কালচক্র
একটু দেরি হয়ে গেল মার্কের। তবে বেশি নয়, সকালে রাস্তা খালি থাকার কথা; তাহলেই মেক আপ হয়ে যাবে। অ্যাপে ম্যাপটা আরেকবার দেখে নিল সে। আরও সাতাশ কিলোমিটার, মানে প্রায় চল্লিশ মিনিট। এক ঘণ্টা লাগলেও ঠিক আছে। ওখানে গিয়ে মিঃ দত্তর সঙ্গে কাজ সাকুল্যে দশ মিনিটের, যদিও আধ ঘণ্টা ধরেছে সে। ভারতে কিছুই বলা যায়না, বরং সে যদি তাড়াতাড়ি পৌঁচে যায় এয়ারপোর্টে, অতিরিক্ত সময়টা বই হাতে কাটিয়ে দেবে সে।
Read More
প্লিওনাসের ভয়ঙ্কর
ফ্যাকাশে একটা আলো। বিষণ্ণ, ধূসর। যেন মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে সেটা ছড়িয়ে আছে চরাচর জুড়ে। মাথার ওপর আকাশটাও অদ্ভুত। যতদূর চোখ যায়, হাল্কা খয়েরি রঙের একটা আভা যেন মাখানো আছে গোটা আকাশের এ ধার থেকে ও ধার। সেইসঙ্গে ছড়ানো আছে যেন একটা করাল ছায়া। সে ছায়ায় একটা হিম অন্ধকারের অনুভূতি যেন মনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। আকাশের এমন রঙ আর এমন চেহারা দেখতে চোখ অভ্যস্ত নয়।
Read More
অমানুষিক
(এই কাহিনী সম্পুর্ণ কাল্পনিক। কোন বাস্তব ঘটনা বা চরিত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া গেলে তা আকস্মিক ধরতে হবে)
প্রেম ও স্পিসিস
– “তুই সিওর প্রিতম? আজকেই নামাবে?”
– “হ্যাঁ রে বাবা। সারা সকাল কাউন্সেলিং করেছি। বার বার বুঝিয়েছি নাউ অর নেভার। খুব নার্ভাস হয়ে আছে, তবে আজই নামিয়ে দেবে।”
– “এতো নার্ভাস হবার কি হল বুঝি না বাবা। অমৃতাকে প্রোপোজ করতে এতো কি [আরো পড়ুন]
Read More
কামিনী, তুমি কি মানবী?
চমকে উঠলাম। এ হাতের লেখা তো আমার অপরিচিত নয়। আমার নিজের লেখার মত একান্ত পরিচিত এর প্রতিটি অক্ষর। এতো আমার নিজের হাত ধরে শেখানো। আর তাঁর সইলো না। ছিঁড়ে ফেললাম খামটা। ধবধবে সাদা কাগজে ছোট্ট একটা চিঠি।
চণ্ডীপুর–অন–সী
উড়িষ্যা
কাকু,
অনেকদিন পরে তোমাকে লিখছি। ভেবেছিলাম আমি নিজে গিয়ে তোমাকে সব বলবো। ধরে [আরো পড়ুন]
Read More
মারকত নন্দিনী
নদীর কিনারা বরাবর খুঁটি পুঁতে তার ওপরে কাঠের তক্তা বসানো। জেটি বলতে ব্যস ওইটুকুই। তার একপাশ দিয়ে আওয়াজ করে ছুটে চলেছে চলেছে বর্ষায় ভরে ওঠা ভৈরবী নদী। অন্যপাশের উঁচু পাড়ের ওপর সার দেওয়া মালগুদাম।
জল কাদায় জেটিটা মাখামাখি হয়ে আছে। একপাশে জড় করে রাখা কয়েকটা প্যাকিং বাক্সের অবস্থা তথৈবচ। তবু তারই মধ্যে একটার ওপরে কোনরকমে বসে পেছনের দিকে তাকায় বর্ণা।
Read More
মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে—
“আপনি দারুণ বোঝাতে পারেন স্যার,” অ্যালিস বলে উঠল, “আমায় একটু জ্যাবরওয়াকি কবিতাটার মানে বুঝিয়ে দিন না!
“আর আমার কাছে যে কোন কবিতার মানে বোঝানো তো নস্যি। বলো শুনি। বলো –বলো—” হাম্পটি ডাম্পটি জবাব দিল।
শুনে অ্যালিসের বেশ আশা গজাল প্রাণে। সে শুরু করে দিল,
“সেই যে ব্রিলিগ স্লাইদি টাটুমটোবে
গিমলে ঘুরাণ সূর্যকাঁটার ঘাসে
মিমসিগুলো বনলে বোরোগবে
Read More
