শৈত্যের গান
জীবন আসলে একটা অচেনা রোডম্যাপ, সেখানে কিছু মোড় আঁধারে মোড়া, কিছু মোড়ে বসানো ফ্লাডলাইট। আমার হাঁটা হয়েছে কিছুটা পথ, যেখানে পৃথিবী পালটেছে আমার চোখের সামনে, বলতে গেলে পলকের মধ্যে। আমার কাছে কলকাতা এখন অচেনা। উত্তর দিকচক্রবালের দিকে মুখ করে, কোনও উঁচু স্কাইস্ক্রেপারের ছাদে ঠান্ডা সহ্য করে দাঁড়ালে দেখা যায় মেঘের মতো নীলচে একটা স্তর; ধীর গতিতে এক প্রকাণ্ড [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যজিতের এলিয়েন
যাবার কথা ছিল প্লুটোয়, যান্ত্রিক গোলযোগে পৃথিবীতে এসে পড়েছিল ক্রেনিয়াস গ্রহের মহাকাশযানটি। সেই গ্রহেরই চার ফুট উচ্চতার প্রাণী অ্যাং এর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল বঙ্কুবাবুর। তাই নিয়েই সত্যজিত রায়ের দ্বিতীয় বাংলা গল্প ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ প্রকাশিত হয়েছিল ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। ওই গল্পের সঙ্গেই পাঠক চাক্ষুষ করেছিল সত্যজিতের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজন্ম
“ইয়েসসসসসস!”
চীৎকার করে ঘরের ফাঁকা জায়গাটায় লাফিয়ে উঠেছিল নি-রা-৫। ও হচ্ছে পৃথিবী থেকে শেষ যে মানুষটা পা তুলে নিয়েছিল তার পঞ্চম প্রজন্ম। প্রজন্ম বলা যায় কি না কে জানে, সেই শেষতম শাটলের কম্ব্যাট টেনিংপ্রাপ্ত গার্ড নিবেদিতা রায় এই ত্রিয়োশিতা উপগ্রহের কলোনিতে এসে পৌঁছোনোর পর, এখানকার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার নাম হয় নি-রা-১। তার জিন থেকে নি-রা-২ অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
কৃষ্ণপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যাপীঠ
কালিদাস যে ঠিক কী কাজ করে তা কাউকে বোঝান ভারী মুস্কিল। অথচ সে সবরকম কাজ করে। এই যেমন আজ ক’দিন ধরে তার দিন শুরু হচ্ছে ভারা ভারা জল বয়ে দিয়ে। তার কাঁধে থাকে একটা বাঁশ, বেশ মোলায়েম করে কাটা। তার দু’দিকে দুটো ভারা বাঁধা থাকে। সকালবেলার মধ্যে সে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ভারা জল তুলে দিচ্ছে।
তার পরেই তার ছোট ঠেলাগাড়িটা নিয়ে সে বাজারে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ফেক নিউজ
‘বদমায়েস, অপদার্থ, শয়তান, ছাগল, হিপোপটেমাসের বাচ্চা’
‘মাইন্ডটুমাইন্ডবুক’ কোম্পানির চিফ টেকনোলজি অফিসার রঞ্জন স্যান্যালকে কেউ এরকম গালাগালি দিতে কখনও শোনেনি। এরকম উত্তেজিত হয়ে উঠতেও দেখেনি।
এরকম নিপাট ভদ্রলোক মানুষ কখনও খারাপ কথা জীবনে ব্যবহার করেননি। ওঁর শব্দভাণ্ডারে যে এর থেকে খারাপ আর কোনও শব্দ নেই, সেটা ওঁর উত্তেজিত কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল।
Read More
লীলাবতীর মুক্তো
‘ওই সামনে যে দালানটা দেখছ; ওটাই হল জগৎনারায়ণের জলসাঘর।’ —বলে ধীরেনদা জীর্ণ মন্দিরের মতো একটা বাড়ি দেখালেন। মন্দির না বলে বরং চণ্ডীমণ্ডপই বলা যেত যদি চারদিকের দেয়াল থাকত। বাড়িটার ছাদের মাঝখানটা অর্ধগোলাকার। কলকাতার তারামণ্ডল বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো। একপাশ দিয়ে একটা সিঁড়ি উঠে গিয়েছে তা দিয়ে ছাদে ওঠা যায়। গোলকের চারপাশে কিছুটা [আরো পড়ুন]
Read More
স্বর্গই নরক
করতালির গর্জনে আমি পাশে বসা সীমা আর গ্রেগরির কথাও শুনতে পাচ্ছি না। আমি চোখ বন্ধ করে বসে আছি। কানটাও বন্ধ করে নিতে পারলে বোধহয় ভালো হত। দিল্লির রাজঘাট পাবলিক অডিটোরিয়ামের সাড়ে দশ হাজার আসন উপচে পড়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরও অন্তত তিনশো জন সাংবাদিক ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রতিনিধি। আজ সেরিব্রনিক্স সিস্টেমস তাদের গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার এত বড় সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
সরণি সরেনি কেন?
