দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – শারদীয়া সংখ্যা – প্রচ্ছদ

দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – শারদীয়া সংখ্যা
প্রকাশকাল – ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ।
Read More
স্বপ্ন
“জগতে সকলই মিথ্যা সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়।
স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান,
গৌড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান।”
১ স্বপ্নদর্শন
স্বপ্ন কে না দ্যাখে? আমি দিবাস্বপ্ন বা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার কথা বলছি না। ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্ন দেখা হয়, তার কথা বলছি। আবালবৃদ্ধবনিতার মধ্যে এমন কোনো মানুষ নেই, যে কখনও স্বপ্ন দেখেনি বা দ্যাখে [আরো পড়ুন]
Read More
The Silent Accord
Chapter I: A Sliver of Stillness
In the late 1930s of the century, there came an age when people no longer heard the wind.
Not because it ceased to blow, but because the noise of everything else had grown too vast. Cities drummed endlessly—advertisements whispered from vapour screens, traffic sang its daily hymn, children recited lessons aloud to omnidirectional recorders, and even plants were encoded to emit ultrasonic greetings, detectable by smart shoes to suggest footpath mindfulness.
There was no room left for silence.
That was when silence—pure, unstructured, uncorrupted emptiness of sound—was commodified.
It began in Dzerzhinsk, a city that had once been famous for its toxic past and now leaned towards innovation to cleanse itself. A man named Pavel Yurev, former acoustician and part-time mystic, stumbled upon the accidental technique to extract silence from heavily resonant chambers using a fusion of sound-cancellation fields and deep-earth resonance siphons.
Read More
সম্পাদকীয়
এ বছরের শারদীয় সংখ্যার সম্পাদকীয় লিখতে বসেছি যখন, তখন কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির আঘাত বুকে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষতে ব্যস্ত। এতগুলো মানুষের বছরভরের পরিশ্রম তলিয়ে গেছে জলের তলায়, ছাপার কালি চোখের জলে ঝাপসা হয়ে গেছে বেমালুম। প্রকাশক, মুদ্রক, বইবিক্রেতা—ক্ষতি হয়েছে সকলেরই। সামনেই বইমেলা। আশা করি, পাঠকদের ভালোবাসায় [আরো পড়ুন]
Read More
Editorial
The Autumn Festival, Durga Puja, marks the arrival of Goddess Durga from her heavenly abode to Earth, and the whole world is ready for one of the most culturally significant events, Durga Puja, here in Bengal, India. It is not just about religious or spiritual attainment but a potpourri of cultures involving music, dance, painting, and literature. Pujabarshiki, i.e., the Annual Durga Puja edition, has been catering to generations of readers to quench their need for reading fiction and non-fiction across various genres.
Ujjwal Ghosh paints a strikingly attractive cover picture with an aura of mysticism around it. Kalpabiswa Magazine has been devoted to bringing out the best in the area of science fiction, fantasy, and horror since its conception ten years back, in 2015. Kalpabiswa has witnessed steady growth among Bengali readers, and over the last two years, readership of the English section has been booming; [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে প্রাচ্যে: এক বাঙালির ওয়ার্লডকনের ডায়েরি – শেষ পর্ব
[ প্রথম পর্বের লিঙ্ক: কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে প্রাচ্যে:: এক বাঙালির ওয়ার্ল্ডকনের ডায়েরি ]
শেষ পর্ব
কৈফিয়ত: গত বছরে পুজো সংখ্যায় ওয়ার্লডকন আর চিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। মনে হয়েছিল বিশ্বের দরবারে প্রথম ভারত থেকে আমন্ত্রিত কল্পবিজ্ঞানের প্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্লডকনের অভিজ্ঞতা লিখে রাখা দরকার পরবর্তী প্রজন্মের লেখক, অনুবাদ আর সম্পাদকদের [আরো পড়ুন]
Read More
স্যার সত্যপ্রকাশের সন্ধানে
[ স্যার সত্যপ্রকাশ রচনার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ]
ঝিমলি চ্যাটার্জি বলল, প্রফেসার, আপনি স্যার সত্যপ্রকাশের নাম শুনেছেন?
