ষষ্ঠ বর্ষ প্রথম সংখ্যা

ষষ্ঠ বর্ষ প্রথম সংখ্যা – ক্যারেল চ্যাপেকের ইউ আর আর এবং আইজ্যাক আসিমভের জন্মশতবার্ষিকী বিশেষ সংখ্যা
প্রকাশকাল – ১ মে ২০২১
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমান রনিন।
Read More
সম্পাদকীয়
বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অম্লমধুর। নিত্যনতুন আবিষ্কারে আমরা মোহিত হই, হাততালি দিই, বড়াই করি। কিন্তু আনন্দ থিতিয়ে গেলেই বুঝতে পারি আমাদের শৈশবের চেনা শোনা পৃথিবীটা বদলে গেছে বিলকুল। মন তখন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। “এতটা উন্নতির কি সত্যিই প্রয়োজন ছিল?” —প্রশ্নটা বারবার চেতনায় ধাক্কা মেরে যায়। আর ওই প্রশ্নোত্তরের খেলা খেলতে [আরো পড়ুন]
Read More
শতবর্ষে ‘রোবট’, চেক প্রজাতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উপহার
আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে রাশিয়ান-বেলারুশিয়ান বর্ডারের কাছে পেট্রোভিচি (Petrovichi) গ্রামে অ্যাজিমভদের (Azimovs) ইহুদি পরিবারে এক শিশুর জন্ম হয়। বাবা-মা বাচ্চাটির নাম দেন আইজ্যাক। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায় না, আন্দাজ করা হয় অক্টোবর ১৯১৯ থেকে ১৯২০ এর শুরুর দিকের মধ্যে তাঁর জন্ম। ১৯২৩ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি, আর এম এস বাল্টিকে চড়ে অ্যাজিমভের পরিবার নব্য [আরো পড়ুন]
Read More
রোজামের যন্ত্রদাস
Domin: (Smile) Now, the thing was how to get the life out of the test tubes, and hasten development and form organs, bones and nerves, and so on, and find such substances as catalytics, enzymes, hormones in short – you understand?
Helena: Not much, I’m afraid.
Domin: Never mind. (Leans over couch and fixes cushion for her back) There! You see with the help of his tinctures he could make whatever he wanted. He could have produced a Medusa with the brain of Socrates or a worm fifty yards long— (She laughs. He does also; leans closer on couch, then straightens up again) —but being without a grain of humor, he took into his head to make a vertebrate or perhaps a man. This artificial living matter of his had a raging thirst for life. It didn’t mind being sown or mixed together. That couldn’t be done with natural albumen. And that’s how he set about it.
Helena: About what?
Domin: [আরো পড়ুন]
Read More
রুপোলি পর্দার যন্ত্রমানব
আশির দশকের মাঝামাঝি যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তাদের সকলেরই বোধহয় দুজন কমন বন্ধু (আজকের ফেসবুকের ভাষায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড) ছিল। একজন জনি সোকো। অন্যজন তার উড়ুক্কু রোবট। তখন টিভি বলতে সাদা-কালো, চ্যানেল বলতে দূরদর্শন। টিভির সেই আদ্যিকালের দর্শকদের কাছে জনি সোকো ও তার রোবটের কার্যকলাপ থ্রি-ডির মতোই জ্যান্ত হয়ে উঠত।
জনি সোকো তার হাতঘড়ির কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
আসিমভের গোয়েন্দাগিরি
“আমরা ড. আসিমভের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
রোবট দুটির মধ্যে যার দেহটি একদম ধাতব এবং রুপোলি রঙের মধ্যে একটা নীলচে আভা খেলে যাচ্ছে সে-ই বলে উঠল রিসেপশন ডেস্কে এসে ।
“কিন্তু উনি তো কনফারেন্সে আছেন,” রিসেপশন ডেস্ক থেকে সুসান বলল। “কী দরকার শুনি? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তো দেখা হবে না।” বলেই সুসান কম্পিউটারে ক্যালেন্ডার খুলে বসল।
ওদিকে চকচকে বার্নিশ [আরো পড়ুন]
Read More
নিত্যতা সূত্র
এই ছোঁয়াচে অসুখে জর্জর, আতঙ্কগ্রস্ত শহরের আকাশেও শেষ বিকেলে রামধনুটা শুহার মন ভালো করে দিল। এমনকি এখনও। একান্ত সাময়িক যদিও। সাবান কাচার পর ডেটলে চুবিয়ে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলতে এসেছিল ছাদে। একতলার ঘুপচি থেকে, অন্ধকার ইট বেরোন এবড়োখেবড়ো সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের আকাশটাই একমাত্র সান্ত্বনা শুহার দুর্বিষহ শ্বশুরঘরে। কাপড়গুলো তুলে ওপরে চোখ তুলেই [আরো পড়ুন]
Read More
হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান
কল্পবিজ্ঞানের জন্মদাতা
বাংলা সাহিত্যে এই ‘জঁর’-এর পথিকৃৎ কে?