সে দিন যেটা স্বপ্ন বলে ভেবেছিলাম, আসলে সেটা সত্যি সত্যিই ঘটেছিল। রাস্তা কখনও চলতে পারে ভ্রমেও ভাবিনি, সেই দেখলাম, হুবহু অজগর সাপের চলা। কড়ি বরগায় ঠোকাঠুকি করতে করতে সঙ্গে চলেছে লাইন বেঁধে বাড়িঘর। কখন আমার ঘুম ভেঙেছে ওরা বুঝতে পারেনি, খেয়াল হওয়া মাত্র যে যেখানে ছিল চুপচাপ দাঁড়িয়ে গেল। তাই হ্যারিসন রোডের বাড়িগুলো একটু হেলানো আছে লক্ষ করবেন। সবগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ মানুষ ইনকর্পোরেটেড
অক্টোবর ২০২৫, নিউ দিল্লি
২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের পার্লামেন্টে জনৈক মেম্বার লোকসভা সেশন চলাকালীন এই প্রশ্নটি তোলেন।
Will the PRIME MINISTER be pleased to state: (a) whether reports of incidents expressing doubts about security of nuclear power plants in the country have come to the notice of the Government and if so, the details thereof; (b) whether the Government is aware of any reports indicating the trespassing of two Kazakh and Russian persons into a prohibited zone belonging to Indian Rare Earths Limited in Tamil Nadu; and (c) if so, the details thereof along with the steps taken to conduct a review of safety of such installations including nuclear power plants and vital installations of such capability?
Read More
আরশোলার দুধ
(১)
বিদগ্ধ পাঠক: এ আবার কী! আরশোলার আবার দুধ হয় নাকি? যত্ত সব চিপ, সেন্সেশনাল জার্নালিজম!
লেখক: হা হা, পাঠক, আপনি আমার আসল উদ্দেশ্যটা ঠিক বুঝেছেন। তবে একটু সেন্সেশনাল করে নাম না দিলে কি আর আমার মতন একজন অজ্ঞাত, অখ্যাত ও অখাদ্য লেখকের লেখা কেউ পড়বে? অন্য কেউ হলে তো আমি নিজেই পড়তাম না! এরকম কত লেখক কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! তাই আমাকে যখন প্রথম ডা: বরুণ [আরো পড়ুন]
Read More
৪৫ মিনিট আগে
“…যেন ভূমিকম্প! বিছানাসহ আমি শূন্যে কিছুক্ষণ ভাসলাম। তারপর এক বিকট শব্দে আছড়ে পড়লাম মেঝেতে। ভয়ে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত। কী অবস্থায় ছিলাম বুঝতে পেরেছেন মি. সরকার?”
আলবাত বুঝতে পেরেছি, কথাটা মনে মনেই বলতে হল। কারণ জগন্নাথবাবুর গত পরশু রাতের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভয় পাওয়া দূরের কথা, মাঝে মাঝেই হাসির উদ্রেক হচ্ছে। বললাম, “কী হল তারপর?”
