অসুখ
তারিখ: ১৫ মার্চ, ২৫০০
সময়: দুপুর ৩টে ১০ মিনিট
স্থান: ৬, লিন্ডসে লেহান স্ট্রিট, গ্রেট ব্রিটেন
বাচ্চাটাকে সুন্দর দেখতে। চোখদুটো খুব সরল আর নিষ্পাপ। তবে মুখে একটা দুঃখী-দুঃখী ভাব আছে; দেখলেই মায়া হবে।
এলিজা খুব মিষ্টি করে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার কীসের এত ভয় মাই বয়?”
বাচ্চাটা কোনও উত্তর দিল না। শুধু চোখ বড়-বড় করে এলিজার দিকে তাকিয়ে থাকল।
Read More
মানবিক
আশ্চর্য জ্যাক! এই হোক্কিট-দের নিয়ে তোমরা পাক্কা তিন বছর কাজ করছ, অথচ ওদের উন্নতির জন্য কিছুই করোনি?”
নতুন সুপারভাইজার মাইকেল ওটিনো-র কথা কানে যেতে কারখানার ইনজিনিয়ার তথা হিসাবরক্ষক জ্যাক নর্টন হাতের নকশাটা থেকে মুখ তুলে আড়চোখে তার দিকে তাকাল। নতুন এই আফ্রিকাজাত সুপারভাইজারকে সে একেবারেই পছন্দ করে না।
“কী ধরনের উন্নতি?” সে সতর্কভাবে প্রশ্ন করল।
Read More
কল্পাণু গল্প
টেলিফোন
পার্থ দে
ঋতার বায়োপসি রিপোর্টটার অপেক্ষায় ওয়েটিং জোনে বসে আছি। সাতটা বাজতে পাঁচ। কাউন্টারে বসা মেয়েটা বলেছে, “ঠিক সাতটায় আসুন, স্যার। আমি দিয়ে দেব।”
ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি ঘন ঘন। এসি-তে বসেও শার্টের তলায় দরদর করে ঘামছি। ভাবছি, ফোনটা আসবে কি? আর তো পাঁচ মিনিট… না না… আমার ডিজিটাল ঘড়ি বলছে চার মিনিট ছত্রিশ সেকেন্ড! আসবে তো ফোনটা?
আজ পর্যন্ত [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ১
গোড়ার কথা
এটা বইয়ের রিভিউ নয়। কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের কিছু বইয়ের সঙ্গে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কেবল। লেখাতে প্রকাশক বা বইয়ের মূল্যের উল্লেখ নেই, কারণ কিছু বইয়ের নানা এডিশন পাওয়া যায়। বইয়ের ও লেখকের নাম লেখার শেষে রোমান হরফে উল্লেখ করা আছে, যাতে উৎসাহী পাঠক নেটে সার্চ করে বইটি নিজে খুঁজে নিতে পারেন।
ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড – অ্যাল্ডাস হাক্সলে

Read More
কোন সে কবির ছন্দ বাজে
জন্মান্তর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত জানি, ওই মেয়েটিকে আমি চিনি। কোথায় তাকে দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কিন্তু ওকে আমি চিনি, চিনি, চিনি। ওই চোখের দৃষ্টি, ওই ভ্রূভঙ্গি, ওই ঠিকরে পড়া আলোর ঝলক— ও আমি নিশ্চিত কোথাও দেখেছি আগে। হয়তো এই জন্মে, হয়তো গতজন্মে— যদি গতজন্ম বলে সত্যিই কিছু থাকে।
স্বপ্নে সে এসেছিল আমার কাছে। প্রায়ই [আরো পড়ুন]
Read More
বাতাসে বিনাশ বার্তা
টেবিলের ওপর সাজান সিদ্ধ ভাতের তৈরি সাদা, শাঙ্কব পাহাড়ের সারি; কলা পাতায় উৎসর্গ করা চাল, পাখির ডিম, বিভিন্ন ফলমূল, ছত্রাক। আজ রিনচেনদের বাড়িতে পুজো, লেপচা ভাষায় ‘রাম ফাট্’। প্রাচীন মুন ধর্মবিধি মেনে উপাসক সিমিক বংথিং এবং উপাসিকা রেণু মুন সামান্য ‘চি’ পান করে পুজোয় বসেছেন। সকাল থেকেই কুয়াশার ধুসর পর্দায় মুখ ঢেকেছে গ্রামের [আরো পড়ুন]
