? তিন দিন, না কি চার দিন? ছুঁচ ফুটছে শরীরের সব নরম জায়গায়।
সে দম বন্ধ করে থাকলো কয়েক মিনিট। তাও মুক্তি কই! পরের স্টপেই নেমে পড়তে বাধ্য হল না পেরে। আর নামতেই তুমুল বৃষ্টি; এই নভেম্বরে বৃষ্টি! যেন [আরো পড়ুন]
Read More
বীজ
শবনম্ খুব ভালো আদর করে। আনন্দ এই আদরের সময় সব কিছু ভুলে যায়। ওর কাজ, ওর হেরে যাওয়া, রেজাল্ট ভালো না হওয়া, মায়ের মানসিক দুর্বলতা, বাবার বীভৎস মৃত্যু… সব কিছু। কিন্তু বিয়েটা ওদের দুজনের কিছুতেই করা হবে না। শবনম্ আনন্দর গলার কাছে নাক ঘসতে ঘসতে বলে, “তোর বাবা যদি বেঁচে থাকত তাহলে আমি কিছুতেই তোকে ছাড়তাম না।” আনন্দ জানে, মা শবনম্-এর কথা জানতে পারলেই আবার [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ
ও আমার দিকে তাকালো। না না, আমি আমার দিকে তাকালাম। ওর চোখে ঘৃণা। আমি আমাকেই ঘৃণা করছি এখন। বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে? চলুন, বরং আমি ওয়ান, আমি টু করে বলি আমাদের। আমার এই দ্বিতীয় আমির বয়স প্রথম আমার থেকে এক ইয়ুথ ইয়ার কম। আমি টু হলাম আমি ওয়ানের ক্লোন। যৌবনে পা দিয়ে আমি নাম্বার ওয়ান প্রথম যখন প্রেমিকাকে আদর করতে করতে জানতে পেরেছিলাম আমার পক্ষে ওকে সুখী করা সম্ভব নয়, [আরো পড়ুন]
Read More
পাল্টা
একটা বিশেষ রকমের কাচের জার। গোলাকৃতি। লম্বাটে গলা। অর্ধেক একধরনের প্রিজারভেটিভ ফ্লুইডে ভর্তি। হালকা সবুজ। ঠাহর করে দেখলে বোঝা যায়, সবকটি কাচের জারের মধ্যে রয়েছে একটি করে ভ্রূণ। কোনওটিই মৃত নয়। তরলের মধ্যে ভাসমান ওই হালকা সবুজ রঙের একটি করে ডিম্বাশয়। ভ্রূণগুলি ওই কৃত্রিম ডিম্বাশয়ের মধ্যে চমৎকার বেড়ে উঠছে। তাপমাত্রা অবিকল মানবদেহের এবং অন্যান্য [আরো পড়ুন]
Read More
লাল শৈবাল
মঙ্গল গ্রহ: সন ২১১৮
চারপাশে সুনসান নিরবতা মাঝেমাঝে ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে যানবাহনের মৃদু বা তীব্র গুঞ্জন। আজকাল সবাই যান্ত্রিক কোলাহল শুনেই অভ্যস্ত। স্টেডিয়ামের ওপাশটায় বিদঘুটে সব মিউজিক বাজানোর জিনিসপত্র এনে জড়ো করা হচ্ছে, কীসের নাকি কনসার্ট হবে। গতানুগতিক ঝক্কি ঝামেলা, ইলেকট্রিক তারের সুরবেদনা আর খানিক লম্ফঝম্প। বাঙালি পাড়ার মাঝ বরাবর দিয়ে টানা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রতিবিম্ব
১
নতুন বাড়িটা বেশ ভালো লেগে গেল অভয়ের। অভয় একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, ও এই শহরে এসেছে ওর পি.এইচ.ডি কমপ্লিট করতে। ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা না পাওয়ায় ও শেষ পর্যন্ত এই বাড়িটা ভাড়া নিতে বাধ্য হল। বাড়িওয়ালা ভদ্রলোক সুধীনবাবু বেশ অমায়িক। নিজে রিটায়ার্ড মানুষ, বাড়িতে বউ আর ছেলে;ছেলে চাকরি করে। ভদ্রলোক বেশ রসিক লোক, গল্প গুজব করতে খুব ভালোবাসেন। [আরো পড়ুন]
Read More
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
[১]
প্রায় আট নয় বছর পরে নির্ঝরকে দেখে সেদিন আমার চিনতে এতটুকু অসুবিধা হয়নি। নির্ঝরকে আমি লাস্ট দেখেছি সেই জেলাস্কুল থেকে ও যখন পাশ করে বেরোল, তারপর ও কলকাতা চলে গেল এগারো বারো ক্লাস পড়তে আর সেই থেকে সব যোগাযোগ সব বিছিন্ন। তখন মোবাইল বা আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার এই আধিপত্যও ছিল না, সুতরাং বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গুলোকে নদীতে বিসর্জন দেওয়া ছাড়া [আরো পড়ুন]
