কোলাহলের সন্তান

পিঠে কী একটা হয়েছে। মেরুদণ্ড বরাবর। সুতি হাত দিয়ে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা করল। ওই অংশের চামড়াটা যেন পুরু হয়ে গিয়েছে। এবড়োখেবড়ো। আঙুল ঘষতেই খরখর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল ওর। তারপর কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে রইল। বাইরে পাখি ডাকছে। নীল শালিকদের কিচির মিচির। জোড়া মৌটুসির গান। একটা গাঢ়কাকের কর্কশ ডাক। বেলা শেষ হয়ে আসছে।

[আরো পড়ুন]

Tags: তৃণময় দাস, বড় গল্প, সপ্তম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
Read more

ভূতগুলো সব বাঁশি বাজায়

“শুনতে পাচ্ছ?” মণির জিজ্ঞাসা।

আমি হাঁটা থামালাম।

আমাদের চারিদিকে গাছ আর গাছ। বাঁশ, ওক, ম্যাপল, ফার। মাঝে মাঝে রক্তাভ রডোডেনড্রন। সভ্যতা এই উপত্যকাকে চেনে না, জানে না। মহাদ্রুমদের শাখা-প্রশাখায় আটকে গিয়েছে সময়ের নিশ্চিত স্রোত। হাওয়ার আদরে পাতাদের শিরশির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পাখির ডাক। সেই ডাকের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাঁশির আওয়াজ।

[আরো পড়ুন]

Tags: kalpabiswa y7n1, science fiction, কল্পবিজ্ঞান গল্প, তৃণময় দাস, রনিন
Read more

সুশ্রুত

ঘুম ভাঙতেই সুশ্রুতবাবুর মনে হল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

উনি অনেকক্ষণ বিছানায় পড়ে রইলেন। সব কিছু যখন ধুয়েমুছে গিয়েছে, তখন নিশ্চয় বাজারহাট, অফিস বাড়ি, কোনওকিছুই আর নেই। ট্রাফিকের ঝামেলা নেই, লোকজনের গালাগাল নেই, ঘেমো ভিড়ে পকেটমারের ভয় নেই, বাজারে সবজির ইলেকট্রিক শক মারা দাম নেই, বসের খিটখিটে মেজাজ নেই, কিচ্ছু নেই।

[আরো পড়ুন]

Tags: কল্পবিজ্ঞান গল্প, তৃণময় দাস, ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
Read more
error: Content is protected !!