অধ্যাপক অনীশ দেব, তাঁর সম্পাদিত সেরা কল্পবিজ্ঞান সঙ্কলনের মুখবন্ধে বলেছেন:
… বাংলাভাষায় কল্পবিজ্ঞানের সূচনা ১৮৯৬ সালে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কলমে। কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাঁর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ গল্পটি। এর পঁচিশ বছর পরে ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থ [আরো পড়ুন]
Read More
গামবারাগারার সাদা মানুষ
অরিন্দমদার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ আফ্রিকায়। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ের নীচে রুবোনি নামে একটা জায়গায়। এটা উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা থেকে প্রায় পৌনে চারশো কিলোমিটার দূরে। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ে ওঠার প্রথম ক্যাম্প। একটা সাফারি ভ্যান আমাকে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
রুবোনি ক্যাম্পে কয়েকটা টিনের ছাউনি দেওয়া কাঠের আর পাথরের ঘর আছে। একটা হলের মতো লাউঞ্জ। আধুনিক [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতি
ঠিক এই মুহূর্তে ডক্টর শ্রুলের মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন। প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসছে, সেটা হল কেন এই অভিযানে ত্রিশিনার মতো একজন শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ারকে তার সঙ্গে দেওয়া হল। ত্রিশিনা হল তাদের এই মহাকাশ অভিযানের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার। সেই ইঞ্জিনিয়ার যদি একজন শিক্ষানবিশ কেউ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযানটা বিজ্ঞান একাডেমির কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
পরীক্ষা
‘প্রথম টাইম মেশিন, ভদ্রমহোদয়গণ।’ গর্বের সঙ্গে তার দুই সহকর্মীকে জানালেন প্রোফেসর জনসন, ‘সত্যি বলতে কী, এটি ছোট আকারের এক পরীক্ষামূলক মডেল। তিন পাউন্ড, পাঁচ আউন্সের কম ওজনের জিনিসের ক্ষেত্রেই এটা শুধু কাজ করবে। তাও অতীত বা ভবিষ্যতে বারো মিনিটের মতো দূরত্ব পর্যন্ত। তবে এটা কাজ করবে।’
ছোট আকারের মডেলটি দেখতে ওজন মাপার ছোট যন্ত্রের মতো। পার্থক্য [আরো পড়ুন]
Read More
উড়ান প্রবাহ
(১)
বিজ্ঞানী বিশ্ববসু (আই এন ডি ৪০৮৫ –বায়ো সায়েন্স /বি.বি ২০৮৫)
সাল: ৪১২৫
স্থান: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া