Read More
বিশ্বপ্রাণ
–১–
আজ এখন
ধীরে জ্ঞান ফিরে আসছিল লুসিফারের। মাথার পিছন দিকে প্রচণ্ড ব্যথা। তার চোখ বাঁধা, হাত-পাগুলো নাড়ানোর প্রশ্নই নেই, কারণ শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে হাত-পাও বাঁধা। সে বুঝতে পারল গাড়ির ট্রাঙ্কে ভরে কোথাও নিয়ে চলেছে লোকটা বা লোকগুলো। লোকটা একা ছিল না, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে চলে এসেছিল ওর শাকরেদরা! লুসিফার সাবধান হওয়ারও সময় পায় নি!
লোকগুলো খুব একটা পাকাপোক্ত [আরো পড়ুন]
Read More
নরকোচিত
১
রোদের তীব্রতায় চোখ মেলে তাকানো যায় না। হাত দিয়ে চোখ আড়াল করে রাখতে হয়। আকাশ ভয়াবহ নীল। বউ বাচ্চা বাসায় রেখে পিঠে ছোট্ট কালো ব্যাগটাকে সঙ্গী করে এতো দূরে যেতে মন চাইছে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে যেতেই হচ্ছে।
তাছাড়া আমাদের জীবনে নতুন অতিথি এসেছে। জীবন এখন আর আগের মত খামখেয়ালি করে চালানো যাবে না। এলিসাও এখনো সুস্থ হয়ে ওঠে নি। ওর জন্যেও ভালো মন্দ খাবার [আরো পড়ুন]
Read More
৩০২২-এর দিনগুলি
“পার্থপ্রতিম রায়চৌধুরী” – এই নামটাই রাখছেন শেষমেষ?”
“আজ্ঞে হ্যাঁ, আর ওই পেশাটা করুন ডাক্তারবাবু।”
“কেন মশাই? সাধ করে বাঁশ দিতে চাইছেন ছেলেটাকে? তার চে ভালো বুদ্ধি দিই, পলিটিশিয়ান করে দিন মশাই, হাপুস হুপুস করে রোজগারোবে!”
“বলছেন?”
“বলছি নয়, দেখছি! যাক গে, সে আপনার ব্যাপার মশাই। আজ বিকেলের ভেতর জানান, সিকোয়েন্সিংটা কমপ্লিট হয়ে গেলে আমরা নিউ মডিফিকেশনে [আরো পড়ুন]
Read More
ফাঁদ
চারিদিক অন্ধকার। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি দেখতে পেলেন এক নারীর অবয়ব। শুয়ে আছে চুপ করে।
দেখে মনে হয় সে মারা গেছে অনেকক্ষণ আগেই।
কিন্তু তাঁকে দেখে ছটফট করে উঠল সেই নারী। সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল চারপাশের দৃশ্যপট। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন তাঁর প্রিয় রিভলভিং চেয়ারের উপরে।
বিচ্ছিরি স্বপ্নটা মাঝেমাঝেই তাড়া করে তাঁকে। বিশেষ করে [আরো পড়ুন]
Read More
রক্তে রাঙানো
(১)
প্রায় বছর পনেরো আগের কথা, জলের দরে মফঃস্বলে এই বিরাট বাড়িটা কিনে নিয়েছিলেন আমার বাবা, জন্মে অবধি ভাড়া বাড়িতে জীবনের আঠারোটা শীত বসন্ত পার করে দেওয়ার পর অবশেষে মা বাবার সাথে এই প্রাসাদোপম বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিলাম।
মাসখানেক আগে এ বাড়ির মালিক গত হয়েছেন, পরবর্তী প্রজন্ম প্রবাসী, বৃদ্ধের দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার পর ঘাড়ের উপর থেকে জন্মভিটের বোঝা সুযোগ্য [আরো পড়ুন]
Read More
ঘাতক
“হে সর্বশক্তিমান থরের বংশধর, হে মহাধিপতি হেরন, তবে কি আমরা বসে বসে মার খাব? যুগযুগ ধরে বরফ গলার সময় ওরা আসছে। কিন্তু কোনওদিন আমরা অত্যাচারিত হইনি। উল্টে আমাদের চিরচারিত রীতি মেনে আমরা ওঁদের সমস্তরকম সহযোগিতা করে চলেছি। কতদিন, আর কতদিন এই আক্রমণ মেনে নেব?”