Read More
সময়নদীর বাঁকবদল
(এটা একটা বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি। বাংলায় অল্টারনেট হিস্ট্রির ধারাটি নতুন। এই কাহিনিকে একটি জিও-পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি বলা যায়। এই ধারাভাষ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অন্তত এই বিশ্বে। কোনও সমান্তরাল বিশ্বে সত্যিও হতে পারে।)
প্রাককথন
২১২০ সাল, কলকাতা
অফিসের বায়োমেট্রিক গেটে বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে লোকটা ভিতরে ঢুকতেই [আরো পড়ুন]
Read More
দ্রোহ
প্রারম্ভিকপর্ব
টার্টারাসের ধূলিময় প্রান্তর। আকাশ জুড়ে ঝুলে থাকা লোহিত নক্ষত্রের লালচে আলোয় লাল হয়ে থাকে ধুলোর গভীর স্তর। হাওয়ার সামান্য ঝাপটেই ধোঁয়ার মতন কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ে যায় চারপাশেট্যাঁকাঠের তক্তা ঠুকে বানানো এই হতশ্রী কুটিরের প্রতিটি আসবাবের ওপরেও ধুলোর প্রলেপ। ধুলো জমেছে [আরো পড়ুন]
Read More
জল
একটা বয়সে পৌঁছোলে মানুষের কাছে জন্মদিনের আলাদা করে কোনও অর্থ থাকে না। তবু, অঙ্গদ যখন সকালে বলল যে আজ আমার জন্য রান্নার মেনুটা একটু অন্যরকম হবে, তখন বেশ ভালো লাগল। তারপর রজত হাজির হল ওর বাগানের একগোছা ফুল নিয়ে। তবে জন্মদিন হলেও ওর রোজকার বকুনির হাত থেকে আমি রেহাই পেলাম না।
“এইসব যন্ত্রপাতি আর নয়, সারস্বত!” ‘নেচার’– [আরো পড়ুন]
Read More
অতিউল্কা
“মা আআআআআআ…….”
রবিবার। অন্তিমাদেবী বেশ জাঁক করে একটা সুস্বাদু প্রাতরাশ বানাচ্ছিলেন আজকে। নওরোজার চিৎকারে চমকে উঠে খুন্তী হাতেই মেয়ের ঘরের দিকে দৌড় দিলেন তিনি। আজকাল কী যেন হয়েছে নওরোজার। মাত্র ন–বছরের মেয়ে, ইতিমধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রোজ! রাতে ভালো করে ঘুমোতে পর্যন্ত পারে না সে, বারবার স্বপ্ন দেখে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে ‘বাবা–মা’র ঘরের মধ্যে।
Read More
ডলি
রবিবার ডলির যখন ঘুম ভেঙেছিল, তখন ওর গায়ের রং শ্যামলা আর কোমরছাপানো ঢেউখেলানো চুল ছিল। মঙ্গলবার যখন ঘুম থেকে উঠেছিল, তখন আবার ওর গায়ের রং ফুটফুটে ফর্সা, চুল লাল। কিন্তু বৃহস্পতিবার— সেদিন ওর চোখ ছিল নীল, চুল কুচকুচে কালো, আর হাতগুলো লাল, রক্তে।
দামি জিনিসে ঠাসা বসার ঘরটার সবকিছু ধবধবে সাদা আর সোনালি রঙের, একমাত্র ব্যতিক্রম [আরো পড়ুন]
Read More
থামিনের কান্না
মরিয়ম দুপুরের খাবারের মেনু কী হবে জানার জন্য দেবুকে অনেকক্ষণ ধরেই মোবাইলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু নট রিচেবল আর নট রিচেবল ছাড়া অন্য কোন সাড়া নেই। কি যে হয় নেটওয়ার্কের? বেশ বিরক্ত হয়েই টিভিটা ছেড়ে বসলো সোফায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কেবল নেই। অদ্ভুত তো! বিরক্ত মরিয়মের এবার [আরো পড়ুন]
Read More
ওসেনবোরো
বুড়োটা শালা অসুস্থ নাকি!