—তা আর শুনিনি! বললেন প্রফেসার ম্যাকাও, একসময়ে কত কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বুড়ো হাড়েও নানা বৈজ্ঞানিক অভিযান আর অ্যাডভেঞ্চারের ভেলকি দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু শুনেছি, বছর পঁচিশ আগে উনি নাকি টাইম ট্রাভেলে কোনো অতীত দুনিয়ায় হারিয়ে গেছেন।
Read More
রামঅ ঘুরে এল অ্যালেন দম্পতি
সে এক আজব দেশ। সেখানে ঘড়ি চলে উলটোদিকে, দোকানে জিনিস কিনলে হাতে টাকা গুঁজে দেয় দোকানি। চাকরি করে টাকা গুনে দিয়ে আসতে হয়! ব্যাকওয়ার্ড ইকনমিক্স নিয়ে লেখা এরকম অভিনব কাহিনি পড়ে ছেলে-বুড়ো-মেয়েরা প্রত্যেকেই চমৎকৃত হয়ে ভাবতে বসবে আহারে,… এমনটি কেন হয় না!
দরজার ওপর নাকটা চেপে ধরে ক্রুদ্ধ হুঙ্কার ছাড়ল জেফ অ্যালেন।
কাচের খানিটা [আরো পড়ুন]
Read More
অভাগার স্বর্গ
“ড্যাড, তুমি যখন নীচে থাকতে, হাউ ওয়াজ় ইট?” সৌগত প্রশ্ন করল।
বরুণ তার ছেলের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিল। দিনের শেষে এই আধ ঘণ্টা সময়ই তারা রাখতে পেরেছে নিজেদের জন্য। আবার তো খেয়ে শুয়ে পড়ো, তারপর পরদিন সকালে উঠে ফুড স্ল্যাবের একটা প্যাকেট ছিঁড়ে মুখে পুরে ছোটো অফিস এবং স্কুলের শাট্ল ধরতে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
আইয়ে এ আই…
সাহিত্যক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রভাব (কিংবা উৎপাত /মহাসংগ্রাম /অস্তিত্বের লড়াই ইত্যাদি ইত্যাদি…) এই নিয়ে দুনিয়া জুড়ে ইদানিং বহু আলোচনা চলছে। এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সাবধানতা, আচরণবিধি, যন্ত্র-কুম্ভীলকবৃত্তি প্রতিরোধ, কপিরাইট সংক্রান্ত রক্ষাকবচ ইত্যাদি বিবিধ পদক্ষেপ নেয়াও শুরু হয়ে গেছে। তবে বাংলা সাহিত্যের অভিভাবককূল [আরো পড়ুন]
Read More
The Empathy Room
“if you feel pain, you‘re alive. If you feel other people’s pain, you’re a human being”
– Leo Tolstoy
Planet Earth, 2100 AD
EdenLand was waiting; the impact was just sixty seconds away. The asteroid, now broken into several enormous chunks, was initially almost half the size of Earth. The ever-alert Asteroid Tracking System had taken care of most of the broken parts. Some have turned into space debris, and some are now accidental satellites of the EdenLand Space Station.
Only one of them would strike the planet in sixty seconds. The impact effect is predicted to be minimal, the lush tropical forest area just outside the main city of EdenLand being the calculated impact zone. It’s hilarious that way. The planet’s terra firma has undergone a huge change in the last fifty years. Much of Europe and parts of the Middle East are now submerged landmasses. Severe climatic changes have made most of [আরো পড়ুন]
Read More
সরাই
“কই হে! কেউ আছ?”
অন্ধকার জঙ্গলের ওপর নেমে আসছিল নৈঃশব্দ্য। তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে, ভয়-দেখানো প্রতিধ্বনি তুলে হুংকারটা ছড়িয়ে গেল চতুর্দিকে।
“মনে হচ্ছে জায়গাটা খুব একটা সুবিধের নয়।”
জঙ্গলের মধ্যে সরাইখানাটার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল দুজন পুরুষ। ভারী কাঠ দিয়ে বানানো বাড়িটা খুব একটা উঁচু না হলেও বেশ লম্বা আর ছড়ানো চেহারার ছিল। [আরো পড়ুন]