“শান্ত হও ওলাফ, ধৈর্য ধরতে শেখ। ভুলে যেও না আমরা ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ বীর ওডিন পুত্র থরের বংশধর। এই ধরিত্রীকে [আরো পড়ুন]
Read More
বৃক্ষোভ
চুপচাপ বসে আকাশ দেখছিল সে। নীল আকাশটাকে খুবই অদ্ভুত লাগে তার। এইজন্য সময় পেলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে ও। অবসর সময়ের কাজ আর কি!
তবে আজকের কথা ভিন্ন। অসুস্থতা, ক্ষুধা আর বিষন্নতাতে জর্জরিত হয়ে প্রায় আধমরা অবস্থাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বাস্তবকে ভুলতে চাইছে সে। সন্ধ্যা হতে চলেছে প্রায়। ক্রমাগত রক্তিম লাল রঙ ধারণ করতে থাকা আকাশের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন [আরো পড়ুন]
Read More
অন্ধকারের উৎস হতে
অন্ধকারের উৎস হতে
লেখক – সৌম্য সুন্দর মুখোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
আমাকে হাসতে দেখে ফকির আলি রেগেই গেল। বলল, “আপনারা এসবের কতোটুকু জানেন? এই শহরের অফিস আর বাড়ি আর টুকটাক দোকানপত্র আর ছুটিছাটায় পুরী কি সিমলা কি দার্জিলিং—আপনাদের দুনিয়া তো এইটুকুই।”
তার ধমক খেয়ে আমি হাসি কমালাম। ফকির আলি লোকটি বেশ ভালো; আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত আছে। তার বদগুণ [আরো পড়ুন]
Read More
ছায়া-কায়া
ছায়া-কায়া
লেখক – লুৎফুল কায়সার
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বেশ আলো-আধাঁরিময় পরিবেশ। বিশাল ঘরটাতে হালকা হলুদ রঙয়ের ডিমলাইট জ্বলছে। পুরো ঘর জুড়ে অনেকগুলো পুরুষ ম্যানিকুইন দাঁড় করিয়ে রাখা। আবছা আলোতে এই ম্যানিকুইনগুলোর দিকে তাকালে শরীরটা কেমন যেন শিউরে ওঠে!
এই আধো আলোতেই সমানে পিৎজা খেয়ে চলেছেন ওসমানী সাহেব। সামনে বসে থাকা পিৎজা-বয়টি একাধারে অবাক, বিরক্ত এবং কিছুটা ভীত!
