সত্য
দশদিকে যেন যুদ্ধ শেষের নিঃশব্দ প্রহর। যেদিকে তাকাই সেদিকে কেবল রাত্রির প্রকাণ্ড নিকষ সরোবর।
কোথায় আমি? কে নিয়ে এল ভ্রষ্ট এই অন্ধ মৃত্যুজপ।
কিছু কথা যেন আবছা মনে পড়ে।
***
ইউনিভার্সিটির বিশাল অডিটরিয়ামে আমার কথাগুলো গমগম করে ছড়িয়ে যায়। নিঃশব্দে শোনে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা।
“আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো কি আমাদের বাস্তবের বস্তুনিষ্ঠ সত্যটা [আরো পড়ুন]
Read More
মাংসাশী ভেড়ার রহস্য
বাংলার বাইরের একখানা ইংরাজি খবরের কাগজে এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে।—“এই অঞ্চলের সেনোরিয়া জঙ্গলের এক গবেষণাগারের বিজ্ঞানী তাপস সেনকে তার পোষা ভেড়ার দল মেরে খেয়ে ফেলেছে। তাপস সেনের মাইনে করা চারজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট থানায় এসে ওই সংবাদ দিয়েছে। তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে না।”
কাগজখানা আমি রাখি। খবর দেখে চমকে [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্কুবাবুর গল্প
পুরুষ্ট বেগুনিদের একাদশতমটিকে মুখে চালান করে বঙ্কুবাবু বললেন, ‘বেগুনি খাই বটে, তবে বেগুন আমি পছন্দ করি না। বেগুন দেখলেই আমাদের থার্ড মাস্টারমশাইয়ের গিন্নির কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, তাই শিউরে উঠি। আহা, বেগুন খেতে বড্ড ভালোবাসতেন!’
বৃষ্টির সন্ধ্যায় আড্ডা জমেছিল। বুড়ির জ্যেঠিমা ভেতর থেকে গরম বেগুনি আর মুড়ি সাপ্লাই করেছেন। চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
ড. ওয়াগনারের পরাজয়
[ভূমিকা: এ কাহিনি লেখার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কী হবে লিখে? অধ্যাপক ফেডিনস্কিই যখন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন তখন তাঁর ডায়েরি প্রকাশ করা মানে দুঃখ বাড়ানো ছাড়া আর কি? কিন্তু লিখতে আমাকে হলই শেষ পর্যন্ত। আপনারা হয়তো বলবেন, কেন? আমার আনন্দের ভাগ যদি আপনাদেরও না দিতে পারি তবে মানুষ হয়ে বাঁচার কোন মানেই হয় না—আমার অন্তত তাই মত।]
১
Read More
নিষিদ্ধ ফল
পূর্বকথা
অনন্ত আঁধার বেয়ে বহে আসে তুচ্ছ সৃষ্টিবীজ
এই কাহিনির সূচনা কারিউজ নামে একটি মৃত গ্রহে। মরবার কথা তার ছিল না। ধনে, সম্পদে, শক্তিতে তার কাছাকাছি কেউ ছিল না গ্যালাক্সির গোটা বাহুটিতেই। তবু তাকে মরতে হল! নিজের সন্তানেরই হাতে। কারণ তার এক দেশপ্রেমিক সন্তান নিজের দেশের জন্য গড়ে দিয়েছল এক অমোঘ অস্ত্র। সে যন্ত্র গ্রহটির পেট থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ফাঁদ
এমন এক বিপদ থেকে তাদেরকে কে উদ্ধার করতে পারবে? বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান দ্রিষিন মনে মনে ভাবলেন। ছেলেবেলায় প্রচুর গল্প পড়েছেন। গল্পগুলোতে সবসময় একজন নায়ক থাকত। সেই নায়কদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অস্বাভাবিক সব শারীরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। দেখা যেত তারা তাদের এই ক্ষমতা দিয়ে, শরীরের অসামান্য শক্তি দিয়ে অনিষ্টকারী দস্যু কিংবা দানবদেরকে মেরেকেটে [আরো পড়ুন]
Read More
রোমানবের গল্প
০০১ সাহিত্য সভা