রিমোট কন্ট্রোলের সবুজ বোতামটা টিপতেই চোখের সামনে থেকে গোলাপি আলোর পর্দাটা সরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজারতম রে ওয়ের ধারে তিনলক্ষতম বাসস্থানটি বিজ্ঞানী বিশ্ববসুর। বাসস্থান মানে হাওয়ায় ভাসমান কিছু আলোককুঠুরি। বাইরে থেকে দেখলে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ
চরিত্রলিপি
অনিকেত বর্মণ
দিব্যেন্দু মুখার্জী
মীরা মুখার্জী
বিশ্বরূপ
পারমিতা
সৌম্যশেখর গাঙ্গুলি
চিত্রা
গল্প ১
গিন্নি, কর্তা, প্রতাপচন্দ্র
গল্প ২
দিব্যেন্দু, রনি, শিখা, ছোটমামা, মামি
গল্প ৩
বিশ্বরূপ, পারমিতা, ভুটানি বৃদ্ধা
গল্প ৪
অমূল্য, পরমা, শশাঙ্ক, কৃষ্ণেন্দু, সিস্টার
(মঞ্চ অন্ধকার। ফোন বেজে ওঠে।)
—হ্যালো… নমস্কার। মিস্টার অনিকেত বর্মণ? আমি [আরো পড়ুন]
Read More
মেরুজ্যোতি
মিসেস উইলসনের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যখন ডোরবেল টিপছি, আকাশটা তখন জ্বলজ্বলে নীল-সবুজে মেশামিশি মেরুপ্রভায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আমি খেয়াল করলাম, ওই উজ্জ্বল আলোর মধ্যে একটুখানি গোলাপির আভাও যেন দেখা যাচ্ছে।
বহু পুরোনো রোবট চাকরটা নড়ে নড়ে এসে যতক্ষণে দরজা খুলল, ততক্ষণে দরজার বাইরে অরোরা দেখে দেখে আমার প্রায় আড়াই মিনিট কেটে গেছে।
Read More
হৃদয়হীনা
সকাল ৯টা। দ্বৈপায়নের আজও মনে হয় লেট হয়ে যাবে অফিসে। স্নান সেরে গায়ে জামা গলাতে গলাতে কোনওমতে টোস্টে জ্যাম লাগিয়ে এক কামড় দিয়েছে কি দেয়নি, দেওয়ালের কোণায় ঝোলানো যোগাযোগযন্ত্রে বিপ শব্দ আর আলো জ্বলা শুরু হল, সঙ্গে যান্ত্রিক কণ্ঠে উচ্চারণ, “ইনকামিং কল ফ্রম মা, প্লিজ রিসিভ।”
“উফ, এই সময় আবার কেন…” বলতে বলতেই থ্রিডি প্রোজেক্টরের আলোটা শূন্যে [আরো পড়ুন]
Read More
রোবোটিক লিমেরিক
(১)
রোবট গড়েছে নিজে, প্রফেসর সবিতা,
খুঁজে পায় যা কিছু ব্রেনে গাঁথে সবই তা।
একদিন কাজ শেষে,
রোবটটা বলে বসে,
বাকি সব বুঝলেও, বুঝিনিকো কবিতা।
(২)
শাকচুন্নি বলল কেঁদে, ভূতের রাজার দ্বারে,
চাপতে নাকাল হচ্ছি ভীষণ, মানুষগুলোর ঘাড়ে।
গড়ছে তারা রোবট যত,
দেখতে ঠিকই তাদের মতো,
কোনটা রোবট, কোনটা মানুষ, বুঝব কেমন করে?
(৩)
উন্নত এক যুগের কথা, একুশ হাজার কুড়ি,
শৈশবটা হারিয়ে গেছে, হঠাৎ গেছে চুরি।
Read More
রোবট চরিত্র
গৌতম বলে ডেকে, ‘শুনুন হে বিজ্ঞানী,
রোবট নতুন নয়— পুরানেতে এই জানি।
বেতাল নামে রোবট পুষেছেন বিক্রম;
আলাদিন পুষেছিল, সে দানবও নয় কম।
রামের যে হনুমান, আসলে রোবটই সে,
যে-কোনও মানুষকেই মেরে দিত সে পিষে।’
সাত্যকি বললেন, ‘শোনো ওহে গৌতম,
রোবটের সূত্রতে বলে নাকো সেরকম।
তিনটি সূত্র আছে রোবটের স্বভাবে,
শর্তও বলা যায়। একটারও অভাবে
রোবট হবে না সেটা, হবে ক্রীতদাসই সে—
প্রভুর [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন: রূপকথার রূপান্তর?
