রোমানবের গল্প
০০১ সাহিত্য সভা
সবুজ! চারিদিকে মসৃণ সবুজ! গাছপালা সবুজ, নরম ঘাস সবুজ, ভিজে মাটির ওপরে জমে থাকা শ্যাওলাও কত সবুজ! কেবল আকাশটা ঘন নীল, আর সামনের সরোবরের জলটাও অতি নিবিড়, শান্ত, নীল। আমার দুই শ্রান্ত মুশাফির চোখ, বিস্ময়ে লীন হয়ে গেল, অস্ফুট এক আনন্দে।
এ দৃশ্য আমি চোখে দেখিনি কোনোদিন। আমাদের রোবটের রাজ্য! চারিদিক কেবল ধাতব রূপালি রঙে মোড়া। [আরো পড়ুন]
Read More
জাল বানাল যুধিষ্ঠির
লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী! একটা ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা আর অন্যটা বাংলায়, এটা বোঝা যাচ্ছে। তারপরে আর হস্তাক্ষর বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। আমার দুই কাকার চিঠি এসেছে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
পর্বততীর্থ জম্ভাজ
রাকার সামনে আজ অনেকখানি খোলা আকাশ। কঙ্কণ বনে বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটি দিশাহারা হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য মেঘ এবং রোদের এই খেলা দেখে। অস্ফুটে বলল, “আমাদের জম্ভা যে এত অপরূপ আমি জানতাম না।”
পাশ থেকে ক্লিষ্ট হাসি হাসল আম্রপালি। দেবী অর্কপ্রভার মন্দিরে বড়ো হয়ে উঠেছে বলেই সে এই আকাশ দেখে অভ্যস্ত। রাতের তারাদের চেনাতে তাদের শিক্ষয়িত্রীরা নিয়ে যেতেন সন্ধ্যার [আরো পড়ুন]
Read More
ওঁ অগ্নিমীলে
ঠিক যেমন শীতকালের শুকনো ত্বকে নখ টানলে খড়ি ফোটে। বর্তমান সময় বুঝি অমনই শীতার্ত এবং রুক্ষ। ছুঁলে শুধুই খড়ি ফোটে, কর্কশতার উদ্যাপ__
বাক্য শেষে হলদে কাগজের উপর কালি ফুরিয়ে যাওয়া নিবের সাদাটে খড়ি ফোটানো আঁকচিরা। আঁকচিরাটা দেখে হারিয়ে যাওয়া বাক্যগুলো ভেসে উঠল অণিমা দেবীর স্মৃতিপটে। তিনি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন—ককর্শতার উদ্যাপন।
তারপর [আরো পড়ুন]
Read More
পোয়াবারো
নামে কিবা আসে যায়, এটা যে একেবারেই কথার কথা তা বিমলের চেয়ে আর বেশি কে জানে। নাম যদি বিদঘুটে হয় তবে বন্ধুদের বিদ্রুপ থেকে শুরু করে প্রেমহীনতা, নানা সমস্যায় জীবন জর্জরিত হতে পারে। ক্লাস টুয়েলভে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, ‘তোকে বিয়ে করলে অমন একটা বিচ্ছিরি পদবি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। ওটা পদবি, না মোটর সাইকেল স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ? সরি রে, পারলাম না।’
Read More
ড্রিম গার্ল
“ভগবান তোমার মঙ্গল করুক মা,” সোনালির হাত থেকে পাঁচশো টাকার নোটটা নিয়ে কপালে ঠেকাল প্রাণহরি। তারপর সেটাকে লুঙ্গির গেঁজেতে পুরে পায়ের কাছে পড়ে থাকা বাজারের ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা দিল বড়ো রাস্তার দিকে। সাড়ে তিনশোতে রফা হয়েছিল, দেড়শো টাকা বাড়তি দিয়েছে অরুণ বিশ্বাসের কচি বউ। তবে বিশ্বাসদের যা ঠাটবাট, তাতে এমন অনেক পাঁচশোর নোট বিশ্বাস-বউয়ের [আরো পড়ুন]
Read More
নীল কমলের খোঁজে
এক