সবুজ! চারিদিকে মসৃণ সবুজ! গাছপালা সবুজ, নরম ঘাস সবুজ, ভিজে মাটির ওপরে জমে থাকা শ্যাওলাও কত সবুজ! কেবল আকাশটা ঘন নীল, আর সামনের সরোবরের জলটাও অতি নিবিড়, শান্ত, নীল। আমার দুই শ্রান্ত মুশাফির চোখ, বিস্ময়ে লীন হয়ে গেল, অস্ফুট এক আনন্দে।
এ দৃশ্য আমি চোখে দেখিনি কোনোদিন। আমাদের রোবটের রাজ্য! চারিদিক কেবল ধাতব রূপালি রঙে মোড়া। [আরো পড়ুন]
Read More
জাল বানাল যুধিষ্ঠির
লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী! একটা ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা আর অন্যটা বাংলায়, এটা বোঝা যাচ্ছে। তারপরে আর হস্তাক্ষর বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। আমার দুই কাকার চিঠি এসেছে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
পোয়াবারো
নামে কিবা আসে যায়, এটা যে একেবারেই কথার কথা তা বিমলের চেয়ে আর বেশি কে জানে। নাম যদি বিদঘুটে হয় তবে বন্ধুদের বিদ্রুপ থেকে শুরু করে প্রেমহীনতা, নানা সমস্যায় জীবন জর্জরিত হতে পারে। ক্লাস টুয়েলভে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, ‘তোকে বিয়ে করলে অমন একটা বিচ্ছিরি পদবি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। ওটা পদবি, না মোটর সাইকেল স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ? সরি রে, পারলাম না।’
Read More
নীল কমলের খোঁজে
এক
টিকলিদের গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির স্পর্শ মাখা একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও সুন্দর,নীল পোখরি। চারপাশে ঘন পাইনের বন। তার মাঝে মেঘের দল আনমনে খেলা করে বেড়ায়। আর ঢাল বেয়ে একটু নীচে নামলেই শুরু হয় চোখ জুড়ানো সান্যাল টি এস্টেট। সারা পাহাড়ের গায়ে শালের মতো জড়ানো মনোরম সবুজ চা বাগান।
টিকলির পরিবার বলতে সে ও [আরো পড়ুন]
Read More
প্রত্যক্ষদর্শী
বিস্মরণের রাত
গতকাল ছেলেটা আমাকে জানালার পাশ থেকে সরাতে ভুলে গিয়েছিল। গতকাল মানে অবশ্য চলিত অর্থে গতকাল নয়। কিন্তু এখন যেহেতু রাত দেড়টা বাজে, তাই বারোটার পূর্ববর্তী সময়কে আমি গতকাল বলেই চিহ্নিত করছি।
যত যাই হোক—ছেলেটা একজন মানুষ এবং চরিত্রগতভাবে কিছুটা ভুলোমনও। নয়তো ও যদি রোবট হত আর ওর মধ্যে ভরে দেওয়া থাকত আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ট্রিগার
এক
“ডাইনোসর বার্ড। এখন প্রায় বিলুপ্ত। আসল নাম শুবিল। পাখিটার কথা শুনেছো কখনও?”
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকের তিন নম্বর মার্লবোরো থেকে অস্থির ধোঁয়া এলোমেলো পথে ঘরের বাইরে যেতে চাইছে। পুবদিকের জানালা খোলা। উত্তরদিকের খড়খড়িগুলো অর্ধেক নামানো অবশ্য। এখন সুপর্ণার কাল। জানুয়ারি সবে পড়েছে।
প্রাচীন অর্ধচন্দ্র টেবিলটার সামনের দুটো [আরো পড়ুন]
Read More
হয়তো আবার
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিল নীহারিকা। না, ঠিক আনমনে নয়, মাঝে মাঝে হাতের উলটো পিঠটা ঘষছিল গালে। না ঘষে অবশ্য উপায় ছিল না। এই ভর দুপুরবেলা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটা অল্পবয়সি মেয়েকে মরা মাছের মতো খোলা চোখে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে দেখতে পেলেই সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাবে। চশমাতেও বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। নেহাত মানুষের অত সময় বা গরজ নেই তাই!
কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
নেক্সা
১
নবমীর দিন সকালে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটা শান্ত গলির একেবারে শেষে অম্বিকা প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল গৌতম হেগরে। এই বাড়ির তিনতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এক সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর অভিজ্ঞান সেন। কলিং বেল টিপে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল। দরজা খুললেন এক ভদ্রমহিলা। গৌতম নমস্কার করে ইংরিজিতে বলল, আমি গৌতম, পুলিশের গোয়েন্দা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজেক্ট ইসিখাথি
প্রকাণ্ড ঘরটার ভিতর আবছা নীল আলো, এই নীল-কালো আবছায়াটা অভ্রর ভীষণ সুপরিচিত। এই ঘরে হাওয়ার চলাচলও হিসেব মেনে হয়, কিন্তু অভ্রর অবাধ যাতায়াত। আজ একটা নিরেট থমথমে ভাব চারদিকে। ঘরটার উত্তরের দিকে দেওয়াল জোড়া জানালা; কাচের ওপাশে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা রাতের আকাশ। সেই জানালার সামনে একটা বিশাল টেবিল যার ওপর মুখ গুঁজে বসে আছেন এক মধ্যবয়স্ক পুরুষ। পরনে সামরিক [আরো পড়ুন]
Read More
এত সুন্দর, এত অন্ধকার
“রুহানা!”
মণীন্দ্র ডাকছে ওকে। কিছু দরকার নিশ্চয়! লোকটা এমনিতে চুপচাপ, অকারণ বাজে বকে না। রুহানার ক্লান্ত লাগছিল, কিন্তু ডাকটা অগ্রাহ্য করা উচিত হবে মনে হল না।
তা ছাড়া, অগ্রাহ্য করতে চাইলেও করতে পারত না বোধ হয়। ‘সৌজন্য’ বাধা দিত।
সোজা সরলরেখায় রাস্তা, দুপাশে বাড়িগুলো পর পর একই রকম দেখতে। হঠাৎ দেখলে মনে হয় লেগো দিয়ে বানানো খেলনা শহর। [আরো পড়ুন]
Read More
অন্তিম কোড
জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। নিজের নিশ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পালসের গতি ধীরে ধীরে নাবিয়ে আনলেন মি. দেশাই। প্রায় পঁচাশি! এর চেয়ে কমানো সম্ভব নয় এই পরিস্থিতিতে। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিযায়ী
বড়োবাজারের মাকড়সার জালের মতো লেয়ারের পর লেয়ার, জড়ানো প্যাঁচানো ফ্লাইওভারের প্রত্যেকটা লেয়ারে জ্যাম। ইউসুফ তাই প্রতিবারের মতো এবারেও শিয়ালদা থেকে ট্রামে উঠেছে। তার পেছনে আরও কয়েকটা কারণ আছে বটে। একে তো স্টেট স্পন্সরড বলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য এক্কেবারে বিনামূল্যে যাত্রা, তার সঙ্গে নীচ থেকে ওপরের দিকের দু-নম্বর টিউবটায় অন্যান্য [আরো পড়ুন]
Read More
ফিনিক্স
লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড
২০১৬
মাইক্রোস্কোপ থেকে চোখ সরায় রেচেল। হাতের পাতা দিয়ে আলতো করে চোখ ঘষতে থাকে। যা দেখছে সেটা সত্যি কিনা নিশ্চিত হতে পারছে না যেন। বিড়বিড় করতে করতে চোখ রাখে মাইক্রোস্কোপের আইপিসে। মগ্ন হয়ে যায় আবার।