“দেখি ওয়াইজা [আরো পড়ুন]
Read More
ঘুমের দেয়াল পেরিয়ে
মাঝেমাঝেই স্বপ্নেরা যে কত গভীর অর্থ বয়ে আনে সে-নিয়ে বোধ হয় বেশির ভাগ লোকই কখনও ভেবে দেখে না। কোন অজ্ঞাত দুনিয়ায় স্বপ্নের জন্ম হয় তা নিয়েও কৌতূহল খুব বেশি মানুষের হয়তো নেই। যদিও ফ্রয়েড অন্য কথা বলবেন, তবু এটা ঠিক যে জাগ্রত দুনিয়ায় আমাদের যে-সব অভিজ্ঞতা প্রতিমুহূর্তে হয়ে চলেছে, বেশির ভাগ স্বপ্নই তার একটা হালকা, কাল্পনিক রূপ।
তবু, কিছু কিছু স্বপ্ন আসে, [আরো পড়ুন]
Read More
ঘর
পুরানো বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে নীরা উচ্ছসিত হয়ে উঠল, ‘দেখ শুভ, যেখানে আমি জন্মেছিলাম এ বাড়িটা এক্কেবারে সে রকম। সেইরকম গাড়িবারান্দা, বড় বড় জানলা, দরজা, এক্কেবারে সেই রকম।’
নীরার স্বামী শুভ, নীরাকে সেই ছোটবেলা থেকে চেনে। সে জানে নীরাদের বাড়িটা মোটেই এমন ছিল না। কিন্তু সে প্রতিবাদ করল না। বরং বলল, ‘হ্যাঁ নীরা, বেশ মিল আছে বটে। চল ফেরা যাক।’ এরপরই কিচ্ছু [আরো পড়ুন]
Read More
সাক্ষাতে রেবন্ত গোস্বামী
“রিউবেন বুশের গল্পটি যখন লেখা হয়, তখন ছোট, বড় কোনও বুশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হননি। ক্লিন্টনের নামই এদেশে কেউ শোনেনি তখন। পরে লিখলে নাম দুটো পালটে দিতাম।” রেবন্ত গোস্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় টিম কল্পবিশ্ব।
কল্পবিশ্ব: আপনার লেখালিখির শুরুর দিকটায় যেমন ধরণের কিশোর গল্প উপন্যাস লিখেছেন, যেমন দেশভাগের পটভূমিতে বাবলা ফুলের গন্ধে, বা পঞ্চাশ [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
ম্যাজিক বাক্স
(এই কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম মিল একেবারেই আকস্মিক বলে ধরতে হবে।)
(১)
“এই ছেলের জন্য একদিন আমাদের গুষ্টি-সুদ্ধ জেলে যেতে হবে। একে নিয়ে যে আমি কী করি!”
“এখন আক্ষেপ করে লাভ কি বল? ওর ছোটবেলা থেকে তোমাকে আমি বার বার বলেছি, যে ছেলেকে সময় দাও। কিন্তু তুমি তোমার কোর্ট আর …”
“ছেলেকে সময় দিলে যে পেটের ভাত জুটত না সে কথা খেয়াল আছে?”
Read More
অদ্ভুত অর্কিড
অর্কিড এমনই একটা ফুল, যা কেনার জন্যে পাগল হতে হয়, কেনার পরেও পাগল হয়ে থাকতে হয়। একটু একটু করে পাপড়ি মেলে ধরে ফুল যতই ফুটতে থাকে, রং আর শোভা ততই মনকে মাতাল করে দেয়। নব নব আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে হয়।
এ নেশা পেয়ে বসেছিল ওয়েদারবার্নকেও। অর্কিড জমানোর বাতিক তাকে নিত্যনতুন উত্তেজনার খোরাক জুগিয়ে গেছে। সারাজীবনটাই তার উত্তেজনাবিহীন। [আরো পড়ুন]
Read More
কনসোল
বৃষ্টি পড়ছে সেই সকাল থেকে। ছ’টায় একবার ঘুম ভেঙেছিল সায়ন এর। কারন মা এসে গায়ে চাদরটা দিয়ে গেছে, ঠান্ডায় কুঁকড়ে ছিলাম বলে হয়তো। এই না হলে মা।
আরও একঘণ্টা ঘুমোনোর টাইম আছে হাতে। সাতটা বাজলেই বাবা এসে নাক টিপে ঘুম ভাঙিয়ে দেবে। এরকম অঝোর বৃষ্টির মধ্যে কারই বা স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে! আজকে নিশ্চিত স্কুলে কেউ যাবে না। কিন্তু বাবা ডাকবেই। ঘুম থেকে না উঠলে হয় [আরো পড়ুন]
Read More
দুখা
নিশীথবাবু বললেন, “আপনারা তো ওর বন্ধু। আপনারা একটু বুঝিয়ে বলুন না।”
পরেশদা ‘ফোঁস’ করে নিঃশ্বাস ফেললেন, “বলে লাভ কি? সুখেন আমাদের কথায় আর কবে কান দিয়েছে?”