টিকলিদের গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির স্পর্শ মাখা একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও সুন্দর,নীল পোখরি। চারপাশে ঘন পাইনের বন। তার মাঝে মেঘের দল আনমনে খেলা করে বেড়ায়। আর ঢাল বেয়ে একটু নীচে নামলেই শুরু হয় চোখ জুড়ানো সান্যাল টি এস্টেট। সারা পাহাড়ের গায়ে শালের মতো জড়ানো মনোরম সবুজ চা বাগান।
টিকলির পরিবার বলতে সে ও [আরো পড়ুন]
Read More
প্রত্যক্ষদর্শী
বিস্মরণের রাত
গতকাল ছেলেটা আমাকে জানালার পাশ থেকে সরাতে ভুলে গিয়েছিল। গতকাল মানে অবশ্য চলিত অর্থে গতকাল নয়। কিন্তু এখন যেহেতু রাত দেড়টা বাজে, তাই বারোটার পূর্ববর্তী সময়কে আমি গতকাল বলেই চিহ্নিত করছি।
যত যাই হোক—ছেলেটা একজন মানুষ এবং চরিত্রগতভাবে কিছুটা ভুলোমনও। নয়তো ও যদি রোবট হত আর ওর মধ্যে ভরে দেওয়া থাকত আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ট্রিগার
এক
“ডাইনোসর বার্ড। এখন প্রায় বিলুপ্ত। আসল নাম শুবিল। পাখিটার কথা শুনেছো কখনও?”
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকের তিন নম্বর মার্লবোরো থেকে অস্থির ধোঁয়া এলোমেলো পথে ঘরের বাইরে যেতে চাইছে। পুবদিকের জানালা খোলা। উত্তরদিকের খড়খড়িগুলো অর্ধেক নামানো অবশ্য। এখন সুপর্ণার কাল। জানুয়ারি সবে পড়েছে।
প্রাচীন অর্ধচন্দ্র টেবিলটার সামনের দুটো [আরো পড়ুন]
Read More
হয়তো আবার
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিল নীহারিকা। না, ঠিক আনমনে নয়, মাঝে মাঝে হাতের উলটো পিঠটা ঘষছিল গালে। না ঘষে অবশ্য উপায় ছিল না। এই ভর দুপুরবেলা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটা অল্পবয়সি মেয়েকে মরা মাছের মতো খোলা চোখে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে দেখতে পেলেই সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাবে। চশমাতেও বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। নেহাত মানুষের অত সময় বা গরজ নেই তাই!
কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
নেক্সা
১
নবমীর দিন সকালে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটা শান্ত গলির একেবারে শেষে অম্বিকা প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল গৌতম হেগরে। এই বাড়ির তিনতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এক সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর অভিজ্ঞান সেন। কলিং বেল টিপে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল। দরজা খুললেন এক ভদ্রমহিলা। গৌতম নমস্কার করে ইংরিজিতে বলল, আমি গৌতম, পুলিশের গোয়েন্দা [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় বৈচিত্র্য
শুরুর দিকের নখরচক্রগুলো খুব একটা কিছু কাজের ছিল না—শুধু গড়িয়ে গড়িয়ে চলা ঘিনঘিনে আর কদাকার ছোটো ছোটো যান্ত্রিক মৃত্যুদূত। পরের দিকে যখন সৃষ্টি নিজেই শুরু করল স্রষ্টার অনুকরণ করতে, তখনই শুধু একবার মানব জাতির সামনে এসে গিয়েছিল শান্তি স্থাপনের সেই পরম সুযোগ—হায়! শুধু যদি সে তখন সেটাকে কাজে লাগাতে পারত!