আচমকা পিঠে কার আলতো ছোঁয়া পেয়ে প্রায় চমকে ওঠে রেচেল।
—রাত কত খেয়াল আছে?—প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রোফেসর [আরো পড়ুন]
Read More
বাবলা বীজের সাহিত্যিক
এবং প্রাণীভাষাবিদ সমিতির পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত আরও কিছু অংশ
পিঁপড়ের ঢিপিতে পাওয়া পাণ্ডুলিপি
কলোনির গভীরের একটা স্তর থেকে বেরিয়ে আসা এক সরু, আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বীজাণুমুক্ত বাবলা বীজের সারির উপর স্পর্শগ্রন্থি নিঃসৃত রস দিয়ে কথাগুলো লেখা ছিল। বীজগুলোর সুচারু সজ্জা লক্ষ করেই তদন্তকারী প্রথম আকৃষ্ট হন।
বার্তাগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
অধরা পৃথিবী
তাতিমের সামনে মাটি থেকে সিলিং পর্যন্ত আধাস্বচ্ছ দেওয়াল।
সম্পূর্ণ খোলা একটা বিস্তৃত ঘরে তার সামনে দুটো রকিং চেয়ার। ঘরটা সাদা। শুধু এককোণে একটা প্ল্যান্টারে যত্নে রাখা একটা গাছ-রবার প্ল্যান্টের মতো দেখতে। ওই গাছটাই তাদের বাড়ির সবচেয়ে মূল্যবান সদস্য।
মাঝারি উচ্চতার, মোটামুটি সজীব। খুব সন্তর্পনে ওপরের দিকে আধফোটা পাতাতে আলতো করে আঙুল বোলালো তাতিম—কি মসৃণ।
Read More
আবার ফোন বাজছে
—দেখেছ! আবার মেয়েটা ফোনে কথা বলছে! এতো রাতে কার সঙ্গে কথা বলে রোজ রোজ?
—কোন মেয়েটা?
—আরে বাবা, পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটে যে মেয়েটা এসেছে, সেই মেয়েটা। শুনতে পাচ্ছো না! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তোমার কানটাও খারাপ হয়ে গেছে!
—তা কার সঙ্গে কথা বলে, তা দিয়ে তোমার আমার কী? এখনকার মেয়ে। এরা সব ইন্ডিপেন্ডেন্ট টাইপের হয়। অতো সব নিয়মকানুন মানে না এরা।
Read More
বৈসখা
নীচে পরিবেশিত কথোপকথনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মানবজাতির ইতিহাসে ‘বৈসখা’ ব্যবহারের শেষ নিদর্শন এটিই। পাঠকেরা এই দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবেন—এই আশা রাখি।
আন্তঃনক্ষত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়া প্রতিটি মহাকাশযানেই একসময় বৈদ্যুতিক সখা—সংক্ষেপে বললে ‘বৈসখা’—নামের একটি যন্ত্র থাকত। এটির কাজ ছিল মহাকাশযান কোনো কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ইচ্ছেপূরণ
চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?
‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।
Read More
নক্ষত্র যাত্রা
সম্ভবত ঘুম ভাঙল আমার।
সম্ভবত বললাম, কারণ জানি না ঘুমিয়ে ছিলাম নাকি এইমাত্র জন্ম নিলাম। যদি জন্ম নিয়ে থাকি চোখ মেলার পর কীভাবে বুঝতে পারলাম এটা একটা স্পেসশিপ?
তার মানে ঘুমিয়ে ছিলাম। অথবা এইমাত্র জন্ম নিলাম। কিন্তু মেমরিতে আগে থেকেই কিছু তথ্য দিয়ে রেখেছিল। কে? কারা? কেন?