কথাটা বাসুর মনের মধ্যে ভেসে উঠেই হারিয়ে গেল। সামনে বসে থাকা বৃদ্ধের চোখেমুখে এক অসহায় ভয় আর আতঙ্ক খেলা করে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মুখচ্ছবির সঙ্গে বাসু যথেষ্ট পরিচিত। চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলে মানুষের মুখ চোখ এরকম হয়ে যায়। অনেক সময় বাসুকে দেখলেও… হবে নাই বা কেন? মৃত্যু আর ভয় নিয়েই তো তার [আরো পড়ুন]
Read More
বাংলা সায়-ফি জগতের হারামণি ডক্টর দিলীপ রায়চৌধুরী
মাত্র ৩৮ বছর বয়েসে গত সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর ভোররাতে কলকাতার উড্ল্যান্ডস্ নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘আশ্চর্য!’ প্রিয় লেখক এবং বাংলা সাহিত্যের সায়েন্স ফিকশন দিগন্তের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ডক্টর দিলীপ কুমার রায়চৌধুরী।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিভাধর ছাত্র হিসেবে অল্প দিনেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন দিলীপবাবু। ১৯৫০ [আরো পড়ুন]
Read More
গুরনেক সিং – বাংলা কল্পবিজ্ঞানের আশ্চর্য দিশারী
‘আশ্চর্য!’ পত্রিকায় নতুন ধরনের গল্প রচনায় যে সব লেখক মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গুরনেক সিং অন্যতম। তাঁর জনপ্রিয়তা ‘আশ্চর্য!’ পত্রিকার গৌরব। তাঁর সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানতে চেয়ে প্রায়ই ‘আশ্চর্য!’ অফিসে চিঠি আসে, ফোন আসে— কত প্রশ্ন… ‘গুরনেক সিং কি ছদ্মনাম?’, [আরো পড়ুন]
Read More
অযান্ত্রিক
অন্ধকার রাতে কেউ নেই পথে। মশালগুলো হাওয়ার সঙ্গে যুঝে উঠতে পারছে না কিছুতেই। আগুনের শিখাগুলো ভূমধ্যসাগরীয় হাওয়ার দাপটে বিদ্রোহী চাষীদের মতন কাঁধ নুইঁয়ে অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুকুরগুলো কোনও এক কোনে গলা মিলিয়ে কান্না জুড়েছে। একাকী পথে কাঁপতে কাঁপতে পথ চলেছে মাঝবয়েসী ইয়াসোনাস। বাপ-মা ভেবেছিল ছেলে বড় [আরো পড়ুন]
Read More
লম্বগলি
“এ কোন রাস্তায় নিয়ে এলি?”
“কেন মোড়ের মাথায় ও-ই তো বলল বাঁ দিকের রাস্তায় যেতে।”
“ও বলল আর তুই চলে এলি? এটা তো সেই কুড়গুড্ডা পাহাড়ের রাস্তা মনে হচ্ছে।”
যে মোড়ের মাথায় বাঁ দিকে যেতে বলেছিল সে রুখে উঠল। “কেন কুড়গুড্ডার রাস্তা কি রাস্তা নয়? তোরাই তো বললি চটপট বাড়ি ফিরতে হবে। এ রাস্তাটা অনেক ছোট।”
“ছোট তো বটে, কিন্তু বিপদের কথাটা ভাববি না?”
Read More
ডিলিট
গাড়িটাকে কার পার্কে রেখে ব্যাকভিউ মিরারে নিজেকে একবার দেখে নিল জুলেখা। কপালে ঝুলন্ত চুলের গোছাকে একটু ছড়িয়ে রুমাল দিয়ে চোখের পাতা আর গাল একবার আলতো করে মুছে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল সে। রনি ওর কপালের ছড়ানো চুল নিজের হাতে সরিয়ে দিতে পছন্দ করে। বেশ কয়েকমাস আগে সে ওর অগোছালো চুল দেখে মন্তব্য করেছিল ‘কেয়ারলেস বিউটি’। কথাটা ক্লিশে হলেও মনে রয়ে গেছে জুলেখার।
Read More
ধূসর রঙিন
অনুরাগের ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল একটা দুঃস্বপ্নে। এই রোজকার অফিসের ইঁদুর-দৌড়, যানজট, ধুলো কাদা আর সবচেয়ে বড় কথা তার নিঃসঙ্গ জীবনের বাকি দিনগুলোর এই একঘেয়েমি সিলেবাস। মৃত্যুও তো একটা পরীক্ষাই, মুক্তি পাওয়ার! চাইলেও সবাই পারে না।
এই এক বছরে যেন তার জীবন থেকে সব রং, মুছে গিয়েছে ধীরে ধীরে, কালকের সেই গোধূলির ম্লান আলোটার মতোই।
কাল বিকেলে [আরো পড়ুন]
Read More
সমুদ্রের গুপ্তকথা
কি বলছ জেঠু সমুদ্রের নীচে নদী?” শাওন অবাক!