টিলাটার ও-পাশের অসমান পাথুরে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজেক্ট ইসিখাথি
প্রকাণ্ড ঘরটার ভিতর আবছা নীল আলো, এই নীল-কালো আবছায়াটা অভ্রর ভীষণ সুপরিচিত। এই ঘরে হাওয়ার চলাচলও হিসেব মেনে হয়, কিন্তু অভ্রর অবাধ যাতায়াত। আজ একটা নিরেট থমথমে ভাব চারদিকে। ঘরটার উত্তরের দিকে দেওয়াল জোড়া জানালা; কাচের ওপাশে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা রাতের আকাশ। সেই জানালার সামনে একটা বিশাল টেবিল যার ওপর মুখ গুঁজে বসে আছেন এক মধ্যবয়স্ক পুরুষ। পরনে সামরিক [আরো পড়ুন]
Read More
এক প্রপঞ্চর সমাপ্তি
[বি. দ্র.: এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার ‘সপ্তম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা’ (শারদীয়া ২০২২)-য় প্রকাশিত আমার গল্প ‘এক প্রহেলিকার জন্ম’-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।]
এক
২১ ডিসেম্বর ২০১২, কলকাতা:
চারিদিকে উৎসবের আমেজ। পার্কস্ট্রিট অঞ্চলে সাজো সাজো রব। [আরো পড়ুন]
Read More
এত সুন্দর, এত অন্ধকার
“রুহানা!”
মণীন্দ্র ডাকছে ওকে। কিছু দরকার নিশ্চয়! লোকটা এমনিতে চুপচাপ, অকারণ বাজে বকে না। রুহানার ক্লান্ত লাগছিল, কিন্তু ডাকটা অগ্রাহ্য করা উচিত হবে মনে হল না।
তা ছাড়া, অগ্রাহ্য করতে চাইলেও করতে পারত না বোধ হয়। ‘সৌজন্য’ বাধা দিত।
সোজা সরলরেখায় রাস্তা, দুপাশে বাড়িগুলো পর পর একই রকম দেখতে। হঠাৎ দেখলে মনে হয় লেগো দিয়ে বানানো খেলনা শহর। [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ বিপ্লবে
১
সফলতা জিনিসটা চট করে হাতের মুঠোয় আসতে চায় না, শশাঙ্কের। তিনি এক নাম না হওয়া এক ব্যর্থ বিজ্ঞানী। স্বপ্ন ভাঙতে ভাঙতে আজ অবশিষ্ট বলে আর কিছুই নেই। আজ ত্রিশ বছর ধরে লেগে আছে এই গবেষণাতে—কতজন ছাত্র এল গেল আর কতজনই বা থাকল। যৌবনের রাশিকৃত কালো চুল আজ সাদা, ভরাট দু’খানি গাল গেছে তুবড়ে, দু’একটা দাঁতও আজ স্মৃতির সরণিতে। তুমি তোমার এই ঢং নিয়েই [আরো পড়ুন]
Read More
ঢেলা
[কৈফিয়ত: সঠিক প্যাশটিস কি না ঠিক বলতে পারব না। তবে এটা ঘনাদার গল্প—কারণ ঘনাদা আছেন, বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের মেসের বাসিন্দারা আছে, বনোয়ারী, রামভুজও আছে। ঘনাদা তার নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন মেসের বাসিন্দাদের কাছে আর তাঁর তস্য তস্য পূর্বপুরুষদের কীর্তিকলাপ বর্ণনা করেছেন সান্ধ্যভ্রমণকালে দক্ষিণ কলকাতার কৃত্রিম হ্রদের [আরো পড়ুন]
Read More
অন্তিম কোড
জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। নিজের নিশ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পালসের গতি ধীরে ধীরে নাবিয়ে আনলেন মি. দেশাই। প্রায় পঁচাশি! এর চেয়ে কমানো সম্ভব নয় এই পরিস্থিতিতে। [আরো পড়ুন]
Read More
ম্যাজেরিন
“And all my days are trances / And all my nightly dreams / Are where thy grey eye glances / And where thy footstep gleams—/ In what ethereal dances / By what eternal streams.”