‘সায়েন্স ফিকশন’ শব্দবন্ধ দিয়ে যে ঘরানাটিকে চিহ্নিত করা হয়, তাকে পত্রপত্রিকায় নানা সময়ে নানা নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনি বা বিজ্ঞানসুবাসিত (?) অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে এই ধারার লেখা আমরা নানা পূজাবার্ষিকী ও সংকলনে পড়েছি। বাংলায় এমন লেখালেখিতে একটা সুনির্দিষ্ট বাঁক-বদল আসে ছয়ের দশকে। তারও অনেক পরে এই ধারাকে ‘কল্পবিজ্ঞান’ [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পরিশিষ্ট
মহাকাশের আবর্জনা
জানুয়ারি মাসের প্রায় শেষ— এখনও ঠান্ডার প্রকোপ ভালোমতনই রয়েছে। সন্ধেবেলা সোয়েটার পরে চাদর জড়িয়ে জুত করে কফি খাচ্ছিলাম। এমন সময়ে টেলিফোন বেজে উঠল। ‘কেমন আছ?’ গলা শুনেই বুঝলাম ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট ফোন করেছেন। শুভ সংবাদ— স্যার ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ ব্যাঙ্গালোর আসছেন— ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে [আরো পড়ুন]
Read More
ভিডিয়ো গেম রিভিউ – সাইবারপাঙ্ক ২০৭৭
CYBERPUNK 2077
Genre: RPG
Publisher: CD Projekt
Release Date: 10 December, 2020
Platform(s): Windows, PlayStation, Xbox
সাইবারপাঙ্ক নামটা কল্পবিজ্ঞান অনুরাগীদের কাছে আজ আর নতুন কিছু নয়। ১৯৭০-৮০-র দশকে প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি ও গ্লোবালাইজেশনের ফলশ্রুতি হিসেবে কল্পবিজ্ঞানের এই উপধারাটির আবির্ভাব। সাইবারপাঙ্কের মূলকথা হল মানুষের দিনযাপনের প্রতি পদে জালের মতো বিছিয়ে থাকা ভবিষ্যত প্রযুক্তি। তা যেমন [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব-৪)
‘আজ কেমন আছেন প্রফেসর?’ পালস মনিটরের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন ড. গ্লেন্স। হালকা হেসে প্রফেসর সেনগুপ্ত বললেন, ‘আজ অনেকটা ভালো ডক্টর, শুধু উইকনেস আছে।’ ‘দ্যাটস গুড, উই উইশ ইওর স্পিডি রিকভারি প্রফেসর। প্রায় বাহাত্তর ঘণ্টা পরে আপনার হার্টবিট আর পালসকে স্থিতিশীল করা গেছে। আই থিংক, ইউ আউট অব ডেঞ্জার নাও’ অকল্যান্ড গ্রীন সিটি হসপিটালের নিউরোসার্জেন ড. গ্লেন্স এর মুখ উজ্জ্বল হল।
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ১: লাস্ট অ্যাকশন হিরো
এ এক সুদূর ভবিষ্যতের গল্প।
সেখানে প্রযুক্তি আছে বিস্তর। আছে জন্ম-মৃত্যু, আশা-নিরাশা। আছে স্বপ্ন আর ভবিষ্যতের ভাবনা। আছে টিন-এজারের মুড সুইং আর স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া।
ভাবছেন, তাহলে বর্তমানের সঙ্গে সেই সময়ের কী আর এমন পার্থক্য আছে?