Read More
দক্ষিণদেশ
“পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর সময়ে বেঁচে আছি। এই এক আশ্চর্য সময়। যখন আশ্চর্য বলে কোনো কিছু নেই।”
এক
ইথানের আজ ফিরতে দেরি হল। তার খেতে আবার পোকার উৎপাত শুরু হয়েছে। নিয়মমতো এক মাস আগেই স্প্রে করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে-কোনো কারণেই হোক, ভালো কাজ হয়নি। অগত্যা গাড়ি চালিয়ে পাশের শহর থেকে কেমিক্যাল কিনে এনে মুখোশ পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে সে কাজটা করল। এই [আরো পড়ুন]
Read More
ওসানার খোঁজে
সাদর অভ্যর্থনা
—হ্যালো… হ্যালো… ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স অনুসন্ধান যান জ্যানোস৩২৫৪ থেকে বলছি… শুনতে পাচ্ছেন… হ্যালো… মাইনিং পোস্ট ৭৪ শুনতে পাচ্ছেন… ধ্যত্তেরিকা… শুনতে পাচ্ছেন মাইনিং পোস্ট ৭৪…
—মাইনিং পোস্ট ৭৪ এ আপনাকে স্বাগতম… বাংলায় কথা বলতে ১ টিপুন… ফর ইংলিশ প্রেস ২… ম্যান্ডারিন আং ৩…
—ধুর ছাই… আরে আমরা ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স… আপনাদের কনট্রোল [আরো পড়ুন]
Read More
উপনিবেশ
আবছা নীল একটা আলো। ঘুমে জড়িয়ে আসা চোখদুটো একবার মেলেই আবার বন্ধ করে ফেলে অনিকেত। একটানা খুব মৃদু একটা অস্পষ্ট যান্ত্রিক স্বর ভেসে আসছে। ঘুমের মধ্যেই কেমন যেন গা মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে এই শব্দে। কিছুক্ষণ চোখ বুজে থেকে আবারও চোখ খোলে অনিকেত, ধীরে ধীরে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ফিরে আসছে ওর। এখনও নিজের নাম মনে পড়েনি, কিন্তু এখন সে চোখ মেলে দেখতে শুরু করেছে নিজের চারিপাশ।
Read More
আলোকজাল
অধ্যায় ১: অব্যাখ্যাত সংকেত
অক্টোবরের সন্ধ্যার হালকা শীতল হাওয়া কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ইটের দেয়াল ছুঁয়ে বইছিল। দোতলার জানালা দিয়ে কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকানের ফ্লুরোসেন্ট আলো ভেসে আসছিল, যেন শত বছরের জ্ঞানের আলো। কিন্তু আজ সেই আলোও ড. অভিজিৎ রায়চৌধুরীর মানসিক অশান্তি দূর করতে পারছিল না।
অভিজিতের হাত কাঁপছিল—এমন নয় যে ঠান্ডায়, [আরো পড়ুন]
Read More
নীল আলোর টর্চ
ঘুম থেকে উঠেই এ আবার কী অহেতুক ঝামেলা? মাথার পাশে একখানা পার্সেল দেখে বিরক্তই হল মল্লার। জন্মদিন এখনও মাস চারেক, বিয়ে তো তার হয়নি, যে বিবাহবার্ষিকী হবে? অ্যামাজ়নেও কিছু অর্ডার করেছে বলে মনে পড়ে না, তাহলে পার্সেলটা কীসের? বাক্সোটা অবশ্য একান্তই চাকচিক্যহীন। গিফট হলে নিশ্চয়ই রঙিন কাগজের প্যাকিং হত। এরপর ঘোরতর প্রশ্নটা মাথায় এল। মা-বাবা [আরো পড়ুন]
Read More
খগেনবাবুর স্পেস-টাইম
শিয়ালদা স্টেশন থেকে শেষ ট্রেনটা ধরে বাড়ি ফিরছিল দীপ্তার্ক। ডালহৌসি পাড়ার একটা মাঝারি অফিসের কেরানি। মফস্সলের বাসিন্দা অতএব ‘ডেইলি পাষণ্ড’। আজ হঠাৎ অফিস থেকে বেরিয়ে বাস স্ট্যান্ডে দেখা হয়ে গেল স্কুলজীবনের এক বন্ধুর সঙ্গে। প্রায় এক যুগ পরে দেখা! অতএব একটু তো গপ্প-আড্ডা হবেই! বাস স্ট্যান্ডের পাশেই একটা চায়ের দোকান, কয়েক গ্লাস চা সহযোগে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রফেসার হচপচ
জেনিদি আখ খেতে খেতে বলল, “প্রফেসার হচপচ যে অত বড়ো বিপদে পড়বেন, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।”
আমি হাঁ হয়ে তাকিয়ে পড়লাম জেনিদির মুখের দিকে।