১
ইদানীং ঘুম থেকে উঠে বুকের বাঁদিকে একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে এরিক। ব্যথাটা আস্তে আস্তে বুকের মধ্যেখানে ছড়িয়ে যায়,একটু পর আর কোনো অনুভূতি থাকে না। দু-একবার ভেবেছে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখিয়ে আসে কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেই উপায় হয়ে ওঠেনি। ইদানীং শরীরটাও ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
পরিযায়ী
বড়োবাজারের মাকড়সার জালের মতো লেয়ারের পর লেয়ার, জড়ানো প্যাঁচানো ফ্লাইওভারের প্রত্যেকটা লেয়ারে জ্যাম। ইউসুফ তাই প্রতিবারের মতো এবারেও শিয়ালদা থেকে ট্রামে উঠেছে। তার পেছনে আরও কয়েকটা কারণ আছে বটে। একে তো স্টেট স্পন্সরড বলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য এক্কেবারে বিনামূল্যে যাত্রা, তার সঙ্গে নীচ থেকে ওপরের দিকের দু-নম্বর টিউবটায় অন্যান্য [আরো পড়ুন]
Read More
সূর্যহরণের পরে
এখন (রাত এগারোটা পাঁচ)
নিকষ কালো রাতে পাহাড়ের গা বেয়ে কোনোক্রমে উঠতে উঠতে রাকা ভাবছিল, উপলহ্রদটা আর কত দূর। সে খুব ভালো করেই জানে, দেরি হয়ে গেলে তার বুড়ি দিদিমার শরীরের একটুও উদ্ধার করার মতো থাকবে না। সবাই জানে, পাহাড়ের উপরে এই হ্রদটা ভালো জায়গা নয় – পূর্ণগ্রাসের ছায়ামূর্তিগুলো এখানে ঘুরে বেড়ায়; মানুষ পেলেই তার আত্মার সব শক্তি চুষে নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ফিনিক্স
লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড
২০১৬
মাইক্রোস্কোপ থেকে চোখ সরায় রেচেল। হাতের পাতা দিয়ে আলতো করে চোখ ঘষতে থাকে। যা দেখছে সেটা সত্যি কিনা নিশ্চিত হতে পারছে না যেন। বিড়বিড় করতে করতে চোখ রাখে মাইক্রোস্কোপের আইপিসে। মগ্ন হয়ে যায় আবার।
আচমকা পিঠে কার আলতো ছোঁয়া পেয়ে প্রায় চমকে ওঠে রেচেল।
—রাত কত খেয়াল আছে?—প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রোফেসর [আরো পড়ুন]
Read More
বাবলা বীজের সাহিত্যিক
এবং প্রাণীভাষাবিদ সমিতির পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত আরও কিছু অংশ
পিঁপড়ের ঢিপিতে পাওয়া পাণ্ডুলিপি
কলোনির গভীরের একটা স্তর থেকে বেরিয়ে আসা এক সরু, আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বীজাণুমুক্ত বাবলা বীজের সারির উপর স্পর্শগ্রন্থি নিঃসৃত রস দিয়ে কথাগুলো লেখা ছিল। বীজগুলোর সুচারু সজ্জা লক্ষ করেই তদন্তকারী প্রথম আকৃষ্ট হন।
বার্তাগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
অধরা পৃথিবী
তাতিমের সামনে মাটি থেকে সিলিং পর্যন্ত আধাস্বচ্ছ দেওয়াল।
সম্পূর্ণ খোলা একটা বিস্তৃত ঘরে তার সামনে দুটো রকিং চেয়ার। ঘরটা সাদা। শুধু এককোণে একটা প্ল্যান্টারে যত্নে রাখা একটা গাছ-রবার প্ল্যান্টের মতো দেখতে। ওই গাছটাই তাদের বাড়ির সবচেয়ে মূল্যবান সদস্য।
মাঝারি উচ্চতার, মোটামুটি সজীব। খুব সন্তর্পনে ওপরের দিকে আধফোটা পাতাতে আলতো করে আঙুল বোলালো তাতিম—কি মসৃণ।
Read More
আবার ফোন বাজছে
—দেখেছ! আবার মেয়েটা ফোনে কথা বলছে! এতো রাতে কার সঙ্গে কথা বলে রোজ রোজ?
