তিস্তান

[শুরুতে: এই কাহিনি তৃতীয় সহস্রাব্দীর দ্বিতীয় দশকের। ততদিনে পৃথিবী দূষণ ও শোষণের শিকার হয়ে প্রায় পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে তার সন্তানেরা নক্ষত্রলোক জয় করেছে মূলত দু’টি আবিষ্কারের মাধ্যমে। একটি দিয়ে নক্ষত্রের শক্তি ও ভরকে কাজে লাগিয়ে স্থান-কালের পর্দায় লুপ খোলা যায়— যার মাধ্যমে আলোকবর্ষের দূরত্বও অতিক্রান্ত হয় [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ঋজু গাঙ্গুলী, সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
Read more

দ্য ট্রিনিটি

ভয়াবহ নিস্তব্ধ পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজছে মিহিরদের সাউন্ড সিস্টেম থেকে। জনমানবহীন পরিবেশের পুরো ফায়দা লুটছে ওরা। গায়কের মুখ থেকে দ্রুতগতিতে বের হওয়া শব্দগুলোর মানে কেউ বোঝা দূরে থাক, কারও কানে ঢুকছে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

এই মুহূর্তে ওরা পার্টির আয়োজন করছে আর্জেন্টিনায়। চোখ জুড়ানো সবুজ [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, জাবির ফেরদৌস, সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
Read more

অপারেশন মধুমিডা

বাঘডোগরা এয়ারপোর্ট পিছনে ফেলে মিনিট কুড়ি বড়ো জোর। দু-চারটে বাঁক। গহন বন দু-পাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাড়িটার ওপর। ঝিঁঝির ডাক ডুবিয়ে আলো ছায়ায় আঁকা পাতার জাফরি মাড়িয়ে ছুটে চলেছে কন্টেসা।

পিছনের সিটে সুজন তার বাঁ দিকের জানলার কাচটা তুলে দিয়ে মাফলারটা আরেকটু সামলে নিল। কিন্তু মাঝখানে বসেও প্রায় কাঁপুনি লাগার জোগাড় নিলয়ের। [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, সিদ্ধার্থ ঘোষ
Read more

পৃথিবীর শেষ পায়রা

[অধ্যায় এক]

টেবিলের উপর ঠকাস করে ট্রেটা রাখেন মিসেস আনোয়ার। ঝড়ের পূর্বাভাস বুঝতে পেরে, নজর আরো তীক্ষ্ণ করে ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকতে থাকেন প্রফেসর কামাল আনোয়ার। সম্ভব হলে পুরো সন্ধ্যা স্ক্রিনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকবেন, তবুও কোনোভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে এই মুহূর্তে বাকবিতন্ডায় জড়াবেন না। সূর্য ডুবতে শুরু করেছে। পশ্চিম আকাশ রক্তিম [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম, সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
Read more

ঝিঙ্গে-পোস্ত

 

– মৃত্যুহানা –

টক্‌ টক্‌ টক্‌! হরি আবার জোরে জোরে টোকা দিল ডা. যোশেফ মিত্রর দরজায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই টোকা দিয়ে চলেছে সে, কিন্তু ডা. মিত্র-র সাড়া দেবার নাম নেই! ধ্রুব মল্লিক এবারে পুরোপুরি অধৈর্য হয়ে গেল। “আরে, ওইরকম পিনিপিনে টোকা মারলে কিচ্ছু হবে নি, বাবুর শরীল খারাপ ছিল রাতে, জানিস না? খুব গভীরে ঘুমুচ্চে। দরজাটায় জোরে ধাক্কা মার।” [আরো পড়ুন]

Tags: অমিতাভ রক্ষিত, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more

ঘুম-ঘর

 

এই কাহিনি ভাবীকালের। এ ভাবীকাল আমাদের জীবনে কেন আমাদের ভাবী কয়েক পুরুষের জীবনেও হয়তো আসবে কিনা সন্দেহ।

তবে ভারতের শ্বাশত বাণী— ‘চরৈবেতি’। এগিয়ে যাও। এগিয়ে যাও। মানব সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে। বিশ্বাস করি ধীরে ধীরে এক সময়ে আমাদের এই সভ্যতা ছড়িয়ে পড়বে গ্রহে গ্রহে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে। মানুষের পদধ্বনি শোনা [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, রণেন ঘোষ, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more

চাঁদের মাঠে ওয়ান ডে

 

“হ্যালো! আবির? আমি দিব্য বলছি!” সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে পারল না আবির। “শুনছিস? কাল সুপারটাউনের সঙ্গে ম্যাচ। ঠিক এগারোটায়…”

“সরি। কাল আমার মর্নিং ডিউটি— দুটোয় ছুটি!”