মে মাসের সকালবেলা। আমাদের প্রকাণ্ড উঠোনে প্রকাণ্ড সবেদা গাছটার ছায়ায় বসে কথা হচ্ছে। জেনিদি একটা চেয়ারে পা তুলে বসে আখ চিবুচ্ছে, আমি তার মুখোমুখি আরেকটা চেয়ারে বসে আছি। চারদিকে কড়কড়ে রোদ। ফুরফুর [আরো পড়ুন]
Read More
প্যারাডক্সের খোঁজে
উরগার চার মাথার মোড় থেকে অভ্যাসমতো গাড়িটা বাঁদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিল সুনন্দ। এটাই কোরবা থেকে রায়গড় ফেরার জন্যে ওর পছন্দের রাস্তা। সোজা গিয়ে চাঁপার থেকে হাইওয়ে ধরলে অবশ্য দূরত্বটা কিছুটা কম হয়, কিন্তু চাঁপার মোড়ে ভয়ানক জ্যামের মধ্যে পড়তে হয়। ভইস্মা থেকে তুমান লাবাড হয়ে রাস্তাটা যদিও সিঙ্গল রোড [আরো পড়ুন]
Read More
দাও ফিরে সে অরণ্য
“মাটিতে যাদের পড়ে না চরণ…”
কত রকমের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে আজকাল। এক কোপে একসঙ্গে দশ-বারোটা মোটা মোটা গাছকে একেবারে মূলসুদ্ধ উপড়ে ফেলে দিচ্ছে। মোটা শক্ত চেন ধরনের একটা যন্ত্র—মেশিন চালালেই গুল্ম জাতীয় গাছের ঝাড়কে মিনিটের মধ্যে মাটির থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। চোখের নিমেষে দূর্ভেদ্য, [আরো পড়ুন]
Read More
স্বচ্ছ
অমৃতধারা
বাজে খরচ করাটা তন্ময়ের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। রিঙ্কি হাজারবার বারণ করলেও তন্ময় কথা শোনে না। লাইসেন্স নিতেই প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। তার উপরে যন্ত্রের দাম ধরলে, সব মিলিয়ে এক ধাক্কায় সত্তর হাজার টাকা খরচ। অথচ যন্ত্রটা বেশির ভাগ সময় অকেজো হয়ে পড়েই থাকবে।
বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য এই ছোটো যন্ত্রগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
বিধাতার বীজতলা
ওওঁওঁমমহ্মহ্মঅঁঅঁঅ…
বিকট ধ্বনিটা বদ্ধ করিডোরে তরঙ্গ তুলে পাক খাচ্ছিল। করিডোরের ধাতব মেঝেতে পড়ে থাকা অজস্র মৃতদেহের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা একটা দেহ একবার কেঁপে উঠল। দু-হাতে সে চেপে রেখেছে কান, যাতে শুনতে না হয়। তার বন্ধ চোখের পাতা কাঁপছিল তির তির করে, যাতে কিছু দেখতে না হয়। অসহ্য একটা শ্বাসরোধকারী [আরো পড়ুন]
Read More
স্বপ্নের দরজা
নির্জন সৈকতে
“সমুদ্রের কিনারা বরাবর কাউকে হেঁটে যেতে দেখেননি আপনি?” জিজ্ঞাসা করলেন অফিসার। ভাবলেশহীন দেখাচ্ছিল তাঁর মুখটা; তবে কণ্ঠস্বরে ফুটে-ওঠা কর্তৃত্বের আভাস গোপন থাকছিল না। সম্ভবত বহু পরিশ্রমে অর্জিত পদমর্যাদা আর তদন্তের গুরুত্ব—এই দুই বৈশিষ্ট্য মিলেমিশে এমন ব্যক্তিত্ব দিয়েছিল তাঁকে।
আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে দু-পাশে মাথা নাড়ল ঋত্বিক, [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতির শহর
আমাকে টান মারে রাত্রি-জাগা নদী
আমাকে টান মারে অন্ধকার
আমার ঘুম ভেঙে হঠাৎ খুলে যায়
মধ্যরাত্রির বন্ধ দ্বার।
অনমিত্র হেঁটে যাচ্ছে এই শহরের অন্ধকার গলির মধ্য দিয়ে। গলিটা পেরোলে একটা বাজার। চোরবাজার। সেখানে আছে করিমের দোকান। সেখানে পাওয়া যায় জিনিসটা। যে জিনিসটার চাহিদা আজকাল লোকসমাজে তুঙ্গে। তবে বাজারচলতি [আরো পড়ুন]
Read More
ভারসাম্য
খস খস খস…
শব্দটা অচেনা।
কাজ থামিয়ে সবাইই ঘুরে তাকিয়েছিল দরজার দিকে। কিন্তু বন্ধ-হয়ে-থাকা চৌকো ধাতব দরজায় নিজেদের ছায়া ছাড়া চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না।