প্রথমত, মানবতা ততদিনে ছড়িয়ে গেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে— অন্য ছায়াপথে, নীহারিকারও সুদূর পারে। তার নানা কোণে [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্গদেশের যন্ত্রমানব
রোবট, যন্ত্র মানুষ বা কলের গোলাম— যে নামেই তাকে ডাকো না কেন, টিভি আর সিনেমার পর্দায় উপস্থিতির জন্যে তারা আজ কারো কাছেই অপরিচিত নয়। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা যদিও রোবট তৈরির ব্যাপারে লেখকের কল্পনা এবং কলমকে টেক্কা দিতে পারেনি এখনও, তবু স্বনিয়ন্ত্রিত কলকারখানায় আর গবেষণাগারে তাদের ব্যবহার দেখে মনে হয়, সেই দিন আর আসতে তেমন দেরি নেই। আধুনিক রোবটের [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ২
প্রাক-কথন
কল্পবিশ্ব আন্দোলনের শরিক হিসেবে মাঝে মধ্যেই একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে, ছোটদের জন্য নতুন কল্পবিজ্ঞান কোথায়? আমরা মূলত পরিণতমনস্ক গল্প নিয়ে কাজ করলেও, ছোট্ট পড়ুয়াদের অন্য ধারার লেখার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার দায় অমাদেরও কিছু কম নয়। সে কথা মাথায় রেখেই ঠিক করেছি, এবার থেকে পুস্তক পরিচিতিতে অন্তত একটা করে শিশু অথবা কিশোরপাঠ্য নতুন বইয়ের খবর রাখব।
Read More
এ তুমি কেমন তুমি
জিল হেরিকের সুন্দর নীল চোখদুটো জলে ভরে উঠল। অব্যক্ত এক যন্ত্রণায় নিজের স্বামীর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, ‘জঘন্য মানুষ তুমি একটা।’
স্বামী লেস্টার হেরিক কিন্তু নিজের হাতের কাজ থামালো না। টেবিলের উপর কাগজের স্তূপ থেকে যতরকম নোট আর গ্রাফ ছিল সেগুলো বেছে বেছে সাজিয়ে রাখছিল।
‘জঘন্য কথাটা মূলত জাজমেন্টাল শব্দ একটা।’ লেস্টার ঠান্ডা গলায় বলল, [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রমাতা
সেই রাতে তাঁর ছেলেই ছিল প্রথম নক্ষত্র।
সেই চৈত্র রাতে তিনি একটা হাত বুকে রেখে, একা, তাঁর বাড়ির বাগানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন— সামনের মাঠটা থেকে তাঁর ছেলে দক্ষিণের আকাশে উঠে গেল— উঁচু আরও উঁচুতে উঠতে উঠতে একেবারে আকাশের মাথায় পৌঁছে সে নামতে থাকল। নামতে নামতে শেষে উত্তর দিগন্তের কালো অন্ধকারে হারিয়ে গেল— তাকে আর দেখা গেল না। আচ্ছা, সে কি এখন [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতিদের শীর্ষবিন্দু
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় শান্তনুর, প্রায় অন্ধকার কম্পার্টমেন্ট, শীতের রাত, সকলেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে, শুধু একটানা ট্রেনের শব্দ আর ঝাঁকুনি, বাথরুমের কাছে হলুদ আলোটা জ্বলছে, ঘুম চোখে সেই আবছা আলোয় সবকিছু কেমন মায়াবী লাগে শান্তনুর।
সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেনটা ছুটছে, শান্তনুর মনে পরে সে যখন ঘুমিয়েছিল তখন ট্রেনটা দাঁড়িয়েছিল। কটা [আরো পড়ুন]
Read More
পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা

পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা – শারদীয়া ১৪২৭ (২০২০)
প্রকাশকাল – ২২ অক্টোবর ২০২০
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read More
সম্পাদকীয়
চলতে চলতে হঠাৎই যেন থমকে গেছে আমাদের নীল রঙের এই গ্রহ। সভ্যতার হৃদয় থেকে দমচাপা এই বছরটাকে উপড়ে ফেলতে আমরা বদ্ধপরিকর। যেন কখনও এই বছরটা আসেইনি। কিন্তু তা কি করা যায় শেষ পর্যন্ত? অসুখের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আরোগ্যের দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া যে উপায় নেই। এদিকে বালিঘড়ির শরীর থেকে সময়কণা ঝরতে ঝরতে আরও একটা উৎসবের মুখোমুখি [আরো পড়ুন]
Read More
ড্যাগন – এইচ পি লাভক্র্যাফট






























































Read More
পিথ্রিবাবু ও আশ্চর্য ছক্কা
(সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে নিবেদিত শ্রদ্ধার্ঘ্য)