“শোন আবির!” গলাটা নামিয়ে দিব্য যেন খুব গোপনীয় খবর ফাঁস করার ভঙ্গিতে বলল, “কালকের ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব কথা এখন বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কাল যদি না খেলিস খুব ভুল করবি।”

[আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সিদ্ধার্থ ঘোষ
Read more

নোবেল দিলেন ঘনাদা

কলকাতা শহরের দক্ষিণে একটি কৃত্রিম জলাশয় আছে, করুণ রসিকতার সঙ্গে আমরা যাকে হ্রদ বলে অভিহিত করে থাকি। জীবনে যাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই অথবা উদ্দেশ্যের একাগ্র অনুসরণে যাঁরা পরিশ্রান্ত, উভয় জাতের সকল বয়সের স্ত্রী-পুরুষ নাগরিক প্রতি সন্ধ্যায় সেই জলাশয়ের চারিধারে এসে নিজের নিজের রুচিমাফিক স্বাস্থ্য অর্থ কাম মোক্ষ এই নব্য চতুর্বর্গের [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ঘনাদা, রুদ্র দেব বর্মন, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more

ফাটল

কালাহান একজিট পোর্ট, তিন দিন আগে, পাগল বুড়ো

“বুড়োওওও!”

তীক্ষ্ণ গলার চিৎকার কানে আসামাত্র বুঝলাম, অলস দুপুরটার বারোটা বাজাল।

আশফাক আর নীরা’র দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই কমিউনিটি শেল্টারে পড়তে না গিয়ে, বা রুবিক ইনক্‌-এর প্ল্যান্টে কাজে না ঢুকে ওরা আমার কাছে এসে ঘ্যানঘ্যান করলেও কারও কিচ্ছু বলার নেই।

নোংরা এই সমুদ্রতটের গলায় কুৎসিত [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ঋজু গাঙ্গুলী, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more

হোমো ইন্ডোসেনেক্সের সন্ধানে

কালকে সারাদিন ধরে ব্লিজার্ড চলেছে। তাঁবু থেকে বের হতেই পারিনি। আজ সকালে ঝকঝকে আকাশ। উত্তর দিকে শতপন্থ গ্লেশিয়ার। ওপারে দুটো পিক দেখা যাচ্ছে বালাকুন আর চৌখাম্বা একটু ডান দিকে। পূর্বদিকে অলকানন্দা। ঘাটসোলের দু-নম্বর ক্যাম্প থেকে আমরা প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে। সোজা লাইন টানলে বারো কিলোমিটারই হয়। কিন্তু মাঝখানে একটা বিশাল এক উপত্যকার [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more

বিবর

অতল বিবরের সঠিক ইতিহাস অজানা। কিংবদন্তীতে, জনশ্রুতিতে, দেবাসুরের সংগ্রাম থেকে আরম্ভ করে আকাশ থেকে নেমে আসা উল্কাপাত অবধি নানা ধরনের কাহিনি ছড়িয়ে থাকলেও ভূখণ্ডব্যাপী এই অতলান্ত গহ্বরের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞান এই যন্ত্রসভ্যতার যুগেও ধোঁয়াশায়।

কয়েক হাজার মাইল ব্যাসের দানবিক বৃত্তের মতো ভূখণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গহ্বর প্রায় [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সুমিত বর্ধন
Read more

হাতি

“নাঃ! সহ্যের একটা শেষ আছে। আর এই মেসে থাকা যাবে না।”

     “আমিও মেস ছেড়ে দেব ভাবছি।”

     “তুই ভাবছিস? আমি তো ঠিকই করে ফেলেছি।”