বাইরে কেউ এসে দাঁড়ালে দরজার সারফেসে তার ছবি ফুটে ওঠে। সে এমনকি একটা রোবো স্নিফার কুকুর হলেও।
কিচ্ছু ছিল না। অথচ খসখস শব্দটা তখনও সবাই শুনতে পাচ্ছিল।
মনিটরিং ডিভাইসে সুপারভাইজ়ার [আরো পড়ুন]
Read More
দুটি SFF বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়া – ‘অপারেশন ফিনিক্স’ ও ‘সময় কারাগার’
[বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখতে গিয়ে আলোচনায় কোনো স্পয়লার থেকে থাকতে পারে। তাই স্পয়লার অ্যালার্ট দিয়ে রাখলাম। যদি স্পয়লার ছাড়া বইপাঠের সুখ নিতে চান, তাহলে এই প্রতিক্রিয়া পড়বেন না।]
📕 বই: অপারেশন ফিনিক্স
✍🏻 লেখক: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
🖌️ প্রচ্ছদ: উজ্জ্বল ঘোষ
🖨️ প্রকাশক: অরণ্যমন প্রকাশনী
📄 পৃষ্ঠা: ১৭৬
💰 মুদ্রিত মূল্য: ₹২৭৫/- (সংকলন হার্ড কভার)
🍂 বিষয়বস্তু:
Read More
দ্য ক্লক দ্যাট ওয়েন্ট ব্যাকওয়ার্ড
এডওয়ার্ড পেজ মিচেল (জন্ম: ১৮৫২–মৃত্যু: ১৯২৭)
মিচেল ছিলেন সংবাদপত্রজগতের মানুষ। পেশাগত জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন সংবাদপত্রের জগতে। এমনকি ১৮৯৭ থেকে ১৯২৭ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনিই ছিলেন নিউ ইয়র্কের ‘দ্য সান’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। মানুষ তাঁকে সংবাদপত্রের লোক হিসেবেই জানত। সাহিত্যের আঙিনায় তাঁর পদচারণা অথবা জঁর ফিকশন—আর বিশেষ করে তার মধ্যে কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের ময়দানে [আরো পড়ুন]
Read More
অনুশোচনা শূন্য শতাংশ
[ইরানের লেখক জোহা কাজেমির ১৯৮২ সালে তেহরানে জন্ম, ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। ইরানে নারীবাদী স্পেকুলেটিভ ফিকশন, কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি ইত্যাদির রচয়িতা হিসেবে জোহা কাজেমি ইতিমধ্যেই অতি সম্মানিত ও বহুলপঠিত। ১৫টির অধিক প্রকাশিত বই আছে জোহার। Death industry, Rain born ইত্যাদি উপন্যাস ইতিমধ্যেই ইরানের স্পেকু ফিক পুরস্কার ‘নুফে’ জিতেছে। বর্তমান গল্পটা নেওয়া [আরো পড়ুন]
Read More
নস্টালজিয়া
৩০ মে ১৯৯৫
ভবিতব্য নিজের চেনা পথ ছেড়ে পৃথক পথে হাঁটে না। সামান্য জ্ঞান তো তা-ই বলে। কিন্তু হায় রে অবুঝ মন! যাবতীয় যুক্তিতক্ককে পাত্তা না দিয়ে স্বপ্নের মরীচিকায় আশার স্রোত খুঁজে বেড়ায়। রৈখিকতার কঠিন নিয়মে, একচিলতে অসম্ভব মুহূর্তের অনুসন্ধানে গুমরে মরে। এই নিয়ে হয়তো পঞ্চাশবার ‘শোলে’ দেখছি। সেই মুহূর্তটা এসে গেল। গুলিতে মরে [আরো পড়ুন]
Read More
মানুষ একদিন এলিয়েন
৩০৫০ সালে পৃথিবী থেমে গিয়েছে,
নদী শুকিয়ে গেছে, গাছেরা ভুলে গেছে পাতার ভাষা।
মানুষ তখন বসতি গড়েছে টাইটান গ্রহে,
তারা বলে, “এখানেই নতুন পৃথিবী, একে বাঁচাতেই হবে।”
বাতাস নাই, গাছ নাই, শুধু কৃত্রিম আলো,
শিশুরা দ্যাখে না পাখি—দ্যাখে ড্রোনের ছায়া।
ভালোবাসা এখন ইমোশন চিপে আপলোড হয়,
কাঁদতে হলে সফটওয়্যার ছাড়াই কাঁদা যায় না।
তখন এক শিশু জিজ্ঞাসা করল:
“আমরা কি [আরো পড়ুন]
Read More
মিদোরির দম
হাজার হাজার দমের খেলা—
কোন কাহিনি আজ শোনাব তোমায়?
একদা এক তেঁতুল গাছ
দাঁড়িয়ে ছিল একা
অনেক না, শুধু একটা।
নাম-না-জানা পাখি
খুব জ্বালাবে
এমন এক বাঁদর
ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না
এমনি এক হাওয়া।
“হায় রে মানুষ, রঙিন মানুষ [তুমি]
দম ফুরাইলে ঠুস!”