—কোন মেয়েটা?
—আরে বাবা, পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটে যে মেয়েটা এসেছে, সেই মেয়েটা। শুনতে পাচ্ছো না! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তোমার কানটাও খারাপ হয়ে গেছে!
—তা কার সঙ্গে কথা বলে, তা দিয়ে তোমার আমার কী? এখনকার মেয়ে। এরা সব ইন্ডিপেন্ডেন্ট টাইপের হয়। অতো সব নিয়মকানুন মানে না এরা।
Read More
সম্পাদকীয়
শরতের আকাশ মেঘমুক্ত। বাতাস শুষ্ক, হিমেল। রোদের তেজ নরম। এর মধ্যেই পুজোর আয়োজন। মা দুর্গা এসেছেন আমাদের মাঝে, কোলে কাঁখে লক্ষী সরস্বতী, কার্তিক আর গণেশকে নিয়ে। তাঁকে বরণ করতে দিকে দিকে শঙ্খধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যি বেজে চলেছে। আমরাও পিছিয়ে থাকি কেন? কল্পবিজ্ঞান আর ফ্যান্টাসির ঝুলি নিয়ে আমরাও তাই প্রস্তুত বাংলার পাঠকদের সামনে, সাহিত্যের অমৃতভাণ্ডারে [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন সিনে ক্লাবে প্রদর্শিত সিনেমা – সন অব ফ্লাবার (১৯৬২)
সিনেমাটি দেখানো হয়েছিল ম্যাজেস্টিক টকিজ (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) হলে ৬ নভেম্বর ১৯৬৬, রবিবার। সিনেমাটি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল আশ্চর্য! পত্রিকায়। মজার সেই সিনেমার গল্প এখানে পুনঃপ্রকাশিত হল।
ওয়াল্ট ডিজনির বিশ্ববিখ্যাত হত্যাকাণ্ড ছায়াছবি ‘দি এ্যাবসেন্টমাইন্ডেড প্রফেসর’-এর সেই আবিষ্কার-পাগল প্রোফেসরটির আরও নতুন নতুন কৌতুক বোঝাই কীর্তিকলাপ নিয়ে তোলা হয়েছে
Read More
আশ্চর্য! কার্টুন সংগ্রহ
আশ্চর্য! পত্রিকার বিভিন্ন মজার কল্পবিজ্ঞান কার্টুন সংগ্রহ, সন্তু বাগের সংগ্রহ থেকে।
Read More
The Hitchhiker’s Guide to the Galaxy
Writer – Douglas Adams
Year – 1979
Country- United Kingdom
Genre – Science Fiction, Speculative Fiction, Comedy
Our life is nothing but a strange series of phenomena. Sometimes it makes sense, and the rest of the time, it doesn’t. Sometimes it is funny, sometimes it is serious, but mostly it is meaningless because in the end, nothing really happens, we are stuck in an infinite loop of birth-life-dual life-death-afterlife-hell-heaven-reincarnation-moksha or nothing at all, and we question about the meaning of life or life itself.
Are you confused? Are you feeling “ What the hell is going on over here ?”
This is the beauty of absurd literature and obviously the world of Douglas Adams’ “ The Hitchhiker’s Guide To Galaxy”, where the protagonist Arthur wakes up in the morning only to discover two things, firstly his house is going to be demolished by a bulldozer [আরো পড়ুন]
Read More
অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – বিশেষ হাস্যরস সংখ্যা – প্রচ্ছদ

অষ্টম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – বিশেষ হাস্যরস সংখ্যা
প্রকাশকাল – ৫ জুলাই ২০২৩
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ।
Read More
পাঠ প্রতিক্রিয়া: অর্থতৃষ্ণা
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে গিয়ে আলোচনায় কোনো স্পয়লার থেকে থাকতে পারে। তাই স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম। যদি স্পয়লার ছাড়া বই পাঠের সুখ নিতে চান, তাহলে এই প্রতিক্রিয়া পড়বেন না।
.