আমার নাম পরমেশ্বর পাকড়াশি। তবে লোকে পিথ্রিবাবু বলেই ডাকে— প্রোফেসর পরমেশ্বর পাকড়াশি। প্রোফেসরি করেছি অবিশ্যি বহুকাল আগে। কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে ফিজিক্স পড়াতাম। পড়ানোর থেকে গবেষণাই বেশি পছন্দের ছিল বলে কলেজের কাজ ছেড়ে রাঁচির কাছে জোনায় পৈত্রিক বাড়িতে [আরো পড়ুন]
Read More
হাতি
“নাঃ! সহ্যের একটা শেষ আছে। আর এই মেসে থাকা যাবে না।”
“আমিও মেস ছেড়ে দেব ভাবছি।”
“তুই ভাবছিস? আমি তো ঠিকই করে ফেলেছি।”
“আমি তো একটা মেসের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আর ক-দিন পরে সামনের মাসে একটা সিট খালি হচ্ছে। কালই অগ্রিম টাকাটা দিয়ে আসব।”
ওপরের কথাবার্তা যে বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসবাড়ির দোতলার আড্ডাঘরে চলছে [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানে ভূবিজ্ঞানের প্রভাব
কল্পবিজ্ঞান বর্তমানে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ভাষায় শত শত কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি সৃষ্টি হচ্ছে। কল্পবিজ্ঞানের কাহিনির রচয়িতাদের মধ্যে অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, প্রথিতযশা সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকাররা রয়েছেন। লিখিত কাহিনি ছাড়াও অনেক কল্পবিজ্ঞানের গল্প জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে [আরো পড়ুন]
Read More
চিরকুট
তখন সন্দেশে ছিলেন তিন সম্পাদক। নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের হাত ঘুরে লেখা আসত ‘বড় সম্পাদক’ সত্যজিৎ রায়ের কাছে। তিন সম্পাদকের কাটাছেঁড়ার পর সামান্যই লেখা যেত ছাপাখানায়। অনেক সময় নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের কাছে পাশ করে যাওয়া লেখা আটকে যেত সত্যজিৎ রায়ের টেবিলে।
আবার কোনও সম্ভাবনাময় লেখার পরিমার্জন বা পুনর্লিখন করার উপদেশ দিয়ে সত্যজিৎ [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব-৩)
অনেক ভোরে আজ প্রফেসর সূর্যশেখরের ঘুমটা ভেঙে গেল। বালিশের পাশে রাখা হাতঘড়িতে দেখলেন পাঁচটা কুড়ি বাজে। আড়মোড়া ভেঙে উঠে প্রফেসর তাঁর ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁর বালিগঞ্জ প্লেসের এই ফ্ল্যাটটা বড় রাস্তা থেকে কিছুটা ভেতরে। তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে একটা সবুজ পার্ক আছে, রাস্তা জুড়ে প্রচুর গাছ। তাঁর ফ্ল্যাটের নিজস্ব কম্পাউন্ডেও [আরো পড়ুন]
Read More
লিমেরিকে আসিমভ
ফেসবুকের কল্পবিজ্ঞান গ্রুপে বসেছিল লিমেরিক অনুবাদের আসর। কিংবদন্তি কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক আসিমভের লেখা লিমেরিক অনুবাদ করেছিলেন গ্রুপের সদস্যরা। সেই সব অনুবাদ এবার তুলে ধরা হল কল্পবিশ্বের পাঠকদের সামনে। চাইলে আপনারাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
লিমেরিক:: ১
আসিমভ বেশ কিছু লিমেরিক শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখেছিলেন— তার [আরো পড়ুন]
Read More
ইউটোপিয়া
গভীর রাত।
শহরের প্রধান টাওয়ার ডিজিটাল ক্লকে রাত দুটোর ডিজিট শো করছে লাল দপদপে আলোয়।
সারা শহর নিস্তব্ধ হয়ে আছে। প্রতিটি মানুষ এখন গাঢ় নিদ্রায় আচ্ছন্ন। কুকুরগুলোও এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। শুধু হ্যালোজেন বাতিরা হলুদ আলো বর্ষণ করে যাচ্ছে অবিরাম। কুয়াশা থাকায় আরও রহস্যময় লাগছে আলোগুলো।
ঠিক এই সময় কুয়াশার চাদর [আরো পড়ুন]
Read More
গোধূলি লগ্নে সূর্যোদয়
অরিন তাড়াতাড়ি করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে। তখনও গামছা দিয়ে মাথা মুছে চলেছে। টপ টপ করে জলের ফোঁটা মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পিঠে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তর সয় না অরিনের। বাবাকে ডাইনিং টেবিলে চা খেতে দেখেই বলে ওঠে, “বাবা, আজ আমাদের স্কুলে পৌঁছে দেবে?”