উজ্জ্বল সাদা আলো। লোহার বিছানায় শুয়ে আছি। কামরাটা সাদা [আরো পড়ুন]
Read More
হরিপদবাবু ও ম্যাক্রোকসম গ্রহের অধিবাসী
১
রোজকার অফিস শেষে লোকাল বাসে ঝুলে যানজট পেরিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হরিপদবাবু যখন বাড়ি পৌঁছালেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। এমনিতেই চাকরি করতে ভালো লাগে না হরিপদবাবুর, তার উপরে আজকে আবার অফিসের বড়োবাবুর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। সেটা অবশ্য প্রতিদিনই থাকে, তবে আজকে শেষ বিকেলে কাজকর্ম শেষ করে হরিপদবাবু যখন খবরের কাগজে [আরো পড়ুন]
Read More
রামমোহন রায় ও ফুটবল
রামমোহন রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল কলকাতার ময়দানে উনিশশো বিরানব্বই সালে। আরও স্পষ্ট করে বললে মোহনবাগান মাঠের আট আনার গ্যালারিতে। বছরটা মনে আছে কারণ কৃশানু দে ওই বছরেই ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগান ক্লাবে ফিরে আসে বছর সাতেক ইস্টবেঙ্গলে খেলার পরে। আমার বাবা এবং ছোটোকাকা দক্ষিণ রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে আমি ছিলাম সূর্য মেমোরিয়ালের [আরো পড়ুন]
Read More
ফুটোস্কোপ
সকালবেলা কাগজ ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ একটা খবরের দিকে চোখ পড়ায় চমকে উঠলাম। খবরটা এই রকম—
নতুন ভূমিকায় ডাক্তার চট্টখণ্ডী
(নিজস্ব সংবাদদাতার রিপোর্ট)
এককালের বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক ডক্টর সুভ্ৰাট চট্টখণ্ডী, যিনি নাকি কিছুদিন আগে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাকে সম্প্রতি এক নতুন [আরো পড়ুন]
Read More
ছাতাবাবু
সকাল থেকে আকাশের মুখ অভিমানী ছেলের মতো ভার ভার। তারপর কলকাতা ভেসে গেল মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের আড্ডাটা সেদিন ভালোই জমেছিল ব্রজেনদের বাড়িতে। অনেকদিন বাদে একসঙ্গে জুটে গিয়েছিলাম চার বন্ধু। ব্ৰজেন ছাড়েনি। দুপুরের খাওয়াটা সেদিন ওদের বাড়িতে হবে। তখনও বৃষ্টি একবারে থামেনি। ব্রজেনদের তেতলা ঘরের জানালার [আরো পড়ুন]
Read More
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।
ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
ভার্গব বসুর হারানো মাথা
আমার বন্ধু চাণক্য চাকলাদারের কিছু খ্যাতি আছে আজগুবি গল্প বলার জন্যে।
সেদিন সন্ধেবেলা হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢুকে নতুন সায়েন্স-ফিকশন পেপারব্যাকটা তুলে নিয়ে বললে, ‘পানুদা, শুনেছ?’
তার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘কী?’
‘মাকড়সার ঘাড়ে মানুষের মগজ।’
‘আবার গাঁজা খেয়েছিস?’
