চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read more
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
‘ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন’ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠোঁটে পাইপ মাথায় টুপি একটি রোবোট বা সাইবর্গের ছবি। কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের এই ধারাতে শুধুই ভবিষ্যৎ কিংবা অন্য গ্রহে রহস্য আর ক্রাইমের সমাধান হয় না, এই ধরণের গল্প থেকে আমরা পাই মানুষ এবং টেকনোলোজির কিংবা অন্য জগতের প্রাণীদের ভিতরের সম্পর্কের খোঁজও।
তাহলে, প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাকে ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন বলবো আমরা।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আপনাদের সবাইকে কল্পবিশ্বের তরফে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা।
গত তিন-চারমাসে বাংলার সাহিত্যাকাশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন ঘটেছে। একের এক ইন্দ্রপতনে সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের বিজয়রথ। রনেন ঘোষের পর এবার চলে গেলেন শ্রী অদ্রীশ বর্ধন। তাঁর তিরোধানের সঙ্গে বাংলা কল্পবিজ্ঞানে রত্নযুগের
এই সংখ্যায় আমি আপনাদের ৬ টি ডিটেকটিভ কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের সাথে পরিচয় করাবো।
১) দ্য ডেমোলিশড ম্যান-এ্যাল্ফ্রেড বেস্টার
২৩০১ সালে বন্দুক শুধুই জাদুঘরের দ্রষ্টব্য। টেলেপ্যাথ পুলিশের কড়া নজরদারীতে অপরাধ ঘটার আগেই অপরাধী ধরা পড়ে যায়। এমন আপাত অপরাধবিহীন সমাজে, এক প্রভূত বিত্তবান ব্যক্তি পরিকল্পনা করতে থাকে এক নিখুঁত খুনের।
ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে
(১)
মিস কেলির ক্লাসে প্রথম দিনই একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেল।
মিস কেলির ক্লাসটা আমার ঠিক পাশেই। সেদিন আমি সবেমাত্র ক্লাসে ঢুকে রোলকল সেরে বসেছি। পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ক্লাসগুলোতে বাচ্চারা পড়লেও, এদেরকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সহবত শিক্ষা দিতে হয় – আর সেটা ক্লাসে ঢুকেই দেওয়াটা আমি পছন্দ করি। তাও আবার এই সিজনের প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন। তা – ক্লাসে গম্ভীর
সকাল থেকে কলকাতার আকাশটা ধূসর চাদরে ঢেকে দিয়েছে প্রকৃতি দেবী। গুমোট গরমটা কাটিয়ে এবার শুরু হল বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি। অয়ন একটা বড় কাজে দিল্লী গেছে দু-দিন আগে। পরদিন ফিরবে। দিঠি মুসুরি ডালের খিচুড়ি বসিয়ে দেবে ভাবল। শর্টকাট রান্না, খাওয়ার আগে একটা ডিম ভেজে নিলেই হবে। এক কাপ কড়া লিকার নিয়ে বসতেই অচেনা নম্বর থেকে পর পর চারটে মিসকল চোখে পড়ল, কলার আইডিতে নাম দেখাচ্ছে
‘অর্পণের ব্যাপারটা শুনেছিস?’ চায়ের কাপে একটা সশব্দে চুমুক দিয়ে অন্যমনস্কভাবে জিজ্ঞেস করলো বিট্টু।
‘হ্যাঁ, ফোন করেছিল। ওর ঠাকুরদা’র ঘরের আলমারি থেকে কী নাকি একটা জিনিস পেয়েছে বলছিল। কাল সন্ধ্যায় ওদের নতুন ফ্ল্যাটে ডেকেছে।’
‘আমায়ও ফোন করে একই কথা বললো। আরও কত কী বলে গেল, ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। শেষে বলল, এগুলোই নাকি তার জীবনে আরেকটা সুযোগ এনে
সকালের ভারী ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়িটা ধীরগতিতে চলছিল। আশপাশের গাড়িগুলো খুব জোরে হর্ন বাজাচ্ছে, ট্র্যাফিক লাইটগুলো দ্রুত রঙ পাল্টাচ্ছে। কিন্তু আমাদের গাড়ির পেছনের সিটে নির্জীবভাবে পড়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারলাম, ওই একটি নাম আমার মাথার মধ্যে বারবার ঘুরে চলেছে।
শীলা! শীলা!