নিশীথবাবু বললেন, “কিন্তু এ যে আগুন নিয়ে খেলা! এ জিনিস আগে কোনওদিন কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই। কি কুক্ষণেই যে মুখ ফসকে ওর কাছে সেদিন বলে ফেলেছি দুখার কথাটা!”
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কিন্তু আমি ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন এবং অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির
আজ সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং জুল ভার্নের নাম দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও জানে। কিন্তু আজ থেকে সত্তর-বাহাত্তর বছর আগে পরিস্থিতি মোটেও এমনটা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন উৎসাহী পাঠক ছাড়া বাঙালি পাঠক সমাজে সায়েন্স ফিকশন এর কদর ছিল না বললেই হয়।
সেই সময় ‘অভ্যদয় প্রকাশ মন্দির’ এর কর্ণধার শ্রী অমিয় কুমার চক্রবর্তী সায়েন্স ফিকশনকে বাঙালি পাঠকের [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো ছেলে!
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটার দিকে আর একবার তাকাল স্নেহাংশু। পাঁচটা বেজেও বাজতে চায় না যেন! এখনও পাঁচটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি!
রিভল্ভিং চেয়ারটা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল স্নেহাংশু। পিএ মিস মৈত্রর টেবিলটা খালি। আজ আধ ঘণ্টা আগেই ও ছুটি নিয়ে বেরিয়ে গেছে। টমাস এন্ড ক্রুডাস কোম্পানির কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল চেক করবার—সেইগুলি নিয়েই এতক্ষণ ব্যস্ত ছিল স্নেহাংশু। [আরো পড়ুন]
Read More
অভয়ারণ্য মধুমিডা
পায়রার মতো বড়সড় চেহারার একটা জোনাকি পাখির ছোঁয়া ঘুম ভাঙিয়ে দিল। অনেকদিন বাদে এমন স্বপ্ন দেখল বিদুর।
আড় চোখে তাকাল শ্রীমতীর দিকে। এখনও গভীর ঘুমে অগোছালো আর নিশ্চিন্ত।
যেন ধরা পড়ার ভয়ে চোখ বুজে ফেলল বিদুর। সেই প্রথম সিগারেট টানার দিনগুলোর মতো। কেউ টের পাবে না জেনেও দূরে মুখ সরিয়ে রাখা, ঠোঁট টিপে কথা।
রঙিন আবরণে নিষিদ্ধ চিন্তা। [আরো পড়ুন]
Read More
তোতা রহস্য
মুসান্দম উপত্যকার শুষ্ক, পাহাড়ি প্রকৃতি ইশায়ুর মন্দ লাগল না। এই অঞ্চল পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী, অবস্থান হরমুজ্ প্রণালীর দক্ষিণে। শীতকালীন মৃদু আবহাওয়ায় এখানে এখন চলছে পুরাতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ। মাটির নিচে পাওয়া গেছে মানব সভ্যতার প্রাচীন অবশেষ। একটি আন্তর্দেশীয় দল এই অনুসন্ধানের কাজে নিযুক্ত। ইশায়ু ও স্বেতলানা সেই দলেরই [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read More
ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন
‘ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন’ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠোঁটে পাইপ মাথায় টুপি একটি রোবোট বা সাইবর্গের ছবি। কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের এই ধারাতে শুধুই ভবিষ্যৎ কিংবা অন্য গ্রহে রহস্য আর ক্রাইমের সমাধান হয় না, এই ধরণের গল্প থেকে আমরা পাই মানুষ এবং টেকনোলোজির কিংবা অন্য জগতের প্রাণীদের ভিতরের সম্পর্কের খোঁজও।
তাহলে, প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাকে ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন বলবো আমরা।
Read More
সম্পাদকীয়
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আপনাদের সবাইকে কল্পবিশ্বের তরফে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা।