কিছুদিন আগে অবধি আমি নিজেকে গাছ-মানুষ বলেই ভাবতাম, যাকে উদ্ভিদ-মানুষ বলে, ঠিক সেরকম না; আর গৃহপালিত উদ্ভিদ [আরো পড়ুন]
Read More
সেতু
পূর্বকথা
A mind not to be changed by place or time
The mind is its own place, and in itself
Can make a heav’n of hell, a hell of heav’n.
— (‘Paradise Lost’—John Milton)
স্থান বা কালভেদে নেই চেতনার অবক্ষয়—
তার স্থিরতা আপনাতেই।
সেই চেতনার আত্মসমন্বয়ে, স্বর্গও হতে পারে নরক
আর নরক স্বর্গ। (অনু: অমিতাভ রক্ষিত)
সেদিন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের ওপরে উঠেছিল একটি বাঁকা চাঁদ। ইদের চাঁদের মতো শীর্ণ। বাইরে থেকে দেখলে, অর্থাৎ, যে-কোনো একটি ভ্রাম্যমাণ স্পেস [আরো পড়ুন]
Read More
অবশেষ
ক্রিং, ক্রিং… ক্রিং, ক্রিং…
একমনে ল্যাপটপে টাইপ করার দরুন ফোনের হঠাৎ বেজে ওঠাটা আমাকে চমকে দিল। সাধারণের চেয়ে সামান্য দ্রুত হৃৎস্পন্দনকে পাত্তা না দিয়ে ফোনের স্ক্রিনে দেখলাম আমার বন্ধু রণিতের নাম। বেশি সময় না নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে কানে লাগালাম। আর তারপরেই ওপাশ থেকে এক অদ্ভুত প্রশ্ন।
—ভাই, তুই এমন কাউকে চিনিস, যে অ্যান্টিক জিনিস কিনবে?
Read More
আলমন্ড
আলমন্ডের লগ ফাইল
২০২৩-০৭-০৬ ১১:৩৬:৪৭—
সামনে একটা পর্দা। না ঠিক পর্দা নয়, দেওয়াল। না ঠিক দেওয়ালও নয়, একটা বড়ো স্ক্রিন। ইংরেজিতে একটা লেখা: ‘টেস্ট# ৪৮: সাবজেক্টিভ রেসপন্স অব অ্যানালিটিক্যাল মাইন্ড অব নননিলিওন ডিসিশন ইঞ্জিন’। ‘সাবজেক্টিভ রেসপন্স’ মানে বিষয়গত উত্তর। আবার উত্তর মানে উত্তরদিকও হতে পারে। কিন্তু এই উত্তর তো প্রশ্নের উত্তর, প্রশ্নটা [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যান্টিভাইরাস
মিনিট পাঁচেক পর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস অনুভব করলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসছে। উনি এখনও চোখ খুলতে পারছেন না কিংবা হাত-পা-ও নাড়াতে পারছেন না, কিন্তু কোনো এক বিশেষ ইন্দ্রিয়বলে বুঝতে পারছেন, এক উত্তপ্ত ধাতব ঘরের মধ্যে তিনি শুয়ে আছেন। নাকে এসে লাগছে গরম ধাতুর ঘ্রাণ। হালকা শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু হয়েছে তাঁর। এতটাই হালকা যে বুকের ওঠানামা নিজেই অনুভব করতে পারছেন না।
Read More
ফেক
ক্যাব থেকে নেমে গুগ্ল ম্যাপ চেক করল ম্যারিয়ম। এই জায়গাটাই। কিন্তু এখানে কোনো ফ্ল্যাটের চিহ্ন নেই। ডান হাত তুলে সূর্যের আলো থেকে নিজের চোখ আড়াল করে চারপাশে তাকিয়ে দেখল ম্যারিয়ম। শুধু এখানেই কেন, এখান থেকে শ-দুয়েক মিটার, অর্থাৎ যতটা ম্যারিয়ম দেখতে পাচ্ছে, তার মধ্যেও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তো দূরের কথা, দুটো মানুষ থাকার মতো ছোটোখাটো [আরো পড়ুন]
Read More
ধ্বান্তারি
জ্বরে বেহুঁশ ছেলের পাশে বসে তার দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে অপেক্ষা করছি আমি। কোলের উপর রাখা আছে লম্বা গলার কাচের বোতলটা। এই বোতলটায় কুকি রাখতাম আগে, কিন্তু আজকের পর থেকে…
পাহাড়ের উপর থেকে সকালের রোদ এসে পড়ছে পুবদিকের জানালা দিয়ে, কিন্তু ঘরের তীব্র ঠান্ডা তাতে বিশেষ কমছে না। ভারী বোতলটার মসৃণ গায়ে আমার নিশ্বাস যেন [আরো পড়ুন]
Read More
ইশরাকের মন্দির