     “আমি তো একটা মেসের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আর ক-দিন পরে সামনের মাসে একটা সিট খালি হচ্ছে। কালই অগ্রিম টাকাটা দিয়ে আসব।”

     ওপরের কথাবার্তা যে বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসবাড়ির দোতলার আড্ডাঘরে চলছে [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ঘনাদা, পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী, সৌরভ দে
Read more

সময়নদীর বাঁকবদল

    

     (এটা একটা বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি। বাংলায় অল্টারনেট হিস্ট্রির ধারাটি নতুন। এই কাহিনিকে একটি জিও-পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি বলা যায়। এই ধারাভাষ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অন্তত এই বিশ্বে। কোনও সমান্তরাল বিশ্বে সত্যিও হতে পারে।)

    

     প্রাককথন

    

 ২১২০ সাল, কলকাতা

      ফিসের বায়োমেট্রিক গেটে বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে লোকটা ভিতরে ঢুকতেই [আরো পড়ুন]

Tags: পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পার্থ দে, বিকল্প ইতিহাস, রনিন
Read more

লম্বগলি

“এ কোন রাস্তায় নিয়ে এলি?”

     “কেন মোড়ের মাথায় ও-ই তো বলল বাঁ দিকের রাস্তায় যেতে।”

     “ও বলল আর তুই চলে এলি? এটা তো সেই কুড়গুড্ডা পাহাড়ের রাস্তা মনে হচ্ছে।”

     যে মোড়ের মাথায় বাঁ দিকে যেতে বলেছিল সে রুখে উঠল। “কেন কুড়গুড্ডার রাস্তা কি রাস্তা নয়? তোরাই তো বললি চটপট বাড়ি ফিরতে হবে। এ রাস্তাটা অনেক ছোট।”

     “ছোট তো বটে, কিন্তু বিপদের কথাটা ভাববি না?”

[আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, রনিন
Read more

বর্ণচোরা

“বুতু! অ বুতু! ওট বাবা, ওট!” কপালের ওপর কে যেন আলতো আঙুল বোলাচ্ছে। নরম, ঠান্ডা আঙুল। কার আঙুল এটা? এ ছোঁয়া তো আমার বড্ড চেনা! আহ্, কী আরাম! ইচ্ছে করছে আর-একটু শুয়ে থাকি… কিন্তু সে আর হল না। নরম হাতটা এবার ঠাঁই-ঠাঁই করে দুটো চাঁটি বাজিয়ে দিল কপালে, সঙ্গে বিষম জোর ধাক্কা! “ও মাগো!” বলে কঁকিয়ে উঠতেই কানের কাছে চাপা গলার ধমক বেজে উঠল, “আ [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, জটায়ু, দেবলীনা চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, হরর
Read more

ঈশ্বরের গণিত

অধ্যায় এক

১৭ এপ্রিল, ২০৬৪ স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন; ইউএস, ক্যালিফোর্নিয়া

 

“এমিলি, কফি খাবে?” পেছনের সারি থেকে বলে ওঠে মাইক।

     “একটু পর, একটা মজার জিনিস পেয়েছি। চাইলে তুমি একা খেয়ে আসতে পারো, আসার সময় আমার জন্যে এক কাপ নিয়ে এসো।”

     এমিলি, নতুন জয়েন করেছে এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের জুনিয়র পর্যবেক্ষক হিসাবে। নতুন নতুন সবারই এমন উৎসাহ উদ্দীপনা একটু [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, পঞ্চম বর্ষ প্রথম সংখ্যা, মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম, সৌরভ দে
Read more

জিরো

প্রাককথন

 “এই কাহিনি শ’দুয়েক বছর পরের এক পৃথিবীর।

     ক্রমশ কমে আসা সবুজ আর নীলের প্রায় সবটাই তখন মুছে গেছে বিশ্বযুদ্ধের তাপ আর বিকীরণে। সেই সঙ্গেই পৃথিবীর এক মস্ত অংশ থেকে হারিয়ে গেছে জীবন। কিন্তু সর্বনাশা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে সেনাবাহিনীর একাংশ বুঝতে পারল, অন্য রাষ্ট্র বা ধর্ম-জাতি-ভাষার মানুষ নয়, এই যুদ্ধ চাইছে অতিবৃহৎ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো। [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ঋজু গাঙ্গুলী, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, সুপ্রিয় দাস
Read more