গত তিন-চারমাসে বাংলার সাহিত্যাকাশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন ঘটেছে। একের এক ইন্দ্রপতনে সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের বিজয়রথ। রনেন ঘোষের পর এবার চলে গেলেন শ্রী অদ্রীশ বর্ধন। তাঁর তিরোধানের সঙ্গে বাংলা কল্পবিজ্ঞানে রত্নযুগের [আরো পড়ুন]
Read More
পুস্তক পরিচয় – ছয়টি ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশনের খোঁজে
এই সংখ্যায় আমি আপনাদের ৬ টি ডিটেকটিভ কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের সাথে পরিচয় করাবো।
১) দ্য ডেমোলিশড ম্যান-এ্যাল্ফ্রেড বেস্টার
২৩০১ সালে বন্দুক শুধুই জাদুঘরের দ্রষ্টব্য। টেলেপ্যাথ পুলিশের কড়া নজরদারীতে অপরাধ ঘটার আগেই অপরাধী ধরা পড়ে যায়। এমন আপাত অপরাধবিহীন সমাজে, এক প্রভূত বিত্তবান ব্যক্তি পরিকল্পনা করতে থাকে এক নিখুঁত খুনের।
ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ আর্কাইভ
বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে প্রকাশিত খবর ও প্রতিবেদন সংকলন
১) রেডিয়োবাংলানেট, ২১ মে ২০১৯
প্রয়াত ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন
চলে গেলেন ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজণিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
কল্পবিজ্ঞানের [আরো পড়ুন]
Read More
সীমারেখা
(১)
মিস কেলির ক্লাসে প্রথম দিনই একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেল।
মিস কেলির ক্লাসটা আমার ঠিক পাশেই। সেদিন আমি সবেমাত্র ক্লাসে ঢুকে রোলকল সেরে বসেছি। পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ক্লাসগুলোতে বাচ্চারা পড়লেও, এদেরকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সহবত শিক্ষা দিতে হয় – আর সেটা ক্লাসে ঢুকেই দেওয়াটা আমি পছন্দ করি। তাও আবার এই সিজনের প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন। তা – ক্লাসে গম্ভীর [আরো পড়ুন]
Read More
সুরক্ষা চক্রের অন্তরালে
সকাল থেকে কলকাতার আকাশটা ধূসর চাদরে ঢেকে দিয়েছে প্রকৃতি দেবী। গুমোট গরমটা কাটিয়ে এবার শুরু হল বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি। অয়ন একটা বড় কাজে দিল্লী গেছে দু-দিন আগে। পরদিন ফিরবে। দিঠি মুসুরি ডালের খিচুড়ি বসিয়ে দেবে ভাবল। শর্টকাট রান্না, খাওয়ার আগে একটা ডিম ভেজে নিলেই হবে। এক কাপ কড়া লিকার নিয়ে বসতেই অচেনা নম্বর থেকে পর পর চারটে মিসকল চোখে পড়ল, কলার আইডিতে নাম দেখাচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
আরোগ্য
‘অর্পণের ব্যাপারটা শুনেছিস?’ চায়ের কাপে একটা সশব্দে চুমুক দিয়ে অন্যমনস্কভাবে জিজ্ঞেস করলো বিট্টু।
‘হ্যাঁ, ফোন করেছিল। ওর ঠাকুরদা’র ঘরের আলমারি থেকে কী নাকি একটা জিনিস পেয়েছে বলছিল। কাল সন্ধ্যায় ওদের নতুন ফ্ল্যাটে ডেকেছে।’
‘আমায়ও ফোন করে একই কথা বললো। আরও কত কী বলে গেল, ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। শেষে বলল, এগুলোই নাকি তার জীবনে আরেকটা সুযোগ এনে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতিমধুর
সকালের ভারী ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়িটা ধীরগতিতে চলছিল। আশপাশের গাড়িগুলো খুব জোরে হর্ন বাজাচ্ছে, ট্র্যাফিক লাইটগুলো দ্রুত রঙ পাল্টাচ্ছে। কিন্তু আমাদের গাড়ির পেছনের সিটে নির্জীবভাবে পড়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারলাম, ওই একটি নাম আমার মাথার মধ্যে বারবার ঘুরে চলেছে।
শীলা! শীলা!