তীর্থঙ্কর তখন সবেমাত্র পট থেকে কাপে দ্বিতীয় বারের জন্য চা ঢালছে। ঘুম থেকে উঠে সকালে পরপর অন্তত [আরো পড়ুন]
Read More
নিধুবাবুর টপ্পা
ভূমিকা
আমি আমার যে অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলব তার প্রধান কুশীলব আমি নই। আমি শুধু ঘটনাটার একটা বৈজ্ঞানিক বা যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছি। প্রথমেই বলে রাখি আমি এই লেখাটা ২০১৫ সালে লিখেছিলাম৷ নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় ছাপানোর চেষ্টা করিনি৷ কয়েকটি মন্তব্য ছাড়া লেখাটির পরিবর্তন করিনি৷
(১)
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা হলেও কিছুদিন আগে একটি [আরো পড়ুন]
Read More
দীপেন ভট্টাচার্যের কল্পজগতের সফর
সাক্ষাৎকারে কল্পবিশ্বের পক্ষে দীপ ঘোষ, সুদীপ দেব এবং সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
নাসা এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড ক্যাম্পাসে গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ্যার গবেষক ও বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক দীপেন ভট্টাচার্য অসামান্য কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসিধর্মী গল্পও লেখেন। পদার্থবিদ্যা [আরো পড়ুন]
Read More
সিমুলেশন হাইপোথিসিস
আদৌ কি এই জগৎ সত্য? নাকি সবই আমাদের ভ্রম, আমাদের এক অলীক ইউটোপীয় ধারণা? প্রশ্নটা পড়ে হয়তো অনেকেই অবাস্তব বা পাগলের প্রলাপ বলে মনে করবেন। আবার কেউ কেউ ভাববেন, এমন আবার হয় নাকি! আমরা তো প্রতিদিন আমাদের চারিপার্শ্বের প্রকৃতিকে, বাস্তবিকই প্রত্যক্ষ করি এবং তার সঙ্গে পরিবেশের অন্তর্গত বস্তুজগতের পারিপার্শ্বিক মিথষ্ক্রিয়াকে [আরো পড়ুন]
Read More
ভারতীয় বিজ্ঞানের বিস্মৃত স্বধর্ম ও সত্যজিৎ রায়
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু একটা মাত্র গল্প লিখেছেন এবং সেটা এস.এফ. বা সায়েন্স ফিকশন। আর সত্যজিৎ বাংলায় প্রথম যে গল্পটা লেখেন সেটা এস.এফ.। বাংলার কৃতী সাহিত্যিকদের মধ্যে দ্বিতীয় জন নেই যিনি সায়েন্স ফিকশন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন। জগদীশচন্দ্র ও সত্যজিতের মধ্যে এস.এফ. সম্পর্ক আরও বেশ কিছু সূত্রে গ্রথিত। ছদ্মনামে লেখা জগদীশচন্দ্রের [আরো পড়ুন]
Read More
ঢেউ
আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখি আকাশ ছোঁয়ার।
ইকারাসের মতো আমার সেই স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। আকাশে এখন আমি— মহাকাশে। পৃথিবী ঘুমন্ত শিশুর মতো শুয়ে আছে আমার নয় হাজার কিলোমিটার নিচে। সূর্যের প্রথম স্বর্ণাভা আমায় স্পর্শ করল। ভিজিয়ে দিল আমার মুখ, মিঠে ওম ছড়িয়ে দিল আমার ত্বকে, ভাইসরের কাচ পেরিয়ে। সেই প্রতিফলিত কিরণে যেন ঘুম ভাঙল আমার [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ২

ফিওদর দস্তয়েভস্কির অন্যতম রচনা ‘ডেমনস’ এর ইংরেজি অনুবাদের একটি শিরোনাম দাঁড়ায় ‘পসেসড’ এই শব্দবন্ধে। সদ্য সাইবেরিয়ার নির্বাসনদণ্ড থেকে ফিরে আসা ক্রান্তদর্শী লেখক মনোজগতের গহীন দ্বৈরথ আর বাইরে অনবরত ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের এক টেস্টামেন্ট লিখেছিলেন উপন্যাসের শরীরে। এই শব্দবন্ধের অভীপ্সা আবার শতাব্দী পেরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ডাইন