Read More
পিঁপড়ে
পিঁপড়ে
লেখক – অদ্রীশ বর্ধন
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
পিঁপড়ে, শুধু পিঁপড়ে। মস্ত হলঘরের যেদিকে তাকানো যায়, কেবলই পিঁপড়ে। রঙীন পিঁপড়ে—বিরঙ পিঁপড়ে, রাক্ষুসে পিঁপড়ে—লিলিপুট পিঁপড়ে, নিরামিষপ্রিয় পিঁপড়ে—আমিষলোভী পিঁপড়ে, বিষাক্ত পিঁপড়ে—নির্বিষ পিঁপড়ে। কাচের শোকেসে পিঁপড়ে, তারের খাঁচায় পিঁপড়ে, জলঘেরা দ্বীপে বন্দী পিঁপড়ে, [আরো পড়ুন]
Read More
ওরা হারিয়ে যায়
ওরা হারিয়ে যায়
লেখক – অয়ন অধিকারী
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বৃষ্টিটা একটু ধরেছে এই বিকেল থেকে। লাগাতার দু-দিন ধরে এক নাগাড়ে হচ্ছে তো হচ্ছেই। মুষলধারে নয়, টিপ টিপ করে কিন্তু বিরামহীন ভাবে। এইরকম প্যাচ প্যাচে ওয়েদারে শরীরটাও ভীষণ ম্যাজ ম্যাজ করছে শিউলির। ম্যাদা মেরে বিছনায় গা এলিয়ে পরে থাকতে মন চায়। তবে মন চাইলেই তো হবে না, পেটের টান যে বড় টান। [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিবাই
অ্যালিবাই
লেখক – পরাগ ভূঞ্যা
অলংকরণ – সুমিত রায়
এক
শব্দটা অনেকক্ষণ ধরে কানে বাজছে। টেবিলের ওপর ঘন ঘন আঙ্গুল চাপড়ানোর শব্দ।
সিলিং থেকে ঝুলন্ত ল্যাম্পের আলো এসে গোল হয়ে টেবিলের ওপর পড়ে ম্রিয়মাণ হয়েছে অন্ধকারে।
উফফ… শব্দটা ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। ইচ্ছে করছে টেবিলের ওপর রাখা পেনটা নিয়ে ঢুকিয়ে দিই সামনে বসে থাকা লোকটার মেদভর্তি ঘাড়ে। খুব [আরো পড়ুন]
Read More
বীজ
বীজ
লেখক – অরুনাভ গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
যদি একটি চিত্রনাট্যের মতন দৃশ্যের পরে দৃশ্য দিয়ে আমরা সাজিয়ে নিই পরপর ঘটতে থাকা ঘটনাগুলিকে তাহলে প্রথমেই দেখব…
স্কাইস্কেপ জুড়ে ওরা দাঁড়িয়ে। সার বেঁধে। ওরা ঘুমোচ্ছে। রাত ঘন। এখন অন্ধকার চাপ বেঁধে আছে। খন্ডিত মৃতদেহ থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের মতো। চাপ বেঁধে আছে। চারিদিকে নৈঃশব্দের [আরো পড়ুন]
Read More
জানালা
জানালা
লেখক – যশোধরা রায়চৌধুরী
অলংকরণ – সুমিত রায়
নীরজার ঘুম ভাঙল একদম নতুন একটা জায়গায়। আগে পিছে আশেপাশে কোথাও কিচ্ছুটি নেই। আধখোলা চোখে মিটিমিটি চেয়েও একটা কোনও জিনিস চোখে পড়েনি। তাছাড়া নীরজা তো নীরজার জিনিসদের জানে, চেনে। ও তো জানে ওর সব জিনিস এলোমেলো থাকে। লাট খেয়ে খাটের একপাশে থাকে বিছানার চাদরটা। শুতে যাবার আগে কোনওওমতে সরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
রোঁয়া
রোঁয়া
লেখক – শাম্ব চ্যাটার্জী
অলংকরণ – সুমন দাস
॥১॥
ক্রিং…ক্রিং…। রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে থানার ফোনটা পরিত্রাহি চিৎকার আরম্ভ করলো। হেডকনস্টেবল রামহরি সেই শব্দে টুল থেকে টাল খেয়ে পড়ার মুখে কোনওমতে সামলে নিয়ে, তড়িঘড়ি ফোনের কাছে গিয়ে রিসিভার তুলতে ওপাশ থেকে ত্রস্তস্বরে এক পুরুষকণ্ঠ ভেসে এলো, “হ্যালো, এটা কি শিলিগুড়ি থানা? [আরো পড়ুন]
Read More
আগন্তুক
আগন্তুক
লেখক – অনির্বাণ সরকার
অলংকরণ – অনির্বাণ সরকার