📕 বই: অর্থতৃষ্ণা
✍🏻 লেখক: শ্রী সুমিত বর্ধন
🖌️ প্রচ্ছদ: সুদীপ দেব; অলংকরণ: অদ্রীজা বর্ধন
🖨️ প্রকাশক: কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস
📄 পৃষ্ঠা: ১২২
💰 মুদ্রিত মূল্য: ₹১৬০/- (পেপারব্যাক)
.
🍂 বিষয়বস্তু:
Read More
বৈসখা
নীচে পরিবেশিত কথোপকথনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মানবজাতির ইতিহাসে ‘বৈসখা’ ব্যবহারের শেষ নিদর্শন এটিই। পাঠকেরা এই দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবেন—এই আশা রাখি।
আন্তঃনক্ষত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়া প্রতিটি মহাকাশযানেই একসময় বৈদ্যুতিক সখা—সংক্ষেপে বললে ‘বৈসখা’—নামের একটি যন্ত্র থাকত। এটির কাজ ছিল মহাকাশযান কোনো কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
এসো, মোরা মিলি একসাথ
শতাব্দীব্যাপী থমথমে শান্তি ছেয়ে থাকায় মানুষ ভুলেই গিয়েছিল যে কখনো পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। ফলে যখন জানা গেল যুদ্ধ দোরগোড়ায় এসে পড়েছে, কি করা উচিত তা কেউ ভেবেই পাচ্ছিল না।
একই অবস্থা হল ব্যুরো অব রোবোটিক্সের প্রধান এলিয়াস লিন-এরও। দীর্ঘদিন বিকেন্দ্রীকরণের নীতি মেনে চলার ফলে এই ব্যুরোর প্রধান দপ্তর ছিল শায়ানে। তারই একটা [আরো পড়ুন]
Read More
ইচ্ছেপূরণ
চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?
‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।
Read More
নক্ষত্র যাত্রা
সম্ভবত ঘুম ভাঙল আমার।
সম্ভবত বললাম, কারণ জানি না ঘুমিয়ে ছিলাম নাকি এইমাত্র জন্ম নিলাম। যদি জন্ম নিয়ে থাকি চোখ মেলার পর কীভাবে বুঝতে পারলাম এটা একটা স্পেসশিপ?
তার মানে ঘুমিয়ে ছিলাম। অথবা এইমাত্র জন্ম নিলাম। কিন্তু মেমরিতে আগে থেকেই কিছু তথ্য দিয়ে রেখেছিল। কে? কারা? কেন?
উজ্জ্বল সাদা আলো। লোহার বিছানায় শুয়ে আছি। কামরাটা সাদা [আরো পড়ুন]
Read More
হরিপদবাবু ও ম্যাক্রোকসম গ্রহের অধিবাসী
১
রোজকার অফিস শেষে লোকাল বাসে ঝুলে যানজট পেরিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হরিপদবাবু যখন বাড়ি পৌঁছালেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। এমনিতেই চাকরি করতে ভালো লাগে না হরিপদবাবুর, তার উপরে আজকে আবার অফিসের বড়োবাবুর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। সেটা অবশ্য প্রতিদিনই থাকে, তবে আজকে শেষ বিকেলে কাজকর্ম শেষ করে হরিপদবাবু যখন খবরের কাগজে [আরো পড়ুন]
Read More
রামমোহন রায় ও ফুটবল
রামমোহন রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল কলকাতার ময়দানে উনিশশো বিরানব্বই সালে। আরও স্পষ্ট করে বললে মোহনবাগান মাঠের আট আনার গ্যালারিতে। বছরটা মনে আছে কারণ কৃশানু দে ওই বছরেই ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগান ক্লাবে ফিরে আসে বছর সাতেক ইস্টবেঙ্গলে খেলার পরে। আমার বাবা এবং ছোটোকাকা দক্ষিণ রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে আমি ছিলাম সূর্য মেমোরিয়ালের [আরো পড়ুন]
Read More
ফুটোস্কোপ
সকালবেলা কাগজ ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ একটা খবরের দিকে চোখ পড়ায় চমকে উঠলাম। খবরটা এই রকম—