বড়দিনের ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাবার প্রস্তাবটা রক্তিমের। প্রস্তাবটা পাওয়া মাত্র অদ্রিজা লুফে নিল। ঘাটশিলায় ওদের পৈত্রিক বাড়িটা এখন ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঠিক হল, ওই বাড়িতেই দিন দুয়েক থাকা যাবে। শুক্রবার ওরা চারজন রক্তিম, জয়ন্ত, সৌমী আর অদ্রিজা রওনা দিল ঘাটশিলার উদ্দেশে।
ঘাটশিলা স্টেশনে যখন নামল তখন বিকাল। পশ্চিমদিগন্তে লাল বলের মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দেবশিশু
সাল ২১৩৯, হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড নারচারিং সেন্টার (এইচ আর এন সি), মিরশা সিটি
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি, আজকে আপনাদের এই বোর্ডের সামনে কেন উপস্থিত হতে বলা হয়েছে সে সম্বন্ধে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। তাও প্রোটোকলের স্বার্থে আমি গোটা বিষয়টা সংক্ষেপে এই বোর্ডের সামনে তুলে ধরছি।
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি আপনারা দুজন [আরো পড়ুন]
Read More
নিঃশব্দ
ঘুমিয়ে পড়েছে সুমিত। বাইরে বেরিয়ে হাঁটুর সমান উচ্চতার পাহাড়ি পাথরটার উপর বসে পড়ল প্রজ্ঞা। বাড়ির শেষ মাথায় বাগানের মধ্যে রাখা আছে পাথরখানা। এর পরেই শুরু হয়েছে খাদ। খাদের ওপারে সবুজ উপত্যকা। শীতকালে বরফের পুরু চাদরে ঢেকে যায় গোটা জায়গাটা। বর্ষাকালে উপত্যকার মাথায় মেঘ জমে বৃষ্টি নামলে ছোট্ট জায়গাটা হয়ে ওঠে এক টুকরো ল্যান্ডস্কেপ।
Read More
নিদালি আলেয়া
“বউটা পেত্নীর মতন কাঁদতে কাঁদতে হাসে।”
পঞ্চার কথা শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল রজতের। ধমকের সুরে বলল, “চ্যাংড়ামি পেয়েছিস। একে শালা এই রাতদুপুরে তদন্তের উটকো ঝামেলা তার মধ্যে তোর আল বা…
“না স্যার। আমি নয় আশপাশের লোকেরা বলে!” মোলায়েম সুরে কনস্টেবল পঞ্চানন রজতকে থামিয়ে দেয়। সে বিগত বারো বছর ধরে পুলিশের চাকরিতে আছে। তৈল মর্দন শিল্পে সিদ্ধহস্ত।
Read More
সাদা জাহাজ
আমি বেসিল এলটন। আমি নর্থ পয়েন্টের বাতিঘরের বাতিওয়ালা। আমার আগে আমার বাবা, আমার ঠাকুর্দা সকলেই এইখানে বাতিওয়ালা ছিলেন। পাড় থেকে অনেকটা ভেতরে পিছল পাথরের বুকে ধূসর বাতিঘরটা একলা দাঁড়িয়ে থাকে। পাথরগুলো জোয়ার এলে জলে ডুবে যায়। ভাটার সময় নজরে পড়ে। বাতিঘরের পেছনে ছড়িয়ে থাকা সমুদ্রের বুকে সাত সাগরের তিন মাস্তুলের পালতোলা [আরো পড়ুন]
Read More
দেবদূত
প্রারম্ভিকা
বিশাল কালো প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত শহরটি। সেটাকে ঘিরে আছে বিশাল ধূসর দেয়াল। এক রাস্তা যোগ হয়েছে মূল ফটকের সঙ্গে। ফটকের দুই পাশে দুটো বেদি, এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মূর্তি। একটা সাদা শ্বেত পাথরের, আরেকটা কালো কষ্টি পাথর। একটা দেবদূতের, আরেকটা কালদূত। দুটো প্রকাশ করে শহরের সাম্যতা, সঙ্গে অস্তিত্ব।
কথিত আছে, যদি শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