প্রত্যাবর্তন

৬ জানুয়ারি ২০৫৪, রাত দুটো

‘ওয়াটসননন’। এক ঝটকায় বিছানার উপর উঠে বসে পড়ল দীর্ঘদেহী শরীরটা। ঘরে আলো আঁধারী। একটি মাত্র বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো। উদ্ভ্রান্তের মতো দৃষ্টি ঘুরে বেড়াতে লাগল ঘরের প্রতিটি কোনা। কিন্তু কিছুতেই নিজেকে বন্ধনমুক্ত করতে পারছে না দীর্ঘদেহী। অসংখ্য তার জালিকার মতো ঘিরে রয়েছে তার দেহ। মাথায় অজস্র স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে ফিরে আসছে। শত [আরো পড়ুন]

Tags: ইন্টারনেট, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, সহস্রাংশু গুহ
Read more

অকালচক্রের কাঁটা

অধ্যায় এক

স্থান: মেক্সিকোর সিজুলুব হসপিটাল, সময়: বিকাল ৩টা ৪২, ৫ মে ২০৭৬

হাসপাতালের ছোট্ট কেবিনে একাকী শুয়ে আছে উনিশ বছরের এক তরুণ, শূন্য দৃষ্টি ছাদের দিকে স্থির হয়ে আছে। চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে বালিশ ভিজিয়ে দিচ্ছে; তরুণের ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি। সময় ফুরিয়ে এসেছে এটি সে ঠিকঠিক বুঝতে পেরেছে। মৃদু হাসিটি আরও বিস্তৃত হয়, কিছুক্ষণ পরে সেটি অট্টহাসিতে [আরো পড়ুন]

Tags: অঙ্কিতা, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম
Read more

একটি মথের মৃত্যু

১. ‘Don’t clap too hard- It’s a very old building.’

‘সভ্যতা যখন ঘুমিয়ে ছিল, আমরা প্রকৃতিকে মায়ের রূপে পুজো করতাম। পশু থেকে মানুষ হবার তাড়নায় এক সময় আমরা মাকে ভুললাম। যে সবুজে আমাদের শান্তি ছিল তাকেই দু-হাতে ছিঁড়েখুঁড়ে একসময় এই হৃদয়হীন ধূসর শহরের জন্ম দিলাম আমরা। সেই শহর আজ নখ-দাঁতে গিলে নিচ্ছে আমাদের। আমরা বিপন্ন। চারিদিকে শুধু মৃত্যুর সুর বাজছে। মরুভুমি এগিয়ে আসছে, বরফ গলছে, [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কর্নেলের গল্প, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, রনিন, সুপ্রিয় দাস
Read more

চরমজীবী

প্রিয়দর্শিণী হ্রদকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে এসেছেন ডঃ বেদ পিল্লাই। একাই এসেছেন। এই আগস্ট মাসের শেষ শীতের -২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কামড় আটকাতে চার স্তরের পোশাক পরে আছেন। গায়ে পোলার পার্কা, ফ্লিস জ্যাকেট, হাতে দস্তানা, মাথা-মুখ ঢাকতে বালাক্লাভা। শারম্যাকার মরুদ্যানের এই বরফহীন উঁচু জায়গাটা বেশ মনোরম। এখান থেকে চারদিকের দিগন্তপ্রসারী বরফের আস্তরণটা [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পার্থ দে, পূজাবার্ষিকী, সুমন দাস
Read more

ম্যাজিক বাক্স

(এই কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম মিল একেবারেই আকস্মিক বলে ধরতে হবে।)

 

(১)

“এই ছেলের জন্য একদিন আমাদের গুষ্টি-সুদ্ধ জেলে যেতে হবে। একে নিয়ে যে আমি কী করি!”

     “এখন আক্ষেপ করে লাভ কি বল? ওর ছোটবেলা থেকে তোমাকে আমি বার বার বলেছি, যে ছেলেকে সময় দাও। কিন্তু তুমি তোমার কোর্ট আর …”

     “ছেলেকে সময় দিলে যে পেটের ভাত জুটত না সে কথা খেয়াল আছে?”

[আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, চতুর্থ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, পূজাবার্ষিকী, সৌরভ দে
Read more

ডে-ভি

কিউব, হাভেন, এখন

“আগে আমাদের পরিচয়গুলো দিই?” নরম, একটু স্নেহময় গলাটা বলে উঠল, “আমি ডক্টর আলতাফ হোসেন, চিফ অ্যানালিস্ট। আমার ডান পাশে রয়েছেন…”

“দরকার নেই।”

“মানে?”

“কারও পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই ডক্টর। এই চেম্বারে ঢোকার আগে, ইনফ্যাক্ট কিউব-এ ঢোকার পর থেকে আপনার, আমার, সবার সবকিছু রেকর্ডেড হয়েছে। নতুন করে এ-সব বলার কোনো দরকার নেই।”

কিছুক্ষণ চুপচাপ হয়ে রইল ঘরটা। [আরো পড়ুন]

Tags: ঋজু গাঙ্গুলী, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা, তৃষা আঢ‍্য
Read more

অমানব

অমানব

লেখক – তানজিরুল ইসলাম

অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস

 

(১)

মার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি চাই না সেটা আর কারও সঙ্গে ঘটুক বা আমার জীবনেই আবার দ্বিতীয়বার ঘটুক। মাত্র পাঁচদিন আগে আমি ওখান থেকে বেঁচে ফিরেছি। নেহাত কপালের জোরে, নয়তো আমাকেও মরে পড়ে থাকতে হতো লাশ হয়ে। আর পত্রিকায় উঠে চলে আসতো আমার সেই ক্ষত-বিক্ষত লাশের ছবি।

     ব্যাপারটা আপনারাও দেখেছেন পত্রিকায়। [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তানজিরুল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, সায়েন্স-ফ্যান্টাসি উপন্যাস, সুপ্রিয় দাস
Read more

আঁখিশ্রী

আঁখিশ্রী

লেখক – পার্থ দে

অলংকরণ – সুমিত রায় 

 

(১)

মার্চ, ২০১৮, বিক্রমশীল পাবলিক স্কুল, কলকাতা

     স্কুলের পরীক্ষার আজ শেষদিন। সকাল থেকেই ছেলেমেয়েদের মুখে আনন্দের ছাপ। আজ পরিবেশ বিজ্ঞানের পরীক্ষা, ছাত্রছাত্রীরা তাই অনেকটা চাপমুক্ত। এরপর লম্বা ছুটি তিন সপ্তাহের, স্কুল খুলে আবার নতুন ক্লাস, নতুন পড়াশোনা। বিক্রমশীল সিবিএসসি বোর্ডের পাবলিক স্কুল, উচ্চবিত্ত [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পার্থ দে, পূজাবার্ষিকী, বায়োথ্রিলার, সুমিত রায়
Read more

কৌস্তূভ

কৌস্তূভ

লেখক – সুমিত বর্ধন

অলংকরণ – সুমিত বর্ধন 

 

(১)

ক্ষিণের আকাশের দিকে একবার তাকালো শতদল।

     গাঢ় নীল আকাশের বুকে দিগন্তব্যাপি এক সাদা খিলানের মতো দাঁড়িয়ে কৌস্তূভের বলয়। দিনের আলোয় চোখে না পড়লেও শতদল জানে ওই খিলানের আশে পাশেই কোথাও অভিকর্ষের জটিল পথ বুনে চলেছে কৌস্তুভের দুটি চাঁদ, সুহাস আর উল্লাস। কৌস্তূভ আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী সুহাস ভদ্রের নামে [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, কৌস্তূভ, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, সুমিত বর্ধন
Read more

তারামাছ

তারামাছ

লেখক – ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

অলংকরণ – সৌরভ দে 

 

(১)

স্থানঃ মাদ্রাজ

সময়ঃ ১৯৬০ সালের ২১শে জানুয়ারি।

     “আপনার বিনয় দেখে আমি ভুলছি না স্যার। যাই বলুন আপনি স্যার একজন মহান বিজ্ঞানী।” মাধবন এই নিয়ে বোধহয় পনেরবারের মতো কথাটা বলল। বিক্রমের বিরক্তি ক্রমশঃ বাড়ছিল। এই লোকগুলো কী নির্লজ্জের মতো তোয়াজ করতে পারে। গত পরশু ও মাদ্রাজে এসেছে। [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তারামাছ, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, পূজাবার্ষিকী, সৌরভ দে
Read more