সবাই বসেছে বিখ্যাত ওসানোলজিস্ট শঙ্কর সেনগুপ্তকে ঘিরে। তিতিরের জ্যেঠু উনি। বিয়েসাদি করেননি। মাঝে মাঝে ছুটি কাটাতে আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। তখনই তিতির আর ওর বন্ধুদের জমায়েত হয় গল্পের আশায়। তিতিরের বাড়ির সবাই খুব ফ্রি। জমিয়ে আড্ডায় তাই কোনও কিছু বাধা নিষেধ নেই। সবাই “বুড়ো সাধু” নিয়ে বসেছে গলায় ঢালবে বলে।
Read More
কথক
অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, কিংবা অত্যধিক সংবেদনশীল হওয়ার একটা সমস্যা হল নানারকম ভিন্নধর্মী চিন্তার ভিড় প্রায়শই মনের গলা টিপে ধরে; কল্পনার সহজ, অবাধ উড়ান গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একজন কল্পনাপ্রবণ লেখক হয়ে ব্যাপারটা জোন্সের মোটেও অজানা নয়, তবে এটাকে আটকানোর বিশেষ চেষ্টাও সে করে না। কারণ আর কিছুই না; নিজের মনকে কোনও একটাই অনুভূতিতে [আরো পড়ুন]
Read More
লেটারবক্স
দুপুর দুটোর ট্রেনটা ধরে ভালোই করেছিল মৃদুল। একটা সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় দিনের আলো থাকতে থাকতে পৌঁছানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। গ্রামের নাম শিউরিয়া। ভারী অদ্ভুত নাম। শুনলেই কেমন যেন শিউলি ফুলের কথা মনে পড়ে। মৃদুল অবশ্য নামটা প্রথম শুনেছিল একজন পোস্টম্যান-এর কাছে।
দিনটা ছিল মঙ্গলবার। অফিস থেকে ফেরার পথে মানিকতলা মোড়ে একটা বিশ্রী জ্যাম-এ [আরো পড়ুন]
Read More
সময়
সোমনাথের বয়েস মাত্র বাইশ। এই বয়েসে সব কিছুই বাড়তি থাকে মানুষের। শক্তি, উৎসাহ, আবেগ। সোমনাথ একটি দুর্দান্ত ফান্ডাওয়ালা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেল একতরফা। মেয়েটির নাম অপরা। আলাপ নেই। পাড়ার সবচেয়ে ঘ্যাম বাড়ি হল চৌধুরিদের। চারদিকে প্রকাণ্ড বাগান, টেনিস লন, সুইমিং পুলওয়ালা বাড়ি। সাতখানা গাড়ি রাখার মতো প্রশস্ত গ্যারেজ। [আরো পড়ুন]
Read More
সাত্যকি সোমের বন্ধুরা
মধ্যভারতের এক জনবিরল গ্রামেরও নিভৃত স্থানের এক কুটিরে সকালবেলা উদ্ভ্রান্তের মতো প্রবেশ করল এক মধ্যতিরিশের যুবক। ঘরের একপাশে অনেক যন্ত্রপাতির সামনে চেয়ারে বসে এক বৃদ্ধ নিবিষ্টমনে কাজ করছিলেন। আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘ও গৌতম তুমি। অনেক কাল পরে এলে এবার।’
‘আসব কী করে? জানেন না, বিশ্বব্যাপী এক মারণ ভাইরাস সবাইকে কেমন ঘরবন্দি [আরো পড়ুন]
Read More
বোক্কো-চান
এক সুরা-সুন্দরীর কাহিনি, যার হৃদয়টা মোটেও সোনায় মোড়া ছিল না
রোবটটাকে রীতিমতো একটা নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন বলা যায়। সে একটা মেয়ে রোবট, হোক-না কৃত্রিম, তাকে বানানো হয়েছিল একেবারে তিলোত্তমার মতো যত্ন করে। একটি সর্বাঙ্গসুন্দর নিখুঁত আকর্ষণীয়া রমণী হিসেবে গড়ে তুলতে যা-যা প্রয়োজন, সবকিছু মাথায় রাখা হয়েছিল তাকে বানানোর সময়ে। [আরো পড়ুন]
Read More
মাউন্ট শাস্তা
অমলের কথা