‘তোমাদের সঙ্গে ইংরেজদের তফাত তো এইখানেই। ইংল্যান্ডে জন্মালে [আরো পড়ুন]
Read More
রহস্য
সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! [আরো পড়ুন]
Read More
গামানুষ জাতির কথা
যে সময়ের কথা বলছি তার প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে পৃথিবী থেকে মানবজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে। তর্ক উঠতে পারে, আমরা সকলেই যখন পঞ্চত্ব পেয়েছি তখন এই গল্প লিখছে কে, পড়ছেই বা কে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। লেখক আর পাঠকরা দেশ—কালের অতীত, তাঁরা ত্রিলোকদর্শী ত্রিকালজ্ঞ। এখন যা হয়েছিল শুনুন।
বড়ো বড়ো রাষ্ট্রের যাঁরা প্রভু তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য [আরো পড়ুন]
Read More
বৈজ্ঞানিক বর-যাত্রী সম্বৰ্দ্ধনা
হিমাচল বাবু বনেদী বংশের লোক। অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পেশা কিন্তু জমিদারী নয়,—তাঁর পেশা বিজ্ঞান-চর্চ্চা। বাড়ীতে একটা মস্ত বড় ল্যাবরেটরী থাড়া করে’ তুলেছেন। তবে তিনি যে সারাদিনই তাঁর ল্যাবরেটরীর বদ্ধ বাতাসে আপনাকে আবদ্ধ করে’ রাখেন,—তা’ নয় ৷ কেন-না,—তাঁর নামেরই উপযোগী তাঁর যে দেহখানি,—সেটাকে সমস্ত দিন কোনো সঙ্কীর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
অলীক বাস্তব
“ইওর অ্যাটেনশান প্লিজ। বি এম এয়ারলাইনের বুন আইল্যান্ড—ডেনসবার্গ ফ্লাইটে আপনদের স্বাগত জানাচ্ছি, আমি ক্যাপ্টেন কেভিন হর্স্ট। ১২ ঘণ্টার এই যাত্রায় আপনাদের…”
কানে ইয়ারফোনদুটো গুঁজে দেয়াতে ম্যাট আর বাকি কথাগুলো শুনতে পেল না। শোনবার প্রয়োজনও বিশেষ নেই। মাসে গড়ে দু-তিনবার করে শুনতে শুনতে পাখিপড়া মুখস্ত হয়ে গেছে কথা ক-টা, [আরো পড়ুন]
Read More
ওহ্ ডালিলা
১
“মেয়েদের একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যত নষ্টের গোড়া এই মেয়েরাই।”
এই রকম চূড়ান্ত মিসোজিনিস্টিক মন্তব্যটা শুনেও না শোনার ভান করে থাকলাম। এই ২১২৩-এ এই ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করলে নিশ্চিত জেল হবে কয়েক বছরের জন্য। তবুও আমার বাড়িতে এইরকম কথাবার্তা আজকাল একটু বেশিই শুনতে হচ্ছে। উদ্দেশ্য যে আমাকে শোনানো তা কি আর আমি বুঝি না? [আরো পড়ুন]
Read More
কেউ কোত্থাও নেই
“অ্যাই কোরেল, সিনেমা দেখতে যাবি? শারুক খানের। সবাই দেখতে যাচ্ছে। হেবি হয়েছে নাকি শুনলাম”
অশোকনগর উনিশ নম্বর কাঁকপুল ফরেস্টের আশপাশে কোনো সিনেমা হল নেই। হল বলতে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার উজিয়ে সেই হাবড়ার রূপকথা হল। খানিক হেঁটে, খানিক টোটো আর বাকিটা অটো। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার মামলা। তাও যদি সব সময় মতো ঠিকঠাক পাওয়া যায়, তবেই।
Read More
একটি পারুল গাছ
বাইরে শেষ বিকেলের আলোটা একটা নাম-না জানা গাছকে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দিচ্ছিল। গাছটা তো তার পরিচিত, নামটা সে মনে করতে পারছিল না।
এই ঘরটিতে দুটি মানুষ, একটি টেবিলের দু-পাশে, এমন যেন একে অপরের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। দু-জনের হাতই মুঠিবদ্ধ। একজনের বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই করছে, আর একজন ত্রিশ হয়তো পার হয়নি। ষাট-ছোঁয়া মানুষটি তরুণটির দৃষ্টি অনুসরণ [আরো পড়ুন]
Read More
আলোর গল্প
আমরা ভাবি, রূপকথা মানেই বোধহয় সে অনেক অনেক বছর আগের কথা; বহু যুগের ওপারে হারিয়ে যাওয়া দেশ আর সেখানকার মানুষদের গল্প। কিন্তু সত্যি সত্যি কি সব দেশ, সব মানুষ হারিয়ে যায়? নাকি শুধুই চেহারা পালটে নেয়?