নক্ষত্রলোকে দস্তখত

নক্ষত্রলোকে দস্তখত

মূল লেখক – লী প্রিসলি

বাংলা অনুবাদ – শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

অলংকরণ – তৃষা আঢ্য

 

আগন্তুক

মাইক আর মলি কার্সন উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দরজায় অপেক্ষা করছিল। অধ্যাপক গ্লীম তাদের ওই মস্ত দূরবীনে চোখ রেখে দেখতে দেবেন তো? গতবার তো ওই লাল দাড়িওয়ালা বিজ্ঞানীর কথাবার্তা মোটেই আশ্বাসব্যঞ্জক লাগেনি।

     রোদে পোড়া হলদে অবিন্যস্ত [আরো পড়ুন]

Tags: অনুবাদ উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, তৃষা আঢ‍্য, নক্ষত্রলোকে দস্তখত, পূজাবার্ষিকী, লী প্রিসলি, শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
Read more

কর্নেল এবং…

কর্নেল এবং…

লেখক – রনিন

অলংকরণ – সুমিত রায়  

 

১ 

পথে হলো দেরি

সেদিন ছিল রবিবার। একটা ছিমছাম ভালো লাগার অলস অখন্ড রবিবার। খবরের কাগজে কাজ করার সূত্রে ততদিনে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর সঙ্গে শনি-রবির পার্থক্য ভুলেছিলাম প্রায়, কিন্তু ডাকবাংলোর খুনের কেসটা সমাধান হওয়ার পর থেকে পুরো এক সপ্তাহের ছুটি মনজুর হয়েছে অফিস থেকে। তাই আমার হাতে তখন [আরো পড়ুন]

Tags: কর্নেল এবং..., কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, রনিন, সুমিত রায়
Read more

জিগজ্যাগ ও দুজন রানী

জিগজ্যাগ ও দুজন রানী

লেখক – নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী

অলংকরণ – সৌরভ দে 

 

রিদমের মাথায় ভূতব্যান্ডেল, ২০০৮

ন্দা নতুন বাড়িটায় এসে বেশ ঘাবড়েছিল। বাড়িটা তার কাছে নতুন হলেও এমনিতে বেশ পুরানো। প্রায় তিনশো বছরের। এক সাহেবের কাছ থেকে কিনেছিলেন ছন্দার ঠাকুর্দার বাবা। মূল কাঠামোটা একই রেখে সংস্কার করেছিলেন। বাড়িটার সামনে একটা রাধাকৃষ্ণের মন্দির [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, জিগজ্যাগ ও দুজন রানী, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী, পূজাবার্ষিকী
Read more

মায়াশূন্যযান

মায়াশূন্যযান

লেখক – সালেহ আহমেদ মুবিন

অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস 

 

(১)

হুনানপু আকাশের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল, “আমি ব্যাপারটা টের পাচ্ছি, কাস্টিলা। মহারাজ আমাদের আর বেশিদিন সহ্য করবেন না।”

     কাস্টিলা অসন্তোষের শব্দ করল মুখ দিয়ে। “বুজরুক রাজপুরোহিতদের চেয়ে লোকে তোমাকে বেশি মানলে রাজার কাছে সেটা খারাপ লাগবেই। তারা আছে সারাদিন আনন্দ তামাশা নিয়ে। রাজ্যের [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, মায়াশূন্যযান, সালেহ আহমেদ মুবিন
Read more

মীরজাফর

“ড্যাম! হাউ দিস ক্যুড হ্যাপেন?”

     “সর‍ি স্যার- ইট ওয়স মাই ফল্ট, বাট-বাট আই ডিড রেক্টিফাই ইট উইদিন সেকেন্ডস।”

     “দ্যাট ডাসন’ট চেঞ্জ এনিথিং!! ইউ অয়্যার অ্যাবাউট টু জিওপারডাইস মাই এন্টায়ার লাইফ’স ওয়ার্ক – ইউ!! লাল, ইউ দেয়ার??”