এক মহাকবি বা দার্শনিক নাকি বলেছিলেন মহাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে খেলা করে। কিন্তু আমরা সেই মহাবিশ্বের অংশ, আমাদের পক্ষে কি সেই খেলার প্রকৃতি বোঝা সম্ভব? আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাই সবকিছু ভুলে যাবার আগে শেষ কয়েকটা কথা লিখে যেতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা। আমার জন্য সেই কথাগুলির প্রয়োজনীয়তা [আরো পড়ুন]
Read More
ফাটল
চমকে উঠলাম। ঢং ঢং করে ১০টা বাজছে ঘড়িতে। সর্বনাশ! ঠিক ১২টায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে ড. ধ্রুবজ্যোতি রায়চৌধুরীর সঙ্গে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তো নয়, যেন লটারির টিকেট পাওয়ার মতো অবস্থা। গাদা গাদা রিপোর্টার জড়ো হয়েছে। তিল ধারণের স্থান ছিল না বিজ্ঞান ভবনের বড় হলঘরটায়। শুধু কয়েকটা কথা বলতে চায় সবাই। চাঁদে মানুষ বাসোপযোগী এক [আরো পড়ুন]
Read More
প্রেতাবিষ্ট প্রাসাদ
শরৎকালের এক শব্দহীন, আভাহীন, ছায়ামায়ার দিনে ঘোড়ায় চেপে সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছেছিলাম ‘আশার প্রাসাদে’। সারাদিন দেখেছি আকাশ থেকে ঝুলে পড়া রাশি রাশি কালো মেঘ। যেন বুকের ওপর চেপে বসেছিল। দেখেছি প্রান্তরের ওপর দীর্ঘ পথ— অসাধারণ নির্জন— খাঁ-খাঁ করছে দিগ্দিগন্ত। এত কষ্টে তেপান্তর পেরিয়ে এসে দেখলাম, ‘আশার প্রাসাদ’ও বিরস বদনে তাকিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রেমলিন
সাবধান!
এ বাক্সে আছে একটা অত্যন্ত অসাধারণ প্রাণী। তাকে রোদে এনো না। তার গা ভিজিয়ো না। যতই প্যানপ্যান করুক-না কেন, যতই নাকে-কান্না কাঁদুক-না কেন, মাঝরাতের পর তাকে কক্ষনো খেতে দিও না।
[‘গ্রেমলিনদের কাহিনি নিয়ে রঙিন সিনেমা হয়েছে, গল্পের ক্যাসেট হয়েছে। গা-ছমছমে অথচ মজাদার সেই কাহিনি নিয়ে এখন উপন্যাস লেখা হচ্ছে।]
বিলির জন্যে বিশেষ উপহার
Read More
বর্ণচোরা
“বুতু! অ বুতু! ওট বাবা, ওট!” কপালের ওপর কে যেন আলতো আঙুল বোলাচ্ছে। নরম, ঠান্ডা আঙুল। কার আঙুল এটা? এ ছোঁয়া তো আমার বড্ড চেনা! আহ্, কী আরাম! ইচ্ছে করছে আর-একটু শুয়ে থাকি… কিন্তু সে আর হল না। নরম হাতটা এবার ঠাঁই-ঠাঁই করে দুটো চাঁটি বাজিয়ে দিল কপালে, সঙ্গে বিষম জোর ধাক্কা! “ও মাগো!” বলে কঁকিয়ে উঠতেই কানের কাছে চাপা গলার ধমক বেজে উঠল, “আ [আরো পড়ুন]
Read More
প্রথম বাংলা তথা ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের সন্ধানে
কল্পবিজ্ঞানের আলোচনায় অবশ্যই যে দুটি প্রশ্ন আজও বন্ধুবিচ্ছেদের কারণ হয়, তার একটি যদি হয়— প্রোফেসর শঙ্কু কল্পবিজ্ঞান কিনা, অন্যটি অবশ্যই হবে— প্রথম বাংলা কল্পবিজ্ঞানের নাম। এই প্রবন্ধে উপযুক্ত তথ্য ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি।
এই আলোচনায় কল্পবিজ্ঞান না হলেও প্রথমেই উঠে আসবে কৈলাস চন্দ্র দত্তের [আরো পড়ুন]
Read More
ছাল
এখন কেমন লাগছে বলুন তো?