গোঁ-গোঁ শব্দ করে উঠলাম আমি।
সাগর উদ্বিগ্নভাবে ড্রাইভারের
মেগাকর্প কমপ্লেক্স, সন্ধ্যা ছ’টা
“আমি একটা ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার নাম নয়, বরং ‘রু…উ…উ…’ বলে কে যেন সুর করে ডাকছিল। গলাটা বড্ড চেনা। কোথায় যেন শুনেছি। শুনতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, যেন অনেক আদর আর ভালোবাসা মিশে আছে ডাকটায়।”
“তারপর?” বলিষ্ঠ নারীকণ্ঠ বলে উঠল।
“আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। উঠতে গিয়েই মনে হল, শরীরটা কী ভীষণ হালকা লাগছে! যেন আমি
এক
অনেকক্ষণ ধরে মনিটরের দিকে ঠায় তাকিয়ে আছে অরূপ, কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছে না। সকাল থেকেই মনটা বিষণ্ণ ও বিক্ষিপ্ত। মাঝে একবার ঝিমুনির মতো ধরেছিল, উঠে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে এসেছে। তন্দ্রাভাব কিছুটা হয়তো কেটেছে, কিন্তু বিষণ্ণতা যেন আরও জেঁকে বসেছে। দুপুর হয়ে এল প্রায়, এখনও জার্নালটির প্রথম প্যারাই পড়ে শেষ করতে পারেনি।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাকে লক্ষ
—মঙ্গলদেউড়ি—
দৌলতনগরের বুক চিরে চলে টানা চলে গেছে প্ল্যাঙ্ক সরণী। তার এক প্রান্তে গভর্নর প্যালেস আর মহাকাল মন্দির। আর অন্য প্রান্তে এই মঙ্গলদেউড়ি। দেউড়ির অপর পারে রাস্তা খানিকটা দূর এগিয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। তার একটা সোজা চলে গেছে হকিন্সাবাদ অবধি, আর অন্যটা নদী আর জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে বেঁকেচুরে এগিয়েছে রুসোগঞ্জের দিকে।
মঙ্গলদেউড়ি কোনও সাধারণ
‘কী হে টিকটিকি! সকাল সকাল মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন বল দেখি?’
আমার ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু এবং রুমমেটটির মন মেজাজ দেখছি সকাল থেকেই বেশ খারাপ! অবশ্য গত কয়েকমাস যাবৎ নিও-আটলান্টা শহরের যা সুসময় চলছে তাতে আমার রুমমেটটির মন ভালো না থাকারই কথা! কত আশা করে সেই সুদূর পৃথিবীর কলকাতা থেকে সাত সমুদ্র, তের নদী, এক চাঁদ, তিন গ্রহ পেরিয়ে টাইটানের ‘ক্রাইম ক্যাপিটাল’ নিও-আটলান্টায়
৬ মহাকাশ অভিযান
জুলাই মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় রবিবার। মাসচারেক পর প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট আমেরিকা থেকে ফিরেছেন দিনকয়েক হল। স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে ফোনে দু’দিন কথা হয়েছে। মাসদেড়েক থেকে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগেই আবার চলে যাবেন। ফিরতে ফিরতে সেই মার্চ-এপ্রিল। স্যার যখন ছিলেন না— তখন আমি একটা কাজের কাজ করেছি। আমি সেই প্রথম দিন থেকেই স্যার এই অপার্থিব