গোঁ-গোঁ শব্দ করে উঠলাম আমি।
সাগর উদ্বিগ্নভাবে ড্রাইভারের [আরো পড়ুন]
Read More
ফল
মেগাকর্প কমপ্লেক্স, সন্ধ্যা ছ’টা
“আমি একটা ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার নাম নয়, বরং ‘রু…উ…উ…’ বলে কে যেন সুর করে ডাকছিল। গলাটা বড্ড চেনা। কোথায় যেন শুনেছি। শুনতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, যেন অনেক আদর আর ভালোবাসা মিশে আছে ডাকটায়।”
“তারপর?” বলিষ্ঠ নারীকণ্ঠ বলে উঠল।
“আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। উঠতে গিয়েই মনে হল, শরীরটা কী ভীষণ হালকা লাগছে! যেন আমি [আরো পড়ুন]
Read More
অকুলাস রোবটিকা
এক
অনেকক্ষণ ধরে মনিটরের দিকে ঠায় তাকিয়ে আছে অরূপ, কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছে না। সকাল থেকেই মনটা বিষণ্ণ ও বিক্ষিপ্ত। মাঝে একবার ঝিমুনির মতো ধরেছিল, উঠে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে এসেছে। তন্দ্রাভাব কিছুটা হয়তো কেটেছে, কিন্তু বিষণ্ণতা যেন আরও জেঁকে বসেছে। দুপুর হয়ে এল প্রায়, এখনও জার্নালটির প্রথম প্যারাই পড়ে শেষ করতে পারেনি।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাকে লক্ষ [আরো পড়ুন]
Read More
মঙ্গলদেউড়ি
—মঙ্গলদেউড়ি—
দৌলতনগরের বুক চিরে চলে টানা চলে গেছে প্ল্যাঙ্ক সরণী। তার এক প্রান্তে গভর্নর প্যালেস আর মহাকাল মন্দির। আর অন্য প্রান্তে এই মঙ্গলদেউড়ি। দেউড়ির অপর পারে রাস্তা খানিকটা দূর এগিয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। তার একটা সোজা চলে গেছে হকিন্সাবাদ অবধি, আর অন্যটা নদী আর জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে বেঁকেচুরে এগিয়েছে রুসোগঞ্জের দিকে।
মঙ্গলদেউড়ি কোনও সাধারণ [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যান্বেষী – ২২৪৫
‘কী হে টিকটিকি! সকাল সকাল মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন বল দেখি?’
আমার ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু এবং রুমমেটটির মন মেজাজ দেখছি সকাল থেকেই বেশ খারাপ! অবশ্য গত কয়েকমাস যাবৎ নিও-আটলান্টা শহরের যা সুসময় চলছে তাতে আমার রুমমেটটির মন ভালো না থাকারই কথা! কত আশা করে সেই সুদূর পৃথিবীর কলকাতা থেকে সাত সমুদ্র, তের নদী, এক চাঁদ, তিন গ্রহ পেরিয়ে টাইটানের ‘ক্রাইম ক্যাপিটাল’ নিও-আটলান্টায় [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৬ মহাকাশ অভিযান
জুলাই মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় রবিবার। মাসচারেক পর প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট আমেরিকা থেকে ফিরেছেন দিনকয়েক হল। স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে ফোনে দু’দিন কথা হয়েছে। মাসদেড়েক থেকে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগেই আবার চলে যাবেন। ফিরতে ফিরতে সেই মার্চ-এপ্রিল। স্যার যখন ছিলেন না— তখন আমি একটা কাজের কাজ করেছি। আমি সেই প্রথম দিন থেকেই স্যার এই অপার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
চতুর্থ বর্ষ প্রথম সংখ্যা

অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী পম্পা প্রধান।
Read More
সম্পাদকীয়
জানলাম রণেন ঘোষ আর নেই। কল্পবিজ্ঞানের অক্লান্ত লেখণী, সমস্ত জীবন এই কাজে ঢেলে দিয়ে নিজের প্রকাশনা করেছেন কল্পবিজ্ঞানকে ঘিরে৷ কল্পবিশ্ব গ্রুপের নতুন ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়েছেন সাদরে, আশ্রয় দিয়েছেন। একবার মাত্র ফোনে কথা হয়েছিল, কত স্নেহ ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়। তিনি থেকে যাবেন আমাদের সবার মনে তাঁর অসংখ্য সৃষ্টি আর নবীন প্রজন্মের মাধ্যমে।
কঙ্কাবতী কল্পবিজ্ঞান লেখেনি? লিখেছে তো!