মনীষার হাতের উপর নখ দিয়ে হালকা আঁচড় দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর অমিতাভ সেন। কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম সেরা ডার্মাটোলজিস্ট। সাদা বাংলায় যাকে বলে স্কিনের ডাক্তার।
না স্যার, কোনও সেন্স পাচ্ছি না তো!— বলল মনীষা।
স্ট্রেঞ্জ! এরকম কেস তো দেখিনি আমি আগে! স্কিন তো নর্মাল লাগছে। তাও সেন্স কেন আসছে না?— অনেকটা যেন নিজেরই [আরো পড়ুন]
Read More
পঞ্চম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা

অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী গৌতম মণ্ডল।
Read More
সম্পাদকীয়
কেমন আছেন বন্ধুরা? আজ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেও যেন এক বড় কঠিন সময়ের টানেলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে আমাদের দেশ। কিন্তু মানব সভ্যতা শেষ পর্যন্ত সেই টানেলের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবই, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের রয়েছে। আবারও এক রৌদ্রস্নাত পৃথিবীতে দেখা হবে। আপাতত অপেক্ষা আর সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই।
১০,০০০ বছর আগে মানুষ কৃষিজীবী হয়। আর তখনই [আরো পড়ুন]
Read More
অতিমারী ও মানবসভ্যতা: ভূত ও ভবিষ্যৎ
১১ মার্চ, ২০২০: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন বা সংক্ষেপে হু) ঘোষণা করল পৃথিবীতে এক এমন ভাইরাসের দাপট শুরু হয়ে গেছে, যার কোনও প্রতিষেধক মেডিকেল সায়েন্সে এখনও নেই। অর্থাৎ এই ভাইরাসকে অকেজো করে দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ দুটোই আপাতত মানুষের অধরা। সাধারণত কোনও দেশে বা বিশেষ কোনও গোষ্ঠী কিংবা ভূখণ্ডে এধরনের কোনও অজানা [আরো পড়ুন]
Read More
ফাংগাস
প্রথম পর্ব: ওরা ছড়িয়ে পড়ল
এক
কলকাতা, মঙ্গলবার, সন্ধে পাঁচটা কুড়ি মিনিট
বাড়ি ফেরার পর সঞ্জয় সেন আচমকা ধাক্কার কথাটা ভুলেই গেছিল। এসপ্ল্যানেডের মোড়ে ধাক্কাটা লেগেছিল ভদ্রমহিলার সঙ্গে। ধাক্কা না বলে তাকে ‘কলিশন’ বলা উচিত। যা ভিড় জায়গাটায়। ক্যাসেটের একফালি দোকান থেকে ভেসে আসছে উৎকট গানবাজনা। মাথা ঠিক রাখা যায় না।
মেজাজ খিঁচড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
অগোচরে
“তুমি তো নিশ্চয়ই কফি খেতে যাবে না?”
প্রশ্নটার মধ্যেই উত্তরটা লুকানো আছে যেন। একটু হেসে মাথা নেড়ে “নাহ্” বলল শিরিন। সিনিয়ররা চারজন ওর জন্যে অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেল ল্যাবরেটরির কাচের দরজা ঠেলে।
শুক্রবার রাত আটটা। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজ়িজ়ের বারান্দাগুলো এমনিতে সুনসান হয়ে যেত এতক্ষণে। ইটালির ত্রিয়েস্তে শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহর
(১)
আমার সামনে একদিকে দিগন্তবিস্তৃত সফেন নীল জলরাশি, অপর প্রান্তে ধূসর সবুজ স্থলভাগের ক্ষীণ রেখা। আমার জন্মভূমি, আমার স্বদেশ। প্রায় ছ-টি মাসের সুদীর্ঘ জলবাসের পর একটাই প্রতীক্ষা থাকে সবার মনে, ঠিক কবে বাড়ি ফিরতে পারব। শেষের কয়েকটি দিনের অন্তহীন অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরাতেই চায় না। আমরা সমুদ্র যাত্রীরা, একে অপরকে এই বলে আশ্বাস দিই যে আর তো মাত্র [আরো পড়ুন]
Read More
রবিকিরণ দাশগুপ্তের কেস-ডায়েরি
কেস এন্ট্রি: ১৮
মে, ২০৯১
ঘরে ঢুকে দেখলাম কর্নেল আয়ার বসে আছেন মেরুদণ্ড সোজা করে। তাঁর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি একটু বিরক্ত। সেটা অস্বাভাবিক নয়; উচ্চপদস্থ অফিসার তিনি; আমার জন্য পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করাকেও তিনি সময় নষ্ট মনে করতেই পারেন।
আমাকে দেখে কর্নেল আয়ার বললেন, “এই যে দাশগুপ্তা। মেল পেয়েছেন নিশ্চয়ই। রেডি তো?”