     “ইয়েস স্যার।”

     “শ্যুট দিস বাস্টার্ড রাইট নাউ! আই ওয়ান্ট টু হিয়ার হিস স্ক্রিম!”

     একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল – যুগপত বন্দুকের এবং মৃতপ্রায় মানুষের গলার।

[আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, ক্লাই-ফাই, তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, মীরজাফর, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয় দাস
Read more

আমি নিশার আতঙ্ক

রে ঢুকতেই প্রথমে নজর পড়ল টেবিলের উপর সুন্দর একটা খাম। চট্‌ করে তুলে নিলাম। সত্যি, অদ্ভুত মনোগ্রাম করা খাম। গভীর নীল সমুদ্র। লাল প্রবালের স্তূপ এবড়ো খেবড়ো। কিন্তু কি বিশ্ৰী। লাল প্রবাল স্তূপের পাশে রয়েছে একটা বড় ইঁল বা বাণ মাছ। চোখ দুটো চুনি। মুখটা চ্যাপ্টা জোঁকের মত সাকার লাগান। কি জীবন্ত ছবি মনে হয় এক্ষুণি যেন নড়ে উঠবে ইলটা। [আরো পড়ুন]

Tags: থুলু মিথোস এর গল্প, প্রথম বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা, রণেন ঘোষ, সুপ্রিয় দাস
Read more

অর্থতৃষ্ণা

য়ুরোপের যুদ্ধের সময় নানা টানাপোড়েনের দরুন কলকাতায় দ্রব্যমূল্য অত্যধিক বৃদ্ধি পায়। তার উপর আবার চাকরির বাজারেও মন্দার ভাঁটা লেগে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই দুয়ের ধাক্কায় বহু লোকে তাদের কলকাতার পাট চুকিয়ে দেশের বাড়িতে পাড়ি দিলে, কলকাতার অনেক ভাড়াবাড়ি খালি হয়ে পড়ে। আমি আর ধূর্জটি সেই সময়ে আমাদের আমহার্স্ট স্ট্রীটের পুরনো মেসবাড়িটা [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর), সুমিত বর্ধন
Read more

প্রহরণ

১২ মার্চ , ২০১৭, কলকাতা

    বাইপাসের মুখটায় একটা স্পিড ব্রেকারের সামনে লোকটা মোটরবাইকে আচমকা ব্রেক কষল। সুহানির নরম বুকটা লোকটার পিঠে লেপটে গেল। মনে মনে হাসল সুহানি। হেবি হারামি লোক তো! তবে লোকটাকে মনে ধরেছে তার। শট নেওয়ার আগেই তাকে দু হাজার টাকা অ্যাডভান্স দিয়েছে! কাজ শেষ হলে বলেছে আরও তিন হাজার টাকা দেবে। বাইকের পিছনে বসে সুহানি লোকটাকে আরও নিবিড় করে [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যা, পার্থ দে, প্রহরণ, সুপ্রিয় দাস
Read more

কালচক্র

কটু দেরি হয়ে গেল মার্কের। তবে বেশি নয়, সকালে রাস্তা খালি থাকার কথা; তাহলেই মেক আপ হয়ে যাবে। অ্যাপে ম্যাপটা আরেকবার দেখে নিল সে। আরও সাতাশ কিলোমিটার, মানে প্রায় চল্লিশ মিনিট। এক ঘণ্টা লাগলেও ঠিক আছে। ওখানে গিয়ে মিঃ দত্তর সঙ্গে কাজ সাকুল্যে দশ মিনিটের, যদিও আধ ঘণ্টা ধরেছে সে। ভারতে কিছুই বলা যায়না, বরং সে যদি তাড়াতাড়ি পৌঁচে যায় এয়ারপোর্টে, অতিরিক্ত সময়টা বই হাতে কাটিয়ে দেবে সে।

[আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কালচক্র, তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যা, সন্দীপ চৌধুরী, সুপ্রিয় দাস
Read more

প্লিওনাসের ভয়ঙ্কর

 