এই রূপকথাটার সময় বেশ কয়েকশো বছর আগের হতে পারে; আজকের, ঠিক এই মুহূর্তের হতে পারে; আবার কয়েক বছর পরেরও হতে পারে। রূপকথার দেশটা অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
মনসার চিঠি
ফণী রে,
এমন ঘুম জন্মে ঘুমাইনি। উঠে দেখি ভেজা সাফ, হোয়াইট বোর্ডের থেকেও সাদা। এমন ঘুমও ঘুমোনো যায়! চোখ খুলে দেখি কয়লার মতো কালো লিকলিকে হাত-পা এদিক ওদিক ছড়িয়ে মাদুরের ওপর শুয়ে আছি। মাথার ওপর ঝুলে থাকা সিলিং ফ্যানটা দেখি ইতিমধ্যে মাকড়শা হয়ে গেছে। স্পষ্ট দেখলাম মাঝখানে গোল চাকতিটার গায়ে তিন-চারটে চোখ গজিয়ে গেছে। ড্যাবড্যাব [আরো পড়ুন]
Read More
মোচন
কখনো “লকউড” গ্রামের নাম শুনেছ? কোন দেশ, কোন মহাদেশ, কোন অঞ্চল, কত অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশে তার অবস্থান— জানো সেসব কিছু?
জানি, জানো না।
পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার গুরুত্বহীন গ্রামগুলোর মধ্যে লকউডও একটা— শুধুমাত্র বাসিন্দারা ছাড়া, আর কেউ যাদের কথা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। তাদের মতো লকউডেও দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসার মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য ফ্যান্টম অর্ব
টেলিস্কোপের লেন্সে আরেকবার চোখ রাখল রিও। নিশ্চন্দ্র আকাশের অতলান্ত অন্ধকারে বসেছে অগণিত তারাদের সম্ভার। কিন্তু তাদের মধ্যে আজ একটা অদ্ভুত গোলক দেখা দিয়েছে। একটা অতিক্ষুদ্র কালো বস্তু, যার চারপাশে একটা ক্ষীণ আলোর বলিরেখা না থাকলে তার উপস্থিতি কোনোভাবেই টের পাওয়া যেত না। এত নিখুঁত পরিপূর্ণ অন্ধকার সেই গোলকের অভ্যন্তরটি, যে [আরো পড়ুন]
Read More
আমার প্রাণের পরে
“শরণ্যা! ডায়েরিটা কোথায় গেল আমার? কতবার বলেছি ওটা টেবিল থেকে সরাবে না?”
স্টাডি থেকে অভিজিতের চিৎকার শুনে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শরণ্যা। এই চিৎকারগুলো শুনলে বড্ড ব্যর্থ মনে হয় নিজেকে। মনকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এতে তার দোষ নেই, তার ওপর ভুবনের ভার নেই— তবু বোঝাতে পারেনি। ভুবন না হোক, একটা মানুষের ভার তো [আরো পড়ুন]
Read More
সালোকসংশ্লেষ
“কী রে, হল?”
“হচ্ছে হচ্ছে, দাঁড়া।”
“এবারেও যদি না হয়?”
“আরে শুভ কথা বল। সবসময় এরকম নেগেটিভ বলা উচিত নয়।”
“আরে! এই নিয়ে কতবার হল খেয়াল আছে?”
“ধৈর্য হারালে চলবে না। শুনেছি যে এবার যিনি এসেছেন তিনি নাকি আজ অবদি কখনো ফেল করেননি।…”
“সবই তো বুঝলাম। এদিকে কতক্ষণ হয়ে গেল সে খেয়াল আছে?”