(১)
Read More
ক্লাউন – আতংক
ঊনত্রিংশ শতাব্দী। ক্লাউনরাই এখন জগৎ শাসন করে। পৃথিবী বর্জন করেছে টেকনোক্রেসিকে। টেকনোক্রেসিই এই পৃথিবীতে মারাত্মক সব প্রাণঘাতী অস্ত্রের জন্ম দিয়েছে যা একসময় এই পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। দুনিয়া আজ তাই দুটো সমান্তরাল ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর একটা অংশ শাসন করে কিং ক্লাউন আর অন্যটা রেক্স করিডন। কিং ক্লাউন তাঁর প্রাণোচ্ছল স্বভাবের জন্য পরিচিত। [আরো পড়ুন]
Read More
রণেন ঘোষ (১৯৩৬-২০১৯) – বাংলা কল্পবিজ্ঞানের এক অন্যতম শেষ মোহিকান
রণেন ঘোষ (১৯৩৬-২০১৯)
রণেন ঘোষ আর নেই। রবিবারের সকালে মৃত্যু হয়েছে এই অশীতিপর তরুণের। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুখের সঙ্গে লড়তে লড়তে অবশেষে হার মানতে হল আমাদের অত্যন্ত প্রিয়, কাছের মানুষটিকে। তবে রণেনবাবুর মতো সৃষ্টিশীল মানুষ তাঁর কর্মকাণ্ডের ভিতর দিয়ে জীবনের কাছে চিরবিজয়ী হয়ে থাকবেন। মৃত্যুর সাধ্য নেই সেখানে নাক গলায়।
বাংলা কল্পবিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ [আরো পড়ুন]
Read More
আত্মীয়
পূর্ণিমার রাতে একটু আধটু বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় পায়চারি করাটা বহুদিনের অভ্যেস। সেদিনও চাঁদের আলো এসে ঘরের জানালা দিয়ে বেডকভারের ফুল লতাপাতার ওপর পড়তেই আমি পায়ে স্যান্ডেল গলাতে গলাতে থমকে গেলাম। কেউ একজন ছুটে আসছে আমার বাড়ির দিকে। কিছু একটা বলতে বলতে আসছে! কে রে বাবা? এমন চাঁদনী সন্ধ্যেটা মাটি করবে! একেই তো জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ওদিকে অনলাইনে [আরো পড়ুন]
Read More
যযাতিয় লালসায়…
সকালের প্রায় সমস্ত কাগজগুলোতেই জ্বলন্ত শিরোনাম।
‘বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী ভিষ্মিকা অগ্নিদগ্ধ। তিনি একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্যের শুটিং এর সময় অগ্নিদগ্ধ হন এবং ঐ চলচ্চিত্রের নায়ক তাকে শ্যুটিং কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন। উল্লেখ্য ওই দৃশ্যের শুটিং-এর জন্য যাবতীয় সুরক্ষার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এতদ সত্ত্বেও অভিনেত্রী ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলেন।’
Read More
নবজাতক
–সিস্টার, বাচ্চাটা এখনও কাঁদেনি? মিনিট দুয়েক তো হয়ে গেল ডেলিভারীর?