২৩ মে, সাল ২০৪০, রাত ১২ : ৪০ এ.এম। হয়তো আজই আমার শেষ দিন। কাকতালীয়ভাবে আজ আমার জন্মদিনও। দু’বছর আগে পৃথিবী থেকে আমরা তিনজন নভশ্চর ইসরোর এই অত্যাধুনিক মহাকাশযানে রওনা হয়েছিলাম। এখন আমাদের মহাকাশযানটি বৃহস্পতির কাছে এক অজ্ঞাত ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন। সৌরঝড় ও তা প্রতিহত করার বৈজ্ঞানিক [আরো পড়ুন]
Read More
কে তুমি
কে তুমি
লেখক – রণেন ঘোষ
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
শ্রী রণেন ঘোষ জানুয়ারী ১, ১৯৮১
১৫, লিন্টন ষ্ট্রীট,
কলকাতা – ৭০০০১৪
মহাশয়,
আপনার লেখা ‘সময়ের রূপ’ ফেরত পাঠালাম। গল্প হিসেবে ছাপার উপযুক্ত বটে, কিন্তু তবুও ছাপা গেল না। কারণ গল্পটা ঠিক বোধহয় আপনার নয়। ১৯৬২ সালে ‘আশ্চর্য’ পত্রিকায় প্রথম [আরো পড়ুন]
Read More
ডরোথি
ডরোথি
লেখক – অর্ণব দাস
অলংকরণ – সুমিত রায়
আজকাল একদম ভালো লাগছে না শান্তনুর ব্যবহার। যখন তখন জড়িয়ে ধরে। তখন শরীরের প্রতিটা খাঁজে ওর হাত আর ঠোঁট খেলা করে। প্রতিটা রাতে শরীরটাকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিজেকে অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত করতে চায় শান্তনু। হ্যাঁ, সময় সময় ভালো লাগে ব্যাপারটা। কি এক অজানা শিহরন খেলা করে যায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু তাই বলে [আরো পড়ুন]
Read More
রোহিণী
রোহিণী
লেখক – পার্থ সেন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
বাক্যহীন প্রাণীলোক-মাঝে
এই জীব শুধু
ভালো মন্দ সব ভেদ করি
দেখেছে সম্পূর্ণ মানুষেরে;
দেখেছে আনন্দে যারে প্রাণ দেওয়া যায়
যারে ঢেলে দেওয়া যায় অহেতুক প্রেম,
অসীম চৈতন্যলোকে
পথ দেখাইয়া দেয় যাহার চেতনা।
বারেলি থেকে দুধওয়া পৌঁছতে আমার সন্ধ্যে হয়ে গেল। আমার হোটেলটা পালিয়াকালান বলে একটা জায়গায়। অপূর্ব [আরো পড়ুন]
Read More
পোকা
পোকা
লেখক – রাজকুমার রায়চৌধুরী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
১
কমপিউটার টেবিলের তলা পরিষ্কার করতে গিয়ে অংশুমান বাবু পোকাটা প্রথম লক্ষ করেন৷ বিটল্ জাতীয় পোকা৷ অংশুমান প্রথমে ভেবেছিলেন লেডিবার্ড জাতীয় বিটল্৷ কিন্তু লেডিবার্ডের স্পট এটার গায়ে নেই৷ ঝাঁটা দিয়ে পোকাটা তাড়াবার কথা মনে হলেও ভাবলেন থাক৷ পোকাটা দেখতে বেশ টকটকে লাল, [আরো পড়ুন]
Read More
ইলোভাক
ইলোভাক
লেখক – অমিতাভ রক্ষিত
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
১
আমাদের ‘দূরপাল্লার জাহাজ’টা ওয়ার্ম হোল থেকে বেরিয়ে স্পিড কমাল একটু। তারপরে সেটা ডানদিকে সামান্য একটু কাত হয়ে যেতেই ছবিতে হাজার বার দেখা, নীল-সবুজে মেশানো ‘ইলোভাক’-এর গোলাকার অবয়বটা চোখে এল। কী অপূর্ব দৃশ্য! এখানে মহাকাশ আমাদের মতন অত কালো দেখায় না। ‘ইলোভাক’-এর কাছাকাছি অঞ্চলে গ্রহ-নক্ষত্রের [আরো পড়ুন]
Read More
বৃত্ত
বৃত্ত
লেখক – দেবলীনা পন্ডা
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
স্টিয়ারিং-এর ওপর হাত রেখে ঘড়িটা দেখল মেহুল। সাতটা দশ। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টিটা হয়েই চলেছে, ধরার কোনও নাম নেই। আর হবে নাই বা কেন, আজ তেরই অগাস্ট হয়ে গেল। কলকাতাটা এইসময় ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি, রাস্তায় উপচে আসা নর্দমার জল আর প্যাচপেচে কাদায় ভরে থাকারই কথা! তাদের কপালটাই খারাপ। কোথায় ভেবেছিল ডিসেম্বরে [আরো পড়ুন]