“দু-ঘণ্টা কমপ্লিট হয়নি এখনো।…”
“হয়নি? তোর কি সময়ের [আরো পড়ুন]
Read More
জানকীমোহনের ডায়েরি
“১৯২৩ সালে লখনৌ শহরে এক অভিজাত ব্যক্তির বৈঠকখানায় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভারতের সঙ্গীত ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সেটার কথা কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। সেই স্মৃতি সবাই ভুলে গেছে। ইচ্ছে করে। ওই ঘটনার যারা সাক্ষী, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাইরে কাকপক্ষীকেও তারা এ ঘটনা জানতে দেবেন না। সবাই এ সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর্তন
বিশাল শহরটাকে প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে জঙ্গলে। প্রাসাদের মতো বাড়িগুলোর ছাদের দখল নিয়েছে উঁচু উঁচু গাছের সারি, তাদের মোটা কাছির মতো শেকড়গুলো সর্পিল ভঙ্গীতে নীচে নেমে এসে বাড়িগুলোকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে প্রেমিকার নিবিড় আলিঙ্গনের মতো। রাজপথের কুলিশ কঠিন আস্তরণ ফাটিয়ে উঠে আসা কাঁটালতা আগলে রেখেছে বাড়ির প্রবেশপথ, [আরো পড়ুন]
Read More
ধাত্রীদেবতা
“এসো অরুন্ধতী। এইখানে বোসো একটুক্ষণ।”
অকূল সমুদ্রের বুকে একচিলতে জমি। সেখানে জলের ওপরে ঝুঁকে থাকা একটা পাথরের চট্টানের ওপর বসে হাত বাড়িয়ে ডাকলেন বশিষ্ঠ। তিনি ক্লান্ত, কিন্তু তৃপ্ত আজ। অবশেষে দীর্ঘকালের সাধনার চুড়ান্ত সুফলটি এসেছে।
তাঁর সুঠাম পেশল শরীরে প্রথম সূর্যের আলো এসে পড়েছে। সেদিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন অরুন্ধতী। [আরো পড়ুন]
Read More
কাকভুশুন্ডি
কাকভুশুন্ডি কে চেন তোমরা? না?
সে ঠিক আছে – কজনই বা জানে তার কথা? তাছাড়া কম দিন তো হল না, সেই রামায়ণের সময় থেকে আজ অব্দি কত মৃত্যু, কত জন্ম – কত শত প্রজন্ম প্রবাহিত হয়েছে; সে নিজে সময়ের ঊর্ধ্বে বলে বাকি জীবকুল তো আর তা নয়!
ওর কথা আপাতত থাক। বরং ইদানীংকালের একটা অদ্ভুত ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক, যার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছে না কেউই। [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিথিয়া
ড্রইংরুমে ঢুকেই শ্যাওলা রঙের চওড়া সোফায় নিজেকে এলিয়ে দিলেন ড. সেন। ওঁর উপস্থিতির সাড়া পেয়ে নরম সোনালি আলো আলতো করে ফুটে উঠল ঘর জুড়ে। আর প্রকাণ্ড ড্রয়িং রুমের একপাশের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা বিশালাকৃতি টিভি অন হয়ে গেল নিজের থেকেই, ভলিউম যদিও একেবারে কম করে রাখা।
ক্লান্তিতে সারা শরীর টন্টন্ করছে। আজ সারাদিন যা কাজ গেছে, ওঁর [আরো পড়ুন]
Read More
শুক্রগ্রহের সায়ক
আমার বয়ঃক্রম পঞ্চবিংশ দিবস অর্ধ বৎসর— সামনে বসে থাকা ছেলেটি বলল আমাকে। ওর কথা অনুযায়ী আজ সকালেই শুক্র থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সে। ঠিক আধ ঘণ্টা আগে। এই সময়টুকু লেগেছে আমাকে খুঁজে বার করতে। আমার সঙ্গে দেখা করতেই ওর আসা। ফর্সা সুদেহী ঝকঝকে তরুণ। চুল ও চোখে কালোর অতলান্ত গভীরতা। চোখে প্রত্যাশার ছাপ।
এটা চব্বিশশো আশি সাল। সাড়ে [আরো পড়ুন]
Read More