সাদা রঙের এসইউভি-টা এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যেন একটা দমকা বাতাস রাস্তার ওপর জমে-থাকা ধুলোবালি উড়িয়ে নিয়ে গেল। বিকেলের এই শেষ সময়টা শহরের উপকণ্ঠে নীরবতা বিরাজ করে। সূর্যাস্তের শেষ চিহ্নগুলি শুষ্ক, পরিত্যক্ত জমির উপর ফেলেছে দীর্ঘ ছায়া। একটু দূরে বাড়িটা দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে নিস্তব্ধতা ভাঙতে কারা এল, সেটাই যেন মাথা তুলে দেখছে সেটা। [আরো পড়ুন]
Read More
NAICA সংবাদ
ধীরেসুস্থে সিগারেটটায় শেষ টান মেরে চায়ের কাপের তলানিতে ফেলে দিল বিনয়।
সন্ধে সাতটা বাজে। নিমাইয়ের চায়ের দোকানে ভালোই ভিড় জমে উঠেছে। লুঙ্গি-ফতুয়া-পরা বুড়োর দল লাল চায়ের গ্লাস হাতে জোর তর্ক লাগিয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে। ওদিকে অফিস-ফেরত কয়েকজন ক্লান্তভাবে মোবাইল স্ক্রল করতে করতে মাটির ভাঁড়ে চুমুক দিতে ব্যস্ত। [আরো পড়ুন]
Read More
‘আদিম মানুষ’ ও ‘ভয়ানক সার্ভে’
আদিম মানুষ
এক যে ছিল আদিম মানুষ, সালটা গেছি ভুলে,
ইয়াব্বড়ো গোঁফ, দাড়ি আর জট-পড়া তার চুলে,
গুহার থেকে বেরিয়ে সেদিন পাথর হাতে হেঁটে
খুঁজছিল সে শিকার কোথায়, খিদের জ্বালা পেটে।
হঠাৎ পায়ে ঠেকল কী তার? মুখটা করে নীচু,
দেখল পড়ে রংচঙে খুব, গোল্লামতো কিছু।
খাবার ভেবে যে মুখে দেয়, বাপ রে, সে কী শক্ত!
রাগল ভীষণ আদিম মানুষ, গরম হল রক্ত।
মারল হাতের পাথর সোজা, মারল তাতে কিলও
জানল [আরো পড়ুন]
Read More
আল-বিরুনির চিরুনি
জেসন ধীর পদক্ষেপে গহ্বরটার পরিধি বরাবর হেঁটে চলেছিল। ওর দৃষ্টি গহ্বরের ভিতরের অন্ধকার অংশটার ওপর নিবদ্ধ। প্রায় মিনিট পনেরো হল, আইশা গহ্বরটার ভিতরে নেমেছে। জেসন ওকে নিষেধ করেছিল, কিন্তু ও শোনেনি। আইশার ধমনিতে প্রবাহিত হচ্ছে আরব বেদুইন আর মেক্সিকান যুদ্ধবাজ জনজাতির মিশ্র রক্ত। সেই কারণেই বোধহয় মেয়েটা মারাত্মক রকমের জেদি। আইশা যদি আর [আরো পড়ুন]
Read More
এই নশ্বর জীবনের মানে
ঘরে ঢুকেই মেজাজটা তিতকুটে হয়ে গেল পদ্মর। লোকটা আবার চুল্লু টেনে ঢুকেছে আজ। নিজে তো কোনো কাজ করবে না, শুধু বউয়ের পয়সায় মাল খাবে। ওকে দেখামাত্রই নোংরা গালাগাল করে উঠল লোকটা। তারপর নীচু গলায় ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করল, কিছু খাবার আছে কি না ঘরে।
আমল না দিয়ে হাতের প্লাস্টিকের প্যাকেটগুলো নামিয়ে রাখতে রাখতে খাটের এককোণে চোখ পড়ল। এক টুকরো [আরো পড়ুন]
Read More
একটা ইমেল
হাই পিনাকী,
এখন গভীর রাত। কয়েক ঘণ্টা আগে শোরুমের একমাত্র সিকিউরিটি গার্ড দোকানের সব তালা শেষবারের মতো নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করে তার কেবিনে ফিরে গেল, যেখানে সে বাকি রাতটা ঘুমিয়ে কাটাবে। আমি এই শোরুমের একদম শেষ প্রান্তে একটা স্টোররুমে বসে আছি। এটা পুরোপুরি অন্ধকার এবং আবর্জনায় ভরা। কিন্তু আমার নাইটভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে আমি স্তূপ-করা [আরো পড়ুন]
Read More
কাউন্টডাউন
হতবুদ্ধি হয়ে আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম কনট্রোল প্যানেলের দিকে। কমিউনিকেশন মডিউলের আলোগুলো সব নিবে গেছে। শুধু একটা লাল-আলো কুটিল নিষ্ঠুর দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে আমার দিকে! না, না, না। এ হতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য বোবা হয়ে গেলাম যেন একেবারে। তারপর দু-হাতে মাইক্রোফোনটাকে আঁকড়ে ধরে আরেকবার চিৎকার করে বললাম, “হ্যালো! মিকিরা! শুনতে পাচ্ছ? হ্যা…হ্যালো?”