ফ্যাকাশে একটা আলো বিষণ্ণ, ধূসর যেন মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে সেটা ছড়িয়ে আছে চরাচর জুড়ে মাথার ওপর আকাশটাও অদ্ভুত যতদূর চোখ যায়, হাল্কা খয়েরি রঙের একটা আভা যেন মাখানো আছে গোটা আকাশের এ ধার থেকে ও ধার সেইসঙ্গে ছড়ানো আছে যেন একটা করাল ছায়া সে ছায়ায় একটা হিম অন্ধকারের অনুভূতি যেন মনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে আকাশের এমন রঙ আর এমন চেহারা দেখতে চোখ অভ্যস্ত নয়

[আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, প্লিওনাসের ভয়ঙ্কর, সুপ্রিয় দাস
Read more

অমানুষিক

(এই কাহিনী সম্পুর্ণ কাল্পনিক। কোন বাস্তব ঘটনা বা চরিত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া গেলে তা আকস্মিক ধরতে হবে)

প্রেম ও স্পিসিস

     – “তুই সিওর প্রিতম? আজকেই নামাবে?” 

     – “হ্যাঁ রে বাবা। সারা সকাল কাউন্সেলিং করেছি। বার বার বুঝিয়েছি নাউ অর নেভার। খুব নার্ভাস হয়ে আছে, তবে আজই নামিয়ে দেবে।”

     – “এতো নার্ভাস হবার কি হল বুঝি না বাবা। অমৃতাকে প্রোপোজ করতে এতো কি [আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, সুপ্রিয় দাস
Read more

কামিনী, তুমি কি মানবী?

মকে উঠলাম। এ হাতের লেখা তো আমার অপরিচিত নয়। আমার নিজের লেখার মত একান্ত পরিচিত এর প্রতিটি অক্ষর এতো আমার নিজের হাত ধরে শেখানো। আর তাঁর সইলো না। ছিঁড়ে ফেললাম খামটা ধবধবে সাদা কাগজে ছোট্ট একটা চিঠি

চণ্ডীপুরঅনসী

উড়িষ্যা

কাকু,

     অনেকদিন পরে তোমাকে লিখছি। ভেবেছিলাম আমি নিজে গিয়ে তোমাকে সব বলবো। ধরে [আরো পড়ুন]

Tags: উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, কামিনী তুমি কি মানবী?, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর), দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, রণেন ঘোষ
Read more

মারকত নন্দিনী

দীর কিনারা বরাবর খুঁটি পুঁতে তার ওপরে কাঠের তক্তা বসানো জেটি বলতে ব্যস ওইটুকুই তার একপাশ দিয়ে আওয়াজ করে ছুটে চলেছে চলেছে বর্ষায় ভরে ওঠা ভৈরবী নদী অন্যপাশের উঁচু পাড়ের ওপর সার দেওয়া মালগুদাম

     জল কাদায় জেটিটা মাখামাখি হয়ে আছে একপাশে জড় করে রাখা কয়েকটা প্যাকিং বাক্সের অবস্থা তথৈবচতবু তারই মধ্যে একটার ওপরে কোনরকমে বসে পেছনের দিকে তাকায় বর্ণা

[আরো পড়ুন]

Tags: অদ্রীজা বর্ধন, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, মারকত নন্দিনী, সুমিত বর্ধন
Read more

মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে—

পনি দারুণ বোঝাতে পারেন স্যার,” অ্যালিস বলে উঠল, “আমায় একটু জ্যাবরওয়াকি কবিতাটার মানে বুঝিয়ে দিন না!

     “আর আমার কাছে যে কোন কবিতার মানে বোঝানো তো নস্যি। বলো শুনি। বলো –বলো—” হাম্পটি ডাম্পটি জবাব দিল।

     শুনে অ্যালিসের বেশ আশা গজাল প্রাণে। সে শুরু করে দিল,

     “সেই যে ব্রিলিগ স্লাইদি টাটুমটোবে

     গিমলে ঘুরাণ সূর্যকাঁটার ঘাসে

     মিমসিগুলো বনলে বোরোগবে

[আরো পড়ুন]

Tags: অনুবাদ, অনুবাদ উপন্যাস, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে—, লুই প্যাজেট (হেনরি কুটনার এবং ক্যাথরিন মুর)
Read more
error: Content is protected !!