Read More
যতিচিহ্ন
যতিচিহ্ন
লেখক – সোহম গুহ
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ভাষা একটা দুস্তর ব্যবধান হওয়ায় মাওরী সর্দারের কথা ক্যাপ্টেন জেমস কুক বুঝতে পারছিলেন না। কিন্তু গ্রামের মাঝে গোটা রাত জ্বলা অগ্নিকুণ্ডের থেকে উঠে আসা পোড়া মাংসের গন্ধ তাঁকে একটা কথাই বলছিল। এখানে মানুষের মাংস মানুষ খায়। গ্রামের আদিম পরিবেশের থেকেও তাঁর মনোযোগ বেশি আকৃষ্ট করেছিল সর্দারের গায়ের বিচিত্র উল্কি।
Read More
বিষ পাহাড়
বিষ পাহাড়
লেখক – অরিন্দম দেবনাথ
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
রুনিত পাহাড়ের খাড়া পাকদণ্ডী বেয়ে মহারাজ রভিরান বর্মা একাকী চলেছেন পায়ে হেঁটে। আকাশে উজ্জ্বল হোলির চাঁদ। প্রায় ন্যাড়াপাহাড়ে মহারাজ রভিরানের পূর্বপুরুষরা পাথরের গায়ে সিঁড়ির মতো ধাপ কাটিয়েছিলেন বহু যুগ আগে। এই পাথুরে সিঁড়ি গিয়েছে পাহাড় শীর্ষে এক গুহা পর্যন্ত। এই গুহার অভ্যন্তরে [আরো পড়ুন]
Read More
মহাদ্রুম
লেখক – সাগরিকা রায়
অলংকরণ – সুমন দাস
পালঙ্কের সূক্ষ কারুকাজের দিকে তাকিয়ে সময় কেটে যায়। ইদানিং বাড়ির লোকজন সময় পায় না। এ ঘরে এসে তার সঙ্গে দেখা করার মতো সময় কোথায়? সবারই কাজকর্ম আছে। পড়াশোনা আছে। মাঝে মধ্যে বড় ছেলে এসে দেখা করে যায়। ক্লান্ত গলায় কৈফিয়ত দেয়—অফিসে যা কাজের চাপ! বলে পকেট থেকে রুমাল বের করে ‘এঃ হেঃ’ শব্দ করে ঘাড় গলা মুছতে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রলয়
প্রলয় উপস্থিত।
এভারেস্ট এর মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরের মতো বিল্ডিং ও তার পাশের রকেটের দিকে তাকিয়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল রাজের।
দুইদিন আগেই মা মারা গিয়েছেন। তারপর অন্যরাও একে একে, এখন শুধু ওই বেঁচে আছে।
আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই খুশি হল রাজ। বাঃ, মায়ের কাছে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
আকাশে জমাট বাধা কালচে লাল রক্তের মতো মেঘ করেছে। অন্যন্য [আরো পড়ুন]
Read More
উপসংহার
দুপুর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ। ঠিক পাহাড়ি বৃষ্টি নয়, তবে কেমন যেন আকাশটা ধরে আছে। আজ দ্বাদশী, দুদিন হল আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেছে, অবশ্য পশ্চিম বাংলায় বেশীরভাগ জায়গায় পুজোর মরশুমটা লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত থাকে। আর সাধারণত লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত স্কুল কলেজ, অফিস এমনিতেই বন্ধ থাকে, তাই আরো কিছু দিন আনন্দ উপভোগ করা, এই আর কি? দোষ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
২০৩০ : স্বগতোক্তি
ঠকাং… ঠক… ঠকাং… ঠক… ঠকাং…
একটা আশ্চর্য ছন্দ ওই শব্দে। ভয়ানক বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে সুর। যেন কোনও বিপদের পূর্বাভাস।
ওরা এসে গেছে। এখানেও। আমার পিছু নিয়ে, আমাকে তাড়া করে। ওদের ধাতব পদশব্দ বলছে ওরা আমায় ছাড়বে না সহজে। প্রতিমুহূর্তে আমার ঘরে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। কিন্তু উপায়?