আমি বললাম, “হুঁ, রেডি তো হয়েই আছি। গাড়ি এনেছেন?”
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব ২)
ক্যামেরার লেন্সটা অ্যাডজাস্ট করতে করতে সোমেশ বলল, ‘স্যার, আপনি রেডি তো? আমরা কিন্তু আর তিন মিনিটের মধ্যে শুরু করব।’
অধ্যাপক সূর্যশেখর তাঁর চশমাটা ঠিক করে নিলেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি রেডি, তোমরা শুরু করো।
সোমেশ গার্গীর দিকে চেয়ে বলল, ‘তুই বরং ইন্টারভিউ এর স্ক্রিপ্টে একবার ফাইনাল চোখ বুলিয়ে নে, আমি টেকনিক্যাল ব্যাপারটা দেখছি।’ গার্গী ‘ওকে’ [আরো পড়ুন]
Read More
মা
মিসেস ত্রিনিতা হাতের ভেজা প্লেটটা মুছতে মুছতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন। রাস্তায় ইদানীং আর তেমন কেউ থাকে না। নিরাপত্তা রোবটগুলো শুধু নিয়ম করে চৌকি দেয়। গায়ে থাকে স্টাইরোফোমের তৈরি শিল্ড। দেখতে সার্কাসের সঙের মতো হাস্যকর লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই। ম্যাগনেটারের১ ভয়ংকর চৌম্বক তরঙ্গের হাত থেকে বাঁচতে হবে। সেজন্যই এই শিল্ড।
রাস্তায় দুটো [আরো পড়ুন]
Read More
শ্রমিক ধাবা
গ্রাম: চারিদা, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
এপ্রিল, ২০২০
পৃথিবী ধুঁকছে এক ভয়ানক মৃত্যুব্যাধিতে। পুরুলিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামে করোনা অতিমারী এখনও মানুষের শরীরে থাবা বসায়নি। সে আসলে থাবা বসিয়েছে দরিদ্র মানুষের মনের গভীরে। কিছু কিছু ঘরে বিদ্যুৎ নেই বহুদিন। কালো ছায়া আর ঘেমো গন্ধ সেখানে জড়াজড়ি করে বেঁচে আছে। গ্রামের পোড়ো শিবমন্দিরটাও অন্ধকারে ভূতের [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৯
আন্তঃনক্ষত্র যোগাযোগ
আজ সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় রবিবার। আগামী শুক্রবার প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট ফিলাডেলফিয়া চলে যাচ্ছেন। আগে ঠিক ছিল সামনের বছর মার্চ-এপ্রিলে ফিরে আসবেন। এখন নিজেই বুঝতে পারছেন না কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন।
আমি যখনই আসি স্যারের সঙ্গে হয় লাঞ্চ নয় ডিনার করতেই হয়। আজকের লাঞ্চে মেনু ছিল পোলাও, মাছের চপ, কষা মাংস, আমসত্ত্বের চাটনি [আরো পড়ুন]
Read More
ঊর্মিলা
একটা সুদৃশ্য কার্ডবোর্ড আর প্লাস্টিকের তৈরি বাক্সের মধ্যে শুয়ে ঘুমোচ্ছিল সে। টানা আট ঘণ্টা চার্জ দেওয়ার পরে সে যখন আস্তে আস্তে তার কৃত্রিম অক্ষিপল্লব তুলল, আমি তাকালাম তার নীলমণি চোখের দিকে। সেই চোখে ভাষা সেই, নেই প্রাণোচ্ছাস। তারপর, সম্পূর্ণ সচল হয়ে সে বলল, “শুভ রাত্রি, প্রবাল। আমি ঊর্মিলা।’’ তার ঠোঁটের নীচে লুকনো একটা স্পিকার থেকে বেরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
কর্কটকাল
“পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।”