নতুন ভূমিকায় ডাক্তার চট্টখণ্ডী
(নিজস্ব সংবাদদাতার রিপোর্ট)
এককালের বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক ডক্টর সুভ্ৰাট চট্টখণ্ডী, যিনি নাকি কিছুদিন আগে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাকে সম্প্রতি এক নতুন [আরো পড়ুন]
Read More
ছাতাবাবু
সকাল থেকে আকাশের মুখ অভিমানী ছেলের মতো ভার ভার। তারপর কলকাতা ভেসে গেল মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের আড্ডাটা সেদিন ভালোই জমেছিল ব্রজেনদের বাড়িতে। অনেকদিন বাদে একসঙ্গে জুটে গিয়েছিলাম চার বন্ধু। ব্ৰজেন ছাড়েনি। দুপুরের খাওয়াটা সেদিন ওদের বাড়িতে হবে। তখনও বৃষ্টি একবারে থামেনি। ব্রজেনদের তেতলা ঘরের জানালার [আরো পড়ুন]
Read More
পালের কাশু পথ
সে দিনটা ছিল বুধবার। মানে বুধবার যে ছিলই সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও হতে পারে, শনি-মঙ্গলবার হওয়াও অসম্ভব নয়। মানে কোন একটা দিন ছিল আর কি। তা সেই বুধবার, কিম্বা বৃহস্পতিবার, সক্কাল সক্কাল বাস থেকে নেমে হাঁটা দিয়েছি শ্যামবাজারের একটা রাস্তা ধরে। মানে রাস্তাটা যে শ্যামবাজারেরই সে কথা অবশ্য ঠিক নিশ্চিত [আরো পড়ুন]
Read More
সিনেমার পর্দায় মজার সায়েন্স ফিকশন
আমরা বোধ করি সবাই সায়েন্স ফিকশনের প্রথম স্বাদ পাই সিনেমার মাধ্যমেই। ছাপার অক্ষরের আগে সিলভার বা অ্যামোলেড স্ক্রিন আমাদের সেই স্বাদ চাখিয়ে দেয়। মনে আছে ‘সাই-ফাই’ এবং ‘সাইবর্গ’—এই দুটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম যখন ‘টার্মিনেটর টু’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হতে তখনও ঢের দেরি। আমেরিকা ও ইউরোপের সিনেমাওয়ালারা খুব তাড়াতাড়ি [আরো পড়ুন]
Read More
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।
ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
ভার্গব বসুর হারানো মাথা
আমার বন্ধু চাণক্য চাকলাদারের কিছু খ্যাতি আছে আজগুবি গল্প বলার জন্যে।
সেদিন সন্ধেবেলা হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢুকে নতুন সায়েন্স-ফিকশন পেপারব্যাকটা তুলে নিয়ে বললে, ‘পানুদা, শুনেছ?’
তার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘কী?’
‘মাকড়সার ঘাড়ে মানুষের মগজ।’
‘আবার গাঁজা খেয়েছিস?’
‘তোমাদের সঙ্গে ইংরেজদের তফাত তো এইখানেই। ইংল্যান্ডে জন্মালে [আরো পড়ুন]
Read More
রহস্য
সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! [আরো পড়ুন]
Read More
গামানুষ জাতির কথা
যে সময়ের কথা বলছি তার প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে পৃথিবী থেকে মানবজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে। তর্ক উঠতে পারে, আমরা সকলেই যখন পঞ্চত্ব পেয়েছি তখন এই গল্প লিখছে কে, পড়ছেই বা কে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। লেখক আর পাঠকরা দেশ—কালের অতীত, তাঁরা ত্রিলোকদর্শী ত্রিকালজ্ঞ। এখন যা হয়েছিল শুনুন।
বড়ো বড়ো রাষ্ট্রের যাঁরা প্রভু তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
‘Laughter is the shortest distance between two people.’