Read More
ওয়্যারউল্ফ: মিথ থেকে সাহিত্যে
আজকের দিনে প্রায় সবাই ‘ওয়্যারউল্ফ’ চরিত্রটির সঙ্গে পরিচিত, যার জন্য মূলত ধন্যবাদ জানাতে হয় পপুলার কালচার এবং মিডিয়াকে—বিশেষ করে হরর চলচ্চিত্র যেমন Ginger Snaps (২০০০), Underworld (২০০৩), ১৯৪১ সালের ক্লাসিক The Wolf Man-এর ২০০৯ সালের রিমেক, মিউজ়িক ভিডিয়ো (যেমন মাইকেল জ্যাকসনের বিখ্যাত Thriller [১৯৮৩]-এর ওয়্যারউল্ফ/ওয়্যারক্যাট চরিত্র), Teen Wolf (২০১১-১৭), Wolfblood: The First Pack (২০১২-১৭)-এর [আরো পড়ুন]
Read More
চার আলোর চমৎকার
প্রাক্কথন
বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টির কয়েকজন সদস্য আগুনখোর, আর বাদবাকি মেনিমুখো। আজ অবধি মাত্র একজনকে এক ধরন থেকে অন্য ধরনে বদলে যেতে দেখা গেছে। তাকে নিয়েই এই গল্প।
বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টি তখন ভারতের উদীয়মান রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেকের আলোচনায় উঠে আসছে। বাংলায় তার মুখ বলতে স্নেহাদ্রি শানমুগম। বিরোধীরা বহিরাগত বলে নিন্দে করলেও তার সভায় [আরো পড়ুন]
Read More
তৃতীয় প্রকল্প
শেষ রাতের গবেষণা
বাইরে কেবল বরফ। সাদা, ধূসর, নিঃসঙ্গতা-মাখানো একরঙা জমিন। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত—অ্যান্টার্কটিকা। রাত্রি এখানে ৭২ ঘণ্টা ধরে চলে। আর এই রাতেই, বরফের ১.৩ কিলোমিটার নীচে, কেউ একজন ঢুকেছিল একঘরে, যা গত ৪৭ বছর বন্ধ ছিল। সেই ঘরের নাম ছিল—ডিপ ক্রায়ো সেল-১৭।
ড. সায়ন্তন রায় নিজের কুয়াশা-মাখানো গগল্স খুললেন। তাঁর নিশ্বাস সেল্ফ-কন্টেইনড সুটের [আরো পড়ুন]
Read More
মনের খোঁজ
বর্ণিল ট্রাম থেকে নেমে সামনে তাকিয়েই বেশ খুশি হল। সেই পুরোনো কাফেটা একই জায়গাতেই আছে। একদিকে বিশাল অফিসবাড়ি আর অন্যদিকে ঝাঁ-চকচকে রেস্তোরাঁর মাঝখানে কোনোরকমে পিঠ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। নামটাও এক আছে—‘জলখাবার’। এমনকি সামনের কাচের দেওয়ালে যে রংচটা পোস্টারগুলো ছিল, সেগুলোও একই আছে। কী আশ্চর্য! এ তো বহু পুরোনো পোস্টার। ওই তো একটা অর্ধেক [আরো পড়ুন]
Read More
রা রি রুম
ক্রায়োজেনিক চেম্বারের ঢাকনাটা আস্তে আস্তে খুলে যেতে রা চোখে ঝাপসা দেখল। স্পেস প্রোগ্রামের একদম শুরুর দিকে এগুলো পড়ানো হয়, তাই রা ঘাবড়াল না। এই মুহূর্তে ওকে চুপটি করে শুয়ে থাকতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ পর একটু ধাতস্থ হলে সে আস্তে আস্তে উঠে বসবে।
তার হিসেবমতো পৃথিবীর হিসেবের এক বছর সে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। তার সঙ্গে আরও একজনের থাকার কথা। [আরো পড়ুন]
Read More