আচ্ছা, একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখে নিই ঠিক কতদূরে [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবী
জালের থেকে বুড়ো আঙ্গুলের মতো বড় একটা পোকাকে ছাড়িয়ে নিল হিলা। হ্রদের জলে ডুবিয়ে আঠাটা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘খাবে নাকি?’
পোকাটা তখনো মরে নি। আমার গা গুলিয়ে উঠল। কোনো প্রাণীর মৃতদেহই কোনোদিন খাইনি। আমাদের সব প্রোটিন কৃত্রিমভাবে তৈরি। কোনোক্রমে বললাম, ‘না। কী এটা?’
নির্বিকার ভাবে পোকাটাকে মুখের মধ্যে পুরে চিবোতে চিবোতে হিলা [আরো পড়ুন]
Read More
ভিত্তি
ব্যাঙের ছাতার মত মেঘগুলো পর পর আকাশে উঠছিল।
রাষ্ট্রনায়কদের আঙুলগুলো কোনো অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ছিল কিনা কেউ জানে না। পর পর পিয়ানোর রীড টেপার মত ছন্দে সুইচগুলোয় চাপ পড়েছিল।
মস্কো,দুবাই, টোকিও, নিউ ইয়র্ক, লণ্ডন, সিডনি, দিল্লি, বেজিং…
অশান্তি ঘনিয়ে এসেছিল বহুকাল আগে থেকেই। যুগের পর যুগ কোন দেশের রাষ্ট্রনায়কই জনসংখ্যা প্রতিরোধের কথা সিরিয়াসলি ভাবেনি। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিত্রাতা
২০৩৬ সালঃ
স্টাডি সিস্টেম পাল্টেছে এখন। এখন আর জোর করে স্টুডেন্টদের অপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় না। এখন প্রতি বছর স্কুলে কাউন্সিলিং হয় এবং ফলাফল হিসেবে যে স্টুডেন্টের যে সাবজেক্টে বেশি মনযোগ, তাকে সেই নিয়েই পড়াশোনা করতে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
মায়ের মুখে শুনেছে নিতাই, কোনও একটা সময় ছিল, যখন টেনথ স্ট্যান্ডার্ড-এর পর ‘মাধ্যমিক’ [আরো পড়ুন]
Read More
কৌটো
(তন্ময় পুরকায়স্হর জবানবন্দি, অনুলিখন রাজকুমার রায়চৌধুরী)
প্রথমেই বলে রাখি আমার নাম তন্ময় পুরকায়স্থ৷ আমি কেমিস্ট্রিতে এমএসসি পাশ করে একটা মোটামুটি নামী কোম্পানিতে চাকরি করি৷ বাঁকুড়া জেলার একটি গ্রামে আমাদের বাড়ি৷ বাড়িতে বাবা-মা আর এক বোন থাকে৷ তবে কাজের চাপে বছরে দু-একবারের বেশি গ্রামে যাওয়া হয়ে ওঠে না৷ আমি বিয়ে করিনি৷ যাদবপুরের কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজের হাতছানি
আলো ঝলমল মেট্রো স্টেশনের কাঁচের দরজার ওপারে ট্রেন এসে প্রতিদিনের মতোই দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল সাতটা দশ। ট্রেনের সিটে স্কুল ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে অন্যদিনের মতো বাবাকে সেই পুরনো প্রশ্নটাই করে বসল গুড্ডু, “বাবা, মাটির উপরে খোলা আকাশের নিচে আমাকে কবে নিয়ে যাবে?”
অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করতে করতে গুড্ডুর বাবা বলল, “বলেছি তো নিয়ে যাব। এখন বইতে একবার চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
হুয়ানের বইটা
কুয়াশায় চারদিক জড়িয়ে থাকলেও সকাল সকাল প্লেন ধরবার তাড়া ছিল। ঘুম থেকে উঠেই তৈরী হয়ে ছুটলাম। ঘুম চোখেই এয়ারপোর্টের তিন নম্বর টার্মিনালের গেট ঠেলে ঢোকবার আগে মনে হল পুরো জায়গাটা আবছা সাদা পর্দায় কেউ ঢেকে দিয়েছে। গেটে আইডেন্টিটি চেক-এর পর ঢুকে পড়লাম ভেতরে। সিকিওরিটি চেক, লাগেজ ফাগেজের ঝামেলা মিটিয়ে লাউঞ্জের দিকে এগোতে থাকলাম। এখন একটা কড়া কফি চাই। ঘুম ঘুম ভাবটা কাটাতে হবে।
Read More
অকাল তমসা পর্ব – ২
পর্ব – ২
এতক্ষণ যা যা লিখেছি তা থেকে নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন তথা দুঃস্বপ্নগুলো কতখানি ভয়ানক ছিল তা বোঝা গেছে। ইতিমধ্যে আমি বেশ টের পাচ্ছিলাম যে বদ্ধ পাগল হবার প্রাথমিক ধাপে আমি প্রবেশ করে ফেলেছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম আমার আগে যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছে তারাও কি এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল? কে জানে! একদিকে এই সচেতন আর [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশযাত্রী বাঙালী
ঘটনার অদ্ভূত যোগাযোগ জীবনে কখনো কখনো আশ্চর্যভাবে দেখা যায়। সকালবেলা কটা বৈজ্ঞানিক পত্রিকা ডাকে এসেছে। তন্ময় হয়ে তারই কয়েকটা নিবন্ধ ও আলোচনা পড়ছিলাম। মার্কিন একটি পত্রিকায় ‘কোয়াসার’ সম্বন্ধে অত্যন্ত চমৎকার একটি আলোচনা বেরিয়েছে। সেটি শেষ করে আরো দুটি পত্রিকার কোন নিবন্ধটি আগে পড়ব তাই নিয়ে তখন দ্বিধায় পড়েছি। একটি নিবন্ধ অ্যান্টিম্যাটার [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় জগত
অপরূপ সুন্দর একটা সরোবর। আর সেই সরোবর ঘিরে পাথর আর বালি, তারপরে তৃণভূমি। আসলে এটা একটা ছোটো উপত্যকা। পাহাড়ের মালায় ঘেরা। পাহাড়গুলো সব বালিপাথরের পাহাড়, হলুদ বালিপাথর। তাই পাহাড়গুলোকে সোনার পাহাড় বলে মনে হয়।
একটা পাহাড় থেকে নেমেছে ছোটো একটা ঝর্ণা, সেটা নদী হয়ে বয়ে এসে হ্রদে মিশেছে। পাহাড়ের নাম সুবর্ণগিরি, নদীর নাম ভদ্রা আর হ্রদের নাম নীলতারা।
Read More
অদৃশ্য
লোকটা বারবার কেন আসে? সে কী চায়?
ব্যাপারটা অনিন্দ্যকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শিশিবোতলওয়ালার সাথে রুমেলারই বা এত ঘনঘন কী এমন দরকার থাকতে পারে? রুমেলা যদি তাকে বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ ইত্যাদি বিক্রি করত, তাহলেও বোঝা যেত, কিন্তু তাও তো নয়! যখনই অনিন্দ্য বাড়ি থাকে না, তখনই লোকটা রুমেলার কাছে আসে আর অনিন্দ্যকে দেখলেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত।
Read More
পূর্ণিমা
একটা লালচে ধুলোর ঝড় পেছনে নিয়ে জিপটা চলে গেল বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে তাদের দুজনকে আর তাদের দুটো সুটকেস, এক ক্রেট জলের বোতল আর শুকনো খাবারের প্যাকেটে ঠাসা একটা কার্টন নামিয়ে দিয়ে।
জিপের শব্দটা মিলিয়ে যেতেই এক মুহূর্তের জন্য রাহুলের ভেতরটা ছমছম করে উঠল। একটা অজানা শঙ্কা পলকের জন্য তাকে ছুঁয়ে গেল যেন। এই গহন ঝিম জঙ্গলে আগামী সাত দিনের জন্য তারা [আরো পড়ুন]
Read More