সেই কোনকালে জীবনানন্দ ‘সুচেতনা’ কবিতায় এই কথাগুলো বলে গেছিলেন! কথাটা কিন্তু খুব সত্যি। যতবারই ধ্বংসের মুখোমুখি হই না কেন আমরা— বেঁচে থাকার মতো প্রাণশক্তি ঠিক পেয়ে যাই কোনও না কোনও সূত্র থেকে। এই অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার কাজে মস্ত ভূমিকা নেয় বইপত্রও। ঘরবন্দি অবস্থায় গত কয়েকমাসে [আরো পড়ুন]
Read More
পুস্তক পরিচিতি – চারটি অতিমারী থিমের উপন্যাস
এবারের আলোচিত গল্পগুলির থিম অতিমারী বা মহামারী৷
১) দ্য মাস্ক অব রেড ডেথ— এডগার অ্যালান পো
শহরে মড়ক লেগেছে মড়ক৷ রেড ডেথ৷ আধঘণ্টার মধ্যে অতিযন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু৷ শহরাধিপতি প্রিন্স প্রস্পেরো-র অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না৷ তিনি তার সভাসদরা এবং শহরের ধনিক-শ্রেণী একটি মঠের দখল নিয়ে,বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন৷ খাবার, বিলাস-ব্যসন কোনও [আরো পড়ুন]
Read More
গোরস্থান হল পৃথিবী
মৃত্যু আর কি এমন খারাপ? আসলে এর প্রচারটাই ঠিকমতো হয়নি কখনও।
সমস্যার সূত্রপাত হিসেব রাখার নতুন যন্ত্রটা থেকেই হয়েছিল। একটা ট্রানজিসটর পুড়ে গেছিল বা ওই দাঁতওয়ালা চাকতিটা দু’ঘর পিছলে গেছিল। তাতেই ভুলটা হল, দশমিকটাও দু’ঘর পরে গিয়েই বসল। এটাই বিচিত্র যে পশ্চিমের অত বড় কফিন প্রস্তুতকারী সংস্থা হয়েও ভুলটা কিন্তু কীভাবে যেন এতগুলো মানুষের চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
স্বাধীনতার সাধ
(১)
সাঁই! ঠাং!…ধড়াম!
তিনটে শব্দ, তারপর কয়েক সেকেন্ডের পিন ড্রপ সাইলেন্স, আর এরপরই তুমুল হুল্লোড় আর উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ! আর সঙ্গে সঙ্গে চলছে বিজেতার জয়ধ্বনি— “স্টিংগার! স্টিংগার! স্টিংগার!” এরিনার চারটে জায়ান্ট স্ক্রিনে বারবার দেখানো হচ্ছে যে কিছুক্ষণ আগে স্টিংগার কীভাবে অভাবনীয় ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার প্রতিপক্ষকে ‘স্টিং’ দিয়ে গেঁথে মাটিতে [আরো পড়ুন]
Read More
এল ডোরাডো
অরিজিৎ যখন ক্যানেল পার থেকে ফিরছিল তখন রাত এগারোটা বেজে গেছে। রোহনের বাড়িতে এতটা রাত হয়ে যাবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সে। আসলে রোহন কালই কলকাতা চলে যাচ্ছে। একটা নিউজ চ্যানেলের ওয়েব ডিজাইনিং-এর কাজ পেয়েছে সে। এমটেক করেও এতদিন বসেছিল স্রেফ একটা ভালো মনমতো কাজ পাওয়ার জন্যই। নয়তো অনেক ক’টা জবের অফার রোহন পেয়েছিল। যে কাজটা এখন পেয়েছে তার চেয়েও বড় কোম্পানিতে [আরো পড়ুন]
Read More
যুগলবন্দি
অডিটোরিয়ামে আজ তিল ধারণের জায়গা নেই! সমস্ত সিট ভরতি, সিটের সারির মাঝের প্যাসেজের মেঝেতেও লোক বসে রয়েছে ঠাসাঠাসি করে। এমনকী ওপরের ব্যালকনিতে উপচে পড়ছে ভিড়। মানুষের মাথার ওপর দিয়ে রোটরের শব্দ তুলে ওড়ে ক্যামেরা ড্রোনের ঝাঁক, স্টেজের সামনে বকের মতন লম্বা পায়ে হেঁটে পজিশন ঠিকে করে অটো-ক্যামেরার দল।
একসঙ্গে এত মানুষের ভিড় এ শহর বোধহয় বিগত কয়েক [আরো পড়ুন]
Read More