–না স্যার, এখনও কাঁদেনি। ভালো করে দেখুন তো বাচ্চাটার মুখটা কেমন হাসি হাসি আর পরিণত! আর তাকানোটাও লক্ষ্য করুন, আমার দীর্ঘ বারো বছরের নার্সিং প্রফেশনে এরকম স্পষ্ট চোখের ভাষাওয়ালা বাচ্চা কখনও দেখিনি।আর এমনি তো সব কিছুই স্বাভাবিক দেখছি।
–হুমম্। কিন্তু, বাড়ির লোকজন তো বাইরে অপেক্ষা [আরো পড়ুন]
Read More
সময়চক্র
(১)
পঁচিশ তলা উঁচু বিল্ডিংটার একেবারে উপরের ঘরটিতে একটি অত্যাধুনিক ফ্লাইং চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন বছর সাতাত্তরের এক ভদ্রলোক। তাঁর কপালে একটি চেরা দাগ।
পিছনের স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়াল ভেদ করে দেখা যাচ্ছে কিঞ্চিৎ ধূসর রঙের আকাশটা। সেই আকাশের বুকে অনবরত টহল দিচ্ছে কয়েকটি ‘ই.আর.জি ৪৫’। এক্সট্রা অর্ডিনারি রোবোটিক গার্ড। ২০৪৫ সালের সেরা আবিষ্কার। [আরো পড়ুন]
Read More
আকাশ-গঙ্গার মুলুকের তিনটি গল্প – তারার থেকে তারায় ঘুরে বেড়ানোর যুগের উপকথা
টিপি-পাখি হেঁকে উঠল, ‘শোনো!’
কুম্বজা তারামন্ডলের, জেহানা গ্রহের সারস মানুষের একটি লোককথা।
সে অনেক দিন আগের কথা। মানুষ তখন সারস সমতলের উর্বর নদী উপত্যকায় সবে বসবাস করতে শুরু করেছে। সেখানে একটি টিপি পাখি ছিল। সে সময়ে টিপি পাখিরা শুধুমাত্র আজকের মতো কৌতুহলীই ছিল না, তারা কথা বলতেও পারত। তারা মানুষের বাড়ি-ঘর-দোরের কাছাকাছি নদীর তীরে বসে বসে সারাদিন ধরে [আরো পড়ুন]
Read More
শুভাকাঙ্খী
বুধবার বিকেল চারটে
আজ প্রায় পাঁচ দিন হয়ে গেল-এত লোক দেখেছে ভিডিয়োটা, প্রায় ভাইরাল হয়ে গেছে। প্রথমদিকে মুকুলকে প্রায় মেরে ফেলার ইচ্ছেটা এখন অনেক প্রশমিত। শুধু একটা প্রচন্ড তিক্ত স্বাদ মুখে। মেট্রোরেলের জানলা থেকে দ্রুত বদলে যাওয়া শহর… আমি দেখতে পাচ্ছিনা আর কিছুই– শুধু ধূসর, বিবর্ণ আর অগুনতি মানুষ। গতকাল বিকেলে টালিগঞ্জ স্টেশনে নামার পর আমার সব [আরো পড়ুন]
Read More
যন্ত্রণানিরোধক যন্ত্র
হ্যালো, হ্যালো!
হ্যাঁ, কে বলছ।
এই, এই, আমি নন্দিতা বলছি। চাপা গলায় বলল নন্দিতা। মানে স্বাভাবিক গলায় বলবে ভাবল কিন্তু বলাটা হয়ে গেল কেমন ত্রস্ত, ভয়ভীত। চাপা।
নন্দিতার ভয়, বড় ভয়।
হ্যাঁ নন্দিতা, বল বল। হাতের আঙুলে লেগে থাকা জ্যামটুকু চেটে নিল সুনেত্রা। এখুনি দুটো বিস্কুটের মাঝখানে জ্যাম লাগিয়ে খাচ্ছিল। বিন্দাস সুনেত্রা খাওয়া দাওয়ায় দিল দরিয়া।
Read More
যদি
এক…
আলো ভালো করে ফুটতে না ফুটতেই হালুম-গোলুমকে তাড়া লাগায় দিদুন, “চটপট রেডি হয়ে নে। একজায়গায় নিয়ে যাব।” দাদাভাই অবিশ্যি ওদের পক্ষ নিয়ে বলতে যায়, “আহা, ওদের যে এখনও উড়োজাহাজের খোঁয়ারি কাটে নি। কাল গেলে হত না? মর্ণিং ওয়াক তো পালিয়ে যাচ্ছে না।” হালুম-গোলুম মজা পায়, “দাদাভাই ইজ সো ফানি! হোয়াটস আ খোঁয়ারি? ইউ নো গোলুম?” “নোপ।” গোলুম চাঁচাছোলা, “সাম ল্যাঙ্গোয়েজ [আরো পড়ুন]
Read More