এই বিখ্যাত উক্তি ড্যানিশ-মার্কিন কমেডিয়ান ভিক্টর বর্জে-র। গবগবিয়ে হেসে ওঠার মধ্যে যে মুক্তি আছে মানুষের অন্যান্য অভিব্যক্তির মধ্যে তেমনটা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কল্পবিজ্ঞান জীবনেরই গল্প বলে, মানুষেরই গল্প বলে। তাই হাসিকে বাদ দিয়ে তারও মুক্তি নেই। সহজপাচ্য হাসির কাহিনিই অনেক সময় অনেক জটিল প্রশ্ন পাঠকদের [আরো পড়ুন]
Read More
Carry On
“Hello, hello.”
“Hello.”
“I – can I talk to Prakash ji?”
“Speaking. May I know who’s calling?”
“I, sir – I am one of your readers. A fan. I love your science fiction stories.”
“Thank you! Can you tell me which ones you liked?”
“Yes, sure. I read your latest story just two days ago. That’s why I called you. Prakash ji, that story of yours – Carry On, I totally loved it!”
” Carry On? Thank you very much. May I know your name, please?”
“Sujay Mane. Prakash ji, I need some information from you.”
“About what?”
“Sir, regarding this story. I mean, I like the way you showed time travel in it, sir.”
“Thank you.”
“So, Prakash ji, you have shown a device in the story. Like a watch, the hero places it on the hand and sets the time. Then he goes to that time.”
“Yes.”
“So, sir, how to make this time travel device is not given in that story. Can you tell me that?”
“Look, Sujay, it’s a story. Fiction. Everything is imaginary in it.”
Read More
বৈজ্ঞানিক বর-যাত্রী সম্বৰ্দ্ধনা
হিমাচল বাবু বনেদী বংশের লোক। অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পেশা কিন্তু জমিদারী নয়,—তাঁর পেশা বিজ্ঞান-চর্চ্চা। বাড়ীতে একটা মস্ত বড় ল্যাবরেটরী থাড়া করে’ তুলেছেন। তবে তিনি যে সারাদিনই তাঁর ল্যাবরেটরীর বদ্ধ বাতাসে আপনাকে আবদ্ধ করে’ রাখেন,—তা’ নয় ৷ কেন-না,—তাঁর নামেরই উপযোগী তাঁর যে দেহখানি,—সেটাকে সমস্ত দিন কোনো সঙ্কীর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
ববক
কোনো একজনের ডায়রির পাতা থেকে
সেমিয়ন আরদালিওনোভিচ হঠাৎ গতকাল আমাকে বলল, “কেউ কখনও কেন সংযমী হবে ইভান ইভানোভিচ? দয়া করে বলো আমাকে।”
অদ্ভুত একটা দাবী। যদিও আমি এতে রেগে গেলাম না, এমনিতে আমি ভীতু মানুষ; কিন্তু এখানে এরা আমাকে আস্ত উন্মাদ ভেবে নিয়েছে। বস্তুত এই কথা বলে আমার ছবি এঁকেছে একজন শিল্পী: “যতই হোক, আপনি একজন সাহিত্যিক মানুষ [আরো পড়ুন]
Read More
অলীক বাস্তব
“ইওর অ্যাটেনশান প্লিজ। বি এম এয়ারলাইনের বুন আইল্যান্ড—ডেনসবার্গ ফ্লাইটে আপনদের স্বাগত জানাচ্ছি, আমি ক্যাপ্টেন কেভিন হর্স্ট। ১২ ঘণ্টার এই যাত্রায় আপনাদের…”
কানে ইয়ারফোনদুটো গুঁজে দেয়াতে ম্যাট আর বাকি কথাগুলো শুনতে পেল না। শোনবার প্রয়োজনও বিশেষ নেই। মাসে গড়ে দু-তিনবার করে শুনতে শুনতে পাখিপড়া মুখস্ত হয়ে গেছে কথা ক-টা, [আরো পড়ুন]
Read More
